নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
আইএস বা ইসলামিক স্টেট নামে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন বর্তমানে গোটা বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম। এই আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পরপর ২ জন মার্কিন সাংবাদিক ও একজন ব্রিটিশ এনজিও কর্মীকে শিরñেদ করে এর ভিডিও প্রকাশ করেছে আইএসএস। সেই আইএস বাংলাদেশের মেধাবী তারুণ্যকে টার্গেট করে এ দেশ থেকে কর্মী সংগ্রহের মিশনে মাঠে নেমেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হিফজুর রহমান নামে এক কলেজ ছাত্রকে আইএস-এর সদস্য বলে দাবি করছে ডিবি পুলিশ। পুলিশের তথ্যানুযায়ী, হিফজুর ফেসবুকে জিহাদি বিপ্লব নামে একটি পেইজ পরিচালনা করতো। এ পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করতো বলে সে স্বীকার করেছে। দেশে নতুনমাত্রায় এই জঙ্গি তৎপরতার খবর আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের।
২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এবং লেভ্যান্ট’ অথবা ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এবং আল-শামস’ নামে সংগঠনটি অভিহিত এবং ২০১৪ সালের ২৯ জুন ‘ইসলামিক স্টেট’ অথবা সংক্ষেপে ‘আইএস’ নতুন নামে জোরেশোরে তৎপরতা চালালেও তাদের শুরু অনেক পেছনে। ১৯৯৯ সালে ‘জামাত আল তৌহিদ ওয়াল জিহাদ’ নামে সংগঠিত একটি গ্রুপ ২০০৪ সালে আল-কায়েদার সঙ্গে জোট বাঁধে এবং ওসামা বিন লাদেনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। তখন তারা ‘তানজিম কায়াদাত আল জিহাদ ফি বিলাদ আল রফিদান’ নাম নেয় এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বেশ কিছু প্রাণঘাতী অপারেশন চালিয়ে ইরাকের আল-কায়েদা নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে এ সময়ে দুজন মার্কিন সৈন্যকে ধরে নিয়ে গিয়ে শিরñেদ, ৪ জন রাশিয়ান অ্যাম্বাসি স্টাফকে অপহরণ করে শিরñেদের ঘটনা বহুল আলোচিত। ইরাকের ১৭০০ সরকারি সৈন্যের শিরñেদ ও হত্যার দাবি আইএস-এর। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেতে ইতোমধ্যে কেমিক্যাল বোমা মেরে তারা ১৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে। খেলাফত প্রতিষ্ঠার নামে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী ইতোমধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের আগস্টে এসে আইএস-এর যোদ্ধা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সিরিয়াতে ৫০ হাজার এবং ইরাকে ৩০ হাজার। ইরাকি সুন্নি এবং সিরিয়ার জঙ্গি ছাড়াও ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে প্রচুর জঙ্গি এসে আইএস-এর হাত শক্ত করেছে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ভারত থেকেও যোগ দিয়েছে প্রচুর জঙ্গি। আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্তেজনা বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। আইএস নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশী জঙ্গিরা। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ আইএস-এর সদস্য যুক্তরাজ্যের নাগরিক ইবনে হামদামকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গত বুধবার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা ও রমনার ইস্কাটন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মোঃ আসিফ আদনান ও মোঃ ফজলে এলাহি তানজিলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের ভাষ্যÑ আল-কায়েদা প্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি অংশ দখল করে সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে ইসলামিক শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছিল তারা। এ ছাড়া তারা তাবলিগ জামাতের মাধ্যমে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতিও ছিল তাদের।
আশার কথা হলো আমাদের প্রশাসন এ ব্যাপারে গোড়া থেকেই ওয়াকিবহাল রয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি ইতোমধ্যে বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। বর্তমানে আইএস-উত্তেজনা ও নতুন করে জঙ্গিদের তৎপরতা কঠোর হাতে দমন করাই এখন সরকার ও সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব। জঙ্গি তৎপরতা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদারের পাশাপাশি, আদর্শিকভাবেও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উগ্রবাদকে উসকে দেয়া শিক্ষা ও মতাদর্শ প্রচার এবং এসব তৎপরতার অর্থের জোগান বন্ধ করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০২
সোহেল চট্টগ্রাম বলেছেন: মাত্র দুএকজন মার্কিন সাংবাদিক ও ব্রিটিশ এনজিও কর্মী মারা গেলে এরা এরা হয় বিশ্বের আতংক!!
আর হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের ইসরাইল মারলে এদের বিরুদ্বে কেউ কথা বলেনা !!! কত সুন্দর এ পৃথিবী!!!