নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যেতে ব্যর্থ দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতে চায়। মোসাদের সঙ্গে বিএনপি নেতা আসলামের বৈঠক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তুরস্কের সমালোচনা একই ষড়যন্ত্রের অংশ। রাজধানীতে রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। ‘রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র: বাংলাদেশের নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে দেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, সিনিয়র সাংবাদিক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, যে দল ধারাবাহিক সহিংসতার মধ্য দিয়ে জনসমর্থন হারিয়েছে তারা বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতে চাইবে সেটাইতো স্বাভাবিক। সরকার যখন তার উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় তখন শত্রুরা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।
বিএনপির ষড়যন্ত্র থেকে নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মোসাদের সঙ্গে বিএনপি নেতা আসলামের সাক্ষাত ও যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে তুরস্কের বিবৃতির যে ধরণ তা থেকেই বোঝা যায় সবগুলো ষড়যন্ত্র একসূত্রে গাঁথা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ মনে করেন, বিএনপি ক্ষমতালিপ্সা থেকে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের বিপদ হলো ক্ষমতার পালা বদলে গণতান্ত্রিক উপায়ের বাইরের উপায় খুঁজলেই দেশের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ। যে রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও যোগাযোগ নেই সে রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তনের যে প্রচেষ্টা জনগন সেটাকে প্রতিহত করবে।
সোলাকিয়া ময়দানের প্রধান মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ বলেন, এই ষড়যন্ত্র জাতির জন্য অশনিসংকেত। ইসলামকে ব্যবহার করে যারা রাজনীতি করতে চান তারা কী বুঝতে পারেন ইসরাইলে একটা সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র এবং এখন যে এই দেশের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সেইসব রাজনৈতিক দলগুলো চুপ কেন? তিনি আসলামের এই ষড়যন্ত্রের বিচার চেয়ে বলেন, এখানে সাক্ষ্য প্রমাণের কিছু নেই। উভয়পক্ষ স্বীকার করেছে যে তারা বৈঠক করেছে।
ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত মনে করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে দেশে ষড়যন্ত্র হওয়ারই কথা এবং এটাকে নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তিনিও মনে করেন, এই ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণের ভেতর থেকেই ডাক আসবে। তিনি বলেন, ব্রুনাই, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েল সখ্য তৈরির চেষ্টায় আছে, সেখানে সতর্ক হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: ছাত্রদলে চলছে শেষ মুহূর্তের কমিটি বাণিজ্য!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জিয়াউর রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যার জন্ম এবং পথচলা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই। ক্ষমতায় যাওয়া ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে তারা একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করেছে এবং ব্যর্থ হওয়ায় আবার নতুন ছক কষেছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন দেশি বিদেশি সংগঠন যতই দেশে আইএসের উপস্থিতির কথা বলুক না কেন আমাদের গবেষণায় বের হয়েছে, বাংলাদেশের আইএস নামের কোনও সংগঠনের সরাসরি উপস্থিতি নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, প্রসিকিউটর রানাদাশগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষক মেজবাহ কামাল, সাদেকা হালিম, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড. এম এ হাসান, আইনজীবী হাসান তারিক চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
জিনাত হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার। সূত্র
২| ২৪ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: তা না দুই বাংলার সরকার গণতন্ত্র মানেই জানেনা । জানলেও সাবধাণে এড়িয়ে চলছে । বিরোধি দল ছাড়া গণতন্ত্র মানে নৃপংশু
৩| ২৪ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪০
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বিরোধিদলের আন্দোলন করার পেস তৈরি করে দিতে হবে যারা ক্ষমতায় থাকবেন দ্বায়িতটা তাদের । সেদিকথেকে বর্তমান সরকার ব্যর্থ । তুমিই বল গণতন্ত্র মানে কি ?
৪| ২৪ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪১
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন:
তালপাতার পেইড দালাল টাকে একটা বিশেষ স্থান প্রথম পাতায় হাইলাইট করে ঝুলায় দেয়া হোক। প্রতিদিন রিফ্রেশার চালানোর কষ্ট ওরে করতে হবে না।
৫| ২৪ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
এমেচার চটপটিওয়ালা বলেছেন: হায়রে হিটের কাঙালরে! কয় টেকা পাস হিট পুস্ট দেখায়া?
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: পোস্ট করতে না করতেই দেখি হাজার দুহাজার পাঠক পড়ে ফ্যালে। এতই জনপ্রিয় আপনারা? তাহলে নিরপেক্ষ গণভোটের ব্যবস্থাটা খাইতে হইলো ক্যান? কইতারেন?