নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
গণজাগরণ মঞ্চের বিভক্তি ও ঐক্য না হওয়ার পিছনে বিবদমান উপদলগুলো মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারকেই দায়ী করছে।
এ বিষয়ে তারা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তারা ইমরানের বিপক্ষে অভিযোগ তুলছে। তাদের বক্তব্য, ইমরানের একগুঁয়েমি ও নেতৃত্বের ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে মঞ্চ আগের মতো কর্মসূচি পালন করতে পারছে না। এদিকে সব পক্ষকে একসঙ্গে বসানোর লক্ষ্যে মঞ্চের উপদেষ্টারা পরামর্শ দিলেও, ইমরান তা শুনছেন না বলে সূত্র জানায়।
মঞ্চের সঙ্গে ঘনিষ্ঠজনেরা বলেন, গত এপ্রিলে মঞ্চের বিভক্তি আসার পর দেশের প্রথিতযশা সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক, বিভিন্ন গণমাধ্যমে উচ্চপদে আসীন সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ বিভিন্ন মহল থেকে ঐক্যের ডাক আসে। সে সময় এদের অনেকে ইমরান এইচ সরকারের কাছে গিয়েও ঐক্য করার আহ্বান জানান, কিন্তু তিনি রাজি হননি। এ সুযোগে দৃশ্যপটে আসেন মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের সাবেক আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী। তিনি ইমরানকে মুখপাত্রের পদ থেকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মূলত পাশা সক্রিয় হয়ে ওঠার পরই মঞ্চের ‘নেতৃত্বের সংঘাত’ প্রকাশ্যে আসে। এরই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ উদাহরণ গত শুক্রবার শাহবাগে চেয়ার ছোড়াছুড়িসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।
মঞ্চের ঐক্যের বিষয়ে গত এপ্রিল মাসে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ। সে প্রসঙ্গে সম্প্রতি তিনি বর্তমানকে বলেন, ‘আমি আমার পক্ষ থেকে মঞ্চের ঐক্য ফেরানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু সে ঐক্য ফেরেনি। তারা যে যার অবস্থানে অটল থাকার কারণে ঐক্য হচ্ছে না। আসলে আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের যে লক্ষ্য নিয়ে এ মঞ্চের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলাম, তা থেকে এখন অনেকাংশই মঞ্চ সরে এসেছে। এখানে এখন ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাস ও স্বার্থের বিষয়গুলো মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মঞ্চের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, ‘ইমরান এইচ সরকারের কারণেই মঞ্চে ঐক্য আসছে না। আমরা তার সঙ্গে ও তার সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু সে কোনো প্রকার ঐক্যে আসতে রাজি নয়। মঞ্চের মূল আন্দোলন ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি। কিন্তু তারা সেখান থেকে সরে এসেছে। তবে আমি এখনও আশা করছি, সে খোলামন নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা বসবেন ও মঞ্চের ঐক্য ফেরাবেন।’
ব্লগারস অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক- বোয়ানের একটি অংশের নেতা মোরাসালিন মিজান বর্তমানকে বলেন, ‘মঞ্চ বিভক্ত হয়েছে। এর অন্যতম কারণ ইমরানের নেতৃত্বের ব্যর্থতা। বিভক্তির জন্য তার একগুঁয়েমি ও অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে মঞ্চে বিভক্তি এসেছে। তিনি মুখপাত্র হওয়া সত্ত্বেও মঞ্চের ঐক্যের বিষয়ে কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এর ফলে প্রমাণিত হয় তিনি ক্ষমতায় থাকতে চান, এছাড়া তার আর কোনো লক্ষ্য নেই।’
এ প্রসঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের অপর অংশের নেতা কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গত এপ্রিল মাসে ইমরানকে ‘অব্যাহতি’ দিয়েছিলাম, বহিষ্কার করি নাই। আমরা সবার সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে চাই। কিন্তু ইমরান পক্ষ ঐক্য চাচ্ছে না। সে মুখপাত্রের পদও ছাড়তে চাচ্ছে না। তার কাছে আন্দোলন থেকে ব্যক্তিস্বার্থটাই অধিক গুরুত্ব বহন করছে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইমরানের অন্যতম সহচর ও মঞ্চের সংগঠক মারুফ রসূল বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চ সবার, কারো একার নয়। আমরা এ মঞ্চ থেকে কাউকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করি নাই। সব সময়ই সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করতে চেয়েছি। কিন্তু অন্যপক্ষগুলো ঐক্যের কথা মুখে বললেও, আমাদের বিরুদ্ধে কুত্সা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি আমাদের ওপর হামলাও করছে। আমরা এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে চাই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্লগারস অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্ক- বোয়ানের একটি মানববন্ধন থেকে শুরু হয় গণজাগরণ মঞ্চের, যা দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায়।
সুত্র
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫
তালপাতারসেপাই বলেছেন: কোথা থেকে? দেশ থেকে পালাতে চাইছিল মনে আছে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: ঐ হালারে বের করে দেয়া উচিত।