নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে সুচিত্রার পৈত্রিক বাড়ি জামায়াতমুক্ত হলো

১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪



সুপ্রীমকোর্ট নির্দেশে পাবনা শহরের সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি থেকে প্রায় তিন যুগ পর জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইমাম গাজ্জালী ইন্সস্টিটিউট উচ্ছেদ করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন।

পাবনার জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশানুযায়ী গতকাল বুধবার সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি থেকে ইমাম গাজ্জালী ইন্সস্টিটিউট অপসারণ করে বাড়িটির বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেন ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর পাবনা থেকে কলকাতা চলে যান। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে সুচিত্রার বাবা পাবনা পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর করুণাময় দাশগুপ্ত পাবনা থেকে কলকাতা চলে যান। তখন সুচিত্রার নাম ছিল কৃষ্ণা গুপ্তা। পরে সিনেমায় তাঁর নামকরণ করা হয় সুচিত্রা। এর পর থেকে বাড়িটি ছিল পাবনা জেলা প্রশাসনের অধীনে। বাড়িটি ব্যবহার হতো ম্যাজিস্ট্রেটদের কোয়ার্টার হিসেবে।

১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বাড়িটি জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত ইমাম গাজ্জালী ট্রাস্টকে স্বল্প মেয়াদী লিজ প্রদান করা হয়। জামায়াতে ইসলামী বাড়িটিতে ইমাম গাজ্জালী ইন্সটিউট চালু করে। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে পাবনা জেলা প্রশাসন বাড়িটির লিজ বাতিল করে। জামায়াত নেতা ইমাম গাজ্জালি ট্রাস্টের সেক্রেটারি আবিদ হাসান দুলাল জানান, আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই আমরা গতকাল স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি।

বাড়িটি মুক্ত করার জন্য গত ১০ বছর ধরে পাবনার সকল স্তরের মানুষ আন্দোলন করছিল। সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এবং সুধীজন কর্তৃক গঠিত হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি পরিষদ। বাড়িটি দখলমুক্ত করে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের দাবি করে আসছে। সুপ্রীমকোর্ট বাড়িটি দখলমুক্ত করে সেখানে সুচিত্রা সেনের স্মৃতির উদ্দেশে সংরক্ষণ কেন্দ্র করার নির্দেশ দেয়।

এর আগেও আদালত বাড়িটি থেকে স্কুল সরানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু জামায়াতের ওই সংগঠনটি রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করে। উল্লেখ্য, জামায়াত নেতা বর্তমানে মানবতাবিরোধী আদালতে বিচারাধীন আসামি মাওলানা আব্দুস সুবহান ইমাম গাজ্জালী ইন্সস্টিটিউটের সভাপতি এবং ইমাম গাজ্জালী ট্রাস্টের সভাপতি।

সুচিত্রা সেন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা.রামদুলাল ভৌমিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আদালতের রায় বাস্তবায়ন হওয়ায় পাবনাবাসীর অনেক দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলো। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী গণেশ দাস বলেন, সুচিত্রা সেন আমাদের গর্ব, তাঁর পৈত্রিক বাড়িটি মুক্ত হওয়ায় আমরা খুশি।

জানা গেছে, সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় বাড়িটিতে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। সুত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: প্রশাসন খুব সওয়াবের কাজ করেছে। এই রমজান মাসে একটা ইসলামী আদর্শিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে সেখানে তালা ঝুলিয়ে।

কিন্তু প্রশ্ন হল, এই উচ্ছেদের কারণ কি? সুচিত্রা সেন বা তার নাতি পুতিরা কি সরকারের কাছে কোন আবেদন করেছিল এই বাড়ি তাদেরকে ফিরিয়ে দেবার জন্য? আমি তো জানি, সুচিত্রার কোন আত্মীয় নাকি বলেছিল, আদর্শ মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার হবার জন্য তারা এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে গর্ব করে।

আর যেই জামায়াতের ট্যাগ দিয়ে এভাবে একজন ইসলামী দার্শনিক ব্যক্তিত্বের অবমাননা করা হল, তাদের কি কোন অধিকার নেই এদেশে কোন স্কুল খোলার? তাহলে সেরকম কোন আইন করা হোক। এত কষ্টে গড়ে তোলা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন ভুয়া আবেগের বশবর্তী হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে?

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

বর্ণহীণ বলেছেন: ভালো খবর।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের সময় সুচিত্রা সেনের বাড়িটি লিজ দেওয়া হয়। এরশাদ সরকার বহু অপকর্মের হোতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.