![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
টেকনাফ সীমান্তে সংরক্ষিত বনভূমিতে সৃজিত সামাজিক বাগানে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা মার্কেট। কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক দোকান পাট নিয়ে গড়ে উঠা এই রোহিঙ্গা মার্কেটটির অভ্যন্তরে চলছে নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এমনকি প্রকাশ্যে মদ,জুয়া এবং পতিতাবৃত্তির অভিযোগও রয়েছে। বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মচারী এবং সামাজিক বাগানের দুর্নীতিবাজ অংশীদারগণের যোগসাজশে বাগানটির দোকান বরাদ্দেরও হিড়িক পড়েছে। ফলে বিশাল সামাজিক বাগানটি হুমকির মুখে পড়েছে।গত ১৯ আগষ্ট সরেজমিনে জানা গেছে,টেকনাফ বন রেঞ্জের হ্নীলা মোচনী বন বিটের আওতাধীন লেদায় ২০০৩-২০০৪ সালে সৃজিত সামাজিক বাগানের পাশে গড়ে উঠে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পটি (স্থানীয়ভাবে রোহিঙ্গা টাল হিসাবে পরিচিত)। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি হাফেজ মোহাম্মদ আইউব জানান- 'বর্তমানে ক্যাম্পটিতে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। এসব রোহিঙ্গা তালিকাভুক্ত শরণার্থীর মর্যাদা পায়নি। এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য বাজারের প্রয়োজন হওয়ায় এখানে বাগানের ছোট ছোট প্লট বিক্রি করে মার্কেট ও দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে।'বন বিটের প্রহরী-বন মালী এবং সৃজিত বাগানের কতিপয় অসাধু অংশীদার এই প্লট বিক্রিতে সরাসরি জড়িত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বনে দোকানের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে। সামাজিক বাগানের অংশীদার ও এলাকার কতিপয় লোক রাতের আধারে এসব দোকান বসাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সামাজিক বাগানের গাছ কেটে এবং বন বিভাগের জমি দখল করে দোকান-পাট বসিয়ে 'রোহিঙ্গা মার্কেট'নির্মাণের কারণে সংরক্ষিত বনটিও উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মচারী এবং সামাজিক বাগানের দুর্নীতিবাজ অংশীদারের খামখেয়ালীপনায় বনে দোকান বরাদ্দের হিড়িক পড়েছে। এতে করে আস্তে আস্তে বিশাল সামাজিক বাগানটি উজাড় হলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে,টেকনাফ রেঞ্জের হ্নীলা মোচনী বিটের আওতাধীন লেদায় ২০০৩-২০০৪ সালে সৃজিত সামাজিক বাগানে ছোট ছোট প্লট বিক্রি করে মার্কেট ও দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। বিটের বন প্রহরী-বন মালী এবং সৃজিত বাগানের কতিপয় অসাধু অংশীদার এই প্লট বিক্রিতে সরাসরি জড়িত বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। দিনের পর দিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বনে দোকানের প্লটের অস্বাভাবিকভাবে সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সামাজিক বাগানের অংশীদার ও বন বিভাগের লোকরা হিসেব-নিকাশের মাধ্যমে রাতের আধারে এসব দোকান বসাচ্ছে। দুর্নীতি প্রকৃতির অসাধু বন খেকোরা পকেট ভারী করে বর্তমানে সংরক্ষিত বনটিতে রীতিমত বাজার বসিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশাল একরের সামাজিক বাগান নিশ্চিহ্ন হয়ে অপরাপর বাগানের মত কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে। মোচনী বিটের লেদা এলাকার উল্লেখিত বনাঞ্চলটি পশু-পাখির অভয়াণ্য বলে বন বিভাগ সুত্র জানিয়েছে। বনাঞ্চলটি বরাবরই পশু-পাখির খাদ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা বলছেন,মোচনী বিটে সাধারণত লেদা এলাকায় বনের পশু-পাখির বিচরণ বেশী হয়ে থাকে। লেদা মুসলিম এইড পরিচালিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শ্বের সামাজিক বাগানটির ভেতরে সারিবদ্ধভাবে অগণিত দোকানের প্লট বিক্রি করে রীতিমত মিনি বাজার বসিয়েছে। বাগানের কিছু অংশীদার ঐসব দোকান থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট অংকের টোলও আদায় করছে। বনে দোকানের প্লট বিক্রিতে অর্জিত টাকা ও টোল বনবিভাগ এবং অংশীদাররা ভাগ বাটোয়ারা করছে। এমনকি ঐ টাকার কিছু অংশ পাহারাদারদের বেতন হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখাগেছে,রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের নুর বশর,সুলতান,এহেছান উল্লাহ,আয়ুব,এ ব্লকের মো: আলম,সি ব্লকের জুহুর আলম,সলিম,এফ ব্লকের আয়ুব,ইয়াছিন,স্থানীয় মীর কাশেম,ফরিদ,নবী হোছাইন,মঞ্জুর,মোঃ ইসলাম প্রকাশ কালু সহ প্রায় ৫০টি দোকান,ফার্মেসী ও জুয়াখানা সামাজিক বাগানের ভেতরে নির্মাণ করেছে। অসাধু অংশীদার ও কালু প্রতিমাসে দোকান প্রতি ৫শ টাকা ও দৈনিক টোল আদায় করে নিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রকৃতি প্রেমী সচেতন মহল,জরুরী ভিত্তিতে বিশাল একরের সামাজিক বাগান সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানতে চাইলে প্লট বিক্রির মূলহোতা মোচনী বিটের বনপ্রহরী নিজেকে বিট কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী জামাল বনে প্লট বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন,ভাই আমিই নই সামাজিক বাগানের অংশীদার ছালামরা দোকান ও জুয়াখেলা বসিয়েছে। বিট কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন,অসুস্থতা জনিত কারণে ঈদের আগে ছুটিতে ছিলাম ভাই এখনও অসুস্থ। শুনেছি বিটের কিছু কর্মচারীর যোগসাজশে ঘৃণ্য একাজটি করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাগান সভাপতি মোশতাক আহমদ সওঃ জানান,সবেমাত্র আমাকে সদস্যরা সভাপতি করেছে। আসলে আমি বেশী কিছু বলতে পারবনা। তবে তিনি সামাজিক বাগানে অসংখ্য দোকান বসার কথা স্বীকার করেন।
সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ রেজাউল করিম বলেন,আমিতো আসলে আগে শুনেনি কেবল আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। বন সংরক্ষণে দোকানগুলি উচ্ছেদ পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন,এলাকাটি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এভাবে বাগানে মার্কেট নির্মিত হলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হবে এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে বনবিভাগ পরিবেশের সহযোগীতা চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর যথাযথ প্রক্রিয়ায় এগিয়ে আসবে।
বাগানের গাছ কেটে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসলিম এইড নামের একটি এনজিও’র নিরাপত্তা কর্মী মুফিদ আলম জানান- 'আমিও কয়েকটি দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছি।'সরেজমিন আরো জানা গেছে,সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এনজিও সংস্থা মুসলিম এইড রোহিঙ্গা ক্যাম্পটিতে স্বাস্থ্য সেবার কাজ করছে। এই সংস্থার সাথে জড়িত লোকজনও সামাজিক বাগানটির ভেতরে প্লট বিক্রি করে রীতিমত মিনি বাজার বসানোর কাজে জড়িত রয়েছেন। বাগানের কিছু অংশীদার ঐসব দোকান থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট অংকের টোলও আদায় করছেন। বাগানটির অভ্যন্তরে গড়ে উঠা মার্কেটটিতে মদ,জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপেরও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বন বিট কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বনায়ন ধ্বংশ করে মার্কেট নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করে জানান- 'শুনেছি বিটের কিছু কর্মচারীর যোগসাজশে ঘৃণ্য একাজটি করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'এ প্রসঙ্গে সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. রেজাউল করিম বলেন-‘বাগানে রোহিঙ্গা মার্কেট বসানোর কথা শুনেছি। বন সংরক্ষণে দোকানগুলি উচ্ছেদ করা হবে।'
সুত্র-১
সুত্র-২
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
তালপাতারসেপাই বলেছেন:
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
আহমেদ রশীদ বলেছেন: রোহিঙ্গা আবার ভিক্ষুকের মার্কেট খুলল মনে হয়!!হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
জুন বলেছেন: