নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

কন্যা শামাকে ঘিরে মা দিবসে শাহেদার স্ট্যাটাস

০৯ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৪১

প্রফেসর শাহেদার সেই মর্মস্পর্শী স্ট্যাটসটি পাঠক বর্গের জন্য তুলে ধরা হলোঃ

আজ, ৮ ই মে ২০১৬, আজ নাকি বিশ্ব মা দিবস ! আমার এ দিবসটি নিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে ভীষণ রকম আপত্তি আছে। কারণ আমি মনে বছরের প্রতিটি দিনই মা দিবস হওয়া উচিত। যে মা ৯ মাস গর্ভে ধারণ, নিজের রক্ত ও প্রাণ দিয়ে আমাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, যিনি আমার বাবার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, যার জন্য আজ আমার সবটুকু অস্তিত্ব , যার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্থ I তার জন্য আমার প্রতিটি নিশ্বাস উৎসর্গর্গ করলেও কিছুই করা হয় না। তার জন্য আবার একটি দিবস কি ? ৩৬৫ দিনই তার জন্য নিবেদিত। বন্ধরা, আপনারা দেখেছেন প্রতি বছর মা দিবসে আমি এ সম্পর্কিত পোস্ট দিয়েছি।আজ আপনাদের একজন হতভাগা মা এর গল্প শোনাবো। যদি সময় হয় পড়বেন দয়া করে।
এক মা এর একটি মাত্র কন্যা সন্তান। মা চাকুরী করেন , বাবা রাজনীতি / ব্যবসা জাতীয় কিছু করেন। এবং সে সূত্রে সংসারে একেবারে সময় দিতে পারেন না বা দেন না I দিনরাত বলতে গেলে বাইরেই থাকেন । অনেক সময় বছরের বছর এমন জায়গায় থাকতে বাধ্য হন যেখানে তার স্ত্রী, কন্যা বা পরিবার দেখা করতে হলে অনেক বাধা পার হতে হয়। তাও আবার ১৫ দিন পর পরই এ অবস্থায়; সে মা বহু প্রতিকুলতা পেরিয়ে ,বদলির চাকরি করে ও এক মাত্র কন্যা কে অবলম্বন বানিয়ে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ স্কুল, কলেজ পড়িয়ে এইচ এস সি পাশ করলো সে কন্যাটি কে। কোনো দিন বুঝতেও দেন নি তার বাবার অনুপস্থিতি, বা কোনো রকম কষ্ট। HSC পাশ করানোর পর মা এর খুব ইচ্ছা কন্যাকে আমেরিকা তে কম্পিউটার ইঞ্জিনীয়ারিং পড়াবে এবং সে ভাবে চেষ্টা করতে থাকলো সেই মা। এর মধ্যে সে আদরের কন্যাটি স্বজ্ঞানে জেনে শুনে একটি সামাজিক বিপর্যয় ডেকে আনলো। কন্যার বাবা তো ভীষণ ক্ষেপে গেলেন এবং কন্যার সাথে সম্পর্ক ই প্রায় রাখবেন না এমন অবস্থা দাড়ালো ।কিন্তু মা হাল ছাড়েন নি ।
তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে কন্যা কে সে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে আমেরিকা প্রবাসী তার মামার কাছে পাঠিয়ে উচ্চতর পড়া শুনার ব্যাবস্থা করার জন্য পাগলের মত ছুটোছুটি আরম্ভ করলেন।
এদিকে আরেক সমস্যা দেখা দিল, কন্যার বাবা মেয়ে কে কিছুতেই আমেরিকা পাঠাতে রাজি না এবং বলে দিলেন তিনি এক টাকা ও দেবেন না ।বাবা কন্যার মধ্যে সম্পর্ক নেই বললে ই চলে Iকিন্তু মা লেগে ই থাকলেন এবং অতি সংগোপনে আমেরিকার ভিসা করে কন্যার নানির সাথে আমেরিকা পাঠিয়ে দিলেন এবং তাকে এগিয়ে দিতে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত্য গেলেন। কন্যা কে তো পাঠিয়ে দিলেন কিন্তু তার ঘটানো সেই সামাজিক বিপর্যয়ের পরবর্তী মাশুল গুলো দিতে হলো মাকেই। বেচারী নিরবে সব মুখ বুজে সয়ে নিল কলজের টুকরা সন্তানের জন্য।আমেরিকায় , নিজ খরচে , টাকা কে ডলার এ রুপান্তরিত করে পড়া ভীষণ কষ্ট, কিন্তু মা এর যে চাকরি তাতে বাড়তি উপার্জনের কোনো সুযোগ নেই ।এটি ১৯৯৩ এর জানুয়ারী মাসের কথা। অগত্যা মা জীবনে যা করেনি, টিউশন পড়ানো আরম্ভ করলেন। গ্রীন রোডে দুটো রুম ভাড়া নিলেন পড়ানোর জন্য।সকাল ৯ থেকে ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত্য পুরানো ঢাকায় চাকরি স্থল, সেখান থেকে নিজে ডান হাথে গাড়ি চালিয়ে আর বাম হাথে পাশের সীটে রাখা কিছু শুকনো খাবার খেতে খেতে গ্রীন রোডে চলে যেতেন।
তারপর ৩-৪ , ৪-৫, ৫-৬ পর্যন্ত্য তিন ব্যাচ ছাত্রী পড়িয়ে,আবার সেখান থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মালিবাগ আরেকটি চাকরি করতেন Iতা সেরে বনানী বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ৯-১০ টা বেজে যেত I একটু ও ক্লান্তি নেই মহিলার কারণ মাথায় তখন একটি মাত্র চিন্তা, য়ে মেয়েকে আমেরিকায় টাকা পাঠাতে হবে i বাবা কখনো সখনো 20 টাকা লাগলে 2 টাকা দিতেন । এভাবে চললো দু বছর । তার মধ্যে আবার সেই মা ই বহু কষ্টে ছুটি নিয়ে প্রতি বছর মামার বাসায় থেকে লেখা পড়া করা মেয়ে কে দেখতে, সাহস দিতে ছুটে যেতেন আমেরিকা ।পাশা পাশি মেয়ে কে বিয়ে দেবার জন্য পাত্র খুজতে থাকেন মা । বাবার অবশ্য কোনো চিন্তা নেই,তবে মানুষের কাছে খুব গর্ব করে বলতেন আমার কন্যা আমেরিকাতে computer Engineering পড়ছে । কিন্তু খোজ খবর নেয়া বা আর্থিক দিক নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা ই ছিল না।
দু বছর বাদে মা-ই কন্যার বিয়ে দিলেন আমেরিকায় থাকা computer Engineer পাশা পাশি বিশাল business man পাত্রের সাথে ১৯৯৪ এর ডিসেম্বর মাসে I খুব ধুম ধাম সেই বিয়ের আয়োজন এর ৭০ ভাগ ই মা করলেন I বাবা যেন নিজ কন্যার বিয়েতে সব চেয়ে বড় মেহমান ।যা হোক কন্যা তার স্বামীর সাথে আমেরিকা ফিরে গেল । পড়া লেখা শেষ হলো । Computer ইঞ্জিনিয়ার হলো I সেখানে খুব ভালো চাকরি ও করলো । এর মধ্যে তাদের সন্তান ও হলো । এরপর থেকে সেই আদরের মেয়ের রূপ পাল্টাতে আরম্ভও হলো ।১৯৯৮ এ একবার দেশে রাজনৈতিক কারণে সেই মা খুব বিপদে পড়লো, তাও আবার তার স্বামীর কারণে । তখন মা উপায় না দেখে আমেরিকা মেয়ের কাছে চলে গেল । দু মাস পর মেয়ে মা কে বলল ” তুমি অমুক স্টেট এ তোমার বন্ধু তাহিয়া আন্টির কাছে চলে যাও ” অর্থাত সে বিপদে পড়ে আশ্রয় নেয়া মাকে তার বাড়ি থেক্কে বের করে দিল । বিপদে পরে মা অন্য স্টেট এ চলে গেল ঠিক ই তবে খুব কষ্টে দু মাস বন্ধুর বাসায় কাটিয়ে নিরুপায় হয়ে দেশে ফিরে এলো । ততদিনে সমস্যা টি অনেকটা কেটে গেছে।r1
সেই মেয়ে ১৬ বছর আমেরিকায় থাকলো । তার মা নিজের চাকরির পরোয়া না করে প্রতি বছর মেয়ের এবং নাতি দের টানে আমেরিকা ছুটে যেতো । তবে এ ১৬ বছরে মেয়ের বাবা একবার ও মেয়ে কে দেখতে আমেরিকা যায় নাই । ২০০৫ সালের শেষ ভাগে মেয়ে জামাই সন্তান সহ একেবারে দেশে ফিরে এলো, কারণ মেয়ের শশ্বুর মারা গেছে এবং বিশাল ব্যাবসা দেখা শুনা করতে হবে । ইতিমধ্যে মেয়ের বাবা ও খুব অসুস্থ হয়ে পড়লো । তখন থেকে ই মেয়ে বাবার জায়গায় রাজনীতি . করবে সে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে ।এর মধ্যে সেই মেয়ের বাবা মারা যায়। বেচে থাকতে বাবার সাথে চরম দূর্ব্যেবহার সহ বহু ঘটনা ঘটালো । তার যে একজন মা ছিল তা সে তার বাবার মৃত্যুর পর একেবারে ভুলে ই শুধু গেল না, মানুষের সামনে সেই মা কে যাচ্ছে তাই অপমান, অপদস্থ করতে থাকলো। মা মনের এক রাশ কষ্ট নিয়ে আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিল I আজ সেই মেয়ে একটি রাজনৈতিক দলের একটি পদ পেয়ে মনে করে যে সে বিশাল কিছু হয়ে গেছে । গত ৯ বছরে বর্তমানে তার ৬৬ বছর বয়সী অসুস্থ মা এর সাথে কোনো সম্পর্ক রাখে নাই , ফোনে করে কোনো খোজ ও নয় না । রাজনীতির কারণে বিভিন্ন সময় টিভি বা এখানে সেখানে সাক্ষাতকারে একটি বারো তার মা এর নামটি উচ্ছারন করে না, কিন্তু নিজেকে Computer engineer বলে গর্ব করে ।সে ভুলে গেছে যে ক্লাস ৮ পাশ করার পর সে science পড়তে ই চায় নাই, তার বাবা ও তার মত ই ভেবে ছিল যা একটা কিছু পড়লে ই হলো । মেয়ে তো , দুদিন বাদে বিয়ে হয়ে যাবে । তার মা ই রীতি মত যুদ্ধ করে তাকে science পড়তে বাধ্য করেছিল, যার ফলে আজ সে Computer Engineer I একবার ও কি ভাবে না কার রক্ত পানি করা শ্রমে আজ তার এ অবস্থান ! সে তো সেই কবে ১৯৯২ তে নিজের সর্বোচ্ছ ক্ষতি করে ই ফেলেছিল ! তার বাবার তো কোনদিন তার লেখা পড়া, বড় হওয়া, বিয়ের আয়োজন কোথাও কোনো ভুমিকা ছিল না I কোথা থেকে তুলে এনে তার মা তাকে আজকের অবস্থানের উপযুক্ত করেছে । যে মা এর সন্তান হয় না তাদের অনেক কষ্ট সন্দেহ নেই । কিন্তু যে মা এর সন্তান থাকা সত্বে ও সেই সন্তান নিজ স্বার্থের জন্য শেষ বয়সে মাকে চায়ের কাপে পড়ে যাওয়া মাছির মত উঠিয়ে আস্তাকুড়ে ফেলে দেয় সেই মা এর কষ্ট যে কি, তা যে ভোগ করে সে ই একমাত্র বোঝে…

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

মার্কোপলো বলেছেন:




লাখ লাখ ক্লিক হয় আপনার লেখায়, কেহ মতামত জানায় না, আপনি আলাদা ধরণের ব্লগার?

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: রবি :)

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

তালপাতারসেপাই বলেছেন: ইমরান

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

তালপাতারসেপাই বলেছেন: এদের চেয়ে ভাল ব্লগার না?
ওনারা না লিখেই ব্লগার।
আমার লেখা মানুষ পরলে কি করার আছে?

২| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

আমি মিন্টু বলেছেন: ওই রকম কইন্যার গলাটা কেটে তার পর কুমিরকে দিয়ে খাওয়ানো উচিৎ ।

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

তালপাতারসেপাই বলেছেন: হত্যা সমর্থন করতে পারলাম না।
বাপকা বেটি..

৩| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ভয়ংকর মেয়ের কথা শুনালেন।

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

তালপাতারসেপাই বলেছেন: মেয়েটির নাম শামা ওবায়েদ

৪| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

কাঁচাঝাল বলেছেন: আপনি চাইলে ভালো একটি গল্পের প্লট হতো । খুব সুন্দর গুছানো লেখা ।

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

তালপাতারসেপাই বলেছেন: শাহেদা ওবায়েদের লেখা

৫| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এ দেখি জাদরেল মেয়ে

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

তালপাতারসেপাই বলেছেন: মেয়েটির নাম শামা ওবায়ে।
জাদরেল মেয়ে?
জাদরেল শব্দটি ভাল অর্থে ব্যবহার হয়। এখানে মানায় না।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: দুঃখ পেলাম ঘটনা জেনে

৭| ০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

ইলা বলেছেন: এখানে দুঃখ করার কিছু নাই। সমাজের উচ্চস্তর (যাকে আমরা বলি) এর পরিবারে এমন ঘটনা হরহামেশে ঘটছে। আমরা যে মায়ের কথা বলি ওনারা সেই মা নন। যে মা নিজে না ঘুমিয়ে সারা রাত সন্তানের জন্য জেগে থাকেন। অসুস্থ্য সন্তানের পাশে বসে আল্লাহর কাছে নিজের হায়াতের বিনিময়ে সন্তানের সুস্থ্যতা চান। এনারা সেই মা নন। সারা জীবন থেকেছেন নিজের সাজ সজ্জা আর ডেটিং ফিটিং নিয়ে। এদের জন্যই আজ ওল্ড হোমের সৃষ্টি। যেমন রোপন করেছেন তেতুল গাছ, আপেল খাবেন কী করে??
মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত, কেন বলা হয়েছে? কী মায়ের সেই অবদান? যে মাকে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানরা যেন বিরক্ত হয়ে উফ! শব্দটিও না করে-এমন নির্দেশ আছে ইসলাম ধর্মে।
আসুন, দেখুন মাকে কীভাবে সেবা করতে হয়। মডেল আমার শাশুড়ীর ছেলেরা। সত্যিই ভাগ্যবতী মা আমার শাশুড়ী। প্রায় সময়ই তাঁর ছেলেরা বউদের মায়ের কস্টের কথা শুনায়। কত কষ্ট করে ছেলেদের ডাক্তার, ই্ঞ্জিনিয়ার ও ব্যাংকার বানিয়েছেন। উচ্চস্বরে মায়ের সাথে কথা বলতে আমি তাদের কোনদিন শুনিনি। এমন সন্তান যদি ঘরে ঘরে হোত। তা হলে বলতাম গুড়িয়ে দাও যত্তোসব প্রবীন নিবাস।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

বিপরীত বাক বলেছেন: বেশ লাক্সারিয়াস কাহিনী তো।
বড়লোকদের ব্যাপার স্যাপার ই আলাদা।
এতদিন শুনেতাম যে মায়ে কষ্ট করে বাসাবাড়ির কাজ করে, কামলা খেটে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানের পড়ার খরচ জোটায়।

আর এখন দেখছি মায়েরা চায়াচিন্তে টাকা জোগাড় করে সন্তানরে আম্রিকা পাঠায়, বেশ পরিশ্রম করে সেই সন্তানকে দেখতে আবার আম্রিকা বেরায়া আসে। হুমম্।
আবার দেখছি বহুৎ ঘাম ঝড়িয়ে প্রাইভেট কার চালি।য়ে মায়েরা অপিস যায়।
বেশ বিলাসী অভাবী মা তো!
বাংলা ছিনেমার কাহিনীর বেসপ্লট চেঞ্জ করার জন্য পরিচালক সমিতি কে একটা পত্র দেয়া দরকার তাড়াতাড়ি

৯| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২২

পাগলাগরু বলেছেন: প্রফেসর শাহেদা কে?

১০| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

বনসাই বলেছেন: পাগলাগরু বলেছেন: প্রফেসর শাহেদা কে?
লেখার মাঝেই জবাব আছে প্রছন্নভাবে। রাজনীতির খবর রাখলে পেয়ে যাবেন।

ব্লগার ইলা'র সাথে সহমত। বেশ ভালো অব্জারভেশন।

মেয়েটা যে Computer engineer জানতাম না। তবে মেক-আপএর ব্যাপকতায় বলতে হয়, 'মায়েরই মেয়ে'।

১১| ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

সালমা শারমিন বলেছেন: এই মা হল রাজনৈতিক মা। এই মা অনেক কষ্ট করে টাকা ইনকাম করে প্রতি বছর আমেরিকাতে দেখতে যায়।টিউশনি করে আমেরিকাতে টাকা পাঠিয়ে কম্পিউটার ইন্জ্ঞিনিয়ার বানায়। আর বাবা র ইনকাম করা টাকা গুলো শুধু মায়ের মেকআপ এই শেষ হয়ে যায়।
উনি যদি সত্যিকারের মা হতেন কখনও মেয়ের সম্মন্ধে এত কথা বলতে পারতেন না। বাংলার ঘরের মা গুলো এখনোও এমন যে দুবেলা দু,মুঠো ভাত না দিয়ে, যদি সন্তানের চেহারাটা দেখতে দেয়, তাতেই তারা খুশি।
উনি পেরেছেন কারন উনি রাজনৈতিক মা। আর রাজনৈতিক মায়ের রাজনৈতিক কন্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন। সম্ভবত কথাটা এই রকম-
বাপ পরিমান বেটা, গাছ পরিমান গোটা
মা পরিমান ঝি, গাই পরিমান ঘি।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

মিতক্ষরা বলেছেন: বিষয়টি খুবই ঘোলাটে। যে মা তার জীবন বাজী রেখে মেয়েকে মানুষ করবে তার প্রতি কন্যা কেন এরকম বিরূপ হবে? আর মা যদি সন্তানের ভালই চাইবে তবে কেন এরকমভাবে এসব কথা পাবলিক ফোরামে বলবে। মা কেন এভাবে সন্তানকে সাধারন মানুষের সামনে খারাপ বানাবে। সন্তানের হাজারো দোষ থাকলেও বাংগালী মায়েরা তা ঢেকে রাখেন। শামা সংসার করার যোগ্যতা দেখিয়েছে। যা একজন নারীর পক্ষে যথেষ্ঠ কঠিন। সেই তুলনায় মায়ের সাথে সম্পর্ক রাখা অনেক সহজ। খুব গুরুতর কারন না থাকলে শামা হয়ত বাবা মায়ের সাথে এরকম করতেন না।

য্ত যাই হোক, শামার উচিত হবে মায়ের সাথে সম্পর্ক শুরু করা। ন্যুনতম সম্পর্ক রাখা খুব কঠিন কিছু নয়। বাবা মার বিরুদ্ধে সন্তানের অনেক অভিযোগই থাকতে পারে, কিন্তু সেটা কোনভাবেই ন্যুনতম সম্পর্ক বর্জন করাকে জাস্টিফাই করে না। শ্রদ্ধাবোধ নাও থকতে পারে, কিন্তু নৈতিক দায় থেকে হলেও সম্পর্ক রাখা দরকার।

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল। তবে প্রফেসর শাহেদা কেন ওবায়েদুর রহমানের মৃত্যুর পর 'ওবায়েদ' কাটা শুরু করলেন সেটারও ব্যাখ্যা পাবো একদিন আশা করি।

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০১

প্রামানিক বলেছেন: এ দুঃখের কথা আগে কখনও শুনিনি। সুখের আরালে কত যে দুঃখ সেটা মানুষের সাথে না মিশলে বোঝা যায় না। ধন্যবাদ লেখাটা পোষ্ট করার জন্য।

১৫| ১০ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ইলা বলেছেন: এখানে দুঃখ করার কিছু নাই। সমাজের উচ্চস্তর (যাকে আমরা বলি) এর পরিবারে এমন ঘটনা হরহামেশে ঘটছে। আমরা যে মায়ের কথা বলি ওনারা সেই মা নন। যে মা নিজে না ঘুমিয়ে সারা রাত সন্তানের জন্য জেগে থাকেন। অসুস্থ্য সন্তানের পাশে বসে আল্লাহর কাছে নিজের হায়াতের বিনিময়ে সন্তানের সুস্থ্যতা চান। এনারা সেই মা নন। সারা জীবন থেকেছেন নিজের সাজ সজ্জা আর ডেটিং ফিটিং নিয়ে। এদের জন্যই আজ ওল্ড হোমের সৃষ্টি। যেমন রোপন করেছেন তেতুল গাছ, আপেল খাবেন কী করে??
মোক্ষম বলেছেন,,,শাহেদা ওবায়েদ ম্যডাম সরাসরি আমার টিচার।খুব কাছ থেকে দেখেছি তার চলাফেরা,জীবন যাত্রা।সেসব বলে দুর্গন্ধ ছড়াতে চাইনে।সরকারী চাকূরী করেও তিনি ছিলেন বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।আমাদের ছাত্রদলের কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান তিনি নিজে(সেসময় আধূনিকা এন্ড সে..... ম্যডামের নিবিড় সান্যিধ্যে শ্লাঘা এবং রোমাঞ্চ বোধ করতাম।আর চ্যাংরা হ্যান্ডসাম দেখলে.............।আজকালে সেসব ভেবে লজ্জায় মিইয়ে যাই)।আজ সেই তিনি বিএনপির সমালোচনায় যেকোন আওয়ামীলীগারের চেয়েও উচ্চবাচ্য।কারণটা সকলেরি জানা।
অপরদিকে মেয়ের উগ্র মেকাপ এবং বেশভূষা ভীষন দৃষ্টিকটু এবং বিরক্তিকর।
যেমন গাছ তেমনি ফল।স্বাভাবিক পরিণতি।

১৬| ১০ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সালমা শারমিন বলেছেন:
উনি যদি সত্যিকারের মা হতেন কখনও মেয়ের সম্মন্ধে এত কথা বলতে পারতেন না। বাংলার ঘরের মা গুলো এখনোও এমন যে দুবেলা দু,মুঠো ভাত না দিয়ে, যদি সন্তানের চেহারাটা দেখতে দেয়, তাতেই তারা খুশি।
উনি পেরেছেন কারন উনি রাজনৈতিক মা। আর রাজনৈতিক মায়ের রাজনৈতিক কন্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
বাপ পরিমান বেটা, গাছ পরিমান গোটা
মা পরিমান ঝি, গাই পরিমান ঘি।

১০০% সহমত

১৭| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেক কিছু জানা গেল। তবে প্রফেসর শাহেদা কেন ওবায়েদুর রহমানের মৃত্যুর পর 'ওবায়েদ' কাটা শুরু করলেন সেটারও ব্যাখ্যা পাবো একদিন আশা করি।
ঘটনার শুরু জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতির পদ থেকেই..............আরো কত নোংরা কেত্তন।
এ হলো বঞ্চিতের আহাজারি..................হা হা হা।

১৮| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

মিতক্ষরা বলেছেন: "অপরদিকে মেয়ের উগ্র মেকাপ এবং বেশভূষা ভীষন দৃষ্টিকটু এবং বিরক্তিকর। "

মেকাপ সে নেয় ঠিকই, কিন্তু বেশভূষা কি উগ্র? আমার চোখে ঠিক তেমনটি পড়েনি।

১৯| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:২৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: টু মিতক্ষরাঃ
সব কথা ক'তি নেই
কিছু বুঝে নিতে হয়;
না বুঝার সংশয়
চিন্তেয় হবে ক্ষয়।;)

২০| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মিতক্ষরা বলেছেন: বিষয়টি খুবই ঘোলাটে। যে মা তার জীবন বাজী রেখে মেয়েকে মানুষ করবে তার প্রতি কন্যা কেন এরকম বিরূপ হবে? আর মা যদি সন্তানের ভালই চাইবে তবে কেন এরকমভাবে এসব কথা পাবলিক ফোরামে বলবে। মা কেন এভাবে সন্তানকে সাধারন মানুষের সামনে খারাপ বানাবে। সন্তানের হাজারো দোষ থাকলেও বাংগালী মায়েরা তা ঢেকে রাখেন। শামা সংসার করার যোগ্যতা দেখিয়েছে। যা একজন নারীর পক্ষে যথেষ্ঠ কঠিন। সেই তুলনায় মায়ের সাথে সম্পর্ক রাখা অনেক সহজ। খুব গুরুতর কারন না থাকলে শামা হয়ত বাবা মায়ের সাথে এরকম করতেন না।

য্ত যাই হোক, শামার উচিত হবে মায়ের সাথে সম্পর্ক শুরু করা। ন্যুনতম সম্পর্ক রাখা খুব কঠিন কিছু নয়। বাবা মার বিরুদ্ধে সন্তানের অনেক অভিযোগই থাকতে পারে, কিন্তু সেটা কোনভাবেই ন্যুনতম সম্পর্ক বর্জন করাকে জাস্টিফাই করে না। শ্রদ্ধাবোধ নাও থকতে পারে, কিন্তু নৈতিক দায় থেকে হলেও সম্পর্ক রাখা দরকার।

ওয়েল সেইড,,,ফুলি এগ্রিড

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.