নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিম পারে হাঁসে খায় বাঘদাসে: তারেকের অবৈধ আয় মামুনের একাউন্টে, এভাবেই পাচার..।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবৈধভাবে আয় করে ২৬ কোটি টাকা তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের একাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন। তার পাচারকৃত অর্থের মধ্য থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফেরত এনেছে। বাকি ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা যুক্তরাজ্যে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিট সূত্র এ তথ্য জানায়। জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও মামুনের নামে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে আয় করে বিদেশে পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯ এর ২ নং ৪(২) ধারায় মামলা দায়ের করে। অর্থ পাচারের অভিযোগে তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে তথ্য প্রমাণ দাখিল ও সাক্ষীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে চার্জ গঠন করলেও আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালতে তিনি বলেন, অপরাধ সংঘটনের সময়কাল ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল। ২০০২ সালের ৭নং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন বাতিল হয়েছে। তাই ২০০৯ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ চলতে পারে না। এ নিয়ে নিম্ন ও উচ্চ আদালতে প্রায় ২ বছর কেটে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ও রিভিউ পিটিশন পর্যালোচনাকালে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দেন যে, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯ এর অধীনে এ বিচারকাজ চালাতে কোনো বাধা নেই। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী নতুন করে আবার আপত্তি দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গত শনিবার জানান, তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থ পাচারের বিষয়টি বিদেশের আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। অর্থ পাচারের মামলার বিচারকাজ বাংলাদেশের আদালতে যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন আসামি পক্ষের আইনজীবী অসত্য তথ্য দিয়ে পিটিশন দাখিল করে বিচার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছেন।

দুদকের তদন্ত রিপোর্টে অর্থ পাচার সম্পর্কে বলা হয়, তারেক রহমান অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থাকে কাজ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মাধ্যমে বিদেশী মুদ্রায় অর্থ আদায় করে তা মামুনের একাউন্টে সিঙ্গাপুরস্থ ব্যাংকে জমা রাখেন। তদন্ত চলাকালে জিজ্ঞাসাবাদে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ পাচারের কথা স্বীকার করেন। তদন্তে আরো বলা হয়, তারেক রহমান নিজ নামে কোনো ব্যাংক একাউন্ট না খুলে তার বন্ধু মামুনের একাউন্টে জমা করেনÑ যা সাপ্লিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করতেনÑ যার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তারেক রহমান সিটি ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লিমেন্টারি গোল্ড ভিসা নং ৪৫৬৮-৮১৭০-১০০৬-৪৬২২ তে ৫৪ হাজার ৯৮২ ইউএস ডলার ব্যয় করেন।

সিঙ্গাপুর সিটি ব্যাংক ২৩ চার্চ স্ট্রিট ক্যাপিটাল স্কোয়ার সিঙ্গাপুর একাউন্ট নম্বর-১৫৮০৫২-এ ১ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৮ টাকার সমপরিমাণ ইউরো মুদ্রা, ১৯ কোটি ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮৭ টাকার সমপরিমাণ ইউরো ডলার এবং ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৭৭ টাকার সমপরিমাণ ব্রিটিশ পাউন্ড মিলে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা অবৈধভাবে পাচার করে জমা করে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের ন্যাট জয়েন্ট ব্যাংক আলডিচ ব্রাঞ্চ, পোস্ট বক্স নং-২২১, হিসাব নম্বর ৮৫১৮৪২০১ এবং হিসাব নম্বর ৯৬৮৯৩২৮১-এ মোট ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা অবৈধভাবে পাচার করে জমা করা হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

টোকাই সিকদার বলেছেন: আমার একাউন্ট নম্বর টা যদি.........

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই টাকা মারার কথা শুনে মাল, তানভির রন্জিত আর আবুলরা তো হেসেই খুন। এটা কোন টাকা হল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.