নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃসময়ে বিএনপি

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২২



এখন বিএনপির দুঃসময়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে 'প্রধান বিরোধী দলের অবস্থান'ও হারাল 'বিপর্যস্ত' দলটি। আন্দোলনের মাধ্যমে শিগগিরই 'মধ্যবর্তী নির্বাচন' আদায় করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির। দাবি আদায় করতে না পারলে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দলটিকে। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের সাংগঠনিক 'শক্তি' নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। সরকারের 'কঠোর' অবস্থানের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে 'দুর্বল' বিএনপি'র পক্ষে দাবি আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলাও এতটা সহজ নয়। দশম সংসদ নির্বাচন বন্ধ করতে রাজধানীসহ সারাদেশ অচল করার কর্মসূচি দিলেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি দলটি। নির্বাচনের পর ছয় মাস বিরতি দিয়ে এবার ঈদুল ফিতরের পর আবার নতুন করে আন্দোলনে নামার হুমকি দিলেও তা হুমকিতেই শেষ হয়েছে। বিএনপির দাবি,

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলে এবং কেন্দ্রীয় নেতাসহ সারাদেশে ৩৩ হাজার মামলায় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেফতার বা স্পর্শকাতর পুরনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার কারাবন্দি হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। মামলার চাপ ও দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলে জর্জরিত বিএনপির পাঁচ বছরেও ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করা সম্ভব হচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে রাজপথে তেমন কোনো কর্মসূচিও পালন করতে পারছে না দলটি। নির্বাচন বাতিল প্রশ্নে বিদেশিদের আশানুরূপ সমর্থনও পায়নি তারা। বিএনপি ও জোট ভাঙতে সরকার নানামুখী 'ষড়যন্ত্র' করছে বলেও অভিযোগ করছেন 'অগি্নপরীক্ষার' মুখে দাঁড়িয়ে থাকা দলটির শীর্ষ নেতারা। দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত হলেও নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন দলের শীর্ষ নেতারা। সার্বিক পরিস্থিতিতে একাধিকবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দলটির এখন 'সুসময়ের' জন্য 'অপেক্ষা'র কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এমন বৈরী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ সোমবার। এবারের জন্মদিন উদ্যাপনে দু'দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। দলের জন্মদিন উপলক্ষে এক বাণীতে দলের নেতাকর্মী-সমর্থক ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পৃথক বাণীতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি নানা চড়াই-উতরাই ও ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ চারবারে ১৭ বছর দেশ শাসন করেছে। বেশ কয়েকবার ভাঙনের কবলেও পড়েছিল দলটি। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের পটপরিবর্তনে বিপর্যস্ত দলটি ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও তা সম্ভব হয়নি। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনও লন্ডন প্রবাসী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ছাড়া তার দেশে আসার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। দলটির তরুণ নেতাকর্মীরা মনে করেন, তারেক রহমানই তাদের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি।

দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলটির বর্তমান নাজুক পরিস্থিতির জন্য দলের হাইকমান্ডই দায়ী বলে মনে করেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সংলাপে সাড়া না দেওয়া এবং নির্বাচনে অংশ না নেওয়া 'বড় ভুল' বলে বিশ্বাস করেন দলীয় নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশিষ্টজনও মনে করেন, এখন দুঃসময় অতিক্রম করছে বিএনপি। সামনের পথও কণ্টকাকীর্ণ।

অবশ্য দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে নাম-পরিচয় দিয়ে এসব কথা বলতে নারাজ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা। প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও ঘরোয়া আলাপচারিতায় তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সংলাপে সাড়া দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত ছিল। নির্বাচনে অংশ না নেওয়া একটি পর্বতপ্রমাণ ভুল। ভোটের যুদ্ধে বিএনপি মাঠে থাকলে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের চোখের সামনে নির্বাচন কমিশনের আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রকাশ্যে ভূমিকা রাখা কঠিন ছিল। পাঁচ বছরে ক্ষমতাসীন দল হিসেবে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের বিপক্ষে বরাবরের মতো জনগণ ক্ষমতার বাইরে থাকা বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষেই রায় দিত বলে মনে করেন তারা। নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দিয়ে বড় ধরনের ভুল করেছেন দলের হাইকমান্ড। যেখানে দলের রাজপথে আন্দোলন করে লক্ষ্য অর্জনের সাংগঠনিক ক্ষমতা ছিল না, সেখানে আপসরফা করে নির্বাচনী ট্রেনে উঠে গেলে ঠিকই গন্তব্যে পেঁৗছা যেত।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিএনপি এখন সাংগঠনিকভাবে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা আশা করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অচিরেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি আদায় করতে সক্ষম হবেন।

একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপির অঙ্গীকার। তিনি দাবি করেন, বিএনপি নয়, পুরো দেশ ও জাতিই আজ মহাসংকটে পড়ছে। একই সঙ্গে দলের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা মহানগর কমিটিসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন শিগগির পুনর্গঠনের মাধ্যমে রাজপথে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সমকালকে বলেন, স্বৈরাচারের সঙ্গে বিএনপি আপস করেনি। কোনো নির্বাচনী প্রহসনের ফাঁদে পা দেয়নি। শত প্রতিকূলতা ও দমন-পীড়নের মুখে বিএনপি এখনও গণমানুষের সমর্থনধন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছে এবং টিকে থাকবে।

খালেদা-তারেক-কোকোর মামলা নিয়ে 'শঙ্কা' :সরকারের কঠোর মনোভাবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন দলের নেতাকর্মীরা। গত তত্ত্বাবধায়ক ও বর্তমান সরকারের আমলে খালেদা-তারেক ও কোকোসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোট ২৫টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি, তারেক রহমানের ১৪, কোকোর পাঁচ এবং তারেকের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে একটি।

'স্পর্শকাতর' মামলার জালে শীর্ষ নেতারা :বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাদের নিয়েও চিন্তিত বিএনপির নীতিনির্ধারক মহল। তারা হলেন_ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু প্রমুখ।

এছাড়া সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাংচুর, অগি্নসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে ৩৩ হাজার 'মিথ্যা মামলা' দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। এরমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ১৪টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দশের অধিক। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, জয়নুল আবদিন ফারুক, এহছানুল হক মিলনসহ অনেক নেতাই একাধিক মামলার আসামি। কারও কারও বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ডজনেরও বেশি।

এসব নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, কিবরিয়া হত্যা মামলা, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা রয়েছে। তাদের জবানবন্দির ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। বিশেষ করে হাওয়া ভবন ও তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে ওই নেতাদের জবানবন্দির ওপর নির্ভর করছে 'অনেক কিছু'।

হচ্ছে না কাউন্সিল :২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের পটপরিবর্তনে বিপর্যস্ত দলটির ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল। তিন বছর পর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ষষ্ঠ কাউন্সিল করা সম্ভব হচ্ছে না। নানা সমস্যার কথা জানিয়ে বারবার সময় চেয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে। কাউন্সিল না হওয়ায় দলের গুরুত্বপূর্ণ 'মহাসচিব' পদেও স্থায়ী কাউকে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

২০১১ সালের ১৬ মার্চ বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর 'ভারপ্রাপ্ত' মহাসচিবের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। সেই থেকে সব ক্ষেত্রে মহাসচিবের মতো দায়িত্ব পালন করে এলেও আজ পর্যন্ত ভারমুক্ত করা হয়নি তাকে।

সূত্র জানায়, এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালক্ষেপণের কৌশল নিয়েছেন হাইকমান্ড। এতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায়ও সমস্যা হচ্ছে বেশ। বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলের পর প্রায় পাঁচ বছরের মাথায়ও বেশ কয়েকটি জেলা ও মহানগরীতে সম্মেলনের মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে না নতুন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন। 'নেতৃত্ব' নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলে বিএনপি এখন জর্জরিত; বরং কেন্দ্রীয় নেতাদের ইন্ধনেই অনেক জায়গায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোন্দল। নিজ নিজ 'এজেন্ডা' বাস্তবায়নে ব্যস্ত নেতারা। বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা মোটেই শক্তিশালী নয়_ এ নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। চার দলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে রাজপথের 'নতুন মিত্র' খুঁজে নামসর্বস্ব ছোট দুটি দলকে নিয়ে গঠন করেছে ২০ দলীয় জোট। সংস্কার ইস্যুকে কেন্দ্র করে দলের ভেতর বিভক্তির রেখা মোছা যায়নি এখনও।

অবশ্য সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়_ দাবি করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পঞ্চদশ সংশোধনী করার পর থেকেই বিএনপি ও জোট ভাঙার অনেক চেষ্টা করেছে। এমনকি এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। তারা কাউন্সিল করার সব ব্যবস্থা করেছিলেন। সরকার তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১৫৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তথ্য-উৎপাত্ত নষ্ট করে ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই সময়মতো কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সারাদেশে ৩০ হাজার মামলায় লক্ষাধিক নেতাকর্মির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস সমকালকে বলেন, তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। যে কোনো মূল্যেই বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করবে।

আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বিদেশিদের :একতরফা নির্বাচন বাতিল প্রশ্নে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বিএনপি। বিশেষ করে ভারতে নির্বাচনে পটপরিবর্তনের পর বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর যে সমর্থন আশা করেছিল, তা পায়নি দলটি। নির্বাচনের পর প্রথমদিকে বিদেশীরা বিএনপির পক্ষে কিছুটা নমনীয় থাকলেও এখন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। তারপরও রাজপথে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি বিএনপি এখনও কূটনৈতিক তৎপরতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রভাবশালী উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর ঢাকার কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের বিষয়টি লক্ষণীয়। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু উত্তাপ ছড়ালেই কূটনীতিকদের তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে।

কর্মসূচি :প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রোববার থেকেই শুরু হয়েছে বিএনপির দু'দিনব্যাপী কর্মসূচি। বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে দলটি। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্র্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এরপর সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকবেন।

সারাদেশে সকল ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সুত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: মোনাফেক কাজ, ষড়যন্ত্র, ব্যাক্তিস্বারথ দিয়ে রাজনীতি করা যায় না। 'বি-এন-পি'-এর প্রতিষ্ঠা হয়ে ছিল ষঢ়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। মোনাফেক জিয়া যেমন বিলীন হয়েছে তেমনি তিনার বিবি মূরখ খালেদা ও লম্পট ও দুস্কৃতিকারি পোলা তারেক জিয়াও বিলীন হবে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে। কারন রাজনীতিতে ষঢ়যন্ত্র কোন দিন তামাদি হয় না।
---- অন্তত ইতিহাস তাই স্বাক্ষী দেয়।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: ২১শে ফেব্রুয়ারী শেখ হাছিনার উপর গ্রেনেড হামলা খালেদা ও তারেক জিয়া এবং তার সরকার এ দায় এড়াতে পারেন না। তারা এর সাথে জড়িত। জজ মিয়া নাটক খালেদা জিয়া সরকারেরই সৃষ্টি।খালেদা জিয়া ও তার সরকার এ দায় এড়াতে পারেন না। তারা এর সাথে জড়িত। জজ মিয়া নাটক খালেদা জিয়া সরকারেরই সৃষ্টি।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: গ্রেনেড হামলার তারিখটি অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল হওয়ার জন্য দঃখিত।
আসল তারিখটি হবেঃ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.