নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ডুবে যাওয়া দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব থাকলে বাংলাদেশের সাগর এলাকা এখনকার চেয়ে আরো কমে যাওয়ার জোর আশঙ্কা ছিল। কারণ ১৯৪৭ সালের রেডক্লিফের সীমানা রেখা অনুযায়ী দক্ষিণ তালপট্টি এলাকা ভারতের মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলায় ভারত দক্ষিণ তালপট্টিকে ‘দ্বীপ’ বা ভূখণ্ড দাবি করে সীমারেখা টানার ‘বেস পয়েন্ট’ হিসেবে ধরার যুক্তি তুলে ধরে। আদালতের কাছে ওই দাবি গৃহীত হলে বেস পয়েন্টের যুক্তিও গুরুত্ব পেত। ফলে বর্তমান সমুদ্রসীমা রেখা (১৭৭ ডিগ্রি ৩০ মিনিট) বাংলাদেশের আরো ভেতরের দিকে আসত। অর্থাৎ বর্তমানের চেয়ে কম সাগর অঞ্চল পেত বাংলাদেশ। গত সোমবার নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিসি আদালতের রায়ে বাংলাদেশ বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রের মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে। অথচ দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের অর্ধেকও দিতে রাজি ছিল না ভারত। সার্বিক বিচারে আদালতের রায়ে বাংলাদেশ বিশাল জয় পেয়েছে।
আদালতের রায়ের ফলে রায়মঙ্গল নদীর পুরোটাই বাংলাদেশ পেয়েছে। অন্যদিকে হাড়িয়াভাঙ্গা নদী পড়েছে ভারতে। আদালতের রায়ের আগে ভারত পুরো রায়মঙ্গল নদীটিই নিজের দাবি করে আসছিল। তবে সমুদ্র বিশেষজ্ঞ নূর মোহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশ সাগর এলাকার বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতে গেছে। তালপট্টি দ্বীপের মালিকানার বিরোধ নিয়ে যায়নি। তা ছাড়া সমুদ্র আইনের (ল অব দ্য সি) অধীন এই আদালত নদী বা দ্বীপ ভাগাভাগির কাজ করেন না। আদালত রেডক্লিফের সীমান্ত রেখা বরাবর সাগরের সীমানা টানায় ওই নদীগুলো দুই দেশের ভাগে পড়েছে।
এদিকে ডুবে যাওয়া দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ প্রসঙ্গে মামলার প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ওই দ্বীপটি ডুবন্ত অবস্থায় ভাঙনের শিকার হয়ে নিচে ঘোরাঘুরি করছে বা মিশে গেছে। এমন হতে পারে যে দ্বীপটি আবার কোনো এক সময় জেগে উঠবে। তবে সেটি আগের স্থানে নাও হতে পারে।
জানা গেছে, তালপট্টি দ্বীপ যেখানে ছিল, এর ঠিক পাশ দিয়ে সীমানা রেখা টানা হয়েছে। ওখানে দুটি চ্যানেল আছে। একটি অগভীর, অন্যটি গভীর। ভারতের দাবি ছিল, গভীর চ্যানেলটিকে আধাআধি ভাগ করতে হবে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ীও এর যৌক্তিকতা ছিল। তবে আদালত গভীর চ্যানেলটির পুরোটিই বাংলাদেশকে দিয়েছেন, আর অগভীর চ্যানেলটি দিয়েছেন ভারতকে। ওই ভাগাভাগির সময় তালপট্টি ভারতের দিকে গেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, নৌ চলাচলের অধিকার বিবেচনায় গভীর চ্যানেল থেকেও ভারতের কিছু পাওয়ার কথা ছিল। নৌ চলাচলের অধিকার এখন বিশ্বজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন ধারণার পরও গভীর চ্যানেলের পুরোটাই বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে। বাংলাদেশ ১৮০ ডিগ্রি বরাবর সীমানা রেখা চেয়ে ১৭৭ ডিগ্রি ৩০ মিনিট বরাবর পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি ও আলোচনায় এতটা পাওয়ার বিষয়েও সন্দেহ ছিল।
সূত্রগুলো জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা ভাগ হয়েছে ১৯৪৭ সালের রেখা অনুযায়ী। এখানে কারো কিছু করার নেই।
এখানে ভারতও কিছু করতে পারেনি, বাংলাদেশও পারেনি। আদালত ১৯৪৭ সালের ভাগটি নতুন করে বলে দিয়েছেন। ভারতের বিচারক শ্রিনিবাসা রাও অন্য চার বিচারকের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন, এত এলাকা বাংলাদেশের পাওয়ার কথা নয়।
জানা গেছে, গত মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরে আনুষ্ঠানিক বৈঠকেও সমুদ্রসীমার সম্ভাব্য রায়-পরবর্তী বিষয় উঠেছিল। ভারতের দিক থেকে প্রত্যাশা ছিল রায় নিয়ে খুব উচ্ছ্বাস না দেখানোর। এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে বলা হয়েছিল, দীর্ঘদিনের এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান দুই দেশের জনগণেরই বিজয়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, ২০০৮ সালের পর ভারত-বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা নিয়ে চারটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছে। ভারতের দিক থেকে বরাবর বলা হয়েছে, তারা পাঁচটি সীমানা এরই মধ্যে সমাধান করেছে সমদূরত্ব (ইকুয়িডিস্ট্যান্স) পদ্ধতিতে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে ‘প্রভিশনাল ইকুয়িডিস্ট্যান্স’ করে সীমারেখা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তারা সমদূরত্ব পদ্ধতির বাইরে যেতে পারবে না। বাংলাদেশের ন্যায্যতার দাবি ভারত বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০১০ সালে বাংলাদেশ মানচিত্র সংশোধন করে ডুবে যাওয়া দক্ষিণ তালপট্টি নিজের বলে দেখালেও আদালত তা গ্রহণ করেননি। অতীতের নথিপত্রগুলোতেও দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ এলাকা ভারতের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ত এমন প্রমাণ মিলেছে। ১৯৭৬ সালের দিকে ভারত প্রথম দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপকে নিজেদের বলে ব্রিটিশ অ্যাডমিরালটিতে নোটিশ পাঠিয়েছিল।
ভারতের সঙ্গে মামলায় বাংলাদেশের পক্ষের ডেপুটি এজেন্ট ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্রবিষয়ক ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘১৯৪৭ সালের রেডক্লিফের রেখা যেখানে এসে শেষ হয়েছে সেখান থেকেই সমুদ্রসীমা শুরু হয়েছে। আর তা সোজা শুরু হয়েছে। সোজা শুরু হওয়ার কারণে ওই জায়গাটুকু, যার পরিমাণ ১ দশমিক ১৩ বর্গকিলোমিটার, সেটি ভারতের দিকে পড়েছে। সেখানে পানির ওপর কিছুই নেই। মূলত আমাদের দেখতে হবে, আদালত কী দেখেছে। আদালত সেখানে পানি দেখেছে। তারা পানি ভাগ করেছে। দ্বীপ বলে সেখানে কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘এমনকি আদালত যখন সরেজমিন এখানে এসেছিল তখনো আমরা এই তালপট্টিকে দ্বীপ হিসেবে দেখাতে পারিনি। ভারত প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তারা ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে চেষ্টা করেছিল ওই স্থানটিকে দ্বীপ হিসেবে দেখাতে। কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, “ভারত তালপট্টি এলাকাকে দ্বীপ প্রমাণ করে ‘বেস পয়েন্ট’ হিসেবে দেখাতে চেয়েছিল। দ্বীপটি যদি বেস পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যেত, তাহলে সীমানা রেখা আমাদের বর্তমান সীমানার আরো ভেতরে চলে আসত। এর ফলে সীমানা রেখা সোজা যেত না। তাদের দাবিও সে রকম ছিল। আদালত যেহেতু তাদের দাবি মানেনি, সেহেতু তালপট্টি দ্বীপ বলে সেখানে কিছু নেই। থাকলে তো ভারতের দাবি অনুযায়ী সমদূরত্ব পদ্ধতিতে রেখা হতো। সে ক্ষেত্রে আমরা সাগর আরো বেশি হারাতাম।”
মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘প্রথমত, ১৯৪৭ সালের রেডক্লিফের সীমানা সবার জন্য মানার বাধ্যবাধকতা আছে। এখানে আমাদের তেমন কিছুই করার নেই। দ্বিতীয়ত, যেহেতু তালপট্টি দ্বীপটি এখন নেই সেখানে পানি ভাগ হয়েছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, ৫০ বছর পর দ্বীপটি আবার জেগে উঠবে কি না? জেগে উঠলেও আমাদের তেমন কিছু করার থাকবে না। একইভাবে সীমারেখার পূর্ব পাশে যদি কোনো দ্বীপ জেগে ওঠে, যে জায়গা ভারতের দাবির মধ্যে ছিল ও রায়ে বাংলাদেশের মধ্যে পড়েছে, সেখানেও তারা কিছু করতে পারবে না।’
মো. খুরশেদ আলম বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যখন দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয় তখনো ভারতকে বলেছিলাম, আপনারা সাড়ে ১২ হাজার বর্গকিলোমিটার নেন, আমাদের সাড়ে ১২ হাজার বর্গকিলোমিটার দেন। ভারত বলেছে, না, পুরোটাই ছেড়ে দিতে হবে। সেখানে মামলার রায়ে ৭৫ শতাংশ আমাদের দখলে আসাকে আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য বিরাট অর্জন।’
না জেনেই তালপট্টি নিয়ে এত আলোচনা : সমুদ্র আইন বিশেষজ্ঞ এবং সমুদ্র অঞ্চল ও সীমানা রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ যা রায় পেয়েছে তা সন্তোষজনক। তিনি বলেন, ‘তালপট্টি নিয়ে যাঁরা কথা বলেন, তাঁদের কাছে আমি জানতে চাই এর ভৌগোলিক অবস্থান তাঁরা জানেন কি না। তাঁরা এর উত্তর দিতে পারেন না। তালপট্টি আদৌ দ্বীপ ছিল কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ দ্বীপ হতে হলে জোয়ার ও ভাটা উভয় সময়েই সেটিকে ভেসে থাকতে হয়। শুকনো ভূখণ্ড ও ব্যবহার উপযোগী থাকতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘তালপট্টির যৌথ (বাংলাদেশ ও ভারত মিলে) জরিপ হয়নি। গোপনে জরিপ হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ৩০ বছর ধরে তালপট্টির কথা বলা হলেও এ দেশের কোনো মানচিত্রে এটি ছিল না। ১৯৭০ সালের আগেও তালপট্টি দ্বীপ ছিল না। এখনো বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। এটি এখন কেবলই স্মৃতি।’
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: এক কাম কর, তোমার বাবাবরে কও তোমারে যখন জন্ম দিচ্ছিল তখন তোমার মায়ের শুধু সামনের দিকে না, পিছনের দিকেও রসে ভাসাইয়া দিতে .. তাইলে তোমার ভাই বোন বেরে যাবে।
শালার বেজন্মা পাকিদালাল এর গর্ভস্রাব কাহিকা!
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
কলাবাগান১ বলেছেন: সবচেয়ে ভালো লেগেছে কলকতার পত্রিকা দি টেলিগ্রাফের 'আহাজারি'
তাদের হেডলাইন:
Gone: sea larger than Bengal
UN tribunal awards Dhaka marine chunk
"India insisted that only the area just south of Bangladesh and Bengal ought to be considered while demarcating the maritime boundary. This area amounted to 172,220sqkm — just under twice Bengal’s area of 88,752sqkm.
But Bangladesh demanded that parts of the sea close to the Odisha and Andhra Pradesh border, too, must be considered as disputed territory.
The UN bench not only agreed to Bangladesh’s demand but added even more area, defining the disputed region as a whopping 406,833sqkm — around the combined area of Uttar Pradesh, Bengal and Assam.
This definition extended the dispute to coastal waters running all the way down Odisha’s coast till Sandy Point near Vishakhapatnam in Andhra Pradesh. Rao dissented, but was outvoted 4-to-1, the verdict report shows.
India then won a small battle against Bangladesh in the hearings — convincing the bench to accept a point on the map in the shallow seas just south of the Sunderbans that New Delhi insisted should mark the start of the boundary delineation. This victory allowed India to win a tiny island known as New Moore or South Talpatti that some satellite images suggest may have drowned in recent years.
But New Delhi soon lost a bigger battle, over the geographic method the arbitration court would use to mark out the boundary."
Click This Link
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
াহো বলেছেন:
সমুদ্রসীমা---বিবিসি বাংলা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স
বাংলাদেশরে জয় বলেছে
প্রায় অস্তিত্ববিহীন ওই দ্বীপটির অধিকার পেলেও সমুদ্রসীমা বা সাগরে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন নির্ধারণে তা তাদের খুব একটা সুবিধা করেছে বলে ভারত প্রাথমিকভাবে মনে করছে না
বিবিসি বাংলা
(Reuters) - A U.N. tribunal has awarded Bangladesh nearly four-fifths of an area sprawling over 25,000 sq km (9,700 sq miles) in the Bay of Bengal, ending a dispute over a sea border with India that has ruffled ties between the neighbours for more than three decades.
The verdict, binding on both countries, opens the way for Bangladesh to explore for oil and gas in the Bay of Bengal, the site of important energy reserves.
Link 1. Click This Link
Link2
Click This Link
==============================
Fazlul Bari
6 hours ago · Edited
সমুদ্র সীমা নিয়ে বিচার হয়েছে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে। সেই আদালতের কোড অব কন্ট্রাক্ট হচ্ছে উভয় পক্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। এসব জেনেশুনেই বাংলাদেশ সেখানে গিয়েছিল। অনেক টাকা খরচ করে নিয়োগ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বেশ কিছু কোসুলি। এ নিয়ে অন্য কোথাও আপীল করার সুযোগ নেই। ওই বিচারক প্যানেলে আবার ভারতীয় এক বিচারক ছিলেন! কোর্ট বাংলাদেশকে যতটা দিয়েছে ওই বিচারক তাতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে রায়ে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন! যেন আরও বেশি এলাকা দেয়া উচিত ছিল ভারতকে! এখন ওই বিচারক নোট অব ডিসেন্ট দিলেও কিন্তু আদালতের সিদ্ধান্ত বদলাবেনা! বাংলাদেশ বা ভারত কোন যদি এখন এই রায় না মানে তাহলে রায়টি শুধু অকার্যকর না, যে পক্ষ মানবেনা সে পক্ষকে বড় জরিমানা সহ নানা ব্যবস্থার সুপারিশ করতে পারে।
এখন বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে যেন সরকারই ইচ্ছে করে ভারতকে সব দিয়ে এসেছে! সমুদ্র সীমা বিরোধ মীমাংসার পথ আছে দুটি। এক। কোর্টে যাওয়া, দুই। যুদ্ধ করে আদায় করা! যুদ্ধ করবেন না বা পারবেন না বলেইতো কোর্টে যাওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ ২০০৭ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা বিএনপি এ নিয়ে যুদ্ধ করলোনা, কিন্তু কোর্টেও গেলোনা কেনো? ভারত বিরোধী রাজনীতির তাসটি বাঁচিয়ে রাখার জন্যে? বাংলাদেশ যখন কোর্টে গেলো তখনও তারা কোর্টটির কোড অব কন্ডাক্ট ভালো করে পড়েনি? না সেটি ইংরেজিতে লিখা থাকায় পড়তে পারেনি? বা এতদিন একবারও কেন বললেন না, এ কোর্টে যাওয়া একদম উচিত হয়নি বাংলাদেশের! দক্ষিন তালপট্টি নিয়ে সমস্যার সূত্রপাতের দিনগুলোতেতো বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায়। সারাদিন শুধু শাঁখা-সিঁদুর, উলুধবনি, মসজিদ সব মন্দির হয়ে যাওয়া রাজনীতি করতে পারেন, তালপট্টি নিয়ে তারা কী কোন দিন যুদ্ধ করেছেন? না যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন? না এখন বলবেন আগামিতে ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধ করে উদ্ধার করবেন তালপট্টি! যুদ্ধেও ডর লাগে, কোর্টের রায়েও অনাসক্তি, আবার ভারতীয় মোদীর বিজয়ে কাপড় তুলে লাফান, সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমার সঙ্গে দেখা পেতে ছুটে যান তার হোটেলে, এমন সবদিক গুলাইয়া ফেলার রাজনীতি আর কতো? কবে আমরা একমত একসঙ্গে হতে পারবো জাতীয় ইস্যুতে?
===========================
ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও ভিন্নমত
হেগ-এর পাঁচ বিচারক সমন্বয়ে গঠিত স্থায়ী সালিশ আদালতের অন্যতম সদস্য ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও কয়েকটি ক্ষেত্রে অপর চার বিচারকের সঙ্গে ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) পোষণ করেন। তবে ড. রাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে একমত হন। একমত হওয়া বিষয়গুলো হচ্ছে সালিশ আদালতের এখতিয়ার, মামলার যুক্তি ও কোন উপায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। আর তিনি একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ, মহীসোপানের বিস্তৃতি সুনির্দিষ্টকরণ ও সীমানা নির্ধারণ রেখা টানার পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। বঙ্গোপসাগর ও ভূমির মূলবিন্দু থেকে সমুদ্রের দিকে ১৮০ ডিগ্রি বরাবর রেখা টানতে বাংলাদেশের দাবির বিপরীতে চার বিচারক ১৭৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী বরাবর রেখা টানার সিদ্ধান্ত দেন। অন্যদিকে ড. রাও এর বিরোধিতা করেন। আদালতের অন্য বিচারকরা ছিলেন জার্মানির রুডিজার উলফ্রাম (প্রেসিডেন্ট), ফ্রান্সের জঁ পিরেরে কট, ঘানার টমাস এ মেনশা ও অষ্ট্রেলিয়ার আইভান শিয়াবার।
Ittefaq
====================================
সমুদ্রে বিলীন দক্ষিণ তালপট্টি ভারতের
১৯৭০-এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পর সৃষ্ট বংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমায় অবস্থিত দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ১৯৮৫ সালের উড়িরচর ঘূর্ণিঝড়ের পরই সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। অস্তিত্ব না থাকলেও বহুল আলোচিত তালপট্টি দ্বীপ এলাকাটি এই রায়ের ফলে ভারতের মধ্যে পড়েছে। ১৯৮০ সালের পর প্রণীত প্রতিটি মানচিত্রে তালপট্টিকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে রাখা হয়নি। ১৯৪৭ সালে রেডক্লিড প্রণীত সীমানা মানচিত্রেও এই দ্বীপটি বাংলাদেশের মধ্যে ছিল না। Ittefaq
অধিকাংশ গ্যাস ব্লক
বাংলাদেশের
বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ২৮টি গ্যাস ব্লকের মধ্যে অধিকাংশই এখন বাংলাদেশের। ২০১২ সালের রায়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের মধ্যে ১১টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবগুলোই বাংলাদেশ পেয়েছে। আর একটি ব্লক আগে থেকেই বাংলাদেশের ছিল। Ittefaq
Source
Ittefaq
Click This Link
===========================
তালপট্টির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার। আর রেডক্লিফের কল্যাণেই এর চেয়ে কয়েক গুণ বড় গোটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীটা পেয়েছি। এই নদী ভারত ব্যবহার করত। সেটা এখন তারা পারবে না।
prothom -alo
Click This Link
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০০
াহো বলেছেন:
তালপট্টির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার।
আর রেডক্লিফের কল্যাণেই এর চেয়ে কয়েক গুণ বড় গোটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীটা পেয়েছি। এই নদী ভারত ব্যবহার করত। সেটা এখন তারা পারবে না।
গত বছরের অক্টোবরে বিচারকেরা তালপট্টি শনাক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ভারত এটা দেখানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। সুতরাং, রায়ে এটাকে শুধুই পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালের রেডক্লিফের যে রোয়েদাদ, তার মূল পাঠ্য ও মানচিত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের তেমন হাত ছিল না। আদালত বলেছেন, রেডক্লিফ ১৯৪৭ সালে যে লাইন ড্র করে দিয়ে গেছেন, সেটাই সীমান্ত।
যদি তালপট্টি আমাদেরই হবে, তাহলে আমাদের ম্যাপে তা দেখালাম না কেন? ২০০৯ সাল পর্যন্ত যত ম্যাপ ছাপা হয়েছে, তাতে তা দেখানো হয়নি।
Click This Link
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০০
াহো বলেছেন:
তালপট্টির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার।
আর রেডক্লিফের কল্যাণেই এর চেয়ে কয়েক গুণ বড় গোটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীটা পেয়েছি। এই নদী ভারত ব্যবহার করত। সেটা এখন তারা পারবে না।
গত বছরের অক্টোবরে বিচারকেরা তালপট্টি শনাক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ভারত এটা দেখানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। সুতরাং, রায়ে এটাকে শুধুই পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ১৯৪৭ সালের রেডক্লিফের যে রোয়েদাদ, তার মূল পাঠ্য ও মানচিত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের তেমন হাত ছিল না। আদালত বলেছেন, রেডক্লিফ ১৯৪৭ সালে যে লাইন ড্র করে দিয়ে গেছেন, সেটাই সীমান্ত।
যদি তালপট্টি আমাদেরই হবে, তাহলে আমাদের ম্যাপে তা দেখালাম না কেন? ২০০৯ সাল পর্যন্ত যত ম্যাপ ছাপা হয়েছে, তাতে তা দেখানো হয়নি।
Click This Link
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: তালপট্টির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার।
আর রেডক্লিফের কল্যাণেই এর চেয়ে কয়েক গুণ বড় গোটা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীটা পেয়েছি। এই নদী ভারত ব্যবহার করত। সেটা এখন তারা পারবে না।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
সোহানী বলেছেন: ইসপাত কঠিন বলেছেন: চলেন এক কাম করি। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ডুবায় দেই। সমুদ্র আরো বেড়ে যাবে.............
১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
তালপাতারসেপাই বলেছেন: এক কাম কর, তোমার বাবাবরে কও তোমারে যখন জন্ম দিচ্ছিল তখন তোমার মায়ের শুধু সামনের দিকে না, পিছনের দিকেও রসে ভাসাইয়া দিতে .. তাইলে তোমার ভাই বোন বেরে যাবে।
শালার বেজন্মা পাকিদালাল এর গর্ভস্রাব কাহিকার চামচা!
৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
তালপাতারসেপাই বলেছেন:
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনপশ্চিমবঙ্গের আয়তনের চেয়েও বড় সমুদ্র অঞ্চল পেয়েছে বাংলাদেশ
৮| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
নবীউল করিম বলেছেন: ছোট বেলায় আমাদের প্রতিবেশী এক বিহারী ছেলে রাস্তার একটা কুত্তা কে ধরে লেজে ঝাড়বাতি বেঁধে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলো!আতংকে সেই নিরীহ কুত্তার কালীবাড়ি সড়ক দিয়ে দিগ্বিদিক দৌড় দেখে সেদিন অনেকেই প্রচন্ড আমোদে হেসেছিল!
আজকের দিনে এই দেশের ভারতীয় দালাল গুলাকে ঐ রকম পুটকির মধ্যে পটকা ঢুকিয়ে আগুন লাগিয়ে তামাশা দেখার ভীষণ ইচ্ছা করছে?
সমূদ্রসীমা রায়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারানো বিষয়ে যাদের এখনো সন্দেহ আছে, তারা গুগল আর্থের এই ছবিটি খেয়াল করুন। চেয়ে দেখুন তো এখানে তালপট্টি দ্বীপ দেখা যাচ্ছে কী না? এমন কী রায়ের কপিতে দেখানো ম্যাপেও দক্ষিণ তালপট্টির অস্তিত্ব দৃশ্যমান। [১] অথর্চ কিছু গো-গর্ধব কিছুক্ষণ পরপরই দৈনিক ভারতে আলো পত্রিকার একটা রিপোর্ট এনে কপিপেস্ট করে বলতে চাইছে তালপট্টি দ্বীপটি আর নেই! ওকে ফাইন, তালপট্টি নেই। কিন্তু ট্রাইবুনালের রায়ের কারণে বাংলাদেশের সাথে ভারতের স্থল সীমা পূন:নির্ধারণ করতে গিয়ে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ-পশ্চিম সীমানা প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে সরে এসেছে। এর ফলে বাংলাদেশ তার স্ট্রাটেজিক রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ন দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের ওপর অধিকার হারিয়েছে। এটাকেও কী আপনাদের কাছে বিজয় মনে হচ্ছে? এটাকে যদি আপনার কাছে বিজয় বলে মনে হয় তাহলে আপনাকে সবিনয়ে জিজ্ঞেস করতে হয়, "ভাইজান আপনি কোন দেশের নাগরিক? আর কোন দেশের দালাল?"
বাংলাদেশ তার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানার রেফারেন্স হিসেবে দাবীটি সঠিক ভাবেই উপস্থাপন করেছিলো। তবে এই ক্ষেত্রে তারা যে ম্যাপটি ব্যবহার করেছিলো সেটি ছিলো ১৮৮০ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে জরিপের ভিত্তিতে তৈরী বৃটিশ এডমিরাল চার্ট। [২] বাংলাদেশ একটি ভুল তথ্য দিয়েছিলো যে এইটি ১৯৩৩ সালে তৈরী। এই ভুল তথ্যের কারণে এবং ম্যাপটি ১৯৪৭ সালের অনেক আগে তৈরী হওয়ায় ট্রাইবুনাল এই ম্যাপটির বদলে ১৯৪৭ এর কাছাকাছি সময়ের কোন মানচিত্র বা এরিয়াল ফটোগ্রাফ চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ একটু খোঁজ খবর করলেই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী টপোমানচিত্র সরবরাহ করতে পারতো। [৩] সেই টপোমানচিত্রে স্পষ্টভাবে দেখানো আছে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিন-পশ্চিম সীমানা হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় মধ্যপ্রবাহ; কোনভাবেই রায়মঙ্গল নদীর মধ্যপ্রবাহ নয়।
--------------------
১/ Click This Link
২/ Click This Link
৩/ Click This Link).jpg
এক গো-গর্ধব দেখলাম আমার দেয়া টপোমানচিত্র নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে! তার জন্য ঐ টপোশিটটির পুরোটা আপলোড করে দিলাম।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
ইসপাত কঠিন বলেছেন: চলেন এক কাম করি। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ডুবায় দেই। সমুদ্র আরো বেড়ে যাবে।