নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

'পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না' কি বলেন আপনারা?

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

পাকিস্তান



বাংলাদেশ



পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না' দর্শনে যারা বিশ্বাস করেন তারা খুব সূক্ষ্ম কৌশলে রক্তের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লালন করেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে কেনা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এমন দ্বিজাতি তত্ত্বভিত্তিক দর্শন বুকের গভীরে কিছুতেই ঠাঁই দিতে পারি না। জিন্নাহ সাহেব কখনো পূর্ব বাংলার কাঁদামাটিতে পা রেখে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাননি। তার কোনো ভাষণ বাঙালি জনসাধারণকে প্রভাবিত করেনি। মুসলিম লীগের অন্যতম যাত্রী বাঙালি নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। তিনি ছিলেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত অসাম্প্রদায়িক। তিনি যখন মুসলিম লীগের কর্ণধার তখন জিন্নাহ কংগ্রেসের বিখ্যাত নেতা। কংগ্রেস নেত্রী, কবি সারাজিনী নাইডু জিন্নাহভক্ত ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার পর তার একটি কথা বেসুরো মনে হওয়ায় জিন্নাহ কংগ্রেস ত্যাগ করেন। জিন্নাহ বহুদিন পর্যন্ত মহাত্মাজীকে দোষারোপ করেছেন এই বলে না, তিনি রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশ্রিত করে থাকেন। পরবর্তীকালে জিন্নাহ স্বয়ং রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশ্রিত করে পুরো উপমহাদেশের রাজনীতিকে সাম্প্রদায়িকতায় রূপ দিয়েছেন। ভারত ভাগ জিন্নাহরই জয় ঘোষণা করে। জিন্নার জয় অর্থ সাম্প্রদায়িক দর্শন দ্বিজাতিতত্ত্বের জয়। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, প-িত হুমায়ুন কবীর, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, বিপ্লবী কবি গোলাম কুদ্দুস, মনীষী এস, ওয়াজেদ আলী প্রমুখরা দ্বিজাতিতত্ত্বভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না। মওলানা আবুল কালাম আজাদ বরাবরই ভারতকে একটি ইউনাইটেড ফেডারেল রাষ্ট্ররূপে দেখতে চেয়েছেন। মহাত্মাজী ছিলেন সংবেদনশীল সহজ মনের মানুষ। জিন্নাহ ছিলেন কূট মনের মানুষ। ১৯৪৬ সালে ১৬ আগস্ট ডাইরেক্ট একশনডে ঘোষণা করে জিন্নাহ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন যে, মহাত্মাজী ভয়ে জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কাছেই হার মেনে গেলেন। দেশ রক্তগঙ্গার ভেতর দিয়ে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মাথায় নিয়ে ভাগ হলো। উভয় দেশের সংখ্যালঘুরা পড়ল চরম বিপাকে, তারা হলো সাম্প্রদায়িক হৃদয়হীনদের বলির পাঁঠা। আমাদের একজন মহান পূর্ব পুরুষ, বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিম তার আত্মজীবনীতে বলেছেন, '১৯৩৭ খ্রি: কলকাতায় এম এ ইস্পাহানির বাসভবনে আমি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে দেখা করি।... জিন্নাহ বললেন, এসো আমরা নিজেদের এমনভাবে সংগঠিত করি, যেন বাংলা ও পাঞ্জাবের সুযোগসন্ধানীদের ওপর ২৪ ঘণ্টার নোটিশ জারি করতে পারি। আমার ধারণা হলো সুযোগসন্ধানী বলতে তিনি খাজা নাজিমুদ্দিন ও স্যার সেকেন্দার হায়াৎ খানকে বুঝিয়েছেন। আমি এ ধারণার বশবর্তী হয়ে তার নিকট থেকে বিদায় নিলাম যে, জিন্নাহ মুসলিম লীগকে একটি পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে গঠন করতে ইচ্ছুক এবং জিন্নাহর সে কথায় বিশ্বাস করে আমি মুসলিম লীগে যোগদান করলাম। কিন্তু আমি প্রতারিত হয়েছিলাম।' আমার জীবন ও বিভাগ পূর্ববাংলার রাজনীতি_ পৃ: ২৭, ২৮)। আরো এক জায়গায় তিনি বলেছেন, 'জিন্নাহ দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রচার করেছিলেন এবং এ তত্ত্বকে তিনি তার রাজনীতির ধুয়ো হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আমি জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলাম না এবং বাংলায় সেটা আমি প্রচারও করিনি।' ওই-পৃ: ৩৪)। এ কথা মনে রাখতে হবে যে বাঙালি নেতা শেরে বাংলা ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বক্তৃতায় জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের বিরোধিতা করেন। ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি কেশব চন্দ্র সেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে এক স্মরণ সভায় বলেন, 'কেশব চন্দ্রের জীবন থেকে ভারতবাসী এ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে যে, একতা ও ভালোবাসার দ্বারাই দেশ ও সম্প্রদায়ের সেবা করা সম্ভব। ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে বিরোধের মধ্যে দিয়ে নয় সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে।' (ড. অমলেন্দু দে_ পাকিস্তান প্রস্তাব ও ফজলুল হক, দ্বিজাতিতত্ত্বের বিরোধিতা, (পৃ: ৯৪)। শেরে বাংলা অভিযোগ করে বলেছিলেন, 'মুসলিম লীগের নেতৃত্ব এক স্বার্থপর স্বৈরতান্ত্রিক গ্রুপের করায়ত্ত। অবাধে মত প্রকাশের কোনো অধিকার এ নেতৃত্ব স্বীকার করেন না। সমস্ত ক্ষমতাই একজন মাত্র ব্যক্তির অর্থাৎ জিন্নার করায়ত্ত।' (ওই-পৃ: ৯৫)। বিশিষ্ট গবেষক ড. অমলেন্দু দে জানাচ্ছেন, 'ভারতের মুসলমানদের ওপর প্রভাব আছে এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কয়েকটি দলকে মুসলিম লীগে স্থান দেয়া হয়নি। তাদের মধ্যে অন্যতম, হলো 'জমিয়াত উলেমা-ই-হিন্দু, 'মোমিন', 'অহরর', 'খুদা-ই- খিদমতগার, 'খাকসার' এবং সিন্ধু ও অন্যান্য প্রদেশের অমুসলিম লিগ মুসলমানরা। ফজলুল হক বলেন, জামিয়াতে উলেমা-ই-হিন্দু মুসলিম ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অগাধ পা-িত্যের অধিকারী, ভারতের মুসলমানদের একটি বড় অংশ মোমিন দলভুক্ত, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের খুদা-ই-খিদমতগার, পাঞ্জাবের অহরর ও খাকসারদের যথেষ্ট প্রভাব আছে। এসব দলের প্রভাব অস্বীকার করায় ফজলুল হক লীগের সমালোচনা করেন। খুবই লজ্জার কথা এই যে, মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ অন্যায়ভাবে লীগের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার জন্য গু-া ও অসামাজিক ব্যক্তিদের ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করেন না।' (ওই-পৃ. ৯৫)। জিন্নাহপন্থী মুসলিম লীগের এক অভিযোগের উত্তরে শেরেবাংলা বলেছেন, 'যারা ইসলামের মূল নীতি অনুসরণ করে অন্য সম্প্রদায়ের অধিবাসীদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে চান আমি সেসব মুসলমানের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত। একজন প্রকৃত মুসলমানকে তার প্রতিবেশীর প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন হতেই হবে।...হিন্দু ও মুসলমানদের উপলব্ধি করতে হবে যে, তাদের একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে হবে। প্রয়োজন হলে একই মাতৃভূমির মঙ্গলের জন্য একসঙ্গে প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে। যারা মুসলমানদের বোঝাচ্ছেন যে, মুসলিম সমাজের মুক্তি অর্জিত হবে বিভেদে এবং অনেকেই ঐক্যে নয়, তাদের চালাকি সাধারণ মুসলমান বুঝতে পেরেছেন।' (ওই-পৃ. ৯৮)। জিন্নাহ, লিয়াকত আলী ও খাজা নাজিমুদ্দীনের কথায় অন্তত বাংলার মুসলমানরা পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয়নি। তারা ভোট দিয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবুল হাশিমের কথায়। এই দুই নেতা ভারত ভাগের আগে যুক্তবাংলার পক্ষে রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তারা প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন পরিবেশ অসাম্প্রদায়িক রাখতে এবং বাংলাকে অখ- রাখতে। যুক্ত বাংলার উৎসাহী সমর্থক ছিলেন ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলতেন যুক্তবাংলা কায়েম হলে বাঙালি পৃথিবীতে শক্তিশালী জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। তিনি কবিত্ব করে বলতেন: 'বাংলা কবির দেশ কবিতার দেশ, বাংলা বিপ্লবীর দেশ বিপ্লবের দেশ, বাংলা ভাবুকের দেশ ভাবনার দেশ, বাংলা শিল্পীর দেশ শিল্পের দেশ, বাংলা সোনার দেশ রূপার দেশ, বাংলা ঐতিহ্যের দেশ ইতিহাসের দেশ।' যুক্তবাংলার পক্ষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিম যেসব সারগর্ভ বক্তৃতা দিয়েছেন তার মধ্যে দ্বিজাতিতত্ত্ব পরিপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ দর্শন নিহিত আছে। ১৯৪৫ সালে পাকিস্তান আন্দোলন সমর্থন করেও আবুল হাশিম যে দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছেন সেখানেও বলেছেন, 'পাকিস্তানের মূল সূত্র হচ্ছে প্রকৃত গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও সমতা এবং সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য ও অর্থনৈতিক শোষণ, যা কংগ্রেসের মূল ভিত্তি, তার বিরোধিতা। ...পাকিস্তান বলতে হিন্দু ও মুসলমান সবার স্বাধীনতা বোঝায় এবং ভারতীয় মুসলমানরা প্রয়োজন হলে রক্তস্নানের মাধ্যমে তা অর্জন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।...এটা বললে মিথ্যা ও দূরভিসন্ধিমূলক হবে যে, পাকিস্তান বলতে মুসলমানদের আধিপত্য এবং অন্যান্যদের শোষণ করার সুযোগ-সুবিধা বোঝায়।' (আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি-পৃ. ১৯৯)। এ কথা শুধু আবুল হাশিমের ছিল না, ছিল বাঙালি মুসলমান নেতাদের কথাও। কিন্তু এমন নির্দোষ দৃষ্টিভঙ্গি জিন্নাহ ও খাজাগোষ্ঠীর ছিল না, নবাব নাইটদের ছিল না। তারাই ক্ষমতা কুক্ষিগত করে পাকিস্তানকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে রূপ দেন। অখ- বাংলার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, 'আমি বরাবরই বাংলার ভবিষ্যৎ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কল্পনা করে এসেছি, কোনোরূপ ভারতীয় রাষ্ট্রসংঘের অংশ হিসেবে নয়। অনুরূপ কোনো রাষ্ট্র একবার সংস্থাপিত হলে তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার ওপরই। আমি কখনই ভুলতে পারব না ভারত সরকারের কত দীর্ঘদিন লেগেছিল ১৯৪৩ সালের বাংলার মন্বন্তরের গুরুত্ব অনুধাবন করতে। ...বাংলা যদি মহান হতে চায়, তবে সে শুধু নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই তা হতে পারে। তাকে নিজেই সম্পদের অধিকারী ও নিজের ভাগ্যের নিয়ন্তা হতে হবে।' (সিরাজ উদদীন আহমেদ_ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, পৃ. ১৩১)। যুক্তবাংলা চাওয়ার কারণে শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকি শাসকগোষ্ঠীর চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। যখন দেশ ভাগ হয় তখন শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দীর মতো নেতারা বাংলার প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। বাংলার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন অযোগ্য, অখ্যাত লোকেরা। এটা ছিল জিন্নাহর চালাকি। পাকিস্তান নামক কৃত্রিম রাষ্ট্রটি বাঙালি নেতা ও বাঙালি জনগোষ্ঠীকে দেশের জনগণ হিসেবে গ্রহণ করেনি, শত্রু হিসেবে গ্রহণ করেছিল। ১৯৪৭ সালেই শেরেবাংলা সাবধানবাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন, 'নাজিমুদ্দীনকে আমি সাবধান করে দিয়ে বলতে চাই, জনগণকে যেন হিন্দু-মুসলমানে বিভক্ত না করা হয়। তাহলে প্রশাসন অচল হয়ে যাবে। পাকিস্তান তার নিজের পায়ে কুঠার মারবে।' (ড. অমলেন্দু দে_ পাকিস্তান প্রস্তাব ও ফজলুল হক)। শেরেবাংলার কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। চলি্লশের দশকেই মনীষী ড. আম্বেদকর একটি বই লিখে জিন্নাহকে দেখিয়েছিলেন পাকিস্তান প্রস্তাবের গলদ কোথায়। জিন্নাহ তার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন, কিন্তু তা মনে রাখেননি জিন্নাহ। দেশ ভাগের পরে উভয় দেশের সংখ্যালঘুদের সুষ্ঠু সমাধান কীভাবে হবে এ প্রশ্ন করেছিলেন মওলানা আবুল কালাম আজাদ, জিন্নাহ তার কোনো উত্তর দেননি। বাঙালি মুসলমান-মনীষী-গদ্য লেখকরা পাকিস্তানকে বলেছেন, 'ফাঁকিস্তান', ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টের আগেই। এ আন্দোলনে পৌরহিত্য করেছিলেন জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। মনীষী গদ্য লেখকরাই সর্বপ্রথম বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তি প্রোথিত করেন, পাকিস্তান প্রত্যাখ্যান করেন। বঙ্গবন্ধু পরিষ্কার বলেছেন, ''নেতাদের যুক্তবাংলার আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর অগত্যায় আমরা পাকিস্তান মেনে নেই। এরপরই শুরু হয় 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই' আন্দোলন। আমিও এ আন্দোলনে একাত্ম হই। ভাষাভিত্তিক আন্দোলনকে আমি একটু একটু করে দেশভিত্তিক আন্দোলনে রূপ দেই।'' অতএব এ কথা বলার এক ইঞ্চি অবকাশও নেই যে, 'পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না।' তাহলে এ কথাও মানতে হবে, ইংরেজ ভারত দখল না করলে পাকিস্তান হতো না। লর্ড ক্লাইভ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তা ঠিকই বলেছেন।

বাপ ছাড়া সন্তানের স্বীকৃতি আমাদের উপমহাদেশে দেয়না বলেতো আর সারা পৃথিবীতে নেই তেমন নয়!!!!!


বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা যারা করেছিল- যারা মুসলমানদের জাগরন কোন কালেই দেখতে পারেনি, যারা ছলে বলে কৌশলে সিকিম, হায়দ্রাবাদ, কাশ্মীর কে গিলে খেয়েছে, খেতে চাইছে- তারাই বা তাদের পোষ্যরাই এরকম বিশ্বাস করবে বটে।
আজ ৬৬ বছর ধরে কাশ্মীর রক্তাক্ত!!!!!

বৃহত্তর ভারতের অধীনতায় যারা বিশ্বাস করে অসাম্প্রদায়ীকতা লুকানো, তারা হয় জেগে ঘুমায়, নয় স্রেফ মূর্খ।

রাম রাজত্বের প্রকাশ্য ঘোষনায় যারা বে-খবর তারা স্ব-ধর্ম ত্যাগে বা গুরুত্বহীন করাতেই অ-সাম্প্রদায়ীকতা খুজে পায়!!!!!
তাদের কারণেই স্বাধীনতার পর-এই দেশের আম বিশ্বাসের শ্রদ্ধার প্রতীক দাড়ি-টুপিকে করা হয়েছে রাজাকারীর চিহ্ন; সাম্প্রদায়িকতার বলির পাঠা বানানো হয়েছে ইসলামের সকল কৃস্টি কালচারকে!!!
অথচ তারাই পূজা, মঙ্গল প্রদীপ, সহ ভুত-প্রেত অর্চনার রেলি নিয়ে বর্ষবরণে অসাম্প্রদায়ীকতা খুজে পায়!!!!

এই বাস্তব ধারবাহিকতার বাইরে ভারতের অংশ হিসেবে যদি পূর্ববঙ্গ থাকত- দয়া করে বলবেন কি কিভাবে আপনি স্বাধীনতা অর্জন করতেন?

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

সুমনদেশ বলেছেন: পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না- এটা ১০০% সত্য।

যদি পূর্ব পাকিস্তান না হতো তবে বর্তমান বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বা আসাম বা মনিপুর বা নাগাল্যাণ্ড- এর মত একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতো। আর তখন বাংলাদেশ নামের একটি দেশ কখনোই সৃষ্টি হতো না ভারতের সাম্রাজ্যবাদী থাবার কবল থেকে। এটাই বাস্তবতা। এটা যারা অস্বীকার করে তারা ভারতের পদলেহী প্রাণী বিশেষ।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

মোঃ মামুনুর রশীদ বলেছেন: পাকিস্তানের পতাকাটা উপরে না দিয়ে নিচে দিলে ভাল হত! আর পাকিস্তানের এমন এক পতাকা দিয়েছেন জাতে লাল বর্ণের বিকিনি এনে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা করা হল! আপনি হয়তো ইচ্ছেকৃতভাবে করেননি বাট আমার চোখে লাগল তাই জানালাম। আপনার পুরো লেখা না পড়ার জন্য দুঃখিত!

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

সাদা রং- বলেছেন: ফাকিস্তান।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১১

রাতুল রেজা বলেছেন: মুসলীম দেশ হিসেবে তখন ভারত ভাগ হয়েছিল। যদি এটা না হত তাহলে বাংলাদেশ হত না। কারন তখন হয়ত বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গ রাজ্য হয়ে যেত। (এখনো কতটা বাংলাদেশ হয়ে আসে সেই বিষয়েই সন্দিহান, যে হারে বি এস এফ কুকুর গুলা বাংলাদেশি মারে)

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

ধীবর বলেছেন: লেখক, পোস্ট দিয়ে মন্তব্যের জবাব না দেয়াটা অভদ্রতা। তবে হ্যা, অন্য কারো লেখা চুরি করে এখানে পোস্ট দিলে লজ্জায় আড়ালে থাকলে অবশ্য অন্য কথা।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: apni nirlojjer moto post disen.
bongovonger biruddhe kara silo ta amra jani.r gandhi kamon manush silo tao amra jani,apnar kotha barta bhul othoba apni isSe korei bhul bolsen.

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: জানা থাকলে জানান।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১০

একাকী বালক বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু, পূর্ব বাঙলা, পশ্চিম বাংলা নিয়ে আলাদা একটা রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতেন আমাদের মহান পূর্বপুরুষ আবুল হাশিম এবং সোহরাওয়ার্দী। লাহোর প্রস্তাবে থাকা "S" বাদ দিয়ে শুধু স্টেট করে ফেলছিল জি্ন্নাহ। বাংলাদেশ স্বাধীন এবং আরও বড় দেশ হিসাবে ১৯৪৭ এই হতে পারত যদি কিছু লোক দুরদর্শী হত।


"অখ- বাংলার পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, 'আমি বরাবরই বাংলার ভবিষ্যৎ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কল্পনা করে এসেছি, কোনোরূপ ভারতীয় রাষ্ট্রসংঘের অংশ হিসেবে নয়। "

৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

মাহিরাহি বলেছেন: অশ্লীল ছবিটা সরান।

রুচীর ব্যাপার!

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

তালপাতারসেপাই বলেছেন: অশ্লীল কামটা বন্ধ করতে বলেন।রুচীর ব্যাপার?

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সর্দার বলেছেন: একটি লাইক, একজনের প্রিয়তে .......................... .... আজব :( :( :(

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

তালপাতারসেপাই বলেছেন: কেন ভাই ডাকাত সরদার

১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: একাকী বালক @ পশ্চিম বাংলা ভারতের সাথে বৃহত্তর হিন্দু রাষ্ট্রে স্বপ্ন দেখত । তাদের কাউন্সিলররা ভারতের পক্ষে ভোট দিয়েছিল । অখন্ড বাঙলা সম্ভব ছিল না ।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: লেখক @

১। আপনি দ্বিজাতি তত্ত্বের বিরোধী ?

২। অখন্ড ভারতে বিশ্বাসী ?

৩। বাংলাদেশের সকল ( ৪৪ জন ) কাউন্সিলর + সিলেটের কাউন্সিলর বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেন । কিন্তু, পশ্চিম বাংলা ভারতের সাথে বৃহত্তর হিন্দু রাষ্ট্রে স্বপ্ন দেখত । তাদের কাউন্সিলররা ভারতের পক্ষে ভোট দিয়েছিল । অখন্ড বাঙলা সম্ভব ছিল না । তাহলে কি আমরা ভারতে যোগ দিলে ভাল করতাম ?

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

তালপাতারসেপাই বলেছেন: আমি আল্লাহ ও স্বাধীন বাংলাদেশে বিশাস করি। কোনো নামে এর বিরুদ্ধচারন আমার পছন্দ নয়।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: "পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না" কথাটা শুনলে প্রাথমিকভাবে মনে হবে "তাহলেত পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ"। কিন্তু ফাকিস্তানতো আমাদের এমনি এমনি স্বাধীনতা দেয়নি। ফাকিস্তানের অন্যায় শোষণ, অত্যাচার ও আক্রমণের প্ররিপেক্ষিতে এবং ভারতের ব্যাপক সহায়তায় আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হই।

এবার আশা যাক ভারত প্রসঙ্গে, আমরা যদি ১৯৪৭-এ ফাকিস্তানের সাথে না যেয়ে ভারতের সাথে যেতাম তবে আমরা কি ভারতের মত একটা বৃহৎ শক্তি থেকে স্বাধীন হতে পারতাম? কে আমাদের স্বাধীন হতে সহায়তা করতো? আসাম, নাগাল্যাণ্ড, মিজরাম, কাশ্মীর, সিকিম কি পারছে স্বাধীন হতে? এখন যদি বলা হয় যে ভারতের সাথে থাকতে পারলে খারাপ কি ছিল? তাহলে কিছু বলার নাই। কারন সেটি বিস্তর তর্কবিতর্কের ব্যাপার। সর্বোপরি যেহেতু তা ঘটেনি তাই বলা কঠিন যে ভাল হত না মন্দ হত।

আর বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা নিয়ে যে বৃহৎ বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন ছিল তাতে গান্ধী, নেগেরু, জিন্নাহ কেউ সমর্থন দিতনা। হলে হয়তো ভালই হত।

তাই উপসংহারে বলা যায়- ৪৭- ফাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয় স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় "সাপে বর" হিসেবে কাজ করেছে।

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

একাকী বালক বলেছেন: মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: একাকী বালক @ পশ্চিম বাংলা ভারতের সাথে বৃহত্তর হিন্দু রাষ্ট্রে স্বপ্ন দেখত । তাদের কাউন্সিলররা ভারতের পক্ষে ভোট দিয়েছিল । অখন্ড বাঙলা সম্ভব ছিল না ।

>>> হু। কইছিই তো " বাংলাদেশ স্বাধীন এবং আরও বড় দেশ হিসাবে ১৯৪৭ এই হতে পারত যদি কিছু লোক দুরদর্শী হত। "

১৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

একাকী বালক বলেছেন: বিষণ্ণ বালক বলেছেন: "আর বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা নিয়ে যে বৃহৎ বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন ছিল তাতে গান্ধী, নেগেরু, জিন্নাহ কেউ সমর্থন দিতনা। হলে হয়তো ভালই হত। "

>>> গান্ধী, নেগেরু, জিন্নাহ কে বাধ্য করে যদি চরম একটা আন্দেলন করে বাংলাদেশ গড়া যাইত তো ভাল হইত। শেষের দিকে বিশ্বাসও উঠে গেছিল। আর দাঙ্গা লাগায় কঠিন অবস্থা হইছিল।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

বাকাট্টা বলেছেন: মাওলানা আযাদ হইল দালাল মার্কা লোক। ভারতের মুসলমানগণ চরম অনগ্রসর;

আযাদ ভারতের গোলাম মুসলমানhttp://www.somewhereinblog.net/blog/faridsworld07/29755978

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ না হলে মুসলমানদের অবস্থা হিন্দুদের তথাকথিত নিম্ন বর্ণ শূদ্রদের চেয়েও নীচে হত। এক রাষ্ট্র পাকিস্তান টেকেনি সেটা পশ্চিম পাকিস্তানী অবাঙালী শাসকদের প্রতারণা ও বৈষম্যের কারণে। কিন্তু তার মানে ৪৭এর ভারত ভাঙা মোটেও ভুল নয়।

১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: Tai ki porchim banglar lokera ekon amader sathe ek hobar jonno epar bangla. opar bangla slogan dei????

Amar boddo hasi pay jokhon tara 2 bangla ek hobar shopno dekhe!!!

Kothay ekta sadhin desh. r kothay ekta ongo rajjo???

R india te Bangla vasar place kothay???? Ochocho eai bangla sahitter jonnei tara prothom nobel peache!!!!

R amra jodi indiar ongo rajjo hoye thaktam amader o er theke kharap obostha hoto. Thik e bolechen eta amader sape bor hoyeche.

১৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: Tai ki porchim banglar lokera ekon amader sathe ek hobar jonno epar bangla. opar bangla slogan dei????

Amar boddo hasi pay jokhon tara 2 bangla ek hobar shopno dekhe!!!

Kothay ekta sadhin desh. r kothay ekta ongo rajjo???

R india te Bangla vasar place kothay???? Ochocho eai bangla sahitter jonnei tara prothom nobel peache!!!!

R amra jodi indiar ongo rajjo hoye thaktam amader o er theke kharap obostha hoto. Thik e bolechen eta amader sape bor hoyeche.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.