নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
নির্বাচনের ব্যাপারে বিদেশিদের সমর্থন আদায়ে বিএনপির দৌড়ঝাঁপ আরও বেড়েছে। আগামী কয়েক মাস কূটনৈতিক তত্পরতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। নতুন নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের সহযোগিতা চাইলেও এখন পর্যন্ত আশানুরূপ সাড়া পায়নি সংসদের বাইরে থাকা দলটি। শুধু তাই নয়, সর্বশেষ গত সপ্তাহে সাক্ষাত্কালে খালেদা জিয়াকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জিজ্ঞেস করেন, ‘কেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেননি?’
বিএনপি সূত্রগুলো বলছে, দ্রুত আরেকটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আশ্বস্ত করলেও দৃশ্যমান কিছু হচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নতুন সরকার থেকেও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। দলের নেতারা বলছেন, নির্বাচনের পর মনে করা হয়েছিল, প্রভাবশালী দেশগুলো সরকারের সঙ্গে কাজ করবে না। কিন্তু এখন আর সে রকম দেখা যাচ্ছে না। বরং সব দেশের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ আগের চেয়ে মজবুত হয়েছে।
বিএনপির ধারণা ছিল, পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে বিদেশিদের চাপে সরকার দ্রুত আরেকটি নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। কিন্তু আগামী পাঁচ বছর পর পরবর্তী নির্বাচন হবে— সরকারের এই ঘোষণার পর কিংকর্তব্যবিমূঢ় বিএনপি বিদেশিদের দরজায় কড়া নাড়ছে। এখন পর্যন্ত কোনো ফল না পেলেও আশা ছাড়েনি দলটি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শীঘ্রই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন দলটির নেতারা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী শনিবার বর্তমানকে বলেন, পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যে অবস্থানে ছিল, সে অবস্থান থেকে তারা সরে আসেনি। বরং বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার তার অবস্থানে পরিবর্তন এনেছে। তারা কংগ্রেস সরকারের মতো অন্ধভাবে সমর্থন দেবে না বলেই আমাদের ধারণা। বাংলাদেশের জনগণ যা চাইবে, সেদিকেই ভারত সরকারের সমর্থন থাকবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক মহল বিভিন্ন বৈঠকে বিএনপি নেতাদের বলেছিল, নির্বাচন হলেও এক বছরের মধ্যে দেশে আরেকটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে তারা উদ্যোগী হবে। ওই সময়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি নেতাদের বলেছিল এটা একটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, পরে আরেকটি নির্বাচন হবে-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকের বিষয়টি ফাঁস করলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। তবে মির্জা ফখরুল এই বিষয়ে কোনো ‘তথ্য’ দেখাতে পারেননি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো আলোচনার ‘ডকুমেন্ট’ থাকে না।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিএনপিকে যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা কেউ আর পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি রাখেননি। বরং ভারত ও রাশিয়া বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। ইতিমধ্যে নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান ও চীন সফর করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেছেন। আর এই মাসের শেষ সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে অংশ নিতে নিউইয়র্কে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও।
জানা গেছে, পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরে বিএনপির পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়সমূহ যারা দেখভাল করতেন তারা দলের হাইকমান্ডের কাছে ব্যর্থ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক পৃথকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন দেশ সফর করেন। এই সফরকালে মঈন খান জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব তারানকোর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। ওসমান ফারুক যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক পরিসরে বৈঠক হলেই জামায়াতে ইসলামের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। বিশেষ করে জামায়াত বিষয়ে ভারতের অবস্থান এখনও অস্পষ্ট। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সুষমা স্বরাজ বৈঠকে খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের বিষয়ে। জবাবে খালেদা জিয়া সুষমা স্বরাজকে বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নির্বাচনী জোট। এই জবাবও অবশ্য বিজেপি নেত্রীর পছন্দ হয়নি বলেই সূত্রের খবর। কারণ এভাবে জামায়াতকে নিয়ে জোট করে নির্বাচনে জয়ী হয়ে কোনো সরকার গঠন করলে সেখানে জামায়াতের প্রভাব অবশ্যই থাকবে। তাই এই নির্বাচনী জোটেও আস্থা আনতে পারছে না বিজেপি— সূত্র এটা মন্তব্য করেছে।
শমসের মবিন চৌধুরী বর্তমানকে বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে কোন প্রেক্ষাপটে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি জানতে চেয়েছেন মাত্র। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজি হয়নি বলেই বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলসহ দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। নির্দলীয় সরকারের দাবিটি আওয়ামী লীগেরই ছিল বলে আবেকে জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তবে আবে বলেছেন, সব দলের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের এই সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে করতে হবে।
(এমকে/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪)
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩
সরদার হারুন বলেছেন: ভাই তালপাতারসেপাই আপনার মতামতের
ফল কি হয় তা দেখার অপেক্ষায় থাাকলাম ।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ছাগল দিয়ে হাল চাষ করানোর চেষ্টা করলে এরকমতো হবেই।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার সমস্ত ব্লগ তো আওয়ামী লীগের জয়গান এবং বিএনপি জামাতের তুলোধুনায় ভরা।
আওয়ামী লীগের মুখপত্র সৈয়দ সাহেবকে সরিয়ে আপনাকে নিয়োগ দিলেই হয়। তাহলে আপনি ভালো ভাবে ঝাপিয়ে পড়তে পারতেন, তাই নয় কী?
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
আহমেদ রশীদ বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালি না কাঙালি। বোকা কোথাকার!!!!! কিচ্চু বোঝেনা
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৩১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ব্যার্থরা সব ক্ষেত্রেই বিফল হবে এটাই স্বাভাবিক