নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগের তরুণদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে শিবির

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০২

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণের তরুণদের বিভ্রান্ত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে শিবির ক্যাডাররা (ছোট রাজাকার)। শাহবাগ বসন্তের পঞ্চম দিন শনিবার ইসলামী আইন অনুযায়ী কাদের মোল্লার বিচার চাই শিরোনামে একটি লিফলেট ছেড়ে দেয় তারা। এ ছাড়া এ দিন দুপুরের ফেসবুক ও ব্লগারদের ভিডিও রেকর্ড করার সময় ধরা পড়ে এক শিবির ক্যাডার। হ্যান্ডিক্যামসহ তাকে তুলে দেয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। এর আগে বৃহস্পতিবার শিবিরের অন্য দুইজনকে শাহবাগ এলাকা থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ফেসবুকেও শাহাবাগ বসন্তকে নিয়ে নানা ধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করছে শিবির ক্যাডাররা।

চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, আত্মস্বীকৃত খুনী কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার ফেসবুক ও ব্লগাররা প্রতিবাদ শুরু করে শাহবাগ মোড়ে। অপরিকল্পিতভাবে আয়োজিত প্রতিবাদে যোগ দেয় তরুণ প্রজন্ম। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলবার হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে শাহবাগ এলাকায়। যত দিন যাচ্ছে তত উত্তাপ চড়াতে থাকে তারুণ্যের এ আন্দোলন। গত কয়েক মাস ধরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে দেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল জামায়াত-শিবির। শাহবাগ বসন্তের পর তারা পিছু হটতে থাকে। নিজেদের অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে বুঝতে পেরে শাহবাগের তরুণদের বিভ্রান্ত করতে কৌশলে মাঠে নেমে পড়ে শিবির। যদিও পুরো এলাকার চারদিকে মোতায়েন করা আছে পুলিশ ও র‌্যাব। বাড়তি নজরদারি করতে মাঠে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া আশপাশের প্রতিটি ছাদের উপরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা সেখান থেকে পুরো এলাকার উপর নজরদারি করছেন। এর মধ্যে ছদ্মবেশে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ঢুকে যাচ্ছে শিবির ক্যাডাররা। আন্দোলনের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার দুই শিবির ক্যাডার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে যায়। তাদের আচরণ সন্দেহজনক বুঝতে পেরে গোয়েন্দারা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। সমাবেশের দিন শুক্রবার যুদ্ধাপরাধীদের কোন মিত্র ধরা না পড়লেও সমাবেশের ভেতরে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নজরধারীতে রাখে গোয়েন্দারা।

পঞ্চম দিন শনিবার কে বা কারা শাহাবাগ স্কয়ারের আন্দোলনরত জনতার মাঝে একটি লিফলেট ছেড়ে দেয়। লিফলেটে লেখা আছে বিচার চাই, বিচার চাই, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। এ রকম অসংখ্য লিফলেট রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পুড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে মাইকে লিফলেট বিতরণের সংবাদ প্রচার করে সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া লিফলেট বিতরণকারীদের গোপনে গোপনে খুঁজতেও শুরু করেন অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত লিফলেট বিতরণের সঙ্গে জড়িত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। লিফলেট বিতরণকারীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে যায় অথবা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় ধরা পড়েনি। শাহাবাগ বসন্তের আহ্বানকারী ফেসবুক ও ব্লগারদের ভিডিও করার সময় সাইফুল্লাহ নামে এক শিবির ক্যাডারকে আটক করে কয়েকজন ব্লগার। তারা সাইফুল্লার হ্যান্ডক্যাম দেখতে পায় সে আন্দোলনের স্লোগানদানকারী ও মাথায় হলুদফিতা বন্ধনকারী ব্লগারদের ছবি ভিডিও রেকর্ড করেছে। তার পরিচয় জানতে চাইলে সে নিজেকে টঙ্গী তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ছাত্র পরিচয় দেয়। একই সঙ্গে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার নাতি দাবি করেন তাৎক্ষণিকভাবে সাইফুল্লা নিজেই স্বীকার করেন সে প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা নয়। এ ছাড়া হ্যান্ডক্যাম কে দিয়েছে জানতে চাইলে সে তার এক বন্ধুর কথা বলে। তার ওই বন্ধুর মোবাইল নম্বরে কল করলে শিবিরের একটি শিল্পগোষ্ঠীর গান শোনা যায়। ওই বন্ধু গানটি ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার করে। তাছাড়া তার পকেটে চট্টগ্রাম থেকে আসা একটি গাড়ির টিকেট পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে তাকে শিবির মনে হওয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেয়া হয়।

শিবিরের এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তরুণ প্রজন্ম প্রস্তুত রয়েছে। ঘটনার পর কথা হয় গত পাঁচ দিন ধরে আন্দোলনের সঙ্গে থাকা, মিজান, নাসিম, অরণ্য, অদিত্য, শিবলির সঙ্গে। তারা বলেন, তরুণদের বিভ্রান্ত করতে শিবির যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তা কোন কাজে লাগবে না। কারণ হিসেবে তারা বলেন, যারা এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে তারা শিবিরের জঘন্য কর্মকা- সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন। তাছাড়া তাদের ষড়যন্ত্রের খবর স্পষ্ট হওয়াতে এখন সাবাই সজাগ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে শিবির ক্যাডারদের নজরদারিতে রাখা হবে বলেও উল্লেখ করেন এ তরুণরা।

ফেসবুকেও শাহবাগ আন্দোলনের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার করছে শিবির। আন্দোলনকারীদের বিষয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। তবে ফেসবুকেও যাদের কমান্টে মৌলবাদীর পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে তাকে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমোভও করে দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

মো জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইসলামী আইন অনুযায়ী শাস্তি চাইলে শাহবাগে আইনা ছাইড়া দিখ খালি, পাথরের টুকরা বাংলার জনতা নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করে নিবে

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

bangal manus বলেছেন: জামাতি কুত্তার বাচ্চারা ভুয়া নিউজ দিয়ে যাচ্ছে , এই খানকির পোলাগো জন্মেই সমস্যা আছে মনে হয়

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

শিক্ষানবিস বলেছেন: পুলিশের পাহারা আর সহযোগিতা না থাকলে এই সকল বীর তরুনেরা কোথায় থাকিত তাহা একটু চিন্তা করিয়া দেখিবেন। আর পুলিশি বাধা না থাকিলে শিবির এর থেকে দশগুণ বড় শাহবাগ কান্ড ঘটাইতে পারিত। ইহা এই পাবলিক ভালভাবেই জানে। শাহবাগ নিয়া সরকার ও মিডিয়া ভণ্ডামী করিতেছে।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

কাফের বলেছেন: আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করাই হচ্ছে ওদের শেষ কৌশল

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১১

শিক্ষানবিস বলেছেন: পুলিশ প্রোটেকশনে থাকিয়া এই রকম আস্ফালন সকল বীরপুরুষেরা প্রদর্শন করিতে পারে। পুলিশ পাহারা উঠাইয়া নেওয়া হইলে পাবলিক নিজ দায়িত্বে পাথর কুড়াইবে তখন এই পতিতার বাচ্চারা কিভাবে হারমানিয়াম আর ধুতি রাখিয়া পালাইয়া যায় তাহা বাংলার জনগণ উপভোগ করিবেন। পচাত্তর থেকে ছিয়ানব্বই এ সময়ে পাবলিক প্রতিশোধ না নিয়া ভুল করিয়াছে।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: রাজাকারের ফাঁসি চাই.....

ছাগু মুক্ত সামু চাই......

জয় বাংলা!!!!!! জয় বাংলা!!!!!!!

("যখন কেউ বলবে, আমিও রাজাকারের ফাসি চাই তবে...... তখন বুঝবেন সে /:) ছাগু ;) ; আর সাথে সাথে রিপোর্ট করুন")

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: শিক্ষানবিস আয় না একবার শাহাবাগে...... সবাই কে নিজের মত ভাবিস....ছাগু কোথাকার.......

এখন একটা হরতাল দেনা দেখ কি হয়......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.