নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঙ্গা হিযবুত তাহ্‌রীর

২০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

০ ঈদের পরে মাঠে নামার প্রস্তুতি

০ অধিকাংশ হিযবুত কর্মী একই সঙ্গে শিবির কর্মী

০ বিএনপির অনেক বিশিষ্টজনের সন্তানরাও হিযবুত সদস্য



নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীর আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ব্যাপকাকারে তৎপরতা শুরু করেছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে। রাজশাহী ও টাঙ্গাইলেও সীমিত পরিসরে তাদের তৎপরতা আছে। সারাদেশ থেকে গ্রেফতারকৃত ৩ শতাধিক হিযবুত তাহরীর সদস্যের মধ্যে ২ শতাধিক জামিনে মুক্ত। সক্রিয় হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠচক্রগুলো।

যেসব জেলায় জামায়াত-শিবিরের প্রভাব বেশি সেসব জায়গায় হিযবুত তাহরীর বেশি সক্রিয়। সংগঠনটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে জামায়াত-শিবিরের হাতে। তাদের প্রত্যক্ষ মদদেই ঈদের পরে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংগঠনটি। ইংরেজী মাধ্যমের স্কুল ও কলেজ শাখায় কার্যক্রম কমিয়ে দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজগুলোতে জোরালো কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের টার্গেট রাজনীতিবিদদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানরা। সম্প্রতি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হিযবুত তাহরীরের যে ১০ সদস্য মুক্তি পেয়েছে তার ৭ জনই শিবির সদস্য।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছর ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হিযবুত তাহরীরের শতাধিক সদস্য গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন ছাত্রশিবিরের সদস্য। এর মধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেতের বটতলা থেকে ৮ জন গ্রেফতার হয়। পরদিন রাজধানীর কলাবাগান থেকে লিফলেট বিলির সময় হিযবুত তাহরীর সদস্য সোহান হাফিজ (৩২) গ্রেফতার হয়। ঈদের পর মাঠে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে হিযবুত তাহরীর। নেপথ্যে সহায়তা করছে জামায়াত-শিবির। হিযবুত তাহরীর সৃষ্টির পর থেকেই জামায়াত-শিবির নানাভাবে সহায়তা করে আসছে তাদের। ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম মাওলা, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে পরিচালিত এনজিও এ্যাকশন এইডের পলিসি এ্যানালিস্ট শেখ তৌফিক, (বর্তমানে বনানীর বেসরকারী নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, কাজী মোরশেদুল হক, প্রিন্সিপাল মাওলানা মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক মুস্তফা মিনহাজসহ ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়।

সংগঠনটিকে ছাত্রশিবির তাদের নিজস্ব ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাঁটাবন মোড়ের খায়রুন্নেসা ভবনে কেন্দ্রীয় অফিস খোলার জন্য জায়গা দেয়। পরবর্তীতে জামায়াতের সহায়তায় পুরানা পল্টনের ৫৫/এ এএইচএম সিদ্দিক ম্যানসনের পঞ্চম তলায় হিযবুত তাহরীর প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৩ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রীতিমতো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করে জঙ্গী সংগঠনটি।

এক বছরের মধ্যেই সংগঠনের জঙ্গীবাদী তৎপরতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। সংগঠনটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারের বিভিন্ন তরফ থেকে জানানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বিশ্বেও ৫৩টি দেশে হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ। ২০০৮ সালে পাকিস্তানে দলটি নিষিদ্ধ হয়। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২৪ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। নিষিদ্ধ হওয়ার পর সিলেট বিভাগের ৪টি জেলায় অভিযানে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জঙ্গীবাদী আলামত উদ্ধার হয়েছিল। গ্রেফতার হয় হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, অর্থ উপদেষ্টা কাজী মোরশেদুল হকসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই জামিনে। হিযবুত তাহরীর সদস্যদের শিবির সদস্য বলে আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে জামিন করিয়ে নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া ১০ জনের সাতজনই ছাত্র শিবিরের। প্রায়ই একই সঙ্গে ছাত্রশিবিরের ১২৭ নেতাকর্মী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। জামিন নিয়ে তারা লাপাত্তা।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে হিযবুত তাহরীর ব্যাপক সক্রিয়। এসব প্রতিষ্ঠানে হিযবুত তাহরীরের কমিটি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠচক্রের আড়ালে সক্রিয় রয়েছে তারা।

হিযবুত তাহরীরের অন্যতম টার্গেট রাজনীতিবিদদের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান। অনেক আগে থেকেই এমন টার্গেট নিয়ে কাজ করছে হিযবুত তাহরীর। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান সোহেলের ছেলে রিসাদ খান ফয়সালসহ দুইজন গ্রেফতার হওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। মোহাম্মদপুর থেকে হিযবুত তাহরীরের পোস্টার লাগানোর সময় ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছিল রিসাদকে। সে এ লেবেল পাস। গ্রেফতারকৃত অপরজন ফয়সাল ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমাধারী।

হিযবুত তাহরীর টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ ও সীমান্ত হত্যা নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে। তাদের সেøাগানে নানাভাবেই সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দলের অর্থের যোগান আসছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন এনজিও থেকে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জামায়াতের হাতে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন এনজিও হিযবুত তাহরীরকে অর্থ সহায়তা করছে। তবে সিংহভাগ অর্থের যোগান আসছে জামায়াত থেকে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, হিযবুত তাহরীর এখন পুরোপুরি জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করছে। জেএমবির মতো হিযবুত তাহরীরকে টিকিয়ে রাখতে জামায়াত নেতাদের হিযবুত তাহরীরের নেতা করারও প্রক্রিয়া চলছে। হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতার প্রায় সবাই জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। হিযবুত তাহরীরকে আগলে রেখে শিবির তাদের দিয়ে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে হিযবুতও বেকায়দায় রয়েছে। তারা শিবিরের লেবাসে চলাফেরা করছে। শিবির নেতারা বিষয়টি জানেন। শিবিরের দলীয় নির্দেশ না মানলে তাদের গ্রেফতার করিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। হিযবুত তাহরীরের মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি শিবিরের নিয়ন্ত্রণে। ছাত্রশিবিরের অনেক নেতাকর্মীকে কৌশলে হিযবুত তাহরীরের নেতা করে রাখা হয়েছে দলীয় নির্দেশে।

সূত্র বলছে, হিযবুত তাহরীর ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে কাজ করছে। তারা সিøপার সেল ও কাটআউট পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম ব্লগার ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভন খুনের পর এবং বুয়েটের ছাত্রলীগ নেতা আরিফ রায়হান দীপ খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের তথ্যমতে জঙ্গী সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের নাম প্রকাশ পায়। সংগঠনের সদস্যরা হিযবুত তাহরীরের সদস্য বলে জানা গেছে। বুয়েটের নজরুল ইসলাম হলের যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরিফ রায়হান দীপকে হত্যাকারী বুয়েট ছাত্র মেজবাহ উদ্দিনও গ্রেফতার হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। সে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।

হিযবুত তাহরীরকে নানাভাবে সহায়তা করার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম জনকণ্ঠকে বলেন, জামায়াত-শিবির আর্দশিকভাবেই কোন নিষিদ্ধ সংগঠনকে সহায়তা করে না। এমন অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। জামায়াত-শিবিরকে হেয় করতেই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। হিযবুত তাহরীরের ওপর তাদের কোন প্রভাব নেই। নিষিদ্ধ সংগঠনকে জামায়াত সহযোগিতা করে না।

পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার জনকণ্ঠকে বলেন, নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম গভীরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে। নিষিদ্ধ সংগঠনটিকে নানাভাবে সহায়তাকারীদের ওপর নজরদারি চলছে। অন্যকোন সংগঠনের সঙ্গে মিশে যাতে নিষিদ্ধ সংগঠনটি কোন প্রকার অপতৎপরতা চালাতে না পারে এজন্য কড়া নির্দেশনা দেয়া আছে।

সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: জঙ্গি গিরি কইরা ইসলামের কোন উপকার হবেনা। ছাগল গুলা ইসলামের উপকার করে। আরে ব্যাটা আগে নিজারা নিজেগোর উপকার কর X( X( X( X( X( X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.