নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোট আমলে খোয়া যাওয়া পাসপোর্টেই নূর চৌধুরী দেশে আসে!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৮



এই পাসপোর্ট কানাডায় তাকে পাঠিয়েছিল কে-শমসের মবিনকে ঘিরে নানান প্রশ্ন



সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডা দেশপ্রাপ্ত খুনীচক্রকে রক্ষা ও জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যার চেষ্টার ঘটনার সময়ে খুবই রহস্যময় ভূমিকা পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শমসের মবিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার ধানমন্ডিতে এক আলোচনাসভায় বক্তৃতাকালে শমসের মবিন চৌধুরীকে বেইমান আখ্যায়িত করেছেন। হরকাত-উল-জিহাদের (হুজি) প্রধান মুফতি হান্নানের দেয়া জবানবন্দীতে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নূর চৌধুরী বাংলাদেশে এসে পরিরকল্পনায় অংশ নেয়। শমসের মবিন চৌধুরী পররাষ্ট্র সচিব থাকাকালে পাসপোর্ট খোয়া যাওয়া, বঙ্গবন্ধুর খুনীচক্রের কাছে খোয়া যাওয়া পাসপোর্ট পাঠানো, কানাডা থেকে খুনী নূর চৌধুরীকে দেশের মাটিতে ফেরত পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করা সত্ত্বেও তাঁকে দেশে ফেরত না আনা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময়ে নূর চৌধুরীর গোপনে দেশে এসে ফেরত যাওয়া, নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে এসে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনায় অংশগ্রহণের জন্য কানাডায় তার কাছে সেই পাসপোর্টটি কারা কিভাবে পাঠিয়েছে সেই বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার রেকর্ডে থাকা তথ্যের সূত্রেও এ খবর জানা গেছে।

২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। পররাষ্ট্র সচিব থেকে আসার পর তাঁকে পদ দেয়া হয় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা। তারপর তাকে দেয়া হয় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ। বর্তমানে বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক সকল কর্মকা-ে থাকার পর বিদেশী প্রভাবশালী দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্যাপক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে বেইমান আখ্যায়িত করার পর তাঁর রহস্যময় অতীত ভূমিকা এবং বর্তমানে তাঁর কর্মতৎপরতার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত শমসের মবিন চৌধুরীকে জার্মানিতে পাঠিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষায় এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলায় হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তাঁর রহস্যময় ভূমিকাই তাঁকে বেইমান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার রেকর্ডে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত খুনী মেজর (অব) নূর চৌধুরীর সেই পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির রহস্যের জট খুলতে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে সে এই পাসপোর্টটি ব্যবহার করার বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কানাডায় অবস্থানরত অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে তার কাছে এই পাসপোর্টটি পাঠিয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে জোট সরকারে একটি প্রভাবশালী মহল। পাসপোর্ট অফিস থেকে লুট হয়ে যাওয়া একটি সিরিজের পাসপোর্ট তাঁর কাছে পাঠানো হয়। কারা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরীর কাছে পাসপোর্টটি পাঠিয়েছে তা খুঁজে বের করা গেলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসতে পারে বলে জানা গেছে।

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট মাসে গ্রেনেড হামলার প্রায় ৩ মাস আগে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরী কাছে একটি পাসপোর্ট পাঠানো হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই পাসপোর্টটি ব্যবহার করে কানাডা থেকে বাংলাদেশে এসেছে। হরকত-উল-জিহাদের (হুজি) প্রধান মুফতি হান্নানের দেয়া জবানবন্দীতে উল্লেখ করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নূর চৌধুরী বাংলাদেশে এসে পরিকল্পনায় অংশ নেয়। নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে এসে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনায় অংশগ্রহণের জন্য কানাডায় তাঁর কাছে সেই পাসপোর্টটি কারা কিভাবে পাঠিয়েছে তা এখনও রহস্যাবৃত।

কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরীর কাছে বাংলাদেশ থেকে যে সিরিজের পাসপোর্টটি পাঠানো হয়েছে সেই পাসপোর্টটি নিয়েও যে কেলেঙ্কারি ঘটেছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নূর চৌধুরীর নামে ইস্যু করা হয়েছে ‘ডব্লিউ’ সিরিজের একটি পাসপোর্ট। ডব্লিউ সিরিজের পাসপোর্টটি ২০০৪ সালের বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ২৫০টি আন্তজার্তিক পাসপোর্ট লুট হয়ে যায়। ২০০৪ সালের ১০ আগস্টে পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক ড. পারভীন বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডব্লিউ সিরিজের ২৫০টি পাসপোর্ট বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিস থেকে লুট হয়ে গেছে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০০৪ সালে যে ডব্লিউ সিরিজের ২৫০টি পাসপোর্ট খোয়া গেছে সেই সিরিজের লুট হয়ে যাওয়া পাসপোর্টের একটি পাঠানো হয়েছে কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরীকে। শুধু তাই নয়, ২০০৪ সালে লুট হয়ে যাওয়া ডব্লিউ সিরিজের ২৫০টি পাসপোর্টেরই একটি তাঁর নামে ইস্যু দেখানো হয়েছে ২০০২ সালে। ২০০৪ সালে যে পাসপোর্ট লুট হয়ে গেছে তার ২ বছর আগে ২০০২ সালে সালে তাঁর কাছে পাঠানো হলো কিভাবে?

সবচেয়ে আশার কথা ছিল তখন কানাডা সরকার নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল। কানাডায় নিযুক্ত ছিলেন তখন বাংলাদেশের হাইকমিশনার রফিক আহমেদ খান। কানাডার হাইকমিশনার তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তখন সচিব ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে বিরোধীদলীয় নেতার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা পদে থাকার পর শসসের মবিন চৌধুরীকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদ দেয়া হয়। কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার রফিক আহমেদ খান নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কার ও তাঁর পাসপোর্ট সংক্রান্ত ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের পরামর্শ চান। এই ব্যাপারে একটি বার্তাও পাঠানো হয়। তারপরই রহস্যজনকভাবে কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরীর কাছে বাংলাদেশে থেকে লুট হয়ে যাওয়া সিরিজের একটি পাসপোর্ট পাঠিয়ে দেয়া হয়। পাসপোর্ট অফিস থেকে লুট হয়ে যাওয়া পাসপোর্টটি নূর চৌধুরীর নামে কারা কিভাবে ইস্যু করে কানাডায় তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছে সেই রহস্যের জট খুলতে দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রায় ৩ মাস আগে কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধরীর কাছে পাসপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে তদন্তে পাওয়া যাচ্ছে। হুজি প্রধান মুফতি আবদুল হান্নান যে জবানবন্দী দিয়েছে তার সঙ্গে কানাডায় নূর চৌধুরীর কাছে তাঁর নামে বাংলাদেশে পাসপোর্ট পাঠানোর দিনক্ষণের সঙ্গে সাদৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে। শমসের মবিন চৌধুরী পররাষ্ট্র সচিব থাকাকালে পাসপোর্ট অফিস থেকে লুট হয়ে যাওয়া সিরিজের পাসপোর্ট নূর চৌধুরীর নামে কারা কিভাবে ইস্যু করে পাঠিয়েছে তার সঠিক তদন্ত হলে ‘কেচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে।’

সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

নিজাম বলেছেন: অপরাধীর শাস্তি অবধারিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.