নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কত দিন ভারপ্রাপ্ত?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৩১



বিএনপির 'ভারপ্রাপ্ত' মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্তর ভার বহন করেই চলছেন। চার বছর হতে চলল, তাই 'ভারপ্রাপ্ত'র তকমাটি এখন তার কাছে সঙ্গত কারণেই 'গুরুভার' বলে মনে হতে পারে। দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী তাকে পূর্ণ মহাসচিব হিসেবে দেখতে চান।

'ভারপ্রাপ্ত' হওয়ায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে। বিশেষ করে দলের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ মহাসচিব 'ভারপ্রাপ্ত' হওয়ায় তার 'পরামর্শ' বা 'নির্দেশ' অনুযায়ী কাজ করতে স্বস্তিবোধ করেন না।

অবশ্য সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, 'ভারপ্রাপ্ত' থাকায় তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আগামী কাউন্সিলেই দলের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচিত করা হবে বলে জানান তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিএনপিতে এত বছর ধরে একজন নেতাকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করে রাখা হয়েছে_ বিষয়টিকে মোটেও 'গণতান্ত্রিক' বলা যায় না। তাই সবার আগে

বিএনপিতে গণতন্ত্র চর্চার রীতি চালু করতে হবে।

জানা গেছে, বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদটি নিয়ে দলের মধ্যে মির্জা ফখরুলের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতাদের কাছেও মির্জা ফখরুলকে ভারমুক্ত করতে অনুরোধ করে আসছেন তারা। ফখরুলের অনুসারীরা বলছেন, এভাবে বিএনপির মতো একটি বড় রাজনৈতিক দল চলতে পারে না।

তবে দলের একটি অংশ মির্জা ফখরুলকে পূর্ণ মহাসচিব হিসেবে দেখতে চান না। ওই অংশটি ছোট এবং দলে কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মির্জা ফখরুলসহ আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে একটি লিফলেটও বিতরণ করে এই মহল।

সূত্র জানায়, মহাসচিবের পদ নিয়ে চলছে ঠাণ্ডা লড়াই। দলের হাইকমান্ডকে পরস্পরবিরোধী পরামর্শ দিচ্ছে দু'পক্ষই। অবশ্য ফখরুলের পক্ষের পাল্লাই ভারি।

২০১১ সালের ১৬ মার্চ বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর 'ভারপ্রাপ্ত' মহাসচিবের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবীরাও তাকে ভারমুক্ত করতে দলীয় হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসনের উদ্দেশে বলেন, 'সজ্জন ব্যক্তি মির্জা ফখরুলকে দ্রুত পূর্ণ মহাসচিব করা উচিৎ।'

সুযোগ পেয়ে এ নিয়ে টিপ্পনী কাটতে ছাড়ছেন না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারাও। দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বলেছেন, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অনেক কথা হয়, তার জন্য কষ্টও হয়। তার সামনে মুলা ঝুলিয়ে রাখা হলেও কখনোই তাকে বিএনপির মহাসচিব বানানো হবে না। তারেক দেশে না আসা পর্যন্ত আর কাউকেই মহাসচিব করা হবে না।

জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেছেন, বিএনপির মতো একটি বড় দলে মহাসচিব পদে এত দীর্ঘকাল একজনের 'ভারপ্রাপ্ত' হয়ে থাকাটা মোটেই প্রীতিকর নয়। একটি বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিকে বিষয়টিকে 'গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে ওঠার মতো' বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসলে আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের কারণেই এমনটি ঘটছে। এ ব্যাপারে দলের অভ্যন্তরে 'কিছুটা জটিলতা'ও কাজ করছে। তবে আশা করছি দলের আগামী জাতীয় কাউন্সিলেই বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে। তবে কাউন্সিল ঠিক কবে নাগাদ হতে পারে সে ব্যাপারে তার কোনো ধারণা নেই বলেও জানান বিএনপির এই নীতিনির্ধারক নেতা।

অবশ্য বিষয়টিতে 'বিব্রত' হলেও তা কখনও প্রকাশ করেননি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্প্রতি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ-ও বলেছেন, দীর্ঘদিন তার 'ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব' থাকায় দলে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.