নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ : রোজগার্ডেন থেকে আজকের গণভবন

২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮



[রোজ গার্ডেনের বর্তমান নাম রশিদ মঞ্জিল। এর ঠিকানা ও অবস্থান সূত্রাপুর থানা এলাকাধীন ১৩ নং কে.এ. দাস লেন।

এর উপভোগ্য বিষয়বস্তুর মাঝে রয়েছে সুদৃশ্য নারী মূর্তি, আয়তাকার পুকুর, রশিদ মঞ্জিল, ফোয়ারা, সাত ধাপ বিশিষ্ট সিঁড়ি, উপবৃত্তাকার উদগত অপ্রশস্ত বেলকনি, আধাগোলাকার গম্ভুজ, ছত্রী নকশা, ঘুর্ণায়মান সিঁড়ি, রঙ্গিন কাঁচের অলঙ্করণ ইত্যাদি।]



বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। শুধু তাই নয়, আজকের আওয়ামী লীগ বাঙালী জাতিরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানে বাঙ্গালী জাতির সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস। এ রাজনৈতিক দলটি এদেশের সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং বাঙালি জাতির আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরব-উজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ২৩ জুন। একই সাথে ৬৬ বছরে পা রাখছে ঐতিহ্যবাহি এ দলটি। প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এ দলটির নেতৃত্বেই মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বিশ্বের বুকে বীরের জাতি হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। রোজগার্ডেন জন্মগ্রহণের পর থেকে নানা লড়াই, সংগ্রাম, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলটি এখন রাষ্ট্রক্ষমতায়।

এদেশের অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও তরুণ মুসলিম লীগ নেতাদের উদ্যোগে ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন পুরনো ঢাকার কেএম দাস লেনের বশির সাহেবের রোজগার্ডেনর বাসভবনে একটি রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বাঙালির অধিকার আদায়ের অবিসংবাদিত, অনন্য প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ। তারই ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণের বীজমন্ত্রকে ধারণ করে এগিয়ে যায় দলটি।

আওয়ামী লীগকে দেশের অন্যতম প্রাচীন সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ভাষা, স্বাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগ দেশের জন্য আবদান রেখেছে। এ দেশের যা কিছু আর্জন হয়েছে তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলে গণতান্ত্রিক মানুষের অর্জন, এ দলের অর্জনই বাংলাদেশের অর্জন। আওয়ামী লীগ কখনো মানুষকে ভ্রান্ত আশ্বাস দেয় না। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, তখন সেটি বাস্তবায়ন করেছে।

দলের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন প্রথম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৬৬ সালের সম্মেলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন শেখ মুজিব। পরে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির একছত্র নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে। ৬৯-এর গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির যে জাগরণ ও বিজয় সূচিত হয়, সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগ এবং এ আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এই সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আওয়ামী লীগকে অনেক চড়াই-উৎরাই এবং ভাঙা-গড়ার মধ্যদিয়ে এগোতে হয়েছে। কখনো নেতৃত্বের শুন্যতা, আবার কখনো ভাঙনের মুখে পড়তে হয়েছে এ দলটিকে। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিপুল সমর্থনে মহীরুহ হয়ে ওঠা আওয়ামী লীগকে কোনো বিভেদ ভাঙনই টলাতে পারেনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার পর নেতৃত্ব শুন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ। এর পর দলের মধ্যে একাধিক ভাঙনও দেখা দেয়। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়। ৩ দশক ধরে তার সফল নেতৃত্বেই আজকের আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। এ সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি ৩ বার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে এ দলটি।

তবে ৬৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ বছরই আওয়ামী লীগকে থাকতে হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে ৩ বছর এবং ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ বছর, ২০০৯ থেকে ৫ বছর ৬ মাস আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫ যুগেরও বেশি সময়ে দলটির চলার পথ সবসময় সহজ ছিল না। বিভিন্ন সময় দলটিকে নানামুখী ভাঙন ও ষড়যন্ত্রের কবলে পড়তে হয়েছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর অনেকটা সুসংহত হতে সক্ষম হয়ে জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে সফলতার পরিচয়ও দিয়েছিল দলটি। কিন্তু এ আন্দোলনের শেষপর্যায়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নিলে আবারো নতুন সংকটের মুখে পড়ে যায় দলটি। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির অসংখ্য নেতার গ্রেফতার এবং একাংশের সংস্কার তৎপরতায় কিছুটা সংকটে পড়ে দলীয় কার্যক্রম।

তবে সব প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজাট ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। পরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি-জামায়াত জোটের শত প্রতিকুলতাকে মোকাবেলা করে নির্বাচনের বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এবং ৩য় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত, আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সুখী, সমৃদ্ধ ‘ডিজটাল বাংলাদেশ’ গড়াসহ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে এ দলটি। এগিয়ে চলেছে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার প্রত্যয়ে।

http://abnews24.com/article.php?details=39176

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

গাধা গরু বলেছেন: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বোঝেন? আওয়ামী লীগ হল সন্ত্রাসের দল, জনগনের ভোটের তোয়াক্কা না করে কেবল গায়ের জোরে টিকে আছে। আশা করি এদের বস্তাবন্দী করে তাদের দাদার দেশে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আওয়ামিলীগের মতো এত অত্যাচার আর অন্যায় অবিচার অন্য কোন দলকে কখনো সহ্য করতে হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.