নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭২ সালের সংবিধানে বাঙালী জাতীয়তার উল্লেখ ছিল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪



বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তাঁর সুপুত্র তারেক-কোকো, গলাবাজ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও অন্যরা যখন গোয়েবল্সের মতো চিৎকার করে বলেন যে, আমাদের জাতীয়তা নাকি ‘বাংলাদেশী’ তখন জনমনে প্রশ্ন জাগে, আসলে কি তাই? তাহলে আমরা যে বাঙালী, এটি আমাদের কী পরিচয়? বাপ-দাদা ও শিক্ষকগণের কাছে তাহলে এতদিন আমরা কি ভুল শিখেছি? মন তখন সান্ত¡না পেতে চায় এই ভেবে যে, প্রকৃতপক্ষে এঁদের এই বক্তব্য শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছু নয়। এই বিভ্রান্তি শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান, যাঁর খ্যাতি রয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা জানার পরও ‘গৌ এহেড’ বলার জন্য।

১৯৭২ সালের সংবিধানে বাঙালী জাতীয়তার উল্লেখ ছিল। ১৯৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়া প্রাণান্তকর চেষ্টা করে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী আনেন আর তার মাধ্যমে আমাদের ‘বাঙ্গালী’ জাতীয়তাকে সংবিধান থেকে মুছে পাঠিয়ে দেন হিমাগারে। বত্রিশ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত আদর্শ ‘বাঙালী জাতীয়তাবাদ’কে আবারও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠা দেয়ার মাধ্যমে মূলত বাঙালীদের মনের দাবিটিই পূরণ করেছেন।

জাতীয় সংসদে ২০১১ সালের ৩ জুলাই বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী পাস হয়েছে। বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবিধানের এ সংশোধনী আনেন। সংশোধনীর পর ৬(২) অনুচ্ছেদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।” বিএনপি নেতৃবৃন্দের উল্লিখিত অপপ্রচারের প্রেক্ষিতে সংবিধানের এই বক্তব্য মূল্যায়নের দাবিদার।

প্রত্যেক রাষ্ট্রের সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। ৭(২) অনুচ্ছেদ মোতাবেক বাংলাদেশের সংবিধানও তাই। কাজেই যখন বিএনপির গোয়েবল্সরা এর বিরুদ্ধে কিছু প্রচার করেন তখন তা সংবিধান তথা সর্বোচ্চ আইন-পরিপন্থী হয়ে যায়।

বর্তমান সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদে এদেশের জনগণকে দুই পরিচয়ে পরিচিত করানো হয়েছে, জাতি হিসেবে ‘বাঙালী’ এবং নাগরিক হিসেবে ‘বাংলাদেশী’। প্রথম পরিচয়টি নিয়ে একটু পরে বলি। দ্বিতীয় পরিচয়টি ‘নাগরিক’ এবং এটি যথার্থ। বাংলাদেশে অবস্থানরত, বিদেশীরা ব্যতীত, এদেশের সকল মানুষই এদেশের নাগরিক, বাংলাদেশী।

নাগরিকত্ব হলো রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের মানুষের আইনগত সম্পর্ক। এই আইনগত সম্পর্কের কারণে নাগরিকগণ কিছু দায়-দায়িত্ব পালন করেন এবং তৎবিপরীতে কিছু অধিকার ভোগ করেন। একদিকে তাঁরা সরকারকে ট্যাক্স দেন, রাষ্ট্রের আইন-কানুন মেনে চলেন, প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় বা কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনায় অংশ নেন এবং রাষ্ট্র-অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। বিপরীতক্রমে তাঁরা রাষ্ট্রের দেয়া সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করেন, যেমন যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি লাভ করেন, সরকারী বা সরকার-নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষা লাভ করেন, সরকারী চিকিৎসা-সুবিধা ভোগ করেন এবং বিশেষ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সরকারের দেয়া অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সুবিধা গ্রহণ করেন। কোন নাগরিক বিদেশ গেলে সেখানে তার অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কেও রাষ্ট্র সচেতন থাকে এবং সেখানে কোন অসুবিধায় পড়লে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ২০১১ সালের শেষের দিকে সৌদি আরবে আটজন বাংলাদেশীর শিরñেদের প্রেক্ষিতে দেশে সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে সেদেশে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আরও পাঁচজন বাংলাদেশীকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সফল হয়েছে। একজন মানুষ জন্মসূত্রে বা অনুমোদনসূত্রে যেভাবেই নাগরিকত্ব অর্জন করুন না কেন তিনি উল্লিখিত দায়-দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং অধিকার বা সুবিধাসমূহ গ্রহণ করে থাকেন।

এবার আসা যাক জাতি হিসেবে ‘বাঙালী’ বিষয়ে। কথাটি কীভাবে এবং কতটুকু যথার্থ তা বোঝার জন্য ‘জাতীয়তা’ সম্পর্কে ধারণা প্রয়োজন।

বস্তুত জাতীয়তা একটি মনস্তাত্ত্বিক-রাজনৈতিক ধারণা। এখানে মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দুটো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যুৎপত্তি, ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি, জন্মস্থান, কিংবা চাষাবাদ পদ্ধতি প্রভৃতি একেকটি মনস্তাত্ত্বিক উপাদান। এগুলোর মধ্যে যে কোনটির ভিত্তিতে যখন এক গোষ্ঠী মানুষ নিজেদের অপর গোষ্ঠী থেকে পৃথক মনে করে তখন তাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক জাতীয়তা থাকে এবং তারা হয় মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি জাতি। বাংলা ভাষায় যারা কথা বলে তারা নিজেদের জাপানী বা চীনাভাষীদের থেকে পৃথক মনে করে। এ জন্য তারা মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বাঙালী জাতি। ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টানদের থেকে পৃথক জাতি। অপরদিকে বাংলাদেশের সাঁওতাল ও চাকমারা ব্যুৎপত্তি, ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে তথা জীবন-প্রণালীর ভিত্তিতে বাঙালী জাতি থেকে মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পৃথক।

প্রতিবাদ একটি রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা বা কর্ম। প্রতিবাদ তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তথা রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা বা কর্ম নামক উপাদান যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক জাতীয়তা রাজনৈতিক জাতীয়তায় পরিণত হয়। ১৯৪৮ সালে কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ঘোষণা দেন যে, ‘একমাত্র উর্দু হবে পকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোন ভাষা নয়।’ তখন তৎকালীন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাভাষী মানুষ তার প্রতিবাদ করে। এই প্রতিবাদের সঙ্গে সঙ্গে ‘মনস্তাত্ত্বিক বাঙালী জাতীয়তা’ ‘রাজনৈতিক বাঙালী জাতীয়তায়’ পরিণত হয়। মনে রাখা প্রয়োজন যে, সকল রাজনৈতিক জাতীয়তাই মনস্তাত্ত্বিক জাতীয়তা কিন্তু সকল মনস্তাত্ত্বিক জাতীয়তাই রাজনৈতিক জাতীয়তা নয়।

বর্তমান বাংলাদেশে সাঁওতাল বা চাকমারা তাদের ভাষা বা সংস্কৃতির দরুন কোনরকম বঞ্চনা, বৈষম্য বা নিপীড়নের শিকার নয় বিধায় তাদের আছে কেবল সাঁওতাল বা চাকমা নামক মনস্তাত্ত্বিক জাতীয়তা। রাজনৈতিক জাতি তারা নয়। বরং বলা যায় ১৯৭১ সালে যখন বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পকিস্তান সরকারের বঞ্চনা, বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার বাঙালী জাতির মানুষ তাদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার চর্চার জন্য তাদের ওপরে সরকারের চাপিয়ে দেয়া অত্যাচার ও আক্রমণ প্রতিহত করে ও মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে তখন তাদের এ রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদী কর্মে সাঁওতাল ও চাকমাসহ এদেশের সকল মনস্তাত্ত্বিক জাতির মানুষ সহায়তা করে, বাঙালীদের সঙ্গে বাঙালী জাতীয়তাবাদী লড়াইয়ে শামিল হয়। সে সময় তারা ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদের সমর্থক, সহযোগী ও সহায়ক। একথা বললেও অত্যুক্তি হবে না যে সে সময়ে তারা ছিল রাজনৈতিকভাবে বাঙালী জাতীয়তাবাদের অংশ। ফলত এখনও তারা তা-ই। আর তাই সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের বক্তব্য ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালী’ কথাটিও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যথার্থ। অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে এদেশের সমস্ত জনগণ বাঙালী কিন্তু মনস্তাত্ত্বিকভাবে কেউ বাঙালী আবার কেউ কউ অ-বাঙালী তথা সাঁওতাল, চাকমা, মগ, মুরং, গারো, কোল, তঞ্চংগ্যা প্রভৃতি অর্ধ শতাধিক জাতি।

মনে রাখা প্রয়োজন যে, কোন ব্যক্তির নাগরিক হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রয়োজন হয়। রাষ্ট্র নামক একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান তাকে আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদান করে। রাষ্ট্র না থাকলে তার নাগরিকত্বের প্রশ্ন ওঠে না। রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তার নাগরিকত্বের পূর্বশর্ত। কিন্তু রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তার জাতীয়তার পূর্বশর্ত না হয়েও পারে। কোন জাতির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য ব্যক্তির কোন নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। কারণ রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিরও জাতীয়তা থাকতে পারে। আবার পৃথিবীতে এই মুহূর্তে কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব না থাকলেও জাতি থাকতে পারে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সেদেশের সরকার নাগরিকত্ব না দিলেও তারা রোহিঙ্গা জাতির লোক। বাংলাদেশের একজন মুসলমান ও একজন হিন্দু নিজ নিজ ধর্মীয় জাতির অন্তর্ভুক্ত, তাদের ধর্মীয় জাতীয়তা হলো যথাক্রমে ‘মুসলমান’ ও ‘হিন্দু’; কিন্তু এজন্য মুসলমানজনকে কোন মুসলিম রাষ্ট্রের বা হিন্দুজনকে কোন হিন্দু রাষ্ট্রের নাগরিক হতে হয়নি। ‘বাংলাদেশ’ নামক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হয়েছে।

‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রটি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আগে ছিল না, কিন্তু ‘বাঙালী’ নামক জাতি ছিল। এ জাতি পাকিস্তান আমলে ছিল, ব্রিটিশ আমলেও ছিল, তার পূর্বেও হাজার বছর ছিল। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের পর ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল ইংল্যান্ডের শাসনাধীন, কিন্তু ঐ সময়ে এখানকার বাঙালীরা ইংলিশ জাতির লোক হয়ে যায়নি, তারা জাতি হিসেবে ছিল বাঙালী। এই ২০১৪ সালেও তাদের উত্তরসূরিরা বাঙালী।

সুতরাং সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের একথা খুবই যথার্থ যে, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।” কিন্তু এটাও ঠিক কথা যে, এই কথা শুনলে ও মানলে বাংলাদেশী গোয়েবল্সদের গাত্রদাহ হয়।

খালেদা জিয়া এবং তৎপুত্রসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে প্রশ্ন রইল, আপনারা যদি না মানেন যে আমাদের জাতীয়তা ‘বাঙালী’ তাহলে বলুন, ‘বাঙালী’ আমাদের কিসের পরিচয়? আর আমাদের নাগরিকত্বই বা কী? বলা বাহুল্য, ‘বাঙালী’ জাতীয়তাবাদ, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সাংবিধানিক পদক্ষেপের প্রতি বিএনপির এই বিদ্বেষ দেখে মনে পড়ে যায় কবির কথা: ‘যেজন বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গ বাণী/ সেজন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি’। সাংবিধানিক আপনাদের মনে পড়ে।

সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার বলেছেন: জাতীয়তাবাদের শ্রেনী বিভাজন করেছেন... মনস্তাত্তিক জাতীয়তাবাদ আর রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদ। এগুলো কোথায় পেয়েছেন? আপনার কল্পনাপ্রসুত না হলে উপযুক্ত রেফারেন্স দিন। আর আপনার কল্পনাপ্রসুত হলে তো কোন কথাই নেই।

দেশের যেমন কোন ধর্ম হয়না তেমন দেশের কোন জাতীয়তাবাদ হয়না। জাতীয়তা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। এতে সংখ্যালঘু অবাঙ্গালীদের অবমুল্যায়ন করা হয়।

পাশের দেশে দেখুন। সে দেশে বাঙ্গালী, তামিল, পাঞ্জাবি ইত্যাদি একাধিক জাতী বিদ্যমান। কিন্তু মেজরিটির জাতীয়তাবাদ সবার উপর চাপিয়ে দেয়া হয়নি। সবাই ভারতীয় পরিচয়ে পরিচিত।

আমেরিকার দিকে তাকিয়ে দেখুন। সেখানে জাতী, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে সবার জাতীয়তা আমেরিকান। সে দেশে ইউরোপিয়ানদের প্রাধান্য থাকলেও এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই।

সব বাঙ্গালী বাংলাদেশ নিয়ে ভাবেনা। কিন্তু সব বাংলাদেশী বাংলাদেশ নিয়ে ভাবে। এ দেশে কেউ চাকমা, কেউ শাওতাল, কেউ খাসিয়া আবার কেউ বাঙ্গালী। এতে কোন অসুবিধা নেই যদি আমরা প্রথমে নিজেকে বাংলাদেশী ভাবি।
আমি, আপনি জাতীসত্তায় বাঙ্গালী, কিন্তু ১লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের উন্নতি চাইলে আপনাকে বাঙ্গালীর চেয়ে বেশি বাংলাদেশী হতে হবে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

তালপাতারসেপাই বলেছেন: আপনি পাঠ করেছেন কিন্তু পড়েননি। সুত্রে ক্লিক করে .... X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.