নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোগ, বালাই আর নিস্ক্রিয়তায় বিএনপি

২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:১২



বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দল প্রতিষ্ঠার পর এমন দুঃসময় কখনও দেখেননি তাঁরা। এ কারণে হতাশাগ্রস্ত বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীই এখন রাজনীতি থেকে কার্যত দূরে সরে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা থেকে দূরে থাকায় হতাশার কালচিটে দাগ আর বয়সের ভারে ন্যুব্জ ও রোগাক্রান্ত দলের সিনিয়র নেতাদের অনেকেই এখন আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখছেন। ব্যক্তিগত কাজ-কর্মে অংশ নেয়ার পাশাপাশি শুয়ে-বসে সময় পার করছেন তাঁরা।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ফলে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদাও হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। এ কারণে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াও বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা হারিয়েছেন। সরকারপ্রধান ও বিরোধী দলের নেতা থাকাকালে খালেদা জিয়া তাঁর অবস্থানের কারণেই বিভিন্ন কর্মসূচীতে নিয়মিত অংশ নিতেন। দলীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি এ সব নিয়ে প্রতিদিনই তাঁকে ব্যস্ত সময় কাটাতে হতো। কিন্তু এখন ক্ষমতা থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা হারানোয় তেমন কোন কর্মসূচীতে তাঁকে অংশ নিতে হয় না। এ ছাড়া বিএনপির এখন রাজনৈতিক কর্মসূচীও তেমন নেই। রাজপথে সরকারের কঠোরতায় কর্মসূচী পালন করতে না পারলেও বিএনপির ঘরোয়া কর্মসূচীও তেমন দেখা যাচ্ছে না।

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে, তার ওপর ২ ছেলে দেশের বাইরে আর মামলা নিয়ে জেরবার খালেদা জিয়া এখন চরম অস্বস্তিতে আছেন। এ ছাড়া পায়ের ব্যথাসহ তিনি কয়েকটি জটিল রোগে আক্রান্ত বলে জানা গেছে। এ জন্য দিনের অধিকাংশ সময় তিনি গুলশানের বাসায় ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন তিনি রাত ৮টার পর গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান। তার পর বাসায় ফিরে ব্যক্তিগত কাজকর্ম সেরে প্রতিদিন গভীর রাতে ঘুমাতে যান। মাঝে-মধ্যে দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশ নিলেও সেখানে বেশি সময় দেন না তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গনি এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। অসুস্থতার কারণে তিনি নিয়মিত দলীয় কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। তবে ধানমন্ডির বাসায় দিনের অধিকাংশ সময় শুয়ে-বসে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে কাটান।

বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দুদকের মামলায় জড়িয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে রয়েছেন। এখানে চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি পত্রিকা ও বই পড়ে এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত দিয়ে সময় কাটান। কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি দিনের অধিকাংশ সময় সেগুনবাগিচার স্বজন টাওয়ারে তাঁর নিজস্ব ব্যবসায়িক কাজ দেখভাল করতেন। এ ছাড়া স্বজন টাওয়ার থেকে গুলশানের বাসায় ফিরে শুয়ে-বসে সময় কাটাতেন। তবে কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি মাঝে-মধ্যে দলীয় কর্মসূচীতেও অংশ নিতেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সদাসক্রিয় রাজনৈতিক নেতা। তিনি সরকারে থাকলেও সব সময় রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকেন এবং ক্ষমতার বাইরে থাকলেও সক্রিয় থাকেন। দেশের বেশ কয়েকটি ভুঁইফোড় সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। দলীয় কর্মসূচী না থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই তিনি এ সব ভুঁইফোড় সংগঠন আয়োজিত কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলীয় কর্মসূচীর মতো এ সব ভুঁইফোড় সংগঠনের কর্মসূচীতেও তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন না। তবে তিনি শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকালে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে মতিঝিলের ‘ল চেম্বারে’ যান। সেখান থেকে উচ্চ আদালতে গিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা করেন। এভাবে তিনি অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভবান হন। তবে অবসর পেলেই বই লেখার কাজে লেগে যান। এ কারণে প্রায় প্রতিবছরই তাঁর লেখা বই প্রকাশিত হয়।

এম শামসুল ইসলাম বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য। বয়সের ভারে ন্যুব্জ ও অসুস্থতার কারণে তিনি এখন দলীয় কোন কর্মসূচীতে অংশ নেন না। তিনি চিকিৎসাসেবা নেয়ার পাশাপাশি গুলশানের বাসায় শুয়ে-বসে সময় কাটান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে মোটামুটি সক্রিয় বলা যায় লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমানকে। বিএনপির যে সব কর্মসূচী পালিত হয় তার অধিকাংশতেই তিনি অংশ নেন। এর বাইরে শরীরচর্চা ও বনানী ডিওএইচএসের বাসায় অবসর সময় কাটান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। বছরের অধিকাংশ সময়ই তিনি যশোরে থাকেন। মাঝে-মধ্যে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এলে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেন। দিনের অধিকাংশ সময়ই তিনি শুয়ে-বসে কাটান। তবে যশোর এলাকার কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী হলে তিনি যেতে না পারলেও বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর রাখেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আসম হান্নান শাহ মাঝে-মধ্যে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেন। এ ছাড়া কখনও কখনও নিজ নির্বাচনী এলাকা গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যান। তা ছাড়া অধিকাংশ সময়ই মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় শুয়ে-বসে কাটান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার এক সময় রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় হলেও ইদানীং তাঁকে তেমন কোন কর্মসূচীতে অংশ নিতে দেখা যায় না। দিনের অধিকাংশ সময় তিনি এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় শুয়ে-বসে কাটান। বিকেলে বসুন্ধরা মার্কেটে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন। তবে মাসে অন্তত একবার তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার হোমনায় যান। বয়সের ভারে ন্যুব্জ বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সারওয়ারী রহমান এখন দলীয় কর্মসূচীতে কমই অংশ নেন। ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারও এখন আগের মতো আর বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারেন না। বয়স বাড়ার সঙ্গে অসুস্থতার কারণে তিনি দিনের অধিকাংশ সময়ই বিশ্রামে থাকেন। তবে মাঝে-মধ্যে আদালতে মামলা পরিচালনা করতে যান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান অবশ্য আগে থেকেই দলীয় কর্মসূচীতে কম অংশ নিতেন। এখন আরও কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন গুলশানের বাসায় অধিকাংশ সময় কাটান। তবে তিনি বই পড়ে কিছু সময় কাটান। এক সময়ের রাজপথ কাঁপানো বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এখন দলে নিষ্ক্রিয় বললেও ভুল হবে না। কারণ তিনি এখন তেমন কোন কর্মসূচীতে অংশ নেন না। রোগে কাতর এই নেতা এখন শাহজাহানপুরের বাসায় শুয়ে-বসে ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দলীয় কর্মকা-ে মোটামুটি সক্রিয়। তবে তিনি দলের চেয়েও শ্রমিক সংগঠন বিলস নিয়ে বেশি কর্মব্যস্ত থাকেন। দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও এখন বিএনপির কর্মসূচীতে অনিয়মিত অংশ নেন। তবে তিনি নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে তাঁর নিজের অফিসে দিনের অধিকাংশ সময় অবস্থান করে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে আড্ডা মেরে সময় কাটান।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া শুক্রবার ছাড়া দিনের অধিকাংশ সময় উচ্চ আদালতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মামলা পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। মাঝে-মধ্যে বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ ছাড়া ইস্কাটন রোডের বাসায় অবস্থান করে স্ত্রীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে দৈনন্দিন কাজের অর্ধেক তিনি করেন। বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধের মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে অবস্থান করছেন। তাঁর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এ কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান পদাধিকার বলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য। বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। লন্ডনে চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে স্থানীয় বিএনপির কর্মসূচীতে অংশ নেন তিনি। সম্প্রতি দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিতে লন্ডন থেকে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন তিনি। ২ জুন মালয়েশিয়া গিয়ে ছোট ভাই কোকোর সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। ১৩ জুন আবার তিনি মালয়েশিয়া থেকে লন্ডনে চলে যান। প্রবাসে থেকেই তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে দলীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। তবে মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় দেশে আসার চেষ্টা করেন না তিনি।

বিএনপিতে বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন ১৪ জন। এদের অধিকাংশই এখন দলীয় কর্মকান্ডে নিষ্ক্রিয়। এক সময় দলের কর্মকান্ডে অনেক সক্রিয় ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খান। বয়সের ভার ও অসুস্থতার কারণে তিনি এখন দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারেন না। মাঝে-মধ্যে বিশেষ প্রয়োজন দেখা দিলে তিনি দলীয় কাজে সহায়তা করে থাকেন। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান এখন পুরোপুরিই নিষ্ক্রিয়। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণ ও গুলশানের বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অবসর সময় কাটান। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনও বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তবে তিনি মাঝে-মধ্যে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেন। বাকি সময় গুলশানের বাসায় শুয়ে-বসে কাটান।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া চৌধুরী ও হারুন আল রশীদ বয়সের কারণে এখন দলে নিষ্ক্রিয়। এ ছাড়া এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী মোটামুটি সক্রিয়। তিনি মাঝে-মধ্যে নিজ নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী গিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে অংশ নেন। ঢাকায় অধিকাংশ সময়ই তিনি গুলশানের বাসায় শুয়ে-বসে কাটান।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে এখনও সক্রিয় বলা চলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে। তিনি ঢাকা ও চট্টগামে নিয়মিত দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে থাকেন। তবে তিনি আগের চেয়ে কম সক্রিয়। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ব্যক্তিগত ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শুয়ে-বসে সময় কাটান। তবে তিনি দলীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতে মাঝে-মধ্যে ফরিদপুর যান।

বেগম সেলিমা রহমান এখন বিএনপির রাজনীতিতে মোটামুটি সক্রিয়। তিনি দিনের অধিকাংশ সময় বনানীর বাসায় থাকেন। দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে প্রায় নিষ্ক্রিয়। ওয়ান-ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থী বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব নেয়ায় এখন নেতাকর্মীদের কাছেও কিছুটা তোপের মুখে রয়েছেন।

এক সময় রাজপথ কাঁপানো বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা এখন দলে তেমন সক্রিয় নয়। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। আরেক ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ গ্রেফতারের ভয়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের কোন এক দেশে অবস্থান করে তাঁর স্বর্ণের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বর্তমানে দলে সক্রিয়। তবে তাঁর কর্মকা- নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে একাংশের প্রশ্ন রয়েছে। সম্প্রতি সিলেট বিএনপির এক কর্মসূচীতে অংশ নিতে গেলে গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সমর্থকরা তাঁর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেন। দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী।

এ ছাড়াও বিএনপির অন্যান্য পদে থাকা অধিকাংশ সিনিয়র নেতা ক্ষমতা থেকে দূরে থাকায় হতাশার পাশাপাশি বয়সের ভার, অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে দলীয় কর্মকান্ডে তেমন সক্রিয় হতে পারছেন না।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.