![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলে পরিচিত তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। এখন বেসরকারী নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এ হিসেবে তিনি মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর কাছ থেকে দেশপ্রেম, দেশের সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করার প্রত্যাশা করা খুবই স্বাভাবিক। ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে হবেন সোচ্চার।
এক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা যদি উল্টো হয়? তাহলে তো প্রশ্ন উঠতেই পারে। স্রোতের বিপরীতে হাঁটা মানেই সমালোচনার জন্ম দেয়া। বলা হচ্ছে অধ্যাপক দিলারা চৌধুরীর কথা।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ছয় দফা দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের দেশব্যাপী আন্দোলনের সময় তিনি দিগন্ত টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া দেশের সকল মানুষ নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি চায়। জাগরণ মঞ্চের কারণে হেফাজতের উত্থান ও তাদের দেশব্যাপী তা-ব যৌক্তিক বলেও দাবি করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি।
ফের একটি বেসরকারী টেলিভিশনে অংশ নিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক হত্যার ঘটনা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পক্ষ নিতে গিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। চেষ্টা করেন ইতিহাস বিকৃতির। শনিবার রাতে সরাসরি সম্প্রচার হওয়া টক-শো বাহাসে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান থেকে চলে যান দিলারা চৌধুরী!
যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ’৭১ টেলিভিশনে কোনো ভদ্রলোক, কোনো একাডেমিশিয়ান আলোচনায় অংশ নিতে আসতে পারে না। অনুষ্ঠানে দিলারা বলেন, ‘সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনীতি করতে পারবে না জামায়াত কোনো বায়বীয় ব্যাপার নয়, একটা বড় ফোর্স। তাদের একটা বড় সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলো থেকে দেখা গেছে বামদলগুলোর চেয়ে জামায়াতের সমর্থন অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের কোথায়ও বলা নেই কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী বা দল রাজনীতি করতে পারবে না। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ ভারতেও তো বিজেপি, শিবসেনা, আরএসএস রাজনীতি করতে পারছে। কাউকে তাদের রাজনৈতিক তথা গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বিরত রাখার কোন সুযোগ সংবিধানে নেই। তাছাড়া জামায়াতের মতো একটি বড় শক্তিকে তাদের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার পরিণতি ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াত স্বনামে রাজনীতি করতে না পারলে দলটি দুটি পথ বেছে নিতে পারে। হয় তারা নতুনভাবে অগ্রসর হবে, অন্যথায় তারা ভিন্ন পন্থা নিতে পারে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪২ বছর গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে থাকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে দেশের জন্য খারাপ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘২১ আগস্টের ঘটনায় প্রকাশ্যে জনসভায় আপনি ১৬টি গ্রেনেড মারলেন, তার মধ্যে দুটি অবিস্ফোরিত ছিল। সে দুটি গ্রেনেড নষ্ট করে ফেললেন। জেলখানার ভেতরে গ্রেনেড পাওয়া গেল। ওসমানী উদ্যানের ভেতর গ্রেনেড পাওয়া গেল। এ সব কটি গ্রেনেডকে নষ্ট করে ফেলা হলো।‘ উল্লেখ্য, তখন বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় সরকার ছিল ক্ষমতায়।
এ পর্যায়ে দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এসব ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার। তখন শ্যামল দত্ত দিলারা চৌধুরীর সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, ‘তদন্ত হওয়া দরকার, আনফরচুনেটলি তদন্ত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আপনি জজ মিয়া বের করলেন। ’৭৫-এর খুনিদের চাকরি দিলেন বিভিন্ন মিশনে...’ এ পর্যায়ে দিলারা বলেন, কে দিয়েছে, মোশতাক। শ্যামল দত্ত বলেন, মোশতাক দিয়েছে। দিলারা প্রশ্ন তোলেন, মোশতাক আওয়ামী লীগ না?
শ্যামল দত্ত বলেন, ‘এবং এই চাকরি কন্টিনিউ করেছেন বেগম জিয়া পর্যন্ত। মোশতাক মীরজাফর বেঈমান।’
এ পর্যায়ে দিলারা চৌধুরী শ্যামল দত্তকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি এমন এক সময় এ কথা তুললেন যারা এখনও ক্ষমতায় আছেন এবং তারা মোশতাকের ক্যাবিনেটের সদস্য ছিলেন। তাদের কথা বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, পারবেন তাদের নাম বলতে?’
শ্যামল বলেন, অবশ্যই আছে। দিলারা ফের তাকে তাদের নাম বলতে বললে শ্যামল দত্ত হেসে বলেন, ‘আমিতো ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটে যারা ছিলেন তাদেরও নাম বলব আপা..’।
দিলারা চৌধুরী বলেন, হ্যাঁ নাম বলেন। ওই ক্যাবিনেটে আমার হাজবেন্ড ছিল। শ্যামল এ পর্যায়ে বলেন, ইয়েস। দিলারা বলেন, ‘যদি ইতিহাস ঘাটতে হয় তাহলে আমার হাজবেন্ডের বই পড়ে দেখবেন।’ ‘আপনার হাজবেন্ডের বই পড়ে দেখেছি ম্যাডাম।
দিলারা বলেন, ‘আমি এখানে আমার হাজবেন্ডকে রিপ্রেজেন্ট করতে আসিনি। আমি তো বলিনি যে আমার হাজবেন্ডের কাসুন্দি ঘাটেন।
আমি বলেছি মোশতাকের ক্যাবিনেটে যারা ছিল তাদের নাম বলেন। তার সঙ্গে ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটের সদস্যদের নাম বলার কী যোগাযোগ আছে? আপনি কি বলেন, এটা বলে পারসোনালি হিউমিলেট করতে পারবেন আমাকে?’
এ সময় তুমুল বিতর্ক শুরু হয় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে। শ্যামল দত্ত এক পর্যায়ে বলেন, ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটে আপনার হাজবেন্ড ছিল একথা তো বলিনি আমি। দিলারা বলেন, তাহলে আপনি হাসি দিয়ে কেন বললেন যে, তাহলে আমাকে ইয়াহিয়া ক্যাবিনেট মেম্বারদের নাম বলতে হবে? শ্যামল দত্ত বলেন, যুগে যুগে বিভিন্ন ক্যাবিনেটে বেঈমানরা ছিল। ইয়াহিয়ার ক্যাবিনেটেও ছিল, মুজিবের ক্যাবিনেটেও ছিল।
দিলারা এ সময় শ্যামল দত্তকে বলেন, ‘তাহলে সেই বেঈমানরা যারা এখন পাওয়ারে চলে আসছে তাদের নাম বলেন। এ সময় দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘আমার বক্তব্য শেষ হয়নি। আমি বলতে চাচ্ছি অন রেকর্ড ’৭১ টেলিভিশনে কোনো ভদ্রলোক, কোনো একাডেমিশিয়ান এখানে কোনো আলোচনায় অংশ নিতে আসতে পারে না।’
এ পর্যায়ে অনএয়ারে দিলারা চৌধুরী উঠে দাঁড়ান এবং স্টুডিও ত্যাগ করতে উদ্যত হন।
এ পর্যায়ে অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। যাবার আগে উপস্থাপক শাকিল আহমেদ, দিলারা চৌধুরীকে বসতে বললে তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয়ভাবে কথা উঠালে আমি বসব না। অনুষ্ঠান সঞ্চালক শাকিল আহমেদ বলেন, সে দায় ’৭১ টেলিভিশন কিভাবে নেবে?
জবাবে দিলারা চৌধুরী বলেন, ’৭১ টেলিভিশনের উপস্থাপকের যে রোল, সে রোলটা হবে মডারেট করা। মডারেট করতে গিয়ে অনেককে অনেক কিছু চান্স দিয়ে ফেলছেন। অনুষ্ঠানে শ্যামল দত্ত ও অধ্যাপক মেজবাহ কামালকে লক্ষ্য করে দিলারা বলেন, ‘আমি এখানে বসে বসে অতীতে আপনারা কোথায় ছিলেন, কোনখান থেকে জাম্প করে এখানে এসেছেন এগুলো বের করি?’
এ পর্যায়ে স্টুডিও থেকে দিলারা চৌধুরী বের হয়ে গেলে উপস্থাপক শাকিল আহমেদ বলেন, আমার মনে হয় বিরতিতে যাওয়া ছাড়া ... ধন্যবাদ আমরা একটা বিরতির পর ফিরে আসছি। বিরতির পর উপস্থাপক শাকিল আহমেদ দিলারা চৌধুরীকে ছাড়াই বাকি দুই অতিথি শ্যামল দত্ত ও অধ্যাপক মেজবাহ কামালকে নিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যান।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি জামায়াতের দেশব্যাপী তাণ্ডবের ঘটনাকে দিলারা সমর্থন জানিয়ে বলেন, আন্দোলনে সহিংসতা হবেই। এক পর্যায়ে বেরিয়ে এলো তিনি ইয়াহিয়া মন্ত্রিসভার সদস্য জিডব্লিও চৌধুরীর স্ত্রী। উনার স্বামী ডব্লিও চৌধুরীর লেখা ‘দ্য লাস্ট ডেজ অব ইউনাইটেড পাকিস্তান’ বইতে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তার ভাষায়, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অপমৃত্যু এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় পাকিস্তানী আর্মি জেনারেলদের ‘জাতীয় স্বার্থে অভিভাবকের ভূমিকা’ পালনের ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার এবং দুইজন অতি উচ্চাভিলাষী রাজনীতিক, বাংলাদেশের শেখ মুজিবুর রহমান এবং পাকিস্তানের জেড এ ভুট্টোর বিবেকবর্জিত কাজের ফসল।
সুত্র
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
আহমেদ রশীদ বলেছেন: সুঁচ কয় তোর কত ছেঁদারে!!!!!!!!!
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: কাকে মিন করছেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১২
রওনক বলেছেন: সেইফ হওয়া সত্তেও আমার পোস্ট প্রথম পাতায় আসে না, ৩ মাস ধরে কমপ্লেন ও ফিডবেক দিচ্ছিকাজ হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কমেন্ট ফ্লাডিং করছি।
প্রসঙ্গ: ডায়াবেটিস, মিষ্টি/মিষ্টান্ন বনাম কোমল পানীয়।