নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্বেগ- জামায়াত মৌলবাদী সহিংস গোষ্ঠী

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬



জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি বাতিল করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট (ইপি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে ইপির প্ল্যানারি সেশনে গৃহীত হওয়া বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনবিষয়ক প্রস্তাবে পার্লামেন্টের সদস্যরা রায়কে স্বাগত জানান। র‌্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দায়মুক্তি দেওয়া বন্ধ করতে ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানের সঙ্গে সংগতি রেখে শ্রম আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় গঠিত তহবিলে প্রতিশ্রুত অর্থ দিতেও বিদেশি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইপি। প্রতিবেদনে জামায়াতকে ‘মৌলবাদী গোষ্ঠী’ হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়েছে, বিএনপি জোটের শরিক জামায়াতের মতো মৌলবাদী গোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলার হুমকির পরও বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) পূরণে প্রশংসনীয় সাফল্য দেখিয়েছে।

ইপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবরণী থেকে জানা যায়, গতকাল বাংলাদেশ বিষয়ে গৃহীত প্রস্তাবে ১১টি দফা রয়েছে। প্রথম দফায় এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এ সাফল্যে কোটি কোটি মানুষের জীবনে সত্যিকার পরিবর্তন এসেছে। এ প্রসঙ্গে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদনকেও স্বাগত জানানো হয়।

দ্বিতীয় দফায় র‌্যাব ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিরোধী দলের কর্মীদের গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ইপি। মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়কে ইপি স্বাগত জানিয়েছে।

প্রস্তাবের তৃতীয় দফায় গুমের শিকার ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া, অপরাধ করে থাকলে তাদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইপি। গুমের অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন তদন্ত ও মানবাধিকার কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

চতুর্থ দফায় সরকার ও বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে বিরোধী গোষ্ঠীর সহিংস হামলার নিন্দা জানিয়ে তাদের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে ইপি। অন্যদিকে শৃঙ্খলা রক্ষায় ন্যূনতম শক্তি ব্যবহার এবং বল ও অস্ত্র ব্যবহারে জাতিসংঘের মৌলিক নীতি অনুসরণ করতে পার্লামেন্ট বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।

পঞ্চম দফায় পুলিশ, র‌্যাবসহ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে আইনের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে র‌্যাবের বিরুদ্ধে হত্যার তদন্ত করা ও দায়মুক্তি না দিতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে ইপি।

ষষ্ঠ দফায় বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা, বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা প্রতিষ্ঠা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন গুরুত্বপূর্ণ। আইনের শাসনের প্রতি জনগণের সম্মানবোধ ও জনগণের আইনি সেবা পাওয়ার অধিকার জোরদারে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও অবারিত বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।

সপ্তম দফায় প্রস্তাবিত এনজিও আইনে উদ্বেগ জানিয়ে আইনের খসড়া নিয়ে স্বতন্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

অষ্টম দফায় বাংলাদেশ সরকারকে সংবাদ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি ও সম্মান জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতেও আহ্বান জানিয়েছে ইপি। পাশপাশি সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল করে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবের নবম দফায় বাংলাদেশে নৃগোষ্ঠীসহ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলার পুনরাবৃত্তিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ইপি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান, বিহারিসহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। দশম দফায় আইএলওর মানের সঙ্গে সংগতি রেখে শ্রম আইন কার্যকর বিশেষ করে স্বাধীনভাবে শ্রমিক সংগঠন করার সুযোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গত জুন মাস নাগাদ এক কোটি ৭০ লাখ ডলার সংগৃহীত হলেও প্রতিশ্রুত দুই কোটি ৩০ লাখ ডলার জমা না হওয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট দুঃখ প্রকাশ করেছে।

একাদশ দফায় গত বছরের মে মাসে আইএলওর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পোশাকশিল্পের রূপান্তর কর্মসূচিকে আমলে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গৃহীত হওয়া ওই প্রস্তাবে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার আগে প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার নাগরিক অধিকার সংকুচিত করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এ বিচার আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে সমালোচনা রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে হাজারেরও বেশি ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের অপেক্ষায় আছেন বলেও প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.