নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
জঙ্গি নামটা এখন আতঙ্কের। কার গর্দানে কখন চাপাতি পড়ে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। সম্প্রতি জঙ্গি আক্রমণে নিহত হওয়া পাবনায় আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে, ঝিনাইদহের ধর্মগুরু আনন্দ গোপাল, নাটোরের মুদি দোকানদার সুনীল গোমেজ বা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী কখনো ভাবতে পারেননি তাঁরা জঙ্গিদের কতলের তালিকায় থাকতে পারেন। সুতরাং একটি বিষয় স্পষ্ট, যাঁরা জঙ্গিদের কতলের শিকার হচ্ছেন, তাঁরা সবাই নিরীহ, নির্দোষ। তাঁরা কেউই ব্যক্তিগত দোষত্রুটি ও দ্বন্দ্বের জন্য নিহত হচ্ছেন না। আবার এটাও স্পষ্ট যে হত্যাকাণ্ডে তিন, চার বা পাঁচজন যারাই অংশ নিচ্ছে, তারা নিজেদের ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব, শত্রুতা বা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে না। হিউমার টোনে বলা যায়, ঝিকে মেরে বউকে শিক্ষা দেওয়ার মতো একটা পথ তারা বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ গোষ্ঠীগত ও রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য, সরকারকে সংকটে ফেলার লক্ষ্যে পুরোপুরি রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি অবশ্যই অপরাধী, তবে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ও মূল অপরাধী সেই রাজনৈতিক গোষ্ঠী, যাদের হয়ে জঙ্গিরা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তার প্রতি এরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে, জাতীয় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করছে। সুপরিকল্পিতভাবে চালাচ্ছে গুপ্তহত্যা ও টার্গেট কিলিং। সুতরাং এটা আজ নিঃসন্দেহে জাতীয় সংকট। রাষ্ট্রযন্ত্রের সঠিক কার্যকরণের মাধ্যমে এর একটা সাময়িক সমাধান পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পরিপূর্ণ সমাধান পেতে হলে সরকারসহ সব বড় দলের মধ্যে এর শিকড় উত্পাটনে জাতীয় ঐক্য হওয়া প্রয়োজন। শিকড় উত্পাটিত হলে আর কিছু করার প্রয়োজন হবে না; স্বয়ংক্রিয়ভাবে জঙ্গি কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। আর জাতীয় ঐক্য হলে জঙ্গি নিয়ে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও জঙ্গিদের প্রতি বিদেশি মদদ—সব কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। ১৭ জুলাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, জঙ্গি ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে, তাই জঙ্গি দমনে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বিএনপি আগ্রহী। এর আগেও অনেক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জঙ্গি দমনের পথে অন্তরায়গুলো কোথায় এবং জঙ্গি কারা, এদের রাজনৈতিক গোষ্ঠীগত পরিচয় কী ইত্যাদি সম্পর্কে সবাই একমত না হওয়ায় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শিকড় চিহ্নিতকরণ এবং তাদের উত্পত্তি ও বিস্তার সম্পর্কে সবার ঐকমত্য হলে কৌশল নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়ন কঠিন কাজ হবে না। শত্রু না চিনলে কার বিরুদ্ধে কী করবেন? সামরিক ভাষায় একটা কথা আছে, Before you fire you must aim and before you aim you must fix the target. টার্গেট নির্দিষ্ট না করে শূন্যে গদা ঘোরালে কোনো লাভ হবে না। জঙ্গিবাহিনী কর্তৃক মানুষ হত্যা বাংলাদেশে আজ নতুন নয়। সশস্ত্র আক্রমণ প্রথম হয় ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরে উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। তাতে ১০ জন নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়। এর পর থেকে গত ১৬-১৭ বছরে তারা অনেক বোমা, গ্রেনেড, চাপাতি আক্রমণ চালিয়েছে। পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও টেলিভিশনে বহু সচিত্র প্রতিবেদন বের হয়েছে। স্বল্পসংখ্যক হলেও কয়েকজনের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ফাঁসিসহ অন্যান্য দণ্ড হয়েছে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে ও আদালতে প্রমাণিত হত্যাকাণ্ডগুলো প্রধানত চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ (হুজি) ও সর্বশেষ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা। আদালতে প্রমাণিত ও মিডিয়ার প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অন্য যেকোনো পন্থায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের চেয়ে নিশ্চয়ই অনেক বেশি নির্মোহ ও বিশ্বাসযোগ্য। তাই মিডিয়ার প্রতিবেদন ও আদালতের রায়ের ভিত্তিতে জঙ্গি কারা ও তাদের রাজনৈতিক গোষ্ঠীগত পরিচয় কী, তার কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরছি। এক. ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হয় জেএমবিপ্রধান মাওলানা সাঈদুর রহমান। মাওলানা সাঈদুরের আস্তানায় থাকা কাগজ ও দলিলপত্রের ওপর টেলিভিশন ক্যামেরার সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেএমবিপ্রধান হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে সাঈদুর রহমান জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যায়, জেএমবি জামায়াতেরই সৃষ্টি। দুই. ২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর দৈনিক সংবাদে জামায়াতের আফগান জঙ্গি কানেকশনের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘জামায়াতের আফগান কানেকশন’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে জামায়াতের অন্যতম নেতা ও তখনকার সংসদ সদস্য মাওলানা আবদুস সুবহানের সঙ্গে আফগান জঙ্গি নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের একটি রঙিন ছবি ছাপা হয়। পাকিস্তানের পেশোয়ারের কোনো এক স্থানে মাওলানা সুবহানের সঙ্গে হেকমতিয়ারের বৈঠক হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। তিন. ২০০৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রশিবিরের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
আয়োজিত এক সমাবেশে জামায়াতের শীর্ষ নেতা প্রয়াত গোলাম আযম বলেছিলেন, ‘দেশকে রক্ষা করার জন্য শিগগিরই দেশে ইসলামী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে (ভোরের কাগজ, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। চার. ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিমনা, উদার ভাবাদর্শের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস এ তাহের। নিম্ন আদালতে চারজনের ফাঁসি হয়, যারা সবাই জামায়াত-শিবিরের কর্মী। তবে হাইকোর্ট দুজনের ফাঁসি বহাল রাখেন, এর মধ্যে আছেন মিয়া মহিউদ্দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্থানীয় জামায়াত নেতা। পাঁচ. ২০১৩ সালের শেষের দিকে যত দূর মনে পড়ে, অক্টোবর মাসে চট্টগ্রামের লালখান মাদ্রাসার ভেতরে ভয়ানক বোমা ও গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটে এবং বেশ কয়েকজন ছাত্র হতাহত হয়। মিডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, সেখানে স্থানীয় পন্থায় বোমা ও গ্রেনেড তৈরি করা হতো। এসব বোমা-গ্রেনেড দ্বারা মাদ্রাসার ভেতরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এবং প্রয়োজনমতো অপারেশন চালানোর জন্য সরবরাহ করা হতো। এই মাওলানা ইজাহার হেফাজতের নায়েবে আমির। আবার একই সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ ও খেলাফত মজলিসেরও চেয়ারম্যান। শেষোক্ত দুটি দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ। ওপরে এক থেকে পাঁচ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত আদালতের রায় ও মিডিয়ার প্রতিবেদনে জঙ্গিদের পরিচয় ও তাদের শিকড়ের একটা স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। তা ছাড়া ‘আমরা সবাই তালেবান/বাংলা হবে আফগান’—এ ধরনের স্লোগান দেওয়া কট্টরপন্থী ইসলামী ঐক্যজোটও বিএনপির অন্যতম জোটবদ্ধ মিত্র। জঙ্গিদের মূল উেসর জায়গা চেনার জন্য আরেকটি বিষয়ের ওপর সামান্য আলোকপাত করতে চাই। ১৯৯৩ সালে বিএনপির প্রথম ক্ষমতার মেয়াদে সেপ্টেম্বর মাসে জামায়াত-শিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের ঘুমন্ত ছাত্রদের ওপর সুপরিকল্পিতভাবে বিশাল দলবলসহ আক্রমণ চালিয়ে নারকীয় তাণ্ডব চালায় এবং প্রায় ২০০ কামরায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। তাতে প্রগতিশীল ছাত্রনেতা জোবায়েদ চৌধুরী রীমু প্রাণ হারান এবং শতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। রীমু সাতক্ষীরায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের তখনকার সভানেত্রী হেলেনা চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে এক মুলতবি প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তার ওপর বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ সব দলের সংসদ সদস্যরা বক্তব্য প্রদান করেন। সংসদের কার্যবিবরণীতে সবার বক্তব্য লিপিবদ্ধ আছে।
সেসব বক্তব্যের কিছু কিছু অংশ প্রসঙ্গক্রমে উদ্ধৃতি হিসেবে তুলে ধরছি। এক. বিএনপির সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আজকে জাতি এই ধর্মব্যবসায়ীদের বিচার চায়। আমি আশা করব অতীতের ভুল শুধরিয়ে আজকে যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে চায়, আজকে যারা এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়েছে, এই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার জন্য আমি আপনার কাছে দাবি জানাব’ (এ এস এম শামছুল আরেফিন—জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হোক, পৃ: ৯-১০)। ঝিনাইদহ-২ আসনের বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘আজকে আমরা সারা বাংলাদেশে দেখছি এই জামায়াত-শিবির জঘন্য ভাষায় ইসলামকে অপব্যাখ্যা করে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্তির মাঝে ফেলে দিয়ে সন্ত্রাসের রাজনীতি, মিথ্যার বেসাতির রাজনীতি তারা সারা বাংলাদেশে কায়েম করেছে’ (প্রাগুক্ত-পৃ. ১৫)। নওগাঁ-৬ আসনের বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য আলমগীর কবির বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সমগ্র রাজশাহী অঞ্চলের আকাশ-বাতাস মথিত হয়ে উঠেছে। আমার বক্তব্যের শুরুতে বলব, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বাংলাদেশে বন্ধ করতে হবে’ (প্রাগুক্ত-পৃ. ৩৪)। কলামের স্পেসের সীমাবদ্ধতা ও সংগত কারণেই শুধু বিএনপির তিনজন সংসদ সদস্যের বক্তব্যের উদ্ধৃতি তুলে ধরলাম। সেদিন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অনেক সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন। সবার বক্তব্যের ভেতরে কমন যে কথাটি ছিল তা হলো, গলা কাটা, রগ কাটা, হাত কাটা ও নিরীহ মানুষ হত্যার জন্য জামায়াত-শিবির দায়ী এবং জামায়াতসহ ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশে জঙ্গি কারা এবং তাদের শিকড় কোথায়, সেটা আজ সবাই জানেন ও বোঝেন। মওদুদ আহমদের জঙ্গি দমনে জাতীয় ঐক্যের কথার মধ্যে যথার্থতা আছে। তবে জামায়াত ও উগ্র ইসলামিস্ট দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ থেকে, মিত্রতার বন্ধন বজায় রেখে জঙ্গি দমনে ঐক্যের ডাক দেওয়া মানে শূন্যে গদা ঘোরানোর সমান। আসলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। শত্রুর দিকে তাক না করে শূন্যে গদা ঘোরালে আগের মতো গদার নিচ দিয়ে জঙ্গিরা অনায়াসে সব বেরিয়ে যাবে। এটা হবে প্রকৃত জঙ্গিদের বাঁচানোর একটা ছদ্মবেশী কৌশল। এই মুহূর্তে এটা কিছুতেই কাম্য নয়। সবাই বলছেন, এটা তো জামায়াত ও ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি থেকে উত্পত্তি হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক গোষ্ঠীগত ব্যাপার। তবে কেউ জামায়াত-শিবিরকে আড়াল করতে চাইলে বলতে পারেন, যে ব্যক্তি অপরাধ করেছে তাকে ধরে শাস্তি দেওয়া হোক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ১৬ কোটি ঘনবসতিপূর্ণ মানুষের দেশে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকা ব্যক্তি অপরাধী রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ছদ্মবেশ ধারণ করার সহজ সুযোগ পায় বিধায় তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। দেড় যুগ ধরে ব্যক্তি অপরাধীদের পেছনে ছুটে খুব একটা সুফল পাওয়া যায়নি। ধরা পড়ছে, সাজা হচ্ছে, ফাঁসি হচ্ছে, আবার রাজনৈতিক গোষ্ঠীর আশীর্বাদ ও টাকার জোরে নতুন নতুন জঙ্গিগোষ্ঠী ও ব্যক্তির উত্পত্তি হচ্ছে। তাই জঙ্গি নির্মূল করতে চাইলে গোড়ায় হাত দিতে হবে। আর গোড়া তো এখন আর অচেনা নয়।
বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধতা ও মিত্রতার বন্ধন থাকায় জামায়াত ও উগ্র ইসলামিস্ট দলগুলো এখনো টিকে আছে, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি বাংলাদেশে বহাল আছে। সুতরাং জামায়াত ও উগ্রবাদীদের সঙ্গে বিএনপির জোটবদ্ধতাই বাংলাদেশের জঙ্গি দমনের পথে প্রধান অন্তরায়। ১৯৯৩ সালে সংসদে মুলতবি প্রস্তাবের ওপর আলোচনার মতো বিএনপি যদি জামায়াত ত্যাগের ঘোষণা দেয় এবং সব দল একসঙ্গে ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি বন্ধের উদ্যোগ নেয়, তাহলে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ জঙ্গিমুক্ত হবে।
সূত্র
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৭:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারগুলো সন্ত্রাসী পুষে এসেছে, সেটা ছিল হাতে খড়ি; সেখান থেকে ক্রমেই বড় হয়েছে; এখন বেসরকারীরাও যোগ দিয়েছে।