নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিকস নিয়ে পশ্চিমাদের যত ভয়

১৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১২



বর্তমানে উদীয়মান অর্থনীতিগুলো, বিশেষ করে ব্রিকস দেশগুলোর উত্থান বিশ্বব্যাপী আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এসব দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি গড়ের চেয়ে অনেক বেশি, উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্বিগুণ। গত এক দশকে বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে ব্রিকস দেশগুলোর অবদান ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রবৃদ্ধির ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলো এবং উন্নত দেশগুলো পারস্পরিকভাবে সহাবস্থান করতে পারে কীভাবে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এর উত্তর একবিংশ শতাব্দীর বিশ্ববিন্যাস পুনর্গঠনের সঙ্গে যুক্ত।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ষষ্ঠ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এই সম্মেলনের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল 'ইনক্লুসিভ গ্রোথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল সল্যুসান'। সম্মেলন আয়োজন করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ডিলমা রাউসেফ। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা ব্রিকস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা নিয়ে মতবিনিময় করেন। শীর্ষ বৈঠকের পর ফরতালেজা সর্বজনীন ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০৯ সালের জুনে অনুষ্ঠিত প্রথম শীর্ষ বৈঠক থেকেই ব্রিকস কার্যসাধন পদ্ধতি বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ব্রিকস উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও ব্রিকস দেশগুলোর আপদকালীন তহবিল সংকট মোকাবেলার জন্য আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তথা রিজার্ভ ফান্ড গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। চলমান উন্নয়নে সাড়া দেওয়া এবং ব্রিকস দেশগুলোকে শক্তিশালীকরণ দৃষ্টে কতিপয় পশ্চিমা গণমাধ্যম উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে। তাদের মন্তব্য দৃষ্টে মনে হচ্ছে_ তারা মনে করছে যে, ব্রিকসের উত্থানের ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর অবনমন ঘটবে। তারা মনে করে, ব্রিকস দেশগুলোকে আরও দায়দায়িত্ব নেওয়া উচিত। এসব দেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা ও প্রভাব বৃদ্ধির কারণে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের স্বার্থহানি ঘটবে, এই আশঙ্কায় ব্রিকসের উত্থান নিয়ে রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিয়েছে।

ব্রিকস দেশগুলো আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক বিন্যাস পরিবর্তন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী করার কথা বলছে। জি-২০-এর মাধ্যমে ব্রিকস দেশগুলোসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণের মাধ্যমে আংশিকভাবে অর্থনৈতিক প্রাণশক্তি নিশ্চিত করেছে। তবে জি-২০-এর নেতারা ইতিপূর্বে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থায় (আইএমএফ) উন্নয়নশীল দেশগুলোর হিস্যা কমপক্ষে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও তাদের ভোটাধিকার কমপক্ষে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার ব্যাপারে সম্মত হলেও এখনও পর্যন্ত সে অঙ্গীকার পূরণ করা হয়নি।

পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বে তাদের প্রাধান্যপূর্ণ অবস্থান অব্যাহত রাখার জন্য ব্রিকস দেশগুলোকে বাদ দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির নতুন আইন-কানুন কার্যকর করার চেষ্টা করছে। পশ্চিমা দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নেতৃত্বাধীন 'আন্তঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি' (টিটিপি) ও 'আন্তঃআটলান্টিক বাণিজ্য' এবং 'বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব চুক্তি'র (টিটিআইপি) মতো দুটি ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই দুটি সংস্থায় ব্রিকস দেশগুলোর কোনো অংশগ্রহণ নেই।

তা সত্ত্বেও ব্রিকস সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক নানা বিষয়ে অধিকতর সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও দায়দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে। বৈশ্বিক পরিচালন পদ্ধতিতে ব্রিকস এখন নতুন শক্তি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে জি-৭ দেশগুলোর তুলনায় ব্রিকস দেশগুলোর ৬ গুণ বেশি লোকবল কর্মরত রয়েছে। এতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ব্রিকস বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার রক্ষক, একই সঙ্গে তারা বৈশ্বিক পরিচালন প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক শক্তিও।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.