নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো।
পাশাপাশি ইসলামি রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্মকে কেন্দ্র করে কোনও রাজনৈতিক দল হতে পারে না-এমন বক্তব্য দিয়ে তিনি ইসলাম ও কোরঅানের অবমাননা করেছেন।
পবিত্র কোরঅানের উদ্ধৃতি নিয়ে অালেমরা বলছেন, ধর্মকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দল হতে পারে না এমন বক্তব্য সরাসরি কোরঅানের বিরুদ্ধাচরণ। বিএনপির জোটসঙ্গী ও ভোটসঙ্গী কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামি দলগুলোর মতে, এতে করে বিএনপির সঙ্গে অন্য ধর্মভিত্তিক দলগুলোর দূরত্ব বাড়বে। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছেন, অাধুনিক বিশ্বে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও এক ধরনের বিভ্রান্তি। তবে তারেক রহমানের বক্তব্যে কোনও প্রভাব পড়বে কি-না, তা তিনি বলেননি।
বুধবার দিনভর তারেক রহমানের বক্তব্য প্রসঙ্গে অালোচনা-সমালোচনা হয়েছে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ভেতরে। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে অালাপকালেও কয়েকজন ইসলামি রাজনীতিক ও অালেম তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়বে ধর্মভিত্তিক শরিকদলগুলোর
২০০১ সালে চারদলীয় জোটের সঙ্গে বড় দুটি দলই ছিল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ধর্মভিত্তিক দল। সোমবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যে এই দুটি দলের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি শরিকদলগুলোর নেতা অাকারে-ইঙ্গিতে বলছেন, এতে করে বিএনপির সঙ্গে জোটের শরিকদের দূরত্ব বাড়বে।
জোটের অারেক প্রতিষ্ঠাতা শরিক দল খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মুনতাসির অালী বলেন, তারেক রহমানের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে গভীর অজ্ঞতা রয়েছে। এতে করে জোটের অভ্যন্তরে জটিলতা তৈরি হবে।
তিনি অারও বলেন, তারেক রহমানকে মনে রাখতে হবে এদেশে ফিরতে হলে এবং জনমানুষের রাজনীতি করা ইসলামের বিরুদ্ধে বলে সম্ভব হবে না। তা হলে দেশের মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি আরও বলেন, জোটের মধ্যে অামরা যারা ইসলামি দল রয়েছি, তারা কেউ ক্ষমতা বা লোভের কারণে জোটভুক্ত হইনি। বিএনপির সঙ্গে জোট করা হয়েছিল দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই।
সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের অন্যতম শীর্ষ নেতা, বাংলাদেশ খেলাফত অান্দোলনের মহাসচিব অাল্লামা জাফরুল্লাহ খান বলেন, প্রথমত, প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। দুজনেরই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সমান অজ্ঞতা রয়েছে। ভদ্রলোক (তারেক) ইসলামি রাজনীতিকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতিতে ধর্ম নেই, বা ধর্মকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হতে পারে না, এমন কথা বলার মানেই হচ্ছে কোরঅানের পরিষ্কার বিরোধিতা করা। তারেক রহমান এই কাজটিই করেছেন।
ইসলামি গবেষক ও লেখক জাফরুল্লাহ খান অারও বলেন, নিঃসন্দেহে তারেক রহমানের বক্তব্য ইসলামের বিরোধিতা করেই দেওয়া হয়েছে।
সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, তারেক রহমান “ইসলামী রাজনীতি চলতে পারে না” বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে তাকে তাওবা করতে হবে।
তিনি অারও বলেন, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অর্থই হলো ইসলামি রাজনীতি তথা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। পবিত্র কুরআনের ১২৮ স্থানে এবং হাদিস শরীফের অসংখ্য জায়গায় জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ তথা ধর্মীয় রাজনীতি ফরজ করা হয়েছে। অথচ তারেক রহমান কোন সাহসে, কীসের লোভে, কাদের চাপে এহেন জঘন্য ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিতে সাহস করলেন তা মুসলিম উম্মাহকে ভাবিয়ে তুলেছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা অাজিজুর রহমান হেলাল বলেন, ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। তারেক রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন, কোনও ইসলামি দল তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারে না।
অন্যদিকে তওবা না করলে তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেছে নাস্তিক মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটি।
বুধবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ওই কমিটির নেতারা বলেন, একজন প্রকৃত মুসলমানের পক্ষে ইসলামের ফরজ বিধান অস্বীকার করার কোনও সুযোগ নেই। গতকাল তারেক রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চলতে পারে না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একজন মুসলমান করতেই পারে না। তাকে মনে রাখতে হবে, ইসলামের দুশমনী করে যুগে যুগে কারও শেষ রক্ষা হয়নি। তার তওবা করা ছাড়া ইসলামে ফিরে আসার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মাটিতে কোনও নাস্তিক-মুরতাদের ঠাঁই নাই।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও খেলাফত-ই-মজলিশ, ইসলামি ঐক্য জোট, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টিসহ আরও কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল রয়েছে।
তারেক কী বলেছেন
ধর্মকে কেন্দ্র করে কোনও রাজনৈতিক দল হতে পারে না বলে মনে করেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলো রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক বলেন, রাজনীতিতে ধর্মের অবদান থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দল হতে পারে না।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে এক কর্মশালায় জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মকে ভিত্তি করে হতে পারে না। অবদান থাকতে পারে, কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে কখনোই রাজনীতি করা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশে যে সকল ধর্ম রয়েছে আমাদের অনেকে আছেন সেগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করার ও রাজনীতির রূপরেখা বানাতে চেষ্টা করেন। আমরা বারবার দেখেছি, তারা বিফল হয়েছে।”
প্রতিক্রিয়া নিয়ে পরিষ্কার নয় বিএনপি
তারেকের বক্তব্য ও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে অব. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বিষয়টি তারেক রহমান কেন বলেছেন, তার সঠিক ব্যাখ্যা তার কাছে পাওয়া যাবে। তবে অাধুনিক গণতন্ত্রের একটি দলের কর্মী হিসেবে এটি বলা যায়, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অাধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাহলে তো পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি হবে। দেশটিতে যা ঘটছে, তা ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কারণেই।
তিনি অারও বলেন, ধর্ম হিসেবে অবশ্যই অামি ইসলামের পক্ষে। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান পৃথিবীতে ধর্ম কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি ভাবতে হবে।
তবে তারেক রহমানের এই বক্তব্য জোটের সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহবুবুর রহমান বলেন, জানি না। পরিস্থিতি বলবে।
সুত্র
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
নিজাম বলেছেন: এ সব িকছুর দরকার হবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আওয়ামী লীগ সরকার লোভনীয় টোপ ফেলেছে তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনতে।
১ম পদক্ষেপ - এরকম আবোল তাবোল বলে বন্ধুভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর চক্ষুশূল হবে। তার বদলে আওয়ামী লীগ হয়তোবা তার 'গুনাহ মাফ' করে দেবার অঙ্গীকার করবে।
২য় পদক্ষেপ - এরকম অঙ্গীকার পেয়ে তারেক 'বীরের বেশে' দেশে ফিরবে
৩য় পদক্ষেপ - এরপর একের পর এক মামলায় জড়িয়ে তাকে আরেকটা 'এরশাদ' বানানো হবে।
বুদ্ধি খারাপ না।