নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ত্রিমুখী বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছেন। ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শোক দিবসের এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কে এম সফিউল্লাহকে ‘ইডিয়েট’ ও ‘বেয়াদব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘ওই যে একটা ইডিয়েট সফিউল্লাহ, মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। আর্মি চিফ ছিল। মণি ভাই মারা যাওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টার পর বঙ্গবন্ধু মারা গেলেন। কেউ বলে ৬টা ৪৭ মিনিট। বঙ্গবন্ধু সবার কাছে ফোন দিয়েছেন। কর্নেল শাফায়াত ছুটে আসছিল। আর উনি (কে এম সফিউল্লাহ) বসে বুড়ো আঙুল চুষছেন?’ শেখ সেলিম বলেন, ‘এটা তো কোনো সেনা অভ্যুত্থান ছিল না। বিপথগামী সেনা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এটা করেছিল। যখন তারা অস্ত্র নেয়, তখনই তাদের কোর্ট মার্শাল হওয়া উচিত ছিল। উনি (সফিউল্লাহ) এগিয়ে আসলেন না। কেন ওই দিন বঙ্গবন্ধুর বাসার দিকে শাফায়াত জামিলকে সঙ্গে নিয়ে পাঁচখানা, দশখানা ট্রাক আসেনি। কিসের জন্য সফিউল্লাহ নীরব ছিলেন?’ কে এম সফিউল্লাহকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘উনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, আপনি একটু বাসা থেকে বেরিয়ে যাইতে পারেন না?’ প্রশ্ন রেখে শেখ সেলিম বলেন, ‘ক্যান, তুমি আসতে পারলা না? তখন তো তুমি আর্মি চিফ ছিলা।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ৬টার পরে মারা গেলেন আর সফিউল্লাহ রেডিও স্টেশনে গিয়ে বিপথগামী সৈনিকদের সঙ্গে গেল। সে কেন অর্ডার দিল না, যারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে গেছে, তারা আর ঢুকতে পারবে না। এরা ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে এদের অ্যারেস্ট করা হোক। অ্যারেস্ট করা হলো না। ডালিম গেল, নূর গেল, এরা কিন্তু সবাই অবসরপ্রাপ্ত। ওইখানে গিয়ে তাকে (সফিউল্লাহ) নিয়ে আসল। সে বলল, খুনি মোশতাক সরকারের প্রতি সে আনুগত্য স্বীকার করবে। কিন্তু রক্তের সঙ্গে যারা বেইমানি করছে তারা কখনো ভালো থাকতে পারে নাই।’ এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ‘খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে শেখ সেলিমের আঁতাত ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে বঙ্গবন্ধু ফোন করেন নাই। আমি সোয়া ৫টার দিকে জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গেই আমি তাকে ফোন করি। ওই সময় সাধারণত ট্যাঙ্কগুলো মাসে দুবার নাইট ট্রেনিং করত। ঠিক ১৫ তারিখই নাইট ট্রেনিং ছিল। ওই ট্রেনিংয়ের জন্য তারা দেখিয়ে বেরিয়েছে, যাতে কারও মনে কোনো সন্দেহ না আসে। আমি যখন জানতে পেরেছি, তখন আমার করার কিছু ছিল না। সেখানে গিয়ে মৃতদেহ দেখে লাভ কী হতো। আমি যদি সেদিন মারা যেতাম তাহলে লাভ কী হতো!’ তিনি বলেন, ‘সেলিম কী বলে আই ডোন্ট কেয়ার। আমি তো মনে করি খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে শেখ সেলিমেরও আঁতাত ছিল। নইলে সে কেন ১৫ তারিখ আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে গিয়েছিল। ১৫ আগস্ট আমার কোনো ভুল ছিল না। সেদিন যা হয়েছে আমার কোনো করণীয় ছিল না। ওই সময় যদি সেনাবাহিনী ধাওয়া করে সেনানিবাসের দিকে ঢুকত, প্রতিরোধ করতে পারত কেউ? কথা ঠিকই বলা যায়, তবে কাজের কাজ কিছুই হতো না।’
সুত্র
©somewhere in net ltd.