নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
১১ জুন মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দেয়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছেন তারেক রহমান। জে. জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমান ৬ বছর ধরে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত ইচ্ছা ওনার পরে এই গুণধর পুত্রই হবেন বিএনপির আসল কা-ারি। আর এ জন্যই পালিয়ে থাকা সত্ত্বেও তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রাখা হয়েছে। আগে তিনি ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এরপর তাকে করা হয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান।
জে. জিয়াকে হত্যার পর অল্প কিছুদিন বিরতি দিয়ে ১৯৮৩ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপির নেতৃত্বে বসানো হয়। সেই থেকে তিন দশক ধরে দলের দ-মু-ের কর্তা হিসেবে আছেন জে. জিয়ার সহধর্মিণী এবং তারেক রহমানের মাতা বেগম খালেদা জিয়া। শুধু তারেক রহমানকে দলের কর্তৃত্বে ও নেতৃত্বে বসাতে পারছেন না, এই কারণেই বেগম জিয়া চেয়ারপারসনের পদটি দখলে রেখেছেন। উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপির দেশপ্রেমিক সিনিয়র-জুনিয়র অনেক নেতাকর্মী তারেক রহমানকে শীর্ষ নেতৃত্বে দেখতে চান না। আবার জিয়া পরিবারের প্রতি দুর্বল একদল তরুণ যুবক এবং স্বাধীনতাবিরোধী কট্টরপন্থিরা তারেককেই বেগম খালেদা জিয়ার স্থলাভিষিক্ত দেখতে চান। তবে কেউ চাক বা না চাক তারেক রহমান এখনও দলের প্রধান নেতা এবং দু'দিন আগে হোক বা পরে হোক জেল-জুলুমের ঝামেলায় পড়তে না হলে তারেক রহমানই হবেন বিএনপির প্রধান নেতা। ২০০৭-এর জানুয়ারিতে ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনরা ক্ষমতা দখল করে ৭ মার্চ আরও অনেকের সঙ্গে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। প্রচার মাধ্যমে জিয়া পরিবার, তারেক রহমান এবং তার ভাই আরাফাত রহমানের দুর্নীতি, সন্ত্রাস নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে। ২০০৮ এর ডিসেম্বরের নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্বে ছাড়া পেয়ে বিদেশে চলে যান তারেক। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী_ দেশে থাকবেন না এবং ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না_ এই মুচলেকা দিয়েই নাকি তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন।
দেশ ছেড়ে লন্ডন গিয়ে বলতে গেলে অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই নীরবে নিভৃতে জীবন কাটাতে থাকেন। ২০০৮ এর ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রত্যাশিতভাবেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ক্ষমতায় আসে। ৫ বছরের সন্ত্রাস, দুর্নীতি, কুকর্ম, বিরোধীদের ওপর সীমাহীন নির্যাতনের কারণে জনগণ বেগম জিয়া এবং তার বিএনপি-জামায়াত জোটকে লালকার্ড দেখায়। দ্বিতীয়বার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ খাতের আশাতীত উন্নতিসহ জনকল্যাণমুখী বহু কাজ করলেও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়। ক্ষমতার শেষ বছরে ২০১৩ সালের মাঝামাঝি দেশের ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়। আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করলে পলাতক তারেক রহমানও জনসম্মুক্ষে আসতে শুরু করেন। যে যাই বলুক ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি-জোটের বিজয়ের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের বড় একটা অংশ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। বিশেষ করে একযোগে ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের জয়লাভের পর জোটের নেতাকর্মীরাও বেশ উজ্জীবিত ছিল। যে কোন বিচারেই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ নিলে লাভবান হতো। যদি কারচুপির মাধ্যমে মহাজোট বিজয় ছিনিয়ে নিত, তাহলে বিএনপি জোট কারচুপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারত।
নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি আম-ছালা দুটোই হারিয়েছে। ফখরুদ্দীনদের দু'বছর বাদ দিলে ১৯৯১ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একটি সরকারি দলে অপরটি বিরোধী দলে রয়েছে। একইভাবে শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া একজন প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যজন মন্ত্রীর মর্যাদায় সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী থেকেছেন। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ও বেগম জিয়ার যে ক্ষতি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও বেগম জিয়া নির্বাচনে গেলেন না কেন? পর্যবেক্ষক মহলের মতে, তারেক রহমানের কারণেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাছাড়া সবাই জানে, সব সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই বেগম জিয়া তারেক রহমানের মতামত নেন। মাতা-পুত্রের হয়তো এই ধারণা ছিল, যদি মহাজোট আবারও জিতে যায় তাহলে বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে তিলে তিলে বিলীন হয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচন বানচাল করতে সর্বপ্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা চালায় বিএনপি-জামায়াত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে নির্বাচন হয়ে যাবে, এটা ছিল মাতা-পুত্রের একেবারেই ধারণার বাইরে। ৩০০ আসনের মধ্যে ৫০ থেকে ১০০টি আসনেও যদি নির্বাচন স্থগিত রাখতে পারতো, তাহলেও পরিস্থিতি অন্যরকম হতো। কিন্তু মাতা-পুত্রের চরম দুর্ভাগ্য যে, উনাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা ৫টি আসনের নির্বাচনও বানচাল করতে পারেনি।
বিএনপি এখন নামেমাত্র এক অসহায় বিরোধী দল। সরকার যে খুব ভালোভাবে দেশ চালাচ্ছে, তাও কিন্তু নয়। দেশ যেভাবেই চলুক, বেগম জিয়ার দলের আন্দোলন করার একেবারেই মুরোদ নেই। মাঝে মধ্যে প্রচার মাধ্যমে খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল হৈ চৈ করা ছাড়া আর কি-ইবা করতে পারেন। গত ৩৬ বছরে বিএনপি নামের রাজনৈতিক দলটি আজকের মতো এমন অসহায় দুরবস্থায় আর পতিত হয়নি। এই অবস্থায় দলের অস্তিত্ব এবং নিজের নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখতে চতুর তারেক রহমান নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
পলাতক এই বিএনপি নেতা কয়েকদিন পর পর এমন অবাস্তব ও আক্রমণাত্মক কথা বলেন, যা নিয়ে প্রচার মাধ্যমে রীতিমতো হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ১ দিন আগে ২৫ মার্চ তারেক রহমান লন্ডনে বলেন, তার পিতা জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং স্বাধীনতার ঘোষক। দু'দিন পর ২৭ মার্চ ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বেগম খালেদা জিয়াও পুত্রের কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, যে যাই বলুক জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। তারেক রহমানের ওই উদ্ভট বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা সংসদের ভেতরে ও বাইরে জিয়া পুত্রের তীব্র সমালোচনা করেন। টেলিভিশনের টক শো এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। বলতে গেলে কয়েকদিন খবরের হেডলাইন ছিলেন তারেক রহমান। আওয়ামী লীগ নেতারা কুৎসিত মন্তব্য ও গালাগালি যাই করেছেন, এতে তারেক রহমানের লোকসানের চেয়ে লাভই বেশি হয়েছে। কারণ প্রচার মাধ্যমে তিনি আলোচনার শীর্ষেই ছিলেন। এর কয়েকদিন পর তারেক রহমান বললেন, 'শেখ মুজিব পাকিস্তানি পাসপোর্টে দেশে এসে ১৯৭২ সালে অবৈধভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করেন।' এই বক্তব্যের পরও পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা হয় এবং জিয়া পুত্র আলোচনার শীর্ষেই থাকেন। এরপর ৩০ মে জেনারেল জিয়ার হত্যা দিবসের প্রাক্কালে ২৯ মে লন্ডনে এক আলোচনা সভায় তারেক রহমান বলেন, 'শেখ মুজিব ৩০ বছর রাজনীতি করার পরেও রাজনীতিক হিসেবে ছিলেন ব্যর্থ। অন্যদিকে জিয়া সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতিতে এসে মাত্র ৫ বছর রাজনীতি করে সফল রাজনীতিক ছিলেন।' সর্বশেষে ১১ জুন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা পুত্র তারেক রহমান বলেন, 'জিয়াউর রহমান হত্যার বিষয়ে সব জানতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তা না হলে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার মাত্র ১৩ দিন পরই জিয়া খুন হলেন কেন? তিনি যদি কিছু না জানতেন, তাহলে তিনি বোরকা পরে কেন পালিয়ে যাচ্ছিলেন?' ১২ জুন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রথম পাতায় এই খবর প্রকাশিত হয়।
তারেক রহমানের এই বক্তব্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাল্টা বক্তব্য। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন_ 'জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন। তিনি মরে বেঁচে গেছেন। বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আসামি হতেন।' জে জিয়া যে বঙ্গবন্ধু হত্যা-ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন তার হাজারটা প্রমাণ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ঘাতক ফারুক-রশিদরা বহুবার জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বলেছেন, মুজিব হত্যার ৫ মাস আগে ১৯৭৫ এর ২০ মার্চ জিয়ার সঙ্গে দেখা করে মুজিব হত্যা-ষড়যন্ত্রের কথা জিয়াকে অবহিত করেন ফারুক। শত বছরের ইতিহাসে দেখা যায়, যে কোন রাজনৈতিক হত্যাকা-ের পর যিনি লাভবান হন, তিনিই কোন না কোনভাবে ওই হত্যাকা-ে জড়িত থাকেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে সবচেয়ে লাভবান ব্যক্তি হচ্ছেন জিয়াউর রহমান।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ৯ দিন পর সেনাপ্রধান সফিউল্লাহকে বরখাস্ত করে উপপ্রধান জিয়াকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাপ্রধান নিযুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা-ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কারণেই যে ৯ দিন পর জিয়াকে সেনাপ্রধান পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় জিয়া সেনাপ্রধান, উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতির পদটিও লাভ করেন। একইভাবে জিয়া-মঞ্জুর হত্যায় সবচেয়ে লাভবান ব্যক্তি হচ্ছেন তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ। জিয়া পত্নী খালেদা জিয়া দুই টার্মে ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও স্বামী হত্যার বিচার করেননি। অবশেষে স্বামী হত্যার ৩৩ বছর পর ৪ মে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, জিয়া-মঞ্জুর হত্যায় এরশাদ জড়িত। আবার ক্ষমতায় গেলে তার দল জিয়া-মঞ্জুরের হত্যাকারী এরশাদের বিচার করবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে যেমন জিয়া রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন না, তেমনি জিয়া-মঞ্জুরকে হত্যা না করলে এরশাদ রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন না। এটা দিবালোকের মতো সত্য বঙ্গবন্ধু হত্যা-ষড়যন্ত্রে জিয়া এবং জিয়া হত্যা ষড়যন্ত্রে এরশাদ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জিয়া হত্যার সময় কি শেখ হাসিনা কোন ক্ষমতায় ছিলেন? বঙ্গবন্ধু হত্যার কিছুদিন পূর্ব থেকেই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে ছিলেন। ভারতে নির্বাসনে থেকেই শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ৩ মাস পর ১৭ মে স্বদেশে ফিরে আসেন। এর ১৩ দিন পর চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর একটি ক্ষুদ্র অংশের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন জে. জিয়া। জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত বা হত্যার জন্য তার শাসনামলে প্রায় ২০টির মতো ক্যু হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে ঘাতকরা সফল হয়। তারেক রহমানকে যারা চিনেন, তারা জানেন তিনি দুর্নীতিবাজ বা সন্ত্রাসী হতে পারেন কিন্তু নির্বোধ নন। তারেক রহমান তার পলাতক জীবনে গত কয়েক মাসে যেসব আবোল তাবোল বকেছেন, তা ঠা-া মাথায় সুপরিকল্পিত চিন্তা-ভাবনা থেকেই বলেছেন। তারেক জানেন, তার পিতা একাত্তরে একজন অখ্যাত ও অপরিচিত মেজর ছিলেন। মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন শেখ মুজিব। তার পিতা ছিলেন ৪০০ টাকা বেতনভোগী একজন সেক্টর কমান্ডার।
তারেক নিশ্চিত জানেন, মুজিবই রাষ্ট্রপতি ছিলেন, জিয়া নন। তারেক এটাও জানেন, শেখ মুজিব অবৈধ নন, বৈধ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জিয়া পুত্র এটাও বেশ ভালোভাবে জানেন, জিয়া হত্যাকা-ে এরশাদ জড়িত, শেখ হাসিনা নন। জিয়া হত্যার পর হাসিনা নয়, এরশাদই রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। তারপরেও তারেক রহমান কয়েক মাস ধরে এসব উদ্ভট ও আবোল তাবোল বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন কেন? শুধুই কি প্রচার পাওয়ার জন্য? এর উত্তর একমাত্র দিতে পারেন তারেক রহমান নিজে।
কারও কারও মতে, বিখ্যাত মানুষদের বিরোধিতা করলে লোকসানের চেয়ে লাভই বেশি হয়। এই বাংলাদেশেও এর প্রমাণ রয়েছে। কাজী জাফর, রাশেদ খান মেননের বড় ভাই এনায়েত উল্লাহ খান, ব্যারিস্টার মওদুদরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরোধিতা করে লাভবানই হয়েছেন। অবশ্য মওদুদ এক সময় বঙ্গবন্ধুকে ড্রাইভ করে এখানে সেখানে নিয়ে গেছেন। পরে বঙ্গবন্ধু সরকার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারী জিয়া-এরশাদরা বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতাকারীদের সম্মানিত করেন। জিয়া ক্ষমতায় এসে এনায়েতউল্লাহ খানকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনি মওদুদকে উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এরশাদ ক্ষমতায় এসে মওদুদকে প্রথমে জেলে প্রেরণ করেন। দুর্নীতির মামলায় তার জেলও হয়। কিন্তু আবার ওই এরশাদই মওদুদকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে মন্ত্রী, উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন। কাজী জাফরকেও এরশাদ প্রথমে মন্ত্রী ও পরে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন।
তারেক রহমান কি তাহলে এনায়েতউল্লাহ খান, কাজী জাফর ও মওদুদদের অনুসরণ করেই বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার বিরোধিতা করা শুরু করেছেন। তারেক রহমানের মনে কি এমন ভাবনার উদয় হয়েছে_ বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে ব্যর্থ হলেও আওয়ামী লীগ চিরকাল ক্ষমতায় থাকবে না। একদিন আপনা আপনিই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। তখন যারা ক্ষমতায় আসবেন, তারা মুজিব ও হাসিনাবিরোধী হিসেবে তারেক রহমানকে ক্ষমতার অংশীদার করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরও একমাত্র দিতে পারেন তারেক রহমান। জিয়া পুত্রের এই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা, হঠকারিতা, ইতিহাস বিকৃতি এবং বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাবিরোধী নির্জলা মিথ্যাচারের পরিণতি শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায় তা দেখার জন্য আমাদেরকে আরও কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে।
Click This Link
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২২
নিজাম বলেছেন: ভাই এদেশের রাজনীতি মানেই হল এই! যে যত বেশি মিথ্যা, খুন, চুরি, সন্ত্রাস ইত্যাদি কাজে পারদর্শিতা দেখাতে পারবে রাজনীতিক হিসেবে তার ভবিষ্যত ততই উজ্জ্বল। এই চরম সত্যিটা বোধহয় তারেক রহমান অনুধাবন করতে পেরেছেন।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
হাসিব০৭ বলেছেন: তারেক যতগুলো মিথ্যা কথা বলেছে (আপনাদের মতে) তার একটা কথারও সঠিক জবাব আপনারা আজও দিতে পারেন নি তাহলে এত লাফালাফি করেন কেন লেন্জা তো বাহির হইয়া গেলরে পেইড দালাল
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
জনতার রায় বলেছেন: তারেক জিয়া মিথ্যা বললেও তার দেওয়া তথ্যের স্বপক্ষে যুক্তি থাকে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রী নাসিম যে বললেন, দুনিয়ার কোথাও ছুটির দিনে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়না - এই কথার যুক্তি কি? শিক্ষা মন্ত্রী বললেন, গত ৫ বছরে কোথাও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি - এই কথার যুক্তি কি? এরকম কমপক্ষে হাজারটা উদাহরন দেয়া যাবে।
মিথ্যাচার তাহলে কাদের অভ্যাস?