নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরমাণু বিদ্যুতের স্বপ্ন পূরণের পথে

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

রূপপুর ১৯৬১-২০১৩

পরমাণু বিদ্যুতের স্বপ্ন পূরণের পথে



অর্ধশতাব্দী পর বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য নিয়ে স্বপ্ন পূরণের সূচনা হলো। এ চুক্তির ফলে পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে অর্থায়ন করবে রাশিয়া। দেশটি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নও করবে। রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে ৫২ বছর ধরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার পর অবশেষে মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়। এর আগে ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারেও আওয়ামী লীগ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরকালে চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে সে প্রতিশ্রুতি পূরণের সূচনা করল মহাজোট সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ২০২০ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট নির্মিত হবে। এর ফলে মোট দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। পারমাণবিক চুলি্ল থেকে উৎপাদিত এ বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে ইউনিটপ্রতি ৬৩ পয়সা। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন খরচ বেশি হলেও এর উৎপাদন খরচ খুবই কম পড়বে।

৫২ বছর ধরে শুধুই আলোচনা :রূপপুর

প্রকল্পের উদ্যোগ সর্বপ্রথম নেওয়া হয় ১৯৬১ সালে। তখন ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মাতীরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের প্রায় এক হাজার মিটার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য তৎকালীন সরকার ২৫৯ দশমিক ৯০ একর জমি হুকুমদখল করে।

গত ৫২ বছরে প্রকল্পটি নিয়ে আটটি দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দেশগুলো হলো_ নরওয়ে, কানাডা, সুইডেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়া। এতদসত্ত্বেও প্রকল্পের কাজ ছিল আলোচনার মধ্যেই বন্দি। ১৯৬৩ সালে ৭০ মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬৪ সালে কানাডা সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। পরে আলোচনা থেমে যায়। ১৯৬৬ সালে আবারও আলোচনা শুরু হয়। সেবার কানাডা ছাড়াও সুইডেন ও নরওয়ের সঙ্গে ১৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়। অতীতের মতো সে দফার উদ্যোগও আলোর মুখ দেখেনি।

ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে আমাদের প্রতিনিধি সেলিম সরদার জানান, বাংলাদেশ আমলে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে পারমাণবিক চুলি্ল স্থাপনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বিভিন্ন সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হয়। কোনোটিই কার্যকর হয়নি। এবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের মধ্য দিয়ে সে উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রোসাটম ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক এবং একই বছরের ২১ মে দু'দেশের মধ্যে রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সময়ের বাধ্যবাধকতা নিয়ে প্রায়োগিক পরিকল্পনা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই বছরের ১ আগস্ট মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করে। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর নিরাপত্তা ও আইনি রূপরেখা উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। এরপর ২ নভেম্বর ঢাকায় চুক্তি হয়। প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের কিছুদিন আগে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল অর্থায়ন বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করে।

ব্যবহার হবে তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি :রূপপুরে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে রাশিয়া তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে সুনামি ও ভূমিকম্প সহনীয় ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রটির।





অর্ধশতাব্দী পর বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পথ উন্মুক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য নিয়ে স্বপ্ন পূরণের সূচনা হলো। এ চুক্তির ফলে পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে অর্থায়ন করবে রাশিয়া। দেশটি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নও করবে। রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে ৫২ বছর ধরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার পর অবশেষে মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেয়। এর আগে ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারেও আওয়ামী লীগ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরকালে চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে সে প্রতিশ্রুতি পূরণের সূচনা করল মহাজোট সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ২০২০ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট নির্মিত হবে। এর ফলে মোট দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। পারমাণবিক চুলি্ল থেকে উৎপাদিত এ বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়বে ইউনিটপ্রতি ৬৩ পয়সা। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন খরচ বেশি হলেও এর উৎপাদন খরচ খুবই কম পড়বে।

৫২ বছর ধরে শুধুই আলোচনা :রূপপুর

প্রকল্পের উদ্যোগ সর্বপ্রথম নেওয়া হয় ১৯৬১ সালে। তখন ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মাতীরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের প্রায় এক হাজার মিটার পূর্ব-দক্ষিণ কোণে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য তৎকালীন সরকার ২৫৯ দশমিক ৯০ একর জমি হুকুমদখল করে।

গত ৫২ বছরে প্রকল্পটি নিয়ে আটটি দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দেশগুলো হলো_ নরওয়ে, কানাডা, সুইডেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়া। এতদসত্ত্বেও প্রকল্পের কাজ ছিল আলোচনার মধ্যেই বন্দি। ১৯৬৩ সালে ৭০ মেগাওয়াট পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬৪ সালে কানাডা সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। পরে আলোচনা থেমে যায়। ১৯৬৬ সালে আবারও আলোচনা শুরু হয়। সেবার কানাডা ছাড়াও সুইডেন ও নরওয়ের সঙ্গে ১৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়। অতীতের মতো সে দফার উদ্যোগও আলোর মুখ দেখেনি।

ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে আমাদের প্রতিনিধি সেলিম সরদার জানান, বাংলাদেশ আমলে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে পারমাণবিক চুলি্ল স্থাপনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বিভিন্ন সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এ বিষয়ে জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হয়। কোনোটিই কার্যকর হয়নি। এবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের মধ্য দিয়ে সে উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয়। ওই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রোসাটম ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক এবং একই বছরের ২১ মে দু'দেশের মধ্যে রূপরেখা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সময়ের বাধ্যবাধকতা নিয়ে প্রায়োগিক পরিকল্পনা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই বছরের ১ আগস্ট মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করে। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর নিরাপত্তা ও আইনি রূপরেখা উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। এরপর ২ নভেম্বর ঢাকায় চুক্তি হয়। প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের কিছুদিন আগে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল অর্থায়ন বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করে।

ব্যবহার হবে তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি :রূপপুরে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে রাশিয়া তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে সুনামি ও ভূমিকম্প সহনীয় ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রটির।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.