নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াত নিষিদ্ধের সুযোগ কেন হারাবে সরকার?

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলটি নিষিদ্ধ করার সকল সুযোগ সরকারের হাতে। সরকারের নীতি নির্ধারকরা এই দলটি নিষিদ্ধ করার ছয়টি সুযোগ খুঁজে বের করেছেন। পরে তা সরকারের শীর্ষ পর্যায়েও অবহিত করেন। কোন সুযোগ কাজে লাগালে সরকার সফল হতে পারে সেই বিষয়েও মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন। এখন সরকার সেটি বিবেচনা করছে।

জামায়াতকে নিষিদ্ধকরণের জন্য কাজ করছেন সংশ্লিস্ট একটি সূত্র জানায়, আপাতত সরকার যে সব সুযোগ বের করা হয়েছে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে না। সরকার দলটি নিষিদ্ধ করার জন্য জনমত গড়ে তুলতে চাইছে। জনমত জামায়াত নিষিদ্ধের দিকে যখন তীব্র হবে তখনই সরকার এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।

সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জামায়াত নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি সরকার চায়। জামায়াতের রাজনীতি এই দেশে থাকবে না এটাও চাইছে। কিন্তু তা চাইলেও এখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে না। জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য আপাতত জনগণের মধ্যে একটা অংশের ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও বড় একটি অংশ সেটা মনে করে না। বিশেষ করে যারা বিএনপি সমর্থণ করে তারাও মনে করে না। তারা মনে করে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না। সরকার যদি সেটা করার চেষ্টা করে তাহলে জামায়াত দেশে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু করবে, নাশকতার ঘটনাও ঘটাবে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলবে। দলটির ব্যাপক শক্তি রয়েছে। কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তা সামাল দেওয়া যাবে না। এছাড়াও মুসলিম ও আরব বিশ্বেরও সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাবে। জাতিসংঘসহ প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন দেশের কাছেও নালিশ করবে। সেটা করলে সরকারের উপর বিভিন্ন দিক থেকে চাপ বাড়বে। ওই চাপ সামলাতে সরকারকে ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। সামনে চলে আসবে সংলাপ ও আগাম নির্বাচনের বিষয়টি। না দিক বিবেচনা করে জামায়াতকে নিয়ে সরকার এখন কোনো সময় নষ্ট করতে চাইছে না।



জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য যে সব সুযোগ বের করা হয়েছে এর



প্রথম সুযোগ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমেঃ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে সরকার এটা বন্ধ করতে পারে। সেটা করলে তাদের রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সেখানে সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিষিদ্ধ করলে তারা নির্বাচন করতে পারবে না এটা ঠিক। কিন্তু তাদের সাংগঠনিক কাজ কর্ম বন্ধ করা যাবে না। সেই ক্ষেত্রে জামায়াত থাকবে। এই কারণে সরকার নির্বাচন থেকে জামায়াতকে দূরে রাখার চেষ্ঠায় সফল হলেও মূল উদ্দেশ্য সফল হবে না।

দ্বিতীয় সুযোগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেঃ সরকার চাইলে এই সংগঠনের বিগত দিনের ও গত বছরের আন্দোলনের সময়কার বিষয় বিবেচনা করে ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা, তাদেরকে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাদেরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো নিষিদ্ধ করে দিতে পারে।



জামায়াত নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারের এমন একটি সূত্র জানায়, জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা গোলাম আজমের রায়ে দলটির ব্যাপারে আদালত মতামত দিলে নিষিদ্ধ করার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তবে সরকার চাইছে এই ব্যাপারে কোর্টের মাধ্যমে একটা ঘোষণা আসুক। কোর্ট জামায়াত নিষিদ্ধ করলে সরকার ব্যবস্থা নিবে। গোলাম আজমের মামলার রায়ে বলা হয়েছে জামায়াত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ওই রায়ের আলোকে সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। কেউ কেউ গোলাম আজমের রায়ের পরে সেটা করারও পরামর্শ দেন। কিন্তু সেটা করতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই জন্য আরো সময় নিতে চান। ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে চান। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশেরই আশ্রয় নিতে চান। এতে তিনি দুটি ইতিবাচক দিক দেখছেন।

প্রথমত : আদালত এটা নিষিদ্ধ করে দিলে আগামীতে তারা আর কোনো সুবিধা পাবে না। নিষিদ্ধ হিসাবেই থাকবে। অন্য কোনো সরকার আসলেও পুনরায় কাজ করতে পারবে না। এছাড়াও তাদের মতো একটি শক্তিশালী দলকে নিষিদ্ধ করার কাজটি বিচারকরা করলে সরকারের উপর এনিয়ে চাপ তৈরি হবে না। বিচারকরা সেটি করলে এর বিরোধিতাও কেউ করতে পারবে না। ওই দলটি আদালতে লড়াই করার পরও রায় হলে সব দিক মিলিয়ে সেটি ইতিবাচক হবে। সেই সঙ্গে জনমত একটি বড় বিষয়। আর এই জনমত গড়ে তোলার জন্য আদালতে যেই সব জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের রায় দিবে সেখানে কি হয় ওই সব রায় কি আদেশ ও পর্যবেক্ষণ আসে।

এখনও পর্যন্ত সরকার দুটি রায় দেখতে চাইছে এর একটি হচ্ছে জামায়াতের সেক্রেটারির জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায় কি আসে ও জামায়াতের ব্যাপারে কি বলা হয়। এছাড়াও সবচেয়ে বড় অপেক্ষা হচ্ছে জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায় কি হয়। ওই মামলা এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায়ের জন্য অপেক্ষমান। এই পর্যন্ত রায় হওয়ার জন্য তিন দফা সময় থাকলেও শেষ পর্যন্ত রায় হয়নি। রায় না হওয়ায় এখনও আবারও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সরকার দেখতে চাইছে তার মামলায় আদালত কি রায় দেয়। ওই মামলায় জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য কোনো দিক নির্দেশনা দেন কিনা। কারণ গোলম আজমের পর তিনিই জামায়াতের আমির হিসাবে দলটি পরিচালনা করছেন। তার রায়ে এই ধরনের দিক নির্দেশনা থাকতে পারে বলে জানান ওই সূত্র।

আদালতের বিভিন্ন রায়ের মাধ্যমে যখন জামায়াতের বিরুদ্ধে রায় আসবে তখন সরকার চাইলেই রায় অনুযায়ী এই দলটি নিষিদ্ধ করতে পারবে। সরকার সেই সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছে। তবে কত দিন সময় লাগবে এটা আপাতত না জানলেও সরকারের এনিয়ে তাড়াহুড়া নেই। কারণ এখনও সরকারের সামনে সময় রয়েছে আরো সাড়ে চার বছর। ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে দলটিকে নিষিদ্ধকরণের একটি সুযোগ সরকার ব্যবহার করবে। এর কোনটি না হলে সংগঠনটির বিরুদ্ধে আলাদা করে আদালতের মাধ্যমে যে ব্যবস্থা নিয়েছে মামলা বিচারধীন আছে সেটার জন্য অপেক্ষা করবে।



এদিকে সরকারের হাতে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের নীতি নির্ধারকরা যে সুযোগটাকে কাজে লাগানোর জন্য পরামর্শ দিচ্ছে তা হচ্ছে সংবিধান অনুয়ায়ী। সংবিধানে সাংগঠনিক রাজনীতি ব্যাপারে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে পঞ্চদশ সংশোধনী করে। সেটা অনুযায়ী দলটিকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে।



সংবিধানের তৃতীয়ভাগে মৌলিক অধিকারের বিষয়ে আর্টিকেল ৩৮ এ বলা ছিল ‘জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তি সঙ্গত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে সমিতি বা সঙ্ঘ করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে’। সূত্র জানায়, সংবিধানের এই বিধান মতে জামায়াতের সঙ্ঘ করিবার অধিকার রয়েছে। তবে সেই সুযোগ বন্ধ করার জন্য পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এটা করা হয় যে ৩৮ আর্টিকেল মূল অংশ রেখেই এর সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় ‘তবে শর্ত থাকে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সম্পন্ন বা লক্ষ্যানুসারী কোনো সাম্প্রদায়িক সমিতি বা সঙ্ঘ কিংবা অনুরূপ উদ্দেশ্যসম্পন্ন বা লক্ষ্যানুসারী ধর্মীয় নামযুক্ত বা ধর্মভিত্তিক অন্য কোনো সমিতি বা সঙ্ঘ গঠন করিবার বা তাহার সদস্য হইবার বা অন্য কোনো প্রকারে তাহার তৎপরতায় অংশগ্রহণ করিবার অধিকার কোনো ব্যক্তির থাকিবে না।’



সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, সংবিধানের এই বিধান বলে সরকার চাইলে জামায়াত ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে পারে। সরকারের সামনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এই সব সুযোগতো সব সময়ের জন্য। সরকার চাইলে তা যেকোন সময়ে কাজে লাগাতে পারে। তবে সরকার সেটা চাইছে না। সরকার মনে করছে জনগণ কি চায় তা দেখতে, এছাড়াও আদালত কি রায় দেন ও কি দিক নির্দেশনা দেন। সেটা দেখার জন্য সেটা দেখেই ব্যবস্থা নিবে।

জামায়াতের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হচ্ছে এমন কথা বেশ কিছু দিন ধরেই চাউর রয়েছে। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ জামায়াতের অবস্থা এমন যে তাদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা করে ও জোটে নিয়েও কোনো লাভ হবে না। তাদেরকে সাথে নিয়ে সরকারের কিংবা আওয়ামী লীগের গেইনার হওয়ার কিছু নেই। এই কারণে সরকার করবে না। জামায়াতকে বিএনপির রাজনীতিকে দূর্বল করার জন্য নিষিদ্ধ করতে চাইলেও সেটার দরকার হবে না। কারণ বিএনপির এখন যে অবস্থা তাতে করে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে। বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় সুযোগ ছিল ৫ জানুয়রির নির্বাচন। ওই নির্বাচনে তারা অংশ নিলে সুবিধা করতে পারতো। এখন সেটা পারবে না। তারা যতই আন্দোলন করবে সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণের আগে কোনো নির্বাচন দিবে না। সেই হিসাবে এখনও সময় আছে। তড়িগড়ি করে জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে না। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা না বললেই ভাল করতেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

পাগলা বাবু যায় বলেছেন: মাত্র ১০ মি: যেখানে দরকার সেখানে এখনো হছ্ছেনা কেন?
সংসদে একটা বিল আনলেই তো হয়?
সমস্যা কোথায়?
না কি বিষয়টি জিইয়ে রেখ রাজনীতি করার ইচ্ছা?

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

তালপাতারসেপাই বলেছেন: জন সমর্থন দরকার। জনগণ উপলব্ধি করুক জামায়াত নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয়তা। দাবী উঠুক জনতার। নাহলে আবার শুনতে হবে এই দেশে কোন রাজাকার নাই।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আর যে কারণেই হোক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোন জামায়াত নিষিদ্ধ কোনভাবেই করা যাবেনা। মূলধারার সমস্ত মিডিয়া দিনরাত ২৪/৭ জামায়াতের পেছেনে লেগে থাকলেও তারা কখনোই কোন জামায়াত শিবির কর্মীর হাতে রিভলবার এমনকি দেশী অস্ত্রেরও ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে পারেনি। জামায়াতের সহংসতার কারণে কেউ মারা গেছে - এরকম কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণও কারো হাতে নেই। বরং সরকারী দল, তাদের ছাত্র সংগঠন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক সন্ত্রাসের অভিন্ন টার্গেট যেই দল - তার নাম জামায়াত।

কারো ভিন্নমত থাকলে দিতে পারেন।

০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

তালপাতারসেপাই বলেছেন: আপনি মনে হয় কোন খবরই রাখেন না। জেগে ঘুমান? না জমাত শিবিরের লোক?

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
শীর্ষে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভুলুসি
ন্যাশনাল দ্বিতীয় আফগানিস্তানের তালিবান
শিবির বিশ্বে ৩য় সন্ত্রাসী দল
বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস ও তৎপর সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর প্রথম তিনটির একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম উঠে এসেছে শীর্ষ দশ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায়। এতে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভুলুসি ন্যাশনাল ও আফগানিস্তানের তালিবানের পরপরই রয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নাম।-বাংলানিউজ
বিশ্বখ্যাত নিরাপত্তা বিষয়ক থিঙ্কট্যাংক আইএইচএস জেনস গ্লোবাল টেরোরিজম এন্ড ইনসারজেন্সি এটাক ইনডেক্স-২০১৩ সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আইএইচএস জেনসের ‘টপ ১০ মোস্ট একটিভ নন স্টেট আর্মড গ্রুপস ইন ২০১৩’ এর তালিকায় প্রথমেই রয়েছে থাইল্যান্ডের বারিসান রেভুলুসি ন্যাশনালের নাম। দ্বিতীয় অবস্থানে আফগানিস্তানের তালিবান এবং তৃতীয় বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির। শীর্ষ দশ সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় অন্য সন্ত্রাসী দলগুলো হচ্ছে ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, ইরাকের আল কায়েদা, সোমালিয়ার আল শাবাব, কলম্বিয়ার ফার্ক, ফিলিপাইনের নিউ পিপলস আর্মি, সিরিয়ার জাবাত আল নুসরা এবং নেপালের ইউনিফাইড কমিউনিস্ট পার্টি। ২০১৩ সালে সারাবিশ্বে সংঘটিত জঙ্গি ও অ-জঙ্গি-সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী ঘটনা ও সহিংসতার পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রণয়ন করেছে জেনস।
শিবিরের প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে- মূলত বাংলাদেশে ২০১৩ সাল জুড়েই ছিলো শিবিরের তান্ডব। ৭১ এ যুদ্ধাপরাধের সঙ্গেও ছিলো এই শিবিরের সম্পর্ক। সেসময় সংগঠনটি ইসলামী ছাত্রসংঘ নামে স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে। দেশের স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন (বর্তমানে সহযোগী সংগঠন) হিসেবে পরে ইসলামী ছাত্রশিবির নাম নিয়ে এই দলটি বাংলাদেশ জুড়ে সহিংসতার রাজনীতি ছড়িয়েছে।
২০১৩ সালের গোড়ার দিকে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের যুদ্ধাপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে প্রমাণ হওয়ার পর থেকেই সহিংস রূপ দেখাতে শুরু করে শিবির। যুদ্ধাপরাধের রায় ঘোষণা এবং কাদের মোল্লার ফাঁসিকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে প্রতিদিনই তাদের হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ। গত এক বছরে তাদের সহিংস হামলায় নিহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। শিবির পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে, পুলিশের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়ে, গায়ে আগুন জ্বালিয়ে হত্যা করেছে। তালিকা প্রণয়নের সময় আইএইচএস জেনস এ বিষয়গুলোই বিবেচনায় নিয়েছে। বিশ্বে সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক থিংকট্যাংক হিসেবে আইএইচএস জেনস একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। Click This Link

ভিডিও টাও দেখেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.