নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা কি আত্মপ্রবঞ্চনা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৮



বাংলাদেশের এক অভ্যুদয় দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল। বাংলাদেশ নামের দেশটির জন্ম হয়েছে রাজনৈতিক আন্দোলনের ভিত্তিতে। সেই রাজনৈতিক আন্দোলন দমন করতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সশস্ত্র সেনাবাহিনী নামিয়ে দিলে সেটি সশস্ত্র লড়াইয়ে রুপ নেয়। বলাই বাহুল্য, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা সেখান থেকেই শুরু। ফলে কোনো সামরিক কর্মকর্তার পদবিধারিরা যখন ইতিহাসের বয়ান দেন, তারা সেখান থেকেই শুরু করেন। আগের ঘটনাপ্রবাহে যেহেতু তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না, তারা যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বয়ান দেন, তাদের স্বার্থেই তারা রাজনৈতিক আন্দোলনটুকু অস্বীকার করেন, নতুবা নিজেদের সুবিধামতো বর্ণনা করেন। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন ক্রান্তিলগ্নে যখন সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নেয় তখনও এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে, সামরিক এবং বেসামরিক উভয় ফ্রন্টে। এই রাজনৈতিক নেতৃত্বই বেসামরিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ সামরিক বাহিনীর সৈনিক এবং কর্মকর্তাদের জন্য অস্ত্র, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ, আবাস, খাদ্য এবং মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। যারা ‘ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে’ অনেক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা প্রায়শই বয়ান দেন তারাই এ সব বয়ানকারিদের জন্য উপরোক্ত ব্যবস্থা করেছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা যুদ্ধের বিবরণ হয়তো ভালো দিতে পারেন, কিন্তু ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ বয়ান তাদের পক্ষে দেয়া অসম্ভব।



মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান জনাব এ কে খন্দকার তার বহু বিতর্কিত সদ্য প্রকাশিত বই, “১৯৭১ঃ ভিতরে বাইরে” এর ভূমিকায় লিখেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে কোনো রকম ভণ্ডামি, অতিরঞ্জিতকরণ বা প্রকৃত ঘটনার বিকৃতি কখনোই ক্ষমার যোগ্য নয়”। অথচ এ কে খন্দকার সাহেব তার বইয়ের কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঠিক একই ধরনের ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন।



মনে হচ্ছে ইতিহাস লেখার জন্য যে প্রথম পাঠের প্রয়োজন, কোর্স ১০১, সেটা খন্দকার সাহেবের নেয়া হয়নি। ‘আমি জিজ্ঞাসা করলাম’, ‘তিনি বললেন’ বিশেষ করে পরলোকগত নেতাদের নিয়ে এ ধরনের ব্যক্তিগত বক্তব্য নিয়ে ইতিহাস হয় না। ইতিহাসের লেখা হয় বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ ও সাক্ষ্য দিয়ে। তার দেয়া অর্বাচীন যুক্তির মাধ্যমে তিনি বিএনপি ইতিহাসবিদদের ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টাকে সমর্থন যুগিয়েছেন, যে ঘৃণ্য প্রচেষ্টায় তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দলিল পত্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা ধারণকারি অংশ মুছে ফেলেছিলেন।



একজন নাগরিক এবং, ততধিক, একটি রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি, প্রজাতন্ত্রের প্রতি তার আনুগত্যের মাধ্যমে, সংবিধান, যেটা হোল রাষ্ট্রের জন্য প্রণীত সমস্ত আইনের মূল ভিত্তি, মেনে চলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মুজিবনগর ঘোষণাপত্র, যেটা ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল জারি করা হয় এবং পরে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল (ধারা ১৫০(২) ) হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, যেটা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আইনি ভিত্তি। দেখা যাক ঐ ঘোষণাপত্রে আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কি বলা হয়েছে। স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে এতে বলা হয়ঃ “যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান”।



মুজিবনগর ঘোষণার প্রণেতা, ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলামের ভাষায়, “২৫শে মার্চ ঘড়ির কাটা যখন মধ্য রাত অতিক্রম করে (পঞ্জিকার পাতায় ২৬শে মার্চ) সেই যুগ সন্ধিদক্ষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ঘোষণার একটি অপরিহার্য ফলো আপ ছিল স্বাধীনতা ঘোষণার আকারে একটি সাংবিধানিক দলিল, যেটা আমাদের ভাগ্য পরিবর্তনের একটি নতুন যুগের অভিযাত্রা”।



এ বিতর্ককে চিরতরে অবসান করার মানসে মহামান্য হাইকোর্ট, অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ধৃতির এবং দলিলের মাধ্যমে ডঃ এম এ সালাম নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার দায়ের করা একটি রিট আবেদনের রায় দেন ২০০৯ সালের ২০ শে জুন তারিখে, যেটাতে সুস্পষ্ট বলা হয় ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দেশের সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা সেদিন অভিমত দিয়েছিলেন ঐ রায় দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বের দীর্ঘ এবং তিক্ত বিতর্কের অবসান ঘটাতে সহায়তা করবে।



১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষণা হিসেবেই নথিভুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে। এতে উল্লেখ রয়েছে, ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথিতে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখেই ওয়াশিংটনে স্পেশাল এ্যাকশন গ্র“পের এক জরুরি বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে সিআইএর পক্ষ থেকে অংশ নিচ্ছিলেন রিচার্ড হেমস। সভাপতিত্ব করছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতার হওয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও তথ্য তুলে ধরা হয়। সেই বৈঠকেই রিচার্ড হেমস বলেন, অজ্ঞাত স্থান থেকে রেডিও বার্তায় বলা হয়েছে- শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন।



খন্দকার সাহেবের ইতিহাস বিশ্বাস করলে, মুজিবনগর ঘোষণা নিজেই অবৈধ হয়ে যায় এবং সেটা হলে তিনি এক অবৈধ সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন এবং বাংলাদেশ নিজেই একটি অবৈধ সত্তা হয়ে যায়।



খন্দকার সাহেব দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় আবিস্কারটি করেছেন এই বলে যে বঙ্গবন্ধু নাকি ‘জয় পাকিস্তান’ বলে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শেষ করেছিলেন। এই ভাষণটি আমাদের জাতির ইতিহাসের শুধু শ্রেষ্ঠ ভাষণই নয়, ৩০০ বছরের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বক্তৃতা সম্বলিত একটি সদ্য প্রকাশিত বইতে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি জায়গা করে নিয়েছে। আমার মত লক্ষ লক্ষ মানুষ স্বশরীরে উপস্থিত থেকে জাতির এ সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ যারা শুনেছেন তারা কেউই ঐ ধরনের কোন উচ্চারণ শুনিনি বা কল্পনাও করিনি। বিমান বাহিনীর একজন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি হয়ত ঐ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন না, তিনি হয়ত অন্য কারো কাছ থেকে এ ভাষণে যে ‘জয় পাকিস্তান’ ছিল সে কথা শুনেছেন। তাছাড়া সর্বনিম্ন আই কিউ এর অধিকারি মানুষও বুঝতে পারবে যে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’ এই অগ্নিগর্ভ উপসংহারের পর ‘জয় পাকিস্তান’ বললে ঐ ভাষণের মুল বক্তব্য, তেজস্বিতা এবং সাহসিকতা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যায়। লক্ষ লক্ষ জনতার ইতিহাসের সেই আবেগময় মুহূর্তে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে শেখ মুজিব রেসকোর্সে তাঁর নিজের কবর রচনা করতেন।



এই কথা উল্লেখ করে প্রকাশনার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বললেন, টেপরেকর্ডে ধারণকৃত ভাষণ এবং ৮ই মার্চ প্রকাশিত স্বরাজ পত্রিকার কপি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তিনি ‘জয় পাকিস্তান’ খুজে পাননি। তার মতে তিনি হয়তো কারো কাছ থেকে শুনে ওটা তার বইতে সংযোজন করেছেন। আমরা কি লেখককে ঢাকা থেকে ‘৭১ এর ৮ মার্চ প্রকাশিত কোন সংবাদপত্রের এ ধরনের বক্তব্য ছাপা হয়েছে কি না সেটা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারি? অতীতে আর কয়েক ব্যাক্তি এই ধরনের একটি বাচন খন্দকার সাহেবের এর মত অসৎ উদ্দেশে আবিষ্কার করেছেন যার মুল লক্ষ্য ছিল ‘বঙ্গবন্ধু আসলে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি’ সেটা প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা। অথচ এমনকি শত্রু জেনারেল রাও ফরমান আলীর ভাষায়, “জাতীয় পরিষদ স্থগিত করার পর তিনি ( মুজিব ) এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে যৌথভাবে সামরিক বাহিনী ও পিপিপি তাকে পাকিস্তান শাসনে তার ইচ্ছা সত্যে পরিণত হতে দেবে না। অতএব, তিনি একটি নতুন জাতির পিতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন”।



বইয়ের ভূমিকায় খন্দকার সাহেব বলেছেন ‘প্রতারণা’ একটি অমার্জনীয় অপরাধ। এটা কি জিজ্ঞাসা করা সমীচিন হবে ‘প্রতারণা’ আর ‘আত্মপ্রতারণার’ মধ্যে কোনটি বড় অপরাধ? ১৫ই আগস্টের কাল রাতের পর, তিনি ‘আত্ম-প্রবঞ্চনা’ না স্বতঃস্ফূর্ততা দ্বারা পরিচালিত হয়ে খুনীদের প্রতি তার নিঃশর্ত সমর্থন এবং আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন? অনেক আওয়ামী লীগ নেতার দাবির মত বিমান বাহিনীর প্রধান হিসাবে তিনিও কি জীবনের ভয়ে এটা করেছিলেন?



১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসে পাবনা-২ উপনির্বাচনে খালেদা জিয়া, বিরোধী নেতা হিসেবে, তার নির্বাচনী প্রচারণাকালে, মুক্তি বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ এ কে খন্দকারকে নিম্নোক্ত বক্তব্য দিয়ে ভৎর্সনা করেছিলেন “এই মানুষটির কোন নীতি বা আদর্শ নেই, তিনি এক পরম সুবিধাবাদী। তিনি (খন্দকার) প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন, খন্দকার মোশতাক আহমেদের হাতের পুতুল খেলেছেন, জিয়াউর রহমান এর সময় রাষ্ট্রদূত এবং এরশাদ সরকারের সময় মন্ত্রী ছিলেন. এখন তিনি ভাগ্য গড়তে আওয়ামী লীগ যোগদান করেছেন”। এ এ কে খন্দকার যেহেতু উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন সেহেতু এটা উপসংহার করা স্বাভাবিক ছিল যে এ ভদ্রলোক সম্পর্কে মিসেস জিয়ার কঠোর সমালোচনা নিরপেক্ষ ভোটারদকে মাঝে খুব ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।



আজকে তার বইয়ের উদ্ধৃতাংশ পড়ার পর আমি ভাবছি আমার কাছে মিসেস জিয়ার একটা ক্ষমা পাওনা রয়েছে। বেগম জিয়া সত্যিকারভাবেই তাকে অভিযুক্ত করেছিলেন তার কোন আদর্শ নাই এই বলে। স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারের সাথে তিনি কম বেশি সম্পৃক্ত ছিলেন যদিও এ সময়ের অর্ধেকেরও বেশি সময় যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা শুধু ইতিহাস বিকৃতই নয়, ‘৭১ এর আমাদের সব অর্জন ধ্বংস করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। সে সব সরকারে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। আজ বুঝতে পারছি এসবের কেন খন্দকার সাহেবের বিবেককে তাড়িত করেনি। এটা কি প্রবঞ্চনা না আত্মপ্রবঞ্চনা? খন্দকার সাহেব বর্তমান বইয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেছেন একটি সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য জাতিকে প্রস্তুত না করার ব্যর্থতার জন্য, বঙ্গবন্ধুকে ছোটো করার প্রয়াসে যারা নিরন্তর লিপ্ত তাদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে তিনি অপচেষ্টা করেছেন ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেননি সেটা প্রমাণ করার এবং সর্বোপরি দশ লক্ষ মানুষের স্বশরীর উপস্থিতিতে জাতির সবচেয়ে বিখ্যাত জনসভায় তিনি উপস্থিত না থেকেও ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দের উপস্থিতি আবিস্কার করে ঐ ঐতিহাসিক বক্তৃতার আত্মা এবং সারমর্মে আঘাত হানার অপপ্রয়াসে ব্রতী হয়েছেন। এর পরও এখনো তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য, এক বার নয়, দুই বার ঐ দলের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং বিগত মন্ত্রিসভায় ছিলেন এমন সরকারের প্রধান ছিলেন, খোদ আওয়ামীলীগ সভাপতি, যিনি কি না বঙ্গবন্ধুর কন্যাও বটে। এটা কি ভণ্ডমি না আত্মপ্রতারণা, জনাব খন্দকার?



১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরের উপনির্বাচনের পর আমি ডেইলি স্টারে আমার নিয়মিত কলামে শ্রদ্ধাভরে লিখেছিলামঃ “এ উপনির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ছিলেন একজন সৎ, বিবেকবান এবং বিনম্র ভদ্রলোক যিনি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নয়, স্বপ্রণোদিত হয়ে সেদিনের সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন”। আজকে তার বইয়ের উদ্ধৃতাংশ পড়ার পর আমি তাকে ‘একজন সৎ, বিবেকবান’ মানুষ হিসেবে যে অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম সে শ্রদ্ধা আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.