নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ছবিঃ উত্তরের বিএনপি মেয়রপ্রার্থী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে ও পাসে জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালী ইস্কান্দার আলীর মেয়ে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে উত্তরের বিএনপি মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে আলোচনা বাড়ছে। রাজনীতিতে ‘আনাড়ি’ তাবিথের ‘সাবালক’ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা প্রশংসা যেমন পাচ্ছে, সমালোচিতও কম হচ্ছে না। এসবকে বাঁকা চোখে দেখছেন অনেকে। দলের মধ্যেও রয়েছে তার কঠোর সমালোচক। তবে সাধারণ ভোটারের মধ্যেই এর মাত্রা বেশি। তিনি কোন দলের- বিএনপি’র নাকি জামায়াতের নাকি ২০-দলের সে নিয়েও রয়েছে কানাঘুষা।
মাত্র কিছুদিন আগে যাকে কেউ চিনতো না, সেই তাবিথকেই এখন মেয়রের চেয়ারে দেখার স্বপ্ন দেখছে ২০ দলীয় জোট। আর সেখানেই আপত্তি সচেতন মহলের। অনেকে বিষয়টিকে সুখকর হিসেবে দেখছেন না। ক্রমেই প্রকাশ্য হয়ে উঠছে তাদের কিছু প্রশ্ন।
রাজনীতিতে যার নেই সামান্য হাতেখড়িও তিনিই যখন আলোচনার কেন্দ্রে চলে এলেন তখন প্রশ্ন উঠছে পুরোপুরি অনভিজ্ঞ এ তরুণ কীভাবে সামলাবেন এমন গুরু দায়িত্ব!
অনেকেরই আরও প্রশ্ন, তাবিথ মেয়র হলে তা রাজধানীবাসী বা দেশের রাজনীতির জন্য কতটা ইতিবাচক হবে?
পিতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুই তার প্রথম পরিচয়। তাবিথকে কেউ চেনেন না। তাই ভোট চাইতে গেলেও তাকে প্রথমেই দিতে হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ধনী ব্যবসায়ী মিন্টুর পরিচয়।
ওদিকে, মাঠের রাজনীতিতে এই মিন্টুরও কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তিনি নিজে প্রার্থী হলেই কতটা সফল হতেন সে প্রশ্নও বড় করে ঝুলছে ভোটারদের সামনে। সেখানে ছেলেতো তার চেয়েও যোজন দূরের।
এতে দলীয় রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমনটাও মনে করছেন অনেকে। এমনকি দলেরও ভেতরও রয়েছে এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া। মাঠের রোদে পোড়েননি তাবিথ, তৃণমূলের রাজনীতির পাঠ নেই তার। সেই তিনি রাজনীতিতে বড় ভূমিকা কীভাবে পালন করবেন? সেটাই অনেকের প্রশ্ন।
কেউ কেউ তুলনা করছেন তাবিথের সবচে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনিসুল হকের সঙ্গে। তারা বলছেন, আনিসের রয়েছে দীর্ঘদিনের পরিচিতি। তাবিথের মতো ‘বড়লোক’ বাবার পরিচয়ে নয়, আনিসুলের বর্তমান পরিচয় নিজেরই গড়া। তাই বয়স, অভিজ্ঞতা বিচারে আনিসের সঙ্গে তাবিথের প্রতিদ্বন্দ্বীতা মেনে নিতে পারছেন না অনেকে।
২০ দলীয় জোটের অনেকেই তাবিথকে আপন করতে পারছেন না, স্রেফ জোটের প্রার্থী বলেই মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু তাদের আচরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে, ‘মেনে নেওয়া ও মনে নেওয়ার ফারাক অনেক’।
বিএনপির নেতাকর্মীদেরও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, সোনার চামচ মুখে নিয়ে যে তাবিথের জন্ম, তিনি কীকরে তৃণমূলের নেতা হবেন? নগরের ছিন্নমূলের প্রতিনিধি হবেন?
তার আধুনিক স্মার্ট স্টাইলের প্রশংসা যেমন আছে কেউ কেউ আবার নিন্দাও করছেন। তারা এসবকে রাজনীতির মাঠে ছেলেমানুষি বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, তাবিথ যদি মেয়র হন, ‘সুখপাঠ্য’ ও ‘সুখশ্রাব্য’ ইশতেহার ভুলতে হবে তাকে।
আওয়ামী লীগের সরকারে বিএনপির হয়ে তাবিথ মেয়র নির্বাচিত হলে তা তার জন্য বুমেরাং হযে দেখা দেবে এমনটাও মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, মেয়র হয়ে রাজধানীবাসীর নেতা হবেন তাবিথ, কিন্তু খালেদার আহ্বান ফেলবেন কীকরে? জোটনেতা খালেদা যদি আন্দোলনের ডাক দেন, রাজধানীতে মিছিল-মিটিং-সমাবেশের ডাক দেন, তা এড়ানোর ক্ষমতা থাকবে না তাবিথের।
দলের প্রতি তার নিষ্ঠা ও ভালোবাসা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা বলছেন, যিনি কোনদিন দলের কোন কিছুতেই ছিলেন না, তিনি দলকে আসলেই ভালোবাসেন কি? দলের দুঃসময়ে পাশে থাকবেন কি এ ব্যবসায়ী? প্রশ্ন তাদের।
একটি গোষ্ঠী তাবিথের রাজনৈতিক দর্শন নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।
যার পিতা কখনো আওয়ামী লীগের স্বার্থ দেখেছেন, কখনো দেখেছেন বিএনপির স্বার্থ, কিংবা নিজের স্বার্থে দুই দলের কাছেই আপন সেজেছেন, সেই পিতার ছেলে নিজে কি এর বাইরে যেতে পারবেন? সে প্রশ্ন যেমন আছে তার চেয়েও স্পর্শকাতর হিসেবে সামনে এসেছে বৈবাহিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ।
তাবিথের শ্বশুর ইস্কান্দার আলী জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবশালীদের একজন। শ্বশুরের রাজনৈতিক আদর্শ তাকে কাজে কর্মে সিদ্ধান্তে একেবারে প্রভাবিত করবে না এমনটা ভাবা কঠিন। কিংবা তিনি নিজেও এখনও এমন কোনও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন নি যা তাকে জামায়াতের বলয়মুক্ত বলে নিশ্চিত করেছে। বরং জামায়াতের প্রভাবশালীর মেয়ে বিয়ে করে সে দিকে তার ঝোঁকেরই প্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি।
এনিয়ে খোদ বিএনপিতেও প্রশ্ন, তাবিথের রাজনৈতিক দর্শন কী? কাদের আপন করবেন তিনি?
তাবিথের সঙ্গে বাংলানিউজের কথা হয়েছিলো এক একান্ত সাক্ষাৎকারে। সেখানে তিনি তৃণমূলকে কতটা বোঝেন তার উত্তর দিয়েছিলেন, বস্তির মাঠে ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতার কথা বলে।
রাজনীতির তার বিশ্বাস কোনটা সেটা স্পষ্ট না হলেও নিজেকে বিএনপি’র নয় ২০ দলের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ২০-দলের অন্যতম শরিক দল জামায়াত, সেটাও সবার জানা।
সুত্র
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:০৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
রঙতুলি বলেছেন: এমন আনসুল হক কে নিয়ে একটা লেখেন তো
এর পর মাহি, সাঈদ খোকন।
কি পারবেন না।??
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
তালপাতারসেপাই বলেছেন: সবুরে মেওয়া ফলে
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩
তপ্ত সীসা বলেছেন: এইডা যে একটা আবাল তাতে কোন সন্দেহ নাই ভায়া। কিন্তু আনিস সাহেব যেই খেলা দেখাইলেন সম্পত্তির হিসাব নিয়া, উনি নিজেরেও কিন্তু একই কাতারে আইসা দাড়াইছেন। যেই লাউ সেই কদু।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
তালপাতারসেপাই বলেছেন: তপ্ত সীসা বলেছেন: এইডা যে একটা আবাল তাতে কোন সন্দেহ নাই ভায়া।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
তপ্ত সীসা বলেছেন: পরের লাইনগুলি তুললেননা ক্যান ভায়া? ভালা লাগেনাই?
আপনেও তাইলে দলকানা।
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: মানুষ তাবিথ কে ভোট দিবে না সত্য, ভোট দিবে সরকারের বিপক্ষে।আমার সবচেয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার তো কেড়ে নিলেন, ৫ই জানুয়ারিতে আপনারা ঢাকাবাসীর ভোট দেওয়ার দরকারই মনে করলেন না, এখন ভোট খুজতে লজ্জা করে না? ঢাকার পাবলিকরে পাত্তাই দিলেন না, নিজেদের এম পি নিজেরা বানাইলেন, এখন মেয়র বানাইতে আমাদের ভোটের কি দরকার?
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:০১
আহমেদ রশীদ বলেছেন: একটি যুক্তিসম্মত ও তথ্যবহুল লেখা পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।