নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রদল নেতাদের বিলাসী জীবন

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

ছাত্রদল নেতাদের দাবি, তাঁদের সেই সুদিন আর নেই। চলাফেরায় তাঁদের কেউ কেউ একটা 'গরিবি' ভাবও ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু খোঁজ নিলে দেখা যাবে বাস্তবে তাঁরা ঠিক ততটা গরিব নন, যতটা তাঁরা বোঝাতে চান। আসল দুর্দিন হচ্ছে মূল দল বিএনপির ক্ষমতায় না থাকাটা। এটুকু 'দারিদ্র্য' ছাড়া তাঁদের জীবনে সত্যিকারের অভাব বলতে কিছু নেই। তাঁরা থাকেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে। চড়েন নামি ব্র্যান্ডের দামি গাড়িতে। আর এগুলোর বেশির ভাগ তাঁরা আয়ত্ত করেছেন বিগত চারদলীয় জোট সরকার কিংবা তার আগের আমলে ক্ষমতার দাপটে- তদবির, টেন্ডার ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে যাঁরাই এর নেতৃত্বে ছিলেন তাঁদের অনেককে নিয়েই রয়েছে নানা কথা। রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন অনেকেই। জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ ছাত্রদল নেতাদের দাপট ছিল অপরিসীম। ওই আমলে ছাত্রদলের নেতাদের কেউ কেউ প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। সেই সময়ের ছাত্রদল নেতাদের অনেকেরই ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। তাঁদের অনেকেই কোনো ব্যবসাপাতি নেই বলে দাবি করেন। বলে থাকেন, সাংগঠনিক কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। কিন্তু কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে এই 'বেকার' ছাত্রদল নেতাদের বহুবিধ ব্যবসা-বাণিজ্যের খবর জানা গেছে। পাওয়া গেছে তাঁদের নামে থাকা একাধিক প্লট ও দোকানের সন্ধান। কেউ কেউ এখন বিদেশে বসবাস করছেন। একেবারে সাধারণ অবস্থা থেকে ছাত্রদলের নেতৃত্ব পাওয়ার সুবাদে রাতারাতি বিত্তশালী হয়ে উঠা ছাত্রনেতাদের নিয়ে দলের ভেতরেই রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

এ প্রসঙ্গে ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী ও বর্তমানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ছাত্রদল নেতাদের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে যে অভিযোগ করা হয়, তা সত্যি কি না সে সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। তবে এটা সত্যি, আমাদের সময় ছাত্রদলের যে নীতি আদর্শ ছিল, তা থেকে এখনকার নেতারা অনেকাংশে সরে এসেছেন। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।' তিনি আরো বলেন, 'রাষ্ট্রের সব জায়গায় পচন ধরেছে। এমন সব মানুষ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত যা আমরা কখনোই ভাবিনি। সমাজের অংশ হিসেবে ছাত্ররাজনীতিও আলাদা নয়।'

১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্বে থাকা এবং বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, 'সমাজের সর্বত্র অবক্ষয়। এই অবক্ষয় থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি সম্পূর্ণ বাইরে থাকবে_এটাই আমাদের স্বপ্ন ও বিশ্বাস। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয়।'

১৯৮৭ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছিলেন আমান উল্লাহ আমান। জোট সরকার আমলে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে যাঁরা বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁর নামে-বেনামে প্রায় অর্ধশত প্লট, ফ্ল্যাট ও দোকান রয়েছে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

১৯৯০ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৯১ সালের জুন পর্যন্ত ছাত্রদলের শীর্ষনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আমান উল্লাহ আমান ও সানাউল হক নীরু। বর্তমানে নীরু বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত। ছাত্রদলে থাকা অবস্থায়ই নীরুর বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল। তিনি এখন ব্যবসা করেন।

বিভিন্ন সময় ছাত্রদলের নেতৃত্বে থাকা ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি পরবর্তী সময়ে মূল দলের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ছাত্রদলের নেতা থাকাকালে তাঁদের বিরুদ্ধেও তদবিরসহ বিভিন্ন অনিয়মে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ শুনা যায়।

নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ছাত্রদলের সভাপতি থাকাকালে তাঁর নামে কোটি কোটি টাকার টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল। ওই সময় পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা পিন্টু-আতঙ্কে ভোগতেন। পিন্টু বর্তমানে জেলে আছেন। ওই সময়ের ছাত্রনেতাদের মধ্যে সাহাবুদ্দিন লাল্টুর বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি কানাডা প্রবাসী। ঢাকায় একটি সিএনজি স্টেশন রয়েছে তাঁর। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বেয়াই হওয়ার সুবাদে লাল্টু ছাত্রনেতা থাকাকালেই বিরাট ব্যবসায়ী বনে যান।

ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকেই ব্যবসা করছেন। এ প্রসঙ্গে বাবু কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকি। কিছু ব্যবসা না করলে চলব কী করে? বাড়িভাড়া দেব কিভাবে?

সূত্র জানায়, ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ছাত্ররাজনীতির সুবাদে প্রচুর বিত্তের মালিক হয়েছেন। জোট সরকারের আমলে ঠিকাদারি ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক বনে যান। জোট সরকারের আমলে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে দোকান পেয়েছেন রাজধানীর নিউ মার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায়। আছে আরো অনেক সম্পদ। এ প্রসঙ্গে সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অনেকেই অনেক কথা বলে। এসব আমলে নিয়ে রাজনীতি হয় না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না।'

ছাত্রদলের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া দুর্নীতিপরায়ণ অন্য ছাত্রনেতাদের কাছেই রীতিমতো আলোচনার বিষয়। তাঁত ব্যবসাকে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন বলে প্রচার করলেও নানা রকম ব্যবসা রয়েছে তাঁর। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রয়েছে একটি প্লট। মগবাজারের বিশাল সেন্টারে রয়েছে দোকান। ওই দোকানের মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা বলে জানা গেছে। মোহাম্মদপুরের প্লটে টিনশেড ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আলীম বলেন, 'মগবাজারে আমার বাসা ছিল। সেখানে আমার কোনো দোকান নেই। মোহাম্মদপুরে যে জমির কথা বলা হচ্ছে, সেটা আমার বাবার কেনা।'

ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল। আগের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারও আগের কমিটিতে (লাল্টু-হেলাল) ছিলেন সহসভাপতি। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সিনিয়র ছাত্রনেতাদের কল্যাণে নেমে পড়েন ঠিকাদারি ব্যবসায়। সঙ্গে যোগ হয় টেন্ডারবাজি। ওই সময় তিনি বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অভিযোগ যা করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। আমি এখনো মা-বাবার সঙ্গে থাকি। তাঁরাই আমাকে চালান। আমার কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স নেই।'

ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নেত্রকোনার হাবিবুর রহমান হাবিব বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগের (হেলাল-বাবু) কমিটিতে ছিলেন মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে। হাবিবের বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস পূর্তমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর প্রশ্রয়ে অর্থের বিনিময়ে ঢাকা দক্ষিণের ছাত্ররাজনীতির পদ-পদবি নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: তো এখন কি করা যায়???????
কুত্তালীগ মানবেতর (!!!!!) জীবন যাপন করছে, তাই কুত্তালীগের পোলাপান ওদের কাছ থেকে কিছু ভিক্ষা চাইয়া নিতে পারে?????????????????????

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

তালপাতারসেপাই বলেছেন: কুত্তা লীগ/দল/শিবির যাই হোক কামড়ে ব্যথা আমরা, মানে জনগনই পাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.