নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল ডেকে, মাঠে ছিল কি বিএনপি?

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

হরতাল ডেকে ....



০ কয়েক জায়গায় জামায়াত-বিএনপির কিছু কর্মী ককটেল ফাটায়

০ বেগম জিয়া সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর দলের নেতারাও রাস্তায় নামেননি

0 কয়েক নারী নেত্রী রিক্সাযোগে কেন্দ্রীয় অফিসে আসেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচ্ছিন্নভাবে যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে বিএনপি। হরতাল ডেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও এতে সাড়া দেয়নি। তবে কোথাও কোথাও ঝটিকা মিছিল বের করে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে র‌্যাব-পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছে পিকেটাররা। হরতাল চলাকালে দেশের কোথাও বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতালকারীরা কিছু গাড়ি ভাংচুর ও গাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। হরতালে সহিংসতায় জড়িত থাকায় সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে হরতাল সফল হয়েছে দাবি করে বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে বিকেল ৪টায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে এখনই আবার হরতাল দেয়া ঠিক হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী ঠিক করে রিজভীকে জানিয়ে দেন মির্জা ফখরুল।

জামায়াতের টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের পর বিএনপি দেশে গণহত্যা চলছে বলে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। ১ মার্চ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এ হরতাল ঘোষণা করে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষকে এ কর্মসূচী পালনে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। তবে খালেদা জিয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে সর্বস্তরের মানুষ দূরে থাক দলের নেতারাই মাঠে নামেনি।

হরতালের শুরুতেই রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল বের করে ৩টি বাসে আগুন দেয় পিকেটাররা। সকাল ৭টার দিকে কাওরান বাজার, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে গাড়িতে আগুন দেয় পিকেটাররা। এ সময় তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। একই সময় মিরপুরে সরকারী বাঙলা কলেজের সামনে এবং গুলশান, সবুজবাগ ও মুগদাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ করে হরতালকারীরা।

বিএনপির ডাকা মঙ্গলবারের হরতালে মাঠে ছিলেন না দলের নেতাকর্মীরা। অন্য হরতালের চেয়ে মঙ্গলবারের হরতালে তৎপরতা বেশি থাকার কথা থাকলেও রাজধানীর কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীদের তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। অন্যদিকে সরকারী দল আওয়ামী লীগ হরতাল ঠেকাতে মাঠে সক্রিয় ছিল। রাজপথে হরতালবিরোধী মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো।

বিএনপি আহূত দিনব্যাপী হরতালের প্রভাব খুব একটা পড়েনি বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে। এখানে হরতাল সমর্থকদের পিকেটিং ও তৎপরতা একেবারেই ছিল না। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও ব্যাংকপাড়ার সিবিএ সংগঠনগুলো মতিঝিলের বিভিন্ন পয়েন্টে হরতালবিরোধী মিছিল করেছে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতোই ব্যাংকপাড়ার সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন অফিস ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকা- স্বাভাবিক চলেছে। কর্মস্থলে উপস্থিতির হারও সন্তোষজনক। দৈনন্দিন কর্মকা- ও লেনদেনের জন্য গ্রাহকদের উপস্থিতিও একেবারে মন্দ ছিল না। তবে নারী গ্রাহকদের কিছুটা কম পরিলক্ষিত হয়েছে।

প্রেসক্লাবের সম্মুখে হরতাল চলাকালে পুরানা পল্টন থেকে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তাটিই ছিল হরতালবিরোধী সমর্থক ও পিকেটারদের দখলে। প্রেসক্লাবের প্রধান গেটের সম্মুখে সকাল ১০টা থেকে যুব সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক হরতাল, মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংস, সাংবাদিক নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বাড়িঘর ভাংচুর এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর লক্ষ্যে আহূত হরতালের সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে পাড়ায়-মহল্লায় ব্রিগেড তৈরি করে শিবিরের তালিকা প্রস্তুতের আহ্বান জানানো হয়।

হরতালে সুপ্রীমকোর্টের বিচারিক কার্যক্রম ও দাফতরিক কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক। সুপ্রীমকোর্টের বিভিন্ন প্রশাসনিক শাখায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও ছিল অন্য দিনের মতোই। এদিকে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল করেছে আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে বিচারপতিরা এজলাসে আসেন এবং কাদের মোল্লার আপীল শুনানিসহ কয়েকটি মামলার শুনানি করেন। হরতালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক নেতৃত্বাধীন বেঞ্চসহ অধিকাংশ বেঞ্চেই বিচারিক কার্যক্রম চলেছে।

দুপুরে হরতালের বিপক্ষে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের একাংশের নেতা ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী আব্দুল বাসেত মজুমদার ও সম্পাদক প্রর্থী মোঃ রবিউল আলম বুদুর নেতৃত্বে সরকার সমর্থক ৫০ থেকে ৬০ জন আইনজীবীর অংশগ্রহণে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনসহ সব ভবন প্রদক্ষিণ করে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির উত্তর হলের সামনে এসে শেষ হয়। অপরদিকে, দুপুরে হরতাল সমর্থনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও জাতীয়তাবাদী ফোরামের সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত পন্থী ১০ থেকে ১৫ জন আইনজীবী একটি মিছিল বের করে। পরে মিছিল শেষে সুপ্রীমকোর্টে দক্ষিণ হলে তাঁরা একটি সভা করেন।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে শহীদ মিনারের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে তিন যুবক টিএসসি ও ডাসের মাঝখানের রাস্তায় পর পর ৪টি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় অদূরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে ওই যুবকরা মোটরসাইকেলযোগে হাওয়া হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মূলত পুলিশকে লক্ষ্য করে এই বোমাগুলো বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। এতে দুই পুলিশ আহত হয়। শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে শহীদ মিনারের দিক দিয়ে এসে টিএসসি ও ডাসের মাঝখানের রাস্তায় ৪টি হাতবোমা ফাটায়। এর ঘণ্টাখানেক পর ঢাবির বকশিবাজার এলাকায় ছাত্রদলের হরতাল সর্মথনে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশের বাধার মুখে হরতালকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ছাত্রদলের দুই কর্মী আসিফ ও রবিনকে আটক করে পুলিশ। তারা জহিরুল হক হলে থাকেন। সুত্র:

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

মদন বলেছেন: Basically No Party (BNP)

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

আহলান বলেছেন: হরতাল মানেই পিকেটিং নয় ... এটা একটি প্রতিবাদ ... ধ্বংসাত্মক কিছু করা নয়

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হরতাল টা পুরাই ছিল জামাতিদের জন্য।
পিকেটার জামাতি।
খরচ জামাতি।
ককটেল জামাতি

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

পলাতক আসামী বলেছেন: (মাইরালারে মাইরালা, তোরা কেউ আমারে মাইরালা!! =p~ =p~ =p~

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৮

মদন বলেছেন: এডি দেখতারেন Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.