নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতে দ্বৈতনীতি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

দ্বৈতনীতি চলছে জামায়াতে ইসলামীতে। সামান্য অপরাধে বছরে শতাধিক নেতার সদস্যপদ (রুকনিয়াত) বাতিল হলেও মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ডিত শীর্ষ নেতাদের পদ বাতিল হয় না। দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে তাদের পদ টিকিয়ে রাখা হয়েছে। জামায়াতে দলের সর্বোচ্চ পদ রুকন (সদস্য)। রুকনরা বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। রুকনিয়াত না থাকলে তিনি দলের কোনো পদের জন্য যোগ্য নন।

রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির জসিম উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে। তার অভিযোগ এখনও প্রমাণিত নয়। ২০১০ সালে ময়মনসিংহ জেলার ছয় রুকনের রুকনিয়াত স্থগিত করা হয় অননুমোদিত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ সংগ্রহের অভিযোগে। যদিও তাদের অভিযোগ কোনো আদালত কর্তৃক প্রমাণিত হয়নি।
২০০৭ সালে রুকনিয়াত বাতিল হয় কেন্দ্রীয় নেতা ও নীলফামারী-৩ আসনের দু'বারের এমপি মিজানুর রহমান চৌধুরীর।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। আদালত কর্তৃক অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই রুকনিয়াত বাতিল হয় মিজানুর রহমানের। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের মনোনয়নও পাননি তিনি। একই অভিযোগ থাকার পরও তৎকালীন এমপি গাজী নজরুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াহয়নি।
চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর ১৩ বছরের কারাদণ্ড হলেও রুকনিয়াত বাতিল হয়নি। দলের পদও টিকে আছে বহাল তবিয়তে। একই অপরাধে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জামায়াতে এই দ্বৈতনীতি নিয়ে দলের কোনো নেতাই প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। জামায়াতের দপ্তর বিভাগের ২০১০ সালের তথ্যানুযায়ী, বছরে সারাদেশে শতাধিক রুকনের রুকনিয়াত বাতিল অথবা স্থগিত করা হয়। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ডিত হওয়ার পর দলের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পদ এখনও বহাল আছে। তাকে এখনও নির্দোষ দাবি করছে জামায়াত।
এ প্রসঙ্গে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির সমকালকে বলেন, 'জামায়াত একাত্তরের ভূমিকাকে অপরাধ বলেই মনে করে না। তারা কখনই মনে করে না, একাত্তরে গণহত্যা চালিয়ে কোনো ভুল করেছে। সে কারণেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের দল থেকে বাদ দেয় না। কখনও দেবেও না।'
শাহরিয়ার কবির বলেন, 'জামায়াত বরাবরই নিজেদের সৎ মানুষের দল হিসেবে দাবি করে। শৃঙ্খলার কারণে পান থেকে চুন খসলেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু মানবতাবিরোধীদের এখনও দলে রেখে প্রমাণ করেছে, এগুলো সবই ভাঁওতাবাজি। দলের নির্দেশে অপকর্ম করলেও তা অপরাধ নয় জামায়াতের কাছে।'
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত হয়েছেন দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী। আদালত কর্তৃক অপরাধ প্রমাণের পরও তাদের কারোরই রুকনিয়াত বাতিল হয়নি; বরং দণ্ডিত নেতাদের পদ রক্ষায় গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫(৬) ধারা অনুযায়ী 'আমিরে জামায়াত যদি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাহা হইলে তিনি কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের পরামর্শে নায়েবে আমিরগণের মধ্য থেকে একজনকে উক্ত সময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত আমির নিয়োগ করিবেন।' ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতারের পর ৫৩ মাস পেরিয়ে গেলেও নিজামীর আমির পদ যায়নি; বরং গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে অনির্দিষ্টকাল পদে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
অথচ ২০১০ সালের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত জামায়াতের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছিল, আদালত কর্তৃক প্রমাণের আগে কেউ যুদ্ধাপরাধী নয়। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীর বিচার হলে জামায়াত সহায়তা করবে। ২০১০ সালের ২১ মার্চ পুরানা পল্টনে মহানগর জামায়াতের সমাবেশে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছিলেন, 'দেশে আইন আছে, আদালত আছে। নিম্ন আদালত ফাঁসি দিলে হাইকোর্টে যাব। হাইকোর্টে ফাঁসি দিলে সুপ্রিম কোর্টে যাব।' সর্বোচ্চ আদালতে সাজা হলে তা মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর এখন তা প্রত্যাখ্যান করছে জামায়াত।
সুত্র

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

কিবর বলেছেন: জামাত দ্বৈতনীতিতে চলুক আর তিন নীতি নিয়ে চলুক , এতে আপনার খারাপ লাগে কেন। এরকম হাজার হাজার। উদাহরণ তো আওয়ামীলীগের আছে, তা নিয়ে লিখুন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

তালপাতারসেপাই বলেছেন: শাহরিয়ার কবির বলেন, 'জামায়াত বরাবরই নিজেদের সৎ মানুষের দল হিসেবে দাবি করে। শৃঙ্খলার কারণে পান থেকে চুন খসলেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু মানবতাবিরোধীদের এখনও দলে রেখে প্রমাণ করেছে, এগুলো সবই ভাঁওতাবাজি। দলের নির্দেশে অপকর্ম করলেও তা অপরাধ নয় জামায়াতের কাছে।'

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

নিজাম বলেছেন: ভাই এটা নতুন কিছু না। সেই ১৯৪০ সালের দিকে জামায়াত প্রাতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ ধারা বজায় আছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

তালপাতারসেপাই বলেছেন: :D নিজ+আম বলেছেন: ভাই এটা নতুন কিছু না। সেই ১৯৪০ সালের দিকে জামায়াত প্রাতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ ধারা বজায় আছে।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

হাসান নাঈম বলেছেন: কোন আদালতে দোষ প্রমানিত হয়েছে? সেই আদালতে যার রায় বাদি বিবাদী কেউ মানে না? রায়ের বিরুদ্ধে মাসব্যাপি রাস্তা বন্ধ করে শ্লোগান দিলেও আদালত অবমাননা হয় না? সেই আদালত যার প্রধান বিচারপতি স্কাইপে কেলেঙ্কারী মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করে? সেই আদালত যাকে কাজে লাগিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার জন্য?? সেই মেরুদন্ডহীন আদালত যে রাস্তার আন্দোলন আর সরকারের প্রভাবে যাবজ্জীবন স্বাস্তিকে বাড়িয়ে মৃত্যুদন্ড করতে বাধ্য হয়??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.