নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কামারুজ্জামান ফাইনাল!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের রায় আজ। চূড়ান্ত শুনানি শেষে প্রায় দেড় মাস অপেক্ষার পর আজ এ রায় ঘোষণা করা হবে।



আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ সকালেই এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হচ্ছেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। একাত্তরে আলবদর বাহিনীর ময়মনসিংহ জেলা শাখা প্রধান কামারুজ্জামানকে গত বছর ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে তিনি আপিল বিভাগে আপিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১৭ সেপ্টেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। একই দিন জামায়াতের নায়েবে আমীর দোলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় করা আপিলের রায়ে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। এছাড়া চূড়ান্ত রায়ে আপিল বিভাগ গত বছর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই ফাঁসির দণ্ড ১২ ডিসেম্বর রাতে কার্যকর হয়।

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয় কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে সোহাগপুর বিধবাপল্লীতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও গোলাম মোস্তফা হত্যাকাণ্ডের (তৃতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ) দায়ে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাজার আদেশ দেয়া হয়। এছাড়া বদিউজ্জামান ও দারাসহ ছয়জনকে হত্যার (প্রথম ও সপ্তম অভিযোগ) দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং একাত্তরে শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানের প্রতি অমানবিক আচরণের দায়ে (দ্বিতীয় অভিযোগ) তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় বেসামরিক নেতাদের ওপরও বর্তায়। কারণ অধস্তন বা প্রকৃত অপরাধীদের ওপর তাদের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এটা প্রমাণিত যে, অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে দুটি আলবদর ক্যাম্পে বা আলবদর সদস্যদের মাধ্যমে অথবা আহম্মেদনগর সেনাক্যাম্প থেকে। আলবদর ক্যাম্পগুলোতে বা আলবদর সদস্যদের ওপর কামারুজ্জামানের দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ছিল। আলবদরকে মনে করা হতো পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতের অ্যাকশন সেকশন। কামারুজ্জামান অপরাধ করতে আলবদর বাহিনীর সদস্যদের পরিচালনা করেছেন, পরিকল্পনা করেছেন, পরামর্শ, উসকানি ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। তাই এসব অপরাধের দায় কামারুজ্জামান এড়াতে পারেন না।

ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান। এক বছর পর গত ৫ জুন এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালে আসামির সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় আপিল করেনি।

আপিলের শুনানির পর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আশা প্রকাশ করে বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চালায় পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর এই বদও নেতার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে। তার মতে, ট্রাইব্যুনালে যে পাঁচটি অপরাধে কামারুজ্জামান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, এর প্রতিটি অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। অন্যদিকে আসামির আইনজীবী এসএম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, প্রসিকিউশন তাদের সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে কোনো অভিযোগ নির্ভরযোগ্যভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। আপিলের রায়ে কামারুজ্জামান খালাস পাবেন বলেও আশা করছেন তিনি।

কামারুজ্জামান ছিলেন ক্যাম্পপ্রধান : কামারুজ্জামান ১৯৫২ সালের ৪ জুলাই শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলায় জন্ম নেন। তার বাবা ইনসান আলী সরকার ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ১৯৭১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র কামারুজ্জামান ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার প্রধান। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করতে জামালপুরের আশেক-মাহমুদ কলেজের ইসলামী ছাত্রসংঘের বাছাই করা নেতাকর্মীদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গড়ে তোলেন তিনি। এই বাহিনী সে সময় ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও টাঙ্গাইলে ব্যাপক মাত্রায় যুদ্ধাপরাধ ঘটায়। জামালপুরে আলবদর বাহিনীর সাতটি ক্যাম্পের মধ্যে শেরপুরে সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়ি দখল করে বানানো ক্যাম্পের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কামারুজ্জামান। সে সময় বহু মানুষকে হত্যা করা হয় ওই ক্যাম্পে।

স্বাধীনতার পরের বছর ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন কামারুজ্জামান। ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করার পর ১৯৭৮-৭৯ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জিয়াউর রহমানের আমলে ছাত্রসংঘের নাম বদলে ছাত্রশিবির করার পর অবশ্য প্রথমে কামারুজ্জামান সেক্রেটারি ছিলেন। ওই সময় সভাপতি ছিলেন গতকাল ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলী। ১৯৭৯ সালের অক্টোবরে কামারুজ্জামান মূল দল জামায়াতে ইসলামে যোগ দেন। ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর রুকনের দায়িত্ব পান। ১৯৮২-১৯৮৩ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৯৯২ সালে কামারুজ্জামান দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান।



সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত গণহত্যার দায়ে ফাঁসি ব্যতিত অন্য কোন রায় কামারুজ্জামানের প্রাপ্য নয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

কিবর বলেছেন: স্বাধীনতার পরের বছর ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন কামারুজ্জামান।


যে লোকটা স্বাধীনতার পরের বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সে কিনা যুদ্ধের সময় ধর্ষন করেছে, লুটপাট করেছে।

মিথ্যার কি বাহাররে দাদা????


বলতে থাকেন , নোবেল পাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.