নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
সেদিনের ‘ছোকরা,’ এক এগারোর মার খেয়ে বড় হলো। নাম তার তারেক জিয়া। ‘বেয়াদপের হদ্দ। কথা বলার ভদ্রতা বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি ন্যূনতম সম্মানবোধ পর্যন্ত দেখাতে পারে না। বাবা তার জেনারেল জিয়াউর রহমান। মৃত্যুবরণ করেছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাঁরই সহযোদ্ধাদের হাতে। কী করুণ সে মৃত্যু? ক্ষমতার লোভ আর রাজনীতিবিবর্জিত ব্যাক্তিত্বের লালসা কত যে ঘৃণ্য- কলঙ্কিত হতে পারে তা ঐ মুক্তিযোদ্ধার জীবনযাত্রা প্রত্যক্ষ করলেই মিলে যাবে। মৃত্যুর পর বাবার সুহৃদ রাষ্ট্রপ্রধান দু‘ একজন এতিম পুত্র দ্বয়- তারেক এবং আরাফাতের (কোকো) জীবন যেন বিপথগামী না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ওদের পড়াশুনার সকল খরচ বহন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দুজনাই কিছুদিন ‘ঐ সহায়তা’ নিলেও বেশিদিন কন্টিনিউ করতে পারলেন না। দুজনাই বখে গেল, রাষ্ট্রপতির সন্তান হিসেবে তাদের দুজনার মধ্যে একজন ধুরন্ধর বেরুলো, আর একজনকে ড্রাগ এডিক্ট বানিয়ে বড়জন ‘কর্তৃত্ব প্রাপ্তি থেকে দুরে ব্যবসায় নিমগ্ন রাখার চাল চোললো। হলোও তাই। দূরে সরিয়ে রেখে তারেক নিজেকে তরুণ কর্মীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলল। যেহেতু জেনারেল জিয়ার পুত্র, খালেদা জিয়াও তার নির্ভরতা খানিকটা তার উপর ছেড়ে দিলেন, ফলে তারেক জিয়া গড়ে উঠল উচ্চাকাক্সক্ষী, তরুণ হিসেবেী ক্ষমতার দাপট, মায়ের স্নেহধন্য সন্তান এবং যথেষ্ট অর্থকরী সহায়তা তাকে ‘লাগামছাড়া’ হতে সাহায্য করল। একসময় খালেদাকেও আমান্য করতেও দ্বিধা করল না। কারণ তরুণদের মধ্যে তার নিবিড় মেলামেশা নেতৃত্বের নেশায় পেয়ে বসল তাকে। খালেদা জিয়া নিজের কর্তৃত্বের নিরাপত্তার জন্য তাকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব করে বসালেন দলীয় সিনিয়র সদস্য ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক কর্মীদের উপেক্ষা করে। এক সময় তো পরোক্ষে মাকেই চ্যালেঞ্জ করে বসল, তবে নেতৃত্বকে নয়। মায়ে- বেটায় মানসিক বিরোধ দেখা দিল দুটি কারণে। এক, অপেক্ষাকৃত কমবয়সী ধনবান নেতার প্রতি সদয়তা এবং দুই, জামায়াতের প্রতি অসম্ভব রাজনৈতিক নির্ভরতা। এই দুই কারণে উচ্ছৃঙ্খল হলেও মা তাঁর স্নেহ দিয়ে ছেলেকে বাগে আনলেন বটে কিন্তু ছেলে তাঁর নিজেরই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল। ভবিষ্যত নেতৃত্ব দখলের নেশায় বুদ হয়ে তরুণ সম্প্রদায়কে ‘পাগল’ করে তুলল তারেক। ‘হাওয়া ভবন’ বসিয়ে দুর্নীতির গোলাঘরে পরিণত করল তাকে, মা তার নাচার, কিছ্ইু বলতে পারেন না। বাড়তে বাড়তে এমন হলো দলের বয়োজেষ্ঠ সদস্য এবং নেতারাও ক্ষুব্ধ হলেন কিন্তু জিয়াপুত্র বলে কিছু বলার সাহসও করেন না। লাগাম ছিঁড়ে গেল। রাজনৈতিক নোংরামির কারণে সেনাবাহিনী অসাংবিধানিক শাসন সেনা শাসন প্রবর্তন করল। নাম হলো ১/১১। এই বিপাকে পড়ে গেল তারেক রহমান ও তার দল বিএনপি। খালেদাকে গ্রেফতার না করলেই নয়, তাই হাসিনাকে নাটকীয়ভাবে ভোররাতে গ্রেফতারের পর তাঁকেও ধরে জেলে মানে বিশেষভাবে তৈরি জেলখানায় পোরা হলো। তারেককে রিমান্ডে নিয়ে যে পেটাই হলো তাতে শিরদাড়া নাকি সোজা করে দাঁড়াবার উপায় ছিল না। লোকে শোনা কথা বলে ওকে নাকি বস্তায় বন্দী করে তারপর চতুর্দিক থেকে নানাভাবে মারপিট করা হয়েছে। সেনাশাসন উঠে নির্বাচিত সরকার এলো আওয়ামী লীগ। ওরা তাকে প্যারোল দিল লন্ডনে জিকিৎসা করার জন্য। হ্যাঁ গেলও তাই। তা বোধহয় ৫/৬ বছর হেয়ে গেছে। পারোলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল এবার ‘পলাতক কয়েদী’ হিসেবে বাস করতে লাগল। এখনও পলাতক তবে কথাবার্তায় বেয়াদপীর চূড়ান্ত। বাংলার মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের অবিসম্বাদিত নেতা- স্বাধীনতার ঘোষক এবং পাকিস্তানী কয়েদখানা থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে বলেই চলেছে একের পর এক। সরকার তাকে ধরে দেশে ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা জানি না। ইতোমধ্যে যে ভাই ড্রাগ এডিক্ট বানিয়ে ঝিম ধরিয়ে সব সুবিধে নিজে লোটার মতলবে ছিল যে তারেক সে আবার কোকোকে দেখতে মালয়েশিয়া গিয়ে অবাধ্যতার চূড়ান্ত দেখিয়েছে। তবে লোকের মুখে শোনা গেল তাদের মাও নাকি যাবেন সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অজুহাতে, সেখান থেকে অথবা যাবার পথে মাললেশিয়া গিয়ে পুত্রদ্বয়কে দেখবেন। এখনও তা হয়নি। যাক সে সব কথা, পলাতক আসামি সেই কুখ্যাত হাওয়া ভবনের স্বত্ব¡াধিকারী তারেক জিয়া কী কারিশমাই না তৈরি করেছিল অর্থের দম্ভে। গুণ ছিল না বলি কি করে? না থাকলে এত বিত্ত বৈভব মাত্র কৈশোরোত্তীর্ণ যুবক পেল কোথেকে? তারপরে ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’র মতন কতদিন রাজ অভিষেক হলো রাজপুত্রের। তিনি মোটর শোভাযাত্রা করে ‘নতুন যুগের সৈনিক’দের নিয়ে যেতেন এখান থেকে ওখানে। সেকি ধুম ধারাক্কা! বিএনপি’র নয়া পল্টন অফিসে যখন ‘সংবাদ সম্মেলন বিশারদ’ রিজভী তার লিখিত বক্তব্য প্রচ- ক্ষোভ ও ক্রোধের সঙ্গে পাঠ করেন, পেছনে ত্রিচিত্র-টাঙ্গানো থাকে। তাতে প্রথমে থাকেন জিয়া, মাঝখানে থাকেন উগ্র-কপট রাজনীতির মধ্যমণি, মাদাম খালেদা জিয়া (পুতুল) এবং তাঁরই পাশে থাকে ‘সুপ্রত্র’ তারেক জিয়া। পরম্পরার ক্ষমতার উত্তরাধিকারই নির্দেশ করতেই বোধহয় এভাবে টাঙ্গিয়ে ঠিক ক্যামেরার মুখোমুখি রাখা আছে। আর ঠিক তারই নিচে বসেন রিজভী। বিএনপি’র পরাশ্রয়ী রাজনীতির কারণে সমবেত রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, তুখোর কর্মী বাহিনীর মধ্যে কারও ‘নেতৃত্ব’ দেয়ার অথবা কর্ণধার হাবার কোন অধিকার যে নেই সেটা মেনে নিয়েই ঐ ‘ত্রিচিত্র’(ত্রিমূর্তি বললাম না কারণ ওগুলোতো আলোচিত্র) টাঙ্গানো হয়ত কেন অপরিহার্য ভাবেই টাঙ্গানো হয়েছে। আশায় আছেন ওরা সবাই অন্তত সেই ধারণাই দেয়া হচ্ছে জিয়া গেছেন, মাদাম জিয়া এসেছেন, তাঁরপর আসবে সেই তৃতীয়মূর্তিমান- যার নাম তারেক জিয়া। অন্যদের পরিবার তন্ত্রের কথা বলে কি লাভ? এ কিসের তন্ত্র! ভাগ্য ভাল এরপর আর কোন পুরুষের হদিস এখনও মেলেনি।
যাহোক, কদিন আগে খবরের কাগজে দেখলাম, যুবরাজ নেতৃত্বের প্রতি নাখুশী প্রকাশ করেছেন। কেন করলেন বুঝলাম ‘অলওয়েজ ভারপ্রাপ্ত’ মহাসচিব বাম জামানার প্রশিক্ষণে যা বুদ্ধি সঞ্চয় করেছিলেন তারই বাক্য ক্রমশ নির্গত হচ্ছে ক্ষুব্ধ ভদ্রলোকের গলায়। মুখশ্রী দেখলে তাই বোঝা যায়। বেচারা এলেন ভার প্রাপ্ত হয়ে, আজও রয়ে গেছেন। পাঠক খেয়াল করে দেখুন ইদানিং বহু বছর কি বিএনপিতে ভারপ্রাপ্ত ছাড়া মহাসচিব দেখেছেন! দেখেননি। সব সময় ভারপ্রাপ্ত একজনকে মুলো ঝুলিয়ে অনুগত রাখেন না অন্যদের আশ্বাস দেন মহাসয়ী মাদাম, আছে সুযোগ আছে। কাজ করে যান।... আমি আল্লার কসম খেয়ে বলতে পারি বি, চৌধুরীর পর মান্নান ভূইয়া ‘দি সোভিয়ার’ বিএনপিকে পুনরুজ্জীবিত করতে দক্ষতা ও নেতৃত্ব দেখিয়েছিলেন, তা আর খোন্দকার সাহেবদের না পছন্দ ছিল। কিন্তু সেই মান্নান ভূঁইয়া দলটাকে টেনে তুলেছিলেন। বাম ঘরানার মানুষ ছিলেন, ছিলেন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা। অবশেষে প্রাণই দিলেন অল্পবয়সে ঐ রাজনীতির খপ্পরে। মাদাম তাঁকে দেখতে পর্যন্ত যাননি, তাঁর পরিবর্তে যাকে-খোন্দকার দেলোয়ারকে বানালেন ঐ ভারপ্রাপ্ত, তিনি ভারপ্রাপ্ত হয়েই মৃত্যুই বরণ করলেন। তিনিও বাম ঘরানার ছিলেন। মীর্জা ফখরুলও ছাত্রজীবন থেকেই বিপ্লবী রাজনীতি করতে করতে এ দেশে বোধহয় তার জীবনে বিপ্লব হবে না ভেবে সটকে ‘লোভের-লাভের’ রাজনীতিতে এসেছেন। আসার পর বিএনপি কি সফল হয়ে গর্জনে ফেটে পড়ছে? তবে বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া কারণ দলতো ‘ফাক্শা’। ভাড়া করা মানুষ দিয়ে তো রাজনীতি হয় না। হ্যাঁ ভোট করা যায়। এদেশের মানুষ তো সবসময় সরকারবিরোধী, তাই সরকার ভাল যাই করুক বিরোধী দলগুলোর প্রচারণাকে পাত্তা দেয় বেশি। ঠিক ভোটের দিনে সব পাল্টে যায়। কিন্তু বিএনপি এবার আওয়ামী লীগ প্রধান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পেরে উঠছে না। তাই বিএনপি নেতা-নেত্রীদের কথাবার্তায়, বক্তৃতা-বিবৃতিতে বোঝা যাচ্ছে হাসিনাকে ছলে না হলেও বলে শায়েস্তা করতে হবে। উঠে পড়ে লেগেছে সবাই প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে, এমনকি সৈয়দ আশরাফুলের বক্তব্যের বাঁকা ব্যাখ্যায়ও। পাঠক মনে পড়ে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ‘আমাদের দেশনেত্রী মাদাম জিয়া খুব সোচ্চার হয়ে মানুষ তথা ভোটারদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছিলেন, সে সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, একচুলও নড়ব না। প্রত্যয়ী জবাব। জবাবে খালেদা জিয়া আমাদের দেশনেত্রী বললেন, এক চুলও নড়বেন না! এমন ঝড় উঠবে হাওয়ায় চুলতো দূরের কথা অস্তিত্বই বজায় থাকবে না।’ কী দৃপ্ত বক্তব্য (কণ্ঠস্বর অবশ্য নয়!) সবাই ভেবেছিলাম, না জানি কি চক্রান্ত এঁটেছেন মার্কিন দূত মজিনার সাথে। হয়ত আমেরিকাই এগিয়ে এসে তাঁকেই বসিয়ে দেবে সিংহাসনে। এমন ধারণা তৈরিও হয়ে গিয়েছিল। ... হায়রে আশা কুহকিনী! ‘বন্ধু’ নির্বাচন না করার বুদ্ধি দিল। নির্বাচন না করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারল। সেই ব্যথায় এখনও উন্মাদপ্রায়। আর নেত্রীর দেখাদেখি নেতা পাতি নেতারাও সমানে কেঁদে চলেছেন। কপাল চাপড়াচ্ছেন আর বলছেন, ‘একি করলাম।’ কিন্তু সে কান্নায় সাধারণ সদস্যারা যেন আক্রান্ত না হয় তার জন্য প্রতি নেতাই মায় মাদাম জিয়াও চিৎকার করে সরকার উৎখাতের আন্দোলনের কথা বলেই চলেছেন। অথচ কিছুই করতে পারছেন না। ভারতের নির্বাচনে ‘মোদি হাওয়ায়’ উৎফুল্ল হয়ে বিজয়ের আগেই তড়িঘড়ি অভিনন্দন জানিয়ে কাছে যাবার চেষ্টা করেছিলেন। বোধহয় তা আর হলো না। ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে। হয়ত বিএনপি নেত্রীর সঙ্গেও মুলাকাত করবেন। দেখা যাক, কি বাতচিত হয়।
এখন তো আমাদের দেশে ‘রাজনীতি’র বেহদ প্রতিযোগিতা চলছে। কে কত কথা বলতে পারে তারই লড়াই। কি বলছেন কে, তাও বোধ হয় জানেন না। এর গরম হাওয়ায় কী চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে সেই তারেক জিয়া বলেছে, শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিলে নাকি জিয়া হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়ে যাবে। মালয়েশিয়াতে বলেছে সে। বলার সুবিধা কারণ সে তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই মন্তব্যে মাহবুবুল আলম হানিফ বোধহয় মন্তব্য করেছেনও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী চীন সফর শেষে গত শনিবার (১৪-৬-২০১৪)। গণভবনে প্রেস কনফারেন্স করার সময় এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ও তারেককে রিমান্ডে নিলেই বরং হত্যারহস্য উদ্ঘাটন হবে। কথাটা খুবই সত্যি। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন মেজর জিয়া। তখন তিনি না পেরে অনেক মুক্তিতর্কের পর স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রে এসে প্রথমে ‘রাজা’ সাজার বাসনা ক্যু ঘোষণা করে সবার কাছে সমালোচিত হন। পরে বঙ্গববন্ধুর নামে তাঁকে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। তখন তিনি বুঝতে পারেন, আর রেহাই নেই। যুদ্ধ করতেই হবে। তাই যুদ্ধাকালীন সময়ে দু’তিনবার টাকাপয়সা দিয়ে লোক পাঠিয়েছিলেন খালেদাকে নিয়ে যাবার জন্য। কিন্তু তিনি কোনবারই যেতে রাজি হয়নি। বিরক্ত হয়ে শেষবারে জবাব দিয়েছিলেন, ‘আমি স্বচ্ছন্দেই আছি।’ সেই খালেদা জিয়া ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আত্মসমর্পণের পর সেনা দেখভাল থেকে মুক্তি পেয়ে সিলেটে (সম্ভবত) আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ গাজীর সঙ্গে দেখা করে কান্নাকাটি করতে থাকেন। কারণ জিয়া তাঁকে ঘরে তুলতে রাজি হননি। অবশেষে অগতির গতি বঙ্গবন্ধু জিয়াকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, ‘ও আমার মেয়ে ওকে ঘরে নিয়ে যা।’ সেই উদার অভিভাবকত্বের জবাব দিচ্ছেন মাদাম জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার দিনকে তাঁর জন্মদিন হিসেবে পালন করে এবং কেক কেটে। এ কাজটি সহজেই করতে পারলেন কিন্তু স্বামী হত্যার বিচার করতে পারলেন না কেন? দু না তিনবার প্রধানমন্ত্রী হলেন, তারপরও কেন তিনি নিজের স্বামীর বিচার করলেন না। অথচ একজন পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ারের মৃত্যুতে সকল প্রটোকল ভেঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হয়েও শোকবার্তা পাঠিয়ে তৃপ্তি লাভ করেছিলেন। কি কারণ কে জানে?... সে জন্যই বলছিলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়া হত্যার ব্যাপারে গোয়েন্দা বিভাগকে বাস্তব ক্লুই দিয়েছেন।
সত্যিকথা বলতে কি, ভদ্রমহিলা মাদাম জিয়া এও শারীরিক কষ্ট সত্ত্বেও দেশের সেবা এবং জনগণের কল্যাণের জন্য অষ্টম সংসদে মানুষের ভোট নিয়েও অধিবেশনেই গেলেন না কেবল বুড়ি ছুঁয়ে এলেন সদস্যপদ রক্ষার জন্য। আবার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণই করলেন না জেদ বজায় রেখে। এইতো দেশসেবা আর জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করার নুমনা।
এরা দেশকে ভালবাসেন বলে গর্ব করেন আবার মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন বলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বুড়ো আঙ্গুল দেখান। জানি না ওদের বিচার কেন সরকার করে না।
সুত্র
২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
মেলবোর্ন বলেছেন:
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: জামাত পূনর্বাসনই গোড়ার ভূল ছিল ...
১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
তালপাতারসেপাই বলেছেন: প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: জামাত পূনর্বাসনই গোড়ার ভূল ছিল ...
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
মেলবোর্ন বলেছেন: জিয়া হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে এবং শেখমুজিব হত্যর জন্য তো জনগনরে রিমান্ডে নিয়াই রাখছো তোমরা রাজনীতিবিদরা। আমাগোরে কি মনে করো তোমরা নিজেরা তলে তলে সব ঠিক বাংলাদেশটারে শেষ কইরা দিলি তোরা