নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট। ১৯৭৫ থেকে ২০০৪।
২৯ বছরের ব্যবধান। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এই দুটো দিন একদিকে কলঙ্কের কালিমায় লিপ্ত আর অন্যদিকে শোকের মহিমায় ভাস্বর। এই দুটো দিনে অশুভ ও অকল্যাণের ছোবল যেমন নিষ্ঠুর ও রক্তাক্ত, ঠিক তেমনি শুভ ও কল্যাণের প্রতিরোধ সাহস ও আত্মত্যাগ মেশানো। আশ্চর্য মিল রয়েছে দুটো দিনের আর অমিল যা তাতে রয়েছে পরিকল্পনা আর দৈবের মিলন। দুই দিনেরই প্রতিক্রিয়ার টার্গেট হচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার। দুটো দিনেরই লক্ষ্য ছিল জাতীয় মূলধারা আন্দোলনের প্রধান ভরসাস্থলকে নির্মূল করা। ১৫ আগস্ট যদি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে থাকতেন, তবে আর এভাবে ২১ আগস্ট ছোবল হানার প্রয়োজনই পড়তো না। উল্লিখিত মিল ছাড়া আরো যে মিল রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয় খুবই কম এবং তা ঢেকে রাখায় প্রয়াসও রয়েছে। ১৫ আগস্টের তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ কর্নেল জামিলের সাহস ও আত্মত্যাগের ভেতর দিয়ে বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। অস্ত্রের মুখেও জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী ও কামরুজ্জমান যে ক্ষমতার ভাগীদার হতে চাননি এবং কারাবরণ বেছে নিয়েছিলেন, তাও ছিল প্রতিরোধেরই অংশ। জেলখানায় রক্ত দিয়ে জাতীয় এই চার নেতা সাহস ও আত্মত্যাগের উদাহরণ জাতির সামনে রেখে গেছেন। জেলখানা তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে ক্রমে পূর্ণ হচ্ছিল। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রয়াত জননেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং বর্তমান মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রয়াত ড. মতিন চৌধুরী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রয়াত ড. মজাহারুল ইসলামকে বরখাস্ত ও কারারুদ্ধ করা হয়েছিল প্রতিরোধকে দমন করতেই। কেবল কি এটুকুই! পদক্ষেপ ভুল ও বিভ্রান্তিকর হলেও কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে যে তরুণ-যুবকরা ভারতে গিয়ে একাত্তরের মতো যুদ্ধ করতে চেয়েছিল, তাও ছিল দেশপ্রেম ও প্রতিরোধ স্পৃহা থেকেই সৃষ্ট। ওই সব তরুণ-যুবকদের সেই সময়কার সাহস ও ত্যাগের মনোভাব এবং যে পরিমাণ দুঃখকষ্ট তারা প্রবাসে ভোগ করেছে তা বিস্মৃত হবার মতো নয়। সামরিক শাসনের কঠিন কঠোর বিধিনিষেধ ও দমন-পীড়নের মধ্যেও সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রচারপত্র ছাপিয়ে বিলি হয়েছিল প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই। বলার অপেক্ষা রাখে না, সাহস ও আত্মত্যাগে ভরপুর এই সব প্রতিরোধ বিচ্ছিন্নভাবে এদিক ওদিক ঘটে চলছিল। এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্য ও জাতীয় চার নেতাকে জেলে বন্দী ও রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং দমনপীড়নের মধ্যে জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ছিল নেতৃত্বশূন্য। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ও এলোমেলোভাবে চলতে থাকা ওই প্রতিরোধগুলো সংগঠিত হতে খুব একটা সময় ব্যয় হয়নি। ইতিহাস এটাই সাক্ষ্য দেয় যে, আওয়ামী লীগ যখন নেতৃত্বশূন্য, তখন ওই সব প্রতিরোধ সংগঠিত করতে এগিয়ে আসে আওয়ামী লীগের সহযোগী কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব। এটা কার না জানা খুনি মোস্তাক আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছিল হত্যা ও খুনকে গণতন্ত্রের মোড়কে ঢেকে দিতে। কিন্তু সংগঠিত প্রতিরোধের মুখে প্রতিক্রিয়ার ওই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। প্রতিরোধের সর্বোচ্চ রূপের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ৪ নভেম্বর। ডাকসুর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের হয় জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ৩২ নম্বর অভিমুখে। এই সব প্রতিরোধ ক্রমে সংঘটিত হতে থাকার ফলশ্রুতিতেই পরাজিত শত্রুরা তাদের নীলনকশার সবটা বাস্তবায়িত করতে সাহস পায়নি। পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার প্রস্তাব ও উদ্যোগ ছিল। জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করার প্রচেষ্টাও যায় বিফলে। খুনি মোস্তাক প্রতিরোধের মুখে পড়েছে এবং ওকে দিয়ে কিছু হবে না বিবেচনায়ই প্রতিক্রিয়া নানা ষড়যন্ত্র ও রক্তপাতের ভেতর দিয়ে সামনে আনে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় আছে এমন এক সামরিক কর্তা জিয়াউর রহমানকে। প্রতিরোধকে সহনীয় করে নীলনকশা যথাসম্ভব বাস্তবায়িত করাই হয় সেনাশাসক জিয়ার মিশন ও ভিশন। ক্ষুদ্র এ কলামে ছোবল আর প্রতিরোধের বেশি ইতিহাস বলার সুযোগ নেই। তবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে একই ধরনের ঘটনায় প্রতিরোধ গড়ে ওঠে ২১ আগস্টের ছোবলেও। এটা সত্য ও অবিতর্কিত যে, ওই দিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য নিক্ষিপ্ত গ্রেনেড যখন বিস্ফোরিত হতে থাকে, তখন মানববর্ম তৈরি হয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর জন্য। জীবনের মায়া করে নেত্রীকে রেখে কেউ পালিয়ে যায়নি। তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা কর্মী মাহবুবসহ ১৯ জন সে দিন নিহত হয়েছিলেন আর কয়েকশ নেতাকর্মী হয়েছিলেন আহত। পনেরই আগস্টের নিহত কর্নেল জামিলের প্রতিরোধের হুবহু প্রতিচ্ছবি কি একুশে আগস্টের নিহত মাহবুব নয়! শেখ ফজলুল হক মণি আর আইভী রহমানের রক্তস্রোত কি একই ধারার প্রতীক নয়! প্রকৃত বিচারে এই দুই দিবসের সবচেয়ে বড় মিল হচ্ছে, দুই দিনের ছোবলেই লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ তথা জাতীয় মূলধারার আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করা এবং একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে সম্ভবমতো বাংলাদেশকে ‘মিনি পাকিস্তান’ বানানো। আর এজন্য পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের মাস আগস্টকেই বেছে নেয়া হয়েছিল। ১৪ আগস্টের বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করতেই এমনটা করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট জাতিবিরোধী প্রতিক্রিয়ার শক্তি ওই বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু ২১ আগস্টের তা পারেনি। এটাই হচ্ছে দুই দিনের বড় অমিল। লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক থাকলেও পরিকল্পনার প্রণয়নের অমিলটা লক্ষণীয়। সামরিক বাহিনীর অতি ক্ষুদ্র এক অংশ ও খুনি মোস্তকের সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অতি ক্ষুদ্র এক অংশকে মিলিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৫ আগস্টে। রাতের গভীর অন্ধকারে মীরজাফরের বংশধর জাতীয় শত্রুরা ডাকাতের মতো রূপ নিয়ে মানব ইতিহাসের জঘন্য এই হত্যাকা-টি সংঘটিত করেছিল। আর ২১ আগস্ট ঘটনা ঘটেছিল প্রকাশ্য দিবালোকে। উগ্র জঙ্গিদের এতে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ওরা ডাকাত নয়, এসেছিল চোরের মতো। পরিস্থিতি ভেদে ডাকাতই হয় চোর আর চোরই হয় ডাকাত। রশীদ-ফারুক গং আর মুফতি হান্নান-তাইউদ্দিন-বাবর গং সব দিক বিচারে যে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ; তা অনুধাবন করা যাবে সেনাশাসক জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপির আচরণ থেকে। রাষ্ট্রপতি জিয়া ডাকাত খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল আর খালেদা জিয়া চোর খুনিদের প্রশ্রয়-আস্কারা দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট যে, প্রকৃত বিচারে ওই দুই দিনের কলঙ্কিত ও অভিশপ্ত ঘটনার দেশীয় প্রত্যক্ষ মাস্টার মাইন্ডকে এবং কারা! আর বিদেশী মাস্টার মাইন্ড যে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর গহ্বরে লুক্কায়িত রয়েছে, এটাও আজ প্রমাণিত। এই দুই দিনের ঘটনার একটি মিল হচ্ছে, পবিত্র ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতা ও ভারত বিরোধিতাকে এই হীন প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িয়ে দেয়া। ১৫ আগস্টের হৃদয়বিদারক ঘটনার পর এই প্রচার জোরদার করা হয়েছিল যে, ভারতীয় পরাধীনতার নাগপাশ থেকে দেশতে মুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো ইসলামিক রিপাবলিক করার তোড়জোড় চলছিল। পরে হত্যা-ক্যুকে জায়েজ করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে জাতীয় চার মূলনীতিকে পরিবর্তন করা হয়। তবে তখন পাকিস্তানের সহযোগী ঘাতক-দালাল জামাতকে দল করার অধিকার ফিরিয়ে দিলেও ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ওই দলের সঙ্গে ঐক্য করেনি। কিন্তু ২১ আগস্টের ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল জামাত নেতাদের গাড়িতে-বাড়িতে পতাকা উড়িয়ে দিয়ে। ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্বিচারে হামলা-অগ্নিসংযোগ-ধর্ষণ তথা ‘এথনিক ক্লিনজিং’-এর পটভূমিতে সংঘটিত হয়েছিল ২১ আগস্ট। এই থেকে অনুধাবন করা যায় যে, ২১ আগস্টের অপারেশন যদি সাকসেসফুল হতো, তবে আরো ভয়ঙ্কর রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটতো সাম্প্রদায়িকতা ও অন্ধ উগ্রতার। এটা এই সত্য প্রমাণের জন্য যথেষ্ট যে, প্রতিক্রিয়ার প্রতিহিংসার রূপের গতিধারা সব সময়ই হয় ব্যাপক ও গভীর। ওই দুই দিনের বড় একটি অমিল হচ্ছে যে, ১৫ আগস্টের খুনিরা আত্মস্বীকৃত। খুন করে বীরত্ব প্রকাশ করতে ওরা কুণ্ঠিত হয়নি। কিন্তু ২১ আগস্টের খুনিরা খুন স্বীকার করেনি। পলায়নপর চরিত্র তখন তাদের। ঘটনা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল বলে প্রচার চালানো হয়েছিল। ‘ব্লেইম গেইম’-এর খেলা খেলে ওই দিনের গ্রেনেড হামলার দায় আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিল। জানি না যদি অপারেশন সাকসেসফুল হয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বশূন্য হতো, তবে কি করতো খুনিরা! তবে মনে হয় না স্বীকার করে বুক ফুলিয়ে মাঠে নামতো। প্রসঙ্গত বলতেই হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য কোটলিপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখার ঘটনা থেকে শুরু করে আগে-পরে আরো কয়েকটি প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর দায়দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। সাধারণভাবে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে উগ্র জঙ্গিরা যখন কোনো একশন করে, তখন দায়দায়িত্ব স্বীকার করে নেয়। কিন্তু ওই সব হত্যা প্রচেষ্টার দায় কেউ স্বীকার করেনি। এ থেকে একটা বিষয় সুস্পষ্ট, আমাদের দেশের খুনিরা ক্রমেই পরিচয় গোপন করতে চাইছে। ওরা ক্রমেই ভীরু ও কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই সব জাতীয় শত্রুরা আরো ভীরুতা ও কাপুরুষতার পরিচয় দিতে তৎপর থাকবে, এটা সহজেই অনুমেয়। এখনো প্রায়শই বিএনপির নেতারা এবং এমনকি খালেদা জিয়াও বলেন যে, ১৫ আগস্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। কিন্তু ২১ আগস্ট কিংবা কোটালিপাড়ার ঘটনা মুখেও আনেন না। কেন তা সহজেই অনুমেয়। সাকসেসফুল অপারেশন তারা চায় বলেই ওটা মুখে আনে না, নয় কি! কিন্তু ১৫ আগস্টের মতো সফলতা পাবে বলে যদি ওই মহল মনে করে তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করবে। জাতীয়, উপমহাদেশীয় ও বিশ্ব পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। খুন ও হত্যার রাজনীতি করে এখন আর কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না। ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার আর সেই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির প্রক্রিয়া চালু রেখে বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ রেখেছে, হত্যা ও খুন করে কেউ এখন আর পার পাবে না। ২১ আগস্টের বিচার প্রক্রিয়াও এখন সমাপ্তপ্রায়। হত্যা-ক্যু তথা অবৈধ ক্ষমতা দখলের শাস্তি অবধারিত করে সংবিধান পরিবর্তন করায় গণতান্ত্রিক-সাংবিধানিক শাসন ধারাবাহিকভাবে চলার নিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। আর বলতেই হয় যে, বিএনপি দলটি তার কর্মকা- দিয়ে নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। ধর্মান্ধ উগ্র জঙ্গি ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য করে দিয়েছিল বলে বিএনপি এখন বিচ্ছিন্ন। বিএনপি দলটি জামাত ও একদা স্বঘোষিত তালেবানদের এখন ২০ দলীয় ঐক্যজোটে সঙ্গে রাখায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলটি সহানুভূতি হারিয়েছে। দলটিকে কেউই বিশ্বাস করে না, আস্থায় নেয় না। সর্বোপরি নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে হত্যাযজ্ঞ বা নাশকতা চালিয়ে এবং নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে। এখন ‘বাঘ আসছে, বাঘ আসছে’ গল্পের মতো আন্দোলন আসছে আসছে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের হাস্যাস্পদ করছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল দলটিকে ভেতর থেকে ঝাঝরা করে রেখেছে। বিএনপির নেতা তারেক জিয়া বিদেশ থেকে যেভাবে ইতিহাস বিকৃত করে চলেছে, তা থেকে সহজেই অনুধাবন করা যায়, বিচ্ছিন্নতা কোন্দল ও পরাজয়ের গ্লানি দলটিকে হাতাশ করে কানা গলিতে নিক্ষেপ করেছে। এই অবস্থায় এবারো জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টের ভুয়া জন্মদিনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কেক কাটবেন। যতোই তিনি কেক কাটবেন, ততোই তিনি নিজের মুখোশ নিজেই উন্মোচন করবেন। ১৫ আগস্টের হত্যা ও খুনকে আড়াল করতে আর প্রতিহিংসার আনন্দ উপভোগ করতে তিনি যে ঘটা করে জন্মদিন পালন করছেন, এটা জনগণের কাছে সুস্পষ্ট হতে থাকবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই উন্মোচিত হতে থাকবে ২১ আগস্টের হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত ছিল কে বা কারা। প্রকৃতপক্ষে ১৫ ও ২১ আগস্টের মতো কলঙ্কিত ও অভিশপ্ত দিবস বাংলার মাটিতে ফিরে আসুক, প্রতিক্রিয়ার শক্তি আবারো ছোবল দিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্তাক্ত করুক; এমনটা জনগণ আর চায় না। মানুষ চায় শুভ ও কল্যাণের জয়গান করতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের নিহত সবার স্মৃতি আম্লান ও অক্ষয় থাকুক, জাতীয় খুনি সবার বিচার ও শাস্তি সুনিশ্চিত হোক, এটাই শোকের মাস আগস্টের প্রত্যাশা। জাতির জনক ও জাতীয় বীরদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ প্রণতি।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: কোনো কালেই ছিলনা?
আমি জাানি, আগে লোক আরো বেশী মারা গেছে।
তথ্য দিয়ে খন্ডন করেন।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
খাটাস বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য ও যুক্তি জানলাম। পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
খাটাস বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য ও যুক্তি জানলাম। পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
মহানাজমুল বলেছেন: অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় সত্যকে তুলে ধরেছেন। ঘাতকরা একসময় মুজিবের নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। জারি করেছিল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ইতিহাসকে করতে চেয়েছিল বিতর্কিত।কিন্তু জয় হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনারই, মুক্তিকামী মানুষেরই। পাকিস্তানপন্থীরা অনেক ছোবল মেরেছে। সময় এখন প্রতিরোধের- খালেদার জন্মদিন পালনরূপী ভন্ডামী রুখে দিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট। এখনতো খুন আর গুমের রাজনীতি চলছে। গত এক বছরে যে পরিমান লোক মারা গেছে এরকম ইতিহাস বাংলাদেশে কোন কালেই ছিলনা ।