নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নাই দেশ নাই

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪


ঈদ আসে খুশির বার্তা নিয়ে। রমজান মাসে মুসলমানগণ রোজা রাখেন এবং রোজা শেষে ঈদের খুশি নিয়েই সবাই ঈদ উদযাপন করেন। ধনী, দরিদ্র, নির্বিশেষে সকলে মিলে-মিশে এই ঈদ উদযাপন করা হয়।

আজকের এই দিনে আমি দেশে এবং প্রবাসে আমাদের সকল নাগরিকসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সকল মুসলিম ভাই-বোনকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

আপনারা জানেন, আমরা আজ অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট স্বাবলম্বী হয়েছি। আমরা রমজান মাসে এবং ঈদ পালনের জন্য দরিদ্র মানুষকে ২০ কেজি করে ভিজিএফ-এর মাধ্যমে চাল বিতরণ করেছি।

আমাদের যাঁরা দরিদ্র জনগোষ্ঠী, তাঁরাও যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, তাঁরা যেন ভালভাবে রোজা এবং ঈদ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। সরকারি কর্মচারীদের বেতন আমরা প্রায় ১২৩ ভাগের মতো বৃদ্ধি করেছি। কাজেই আমি মনে করি, প্রত্যেকে এবার ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন।

মানুষ রমজান মাসে রোজা রাখেন। রোজা আমাদের কী বলে? আমাদের ইসলাম ধর্ম কী বলে? এটা হচ্ছে সংযমের মাস। রমজান মাসে সংযমই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। আর ইসলাম শান্তির ধর্ম। সৌহার্দ্যের ধর্ম। ইসলাম ধর্মই শান্তির বাণী নিয়ে এসেছে; কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে আমরা যখন দেখি এই ইসলাম ধর্মের নাম নিয়ে কিছু লোক এমন ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটায় যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামকে কলুষিত করে। ইসলামের বদনাম হয়।

রজমান মাসে মানুষ রোজা রাখবে, কেউ জীব হত্যা করবে না। আর এখানে সেই ইসলামের নাম নিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়। এর থেকে ঘৃণ্য অপরাধ আর কী হতে পারে? এর থেকে জঘন্য অপরাধ আর কী হতে পারে?

কয়েকদিন আগে পহেলা জুলাই ঢাকায় যে ঘটনাটা ঘটে গেল - এশার আযান হয়ে গেছে। মানুষ এশার নামাজ পড়ছেন। তারাবি পড়ছেন। আর নামাজ না পড়ে সেখানে মানুষ হত্যা করতে যাওয়া, তারাবির নামাজ না পড়ে মানুষকে খুন করা, এটা কোন ধরনের ইসলাম রক্ষা করা? বা যেখানে ঈদের জামাত হবে তার কাছাকাছি জায়গায় হঠাত্ আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা, এমনকি মসজিদে নববীতে আত্মঘাতী বোমা হামলার জঘন্য ঘৃণ্য অপরাধ যারা করেছে, এরা আদৌ ইসলামে বিশ্বাস করে না। আমার মনে হচ্ছে এরা ইসলামের শত্রু। ইতোমধ্যে আপনারা জানেন, তাদের কিছু বক্তব্য আমরা পেয়েছি। তারা শরীয়াহ আইন কায়েম করবে, মানুষের তৈরি আইন নাকি চলবে না।

আমার প্রশ্ন, যারা এ কথা বলছে তারাতো ইন্টারনেট ব্যবহার করছে অথবা ফেসবুক ব্যবহার করছে অথবা ইউটিউব ব্যবহার করছে অথবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। এগুলো কার তৈরি? মানুষেরই তৈরি। সেই মানুষের তৈরি জিনিস তো তারা ব্যবহার করছে। তাহলে মানুষের তৈরি আইন তারা মানবে না, আর মানুষের তৈরি জিনিসগুলো ব্যবহার করবে। যে পোশাকগুলো পরে আছে, যে কাপড়-চোপড় পরে আছে, সেটাও তো মানুষের তৈরি। মানুষই তৈরি করে দিয়েছে। যে যন্ত্রটা হাতে নিয়ে তারা ছবি তোলে বা অস্ত্রটা হাতে নিয়ে মানুষ মারে, চাপাতি হোক বা অন্য যে কোনো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রই হোক- কে বানায়? মানুষ বানায়। বোমাটা মারছে বা গ্রেনেড মারছে, কে বানাচ্ছে? মানুষই বানাচ্ছে। তাহলে মানুষের তৈরি করা পোশাক ব্যবহার করে, মানুষের তৈরি করা অস্ত্র ব্যবহার করে, মানুষের তৈরি করা যানবাহন ব্যবহার করে সেটা দিয়ে মানুষ হত্যা করে আবার মানুষের তৈরি আইন মানবে না এটা কোন জাতীয় কথা? কে গ্রহণ করবে তাদের এই কথা।

সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো, আমি যা দেখে অবাক হচ্ছি, যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত; উচ্চ শিক্ষিত, তারা কীভাবে এই বিভ্রান্তির বেড়াজালে পড়তে পারে? এটা আমার কাছে কোনোমতেই বোধগম্য নয়। কাজেই আমি এইটুকু বলতে পারি, আমাদের ইসলাম ধর্ম বলছে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা যাবে না। এমনকি সে যদি বিধর্মী হয়, অন্য ধর্মের হয় বা অন্য কেউ হয় তাকে হত্যা করার কোনো অধিকার ইসলাম ধর্ম দেয় নাই। নবী করিম (সাঃ) কিন্তু কখনো এ কথা বলেননি, নিরীহ মানুষ হত্যা কর। বরং তিনি বলেছেন, কোনো নিরীহ মানুষকে হত্যা করবে না - সে যে কোনো ধর্মেরই হোক। সেটাই হচ্ছে তাঁর নির্দেশ। কোরআন শরীফে কী আছে- শেষ বিচার করবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। সেই বিচার করার সুযোগ না দিয়ে উল্টো তারা নিজেরাই বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার মানে কী- তারা আল্লাহ রাসূল মানে না। আল্লাহর বিধান মানে না। তারা আল্লাহর ধর্ম মানে না। কারণ তারা খোদার থেকেও নিজেদের শক্তিশালী মনে করে।

এটা ইসলামের কোথায় আছে? তারা মানুষকে খুন করবে? আর যারা এই খুন করছে, নিরীহ মানুষ মারছে, তারা যদি মনে করে বেহেস্তে যাবে, এটা ভুল। তারা কখনই বেহেস্তে যাবে না বরং তারা দোযখেই যাবে।

তারা আমাদের সরকার সম্পর্কে কিছু কথা বলেছে। আমিতো নামাজ পড়ি, আমি কোরআন তেলওয়াত করে দিন শুরু করি; কিন্তু আজকে যখন এশার আযান হলো, আর সেসময় নামাজ ফেলে রেখে মানুষ খুন করতে গেল, রোজার দিনে তারাবি না পড়ে মানুষ খুন করতে গেল, তারা কোন ইসলাম মানে, আমাদের সরকার নিয়ে কথা বলার তাদের কোনো অধিকার নেই। আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অধিকার তাদের নেই।

নবী করিম (সাঃ) বলে গেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। এরা সেই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে এবং ইসলাম ধর্মের সাথে শত্রুতা করছে, বিশ্বের কাছে ইসলাম ধর্মের বদনাম করছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে ইসলাম ধর্মের উপর কালিমা লিপ্ত করছে। কাজেই আমি এদেরকে এ সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলব। লেখাপড়া শিখে, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সত্যিকারের শিক্ষাটা যেন তারা গ্রহণ করে।

এ ধরনের ধর্মান্ধতা, এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। আমি তাদের বাবা-মাকে বলব, ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি যে- সারা বাংলাদেশে বেশ কিছু ইউনিভার্সিটি ও কলেজের ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে। আমি জানি না মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা মাঝে মাঝে অনেক রিপোর্ট লিখেছেন গুম হওয়ার ব্যাপারে এবং এই গুম হওয়ার কথা লিখতে গিয়ে দোষারোপ করেছে সরকারকে বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে; কিন্তু এখন দেখা গেল কী? এই যে ছাত্ররা গুম হয়ে গেছে বা একটা পরিবারের ছেলে হঠাত্ হারিয়ে গেছে, দিনের পর দিন তাদের খোঁজ পাওয়া যায় না; কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারা জঙ্গি-সন্ত্রাসী রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। তাহলে এই সংস্থাগুলি, তারা যে রিপোর্টগুলি দিল- কিসের ভিত্তিতে দিল, কিভাবে দিল? তারা কেন এই রিপোর্ট দিতে পারেনি যে, পরিবারের এই সন্তানরা গুম হয়ে গেছে, বা ইউনিভার্সিটির এই ছেলেরা গুম হয়ে গেছে। তারা যে এই ধরনের জঙ্গি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যোগদান করছে, এই রিপোর্টটা দিতে ব্যর্থ হলো কেন—সেই প্রশ্নটা আমার। এবং এটা তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। কথাগুলো বলা ঠিক হয় নাই। তারা যদি সঠিক তথ্য দিত, আমরা হয়ত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতাম। যাঁদের ছেলে-মেয়ে এতদিন গুম হয়ে আছে, যাঁদের ছেলে হারিয়ে গেছে, অনেকে শুধু জিডি করে বসে আছেন। আপনারা জিডি করে বসে থাকবেন না। আপনারা আপনাদের যাঁর যাঁর ছেলে কবে নিজেদেরকে এভাবে লুকিয়ে ফেলেছে সে তথ্যটা প্রকাশ করেন, তাদের ছবি দেন। আমরা মোবাইল ফোন বা টেলিভিশন বা যত ধরনের প্রযুক্তি আছে, সবগুলো ব্যবহারের সুযোগ করে দিব। আপনারা আহ্বান জানান—আমাদের ঘরের ছেলে জঙ্গির পথ ছেড়ে দিয়ে ঘরে ফিরে আস। আপনারা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করতে না চাইলে তা গোপন রাখা হবে।

জঙ্গি কর্মকাণ্ড ইসলাম ধর্মের পথ না। এটা মানবতাবিরোধী পথ, এটা সন্ত্রাসের পথ, ঘৃণ্য অপরাধের পথ। জঙ্গির পথ ছেড়ে দিয়ে তারা ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক। তাদের চিকিত্সা থেকে শুরু করে সবধরনের ব্যবস্থা আমরা করতে পারব। আপনারা শর্ত দেন, যত ধরনের সাহায্য লাগে আমরা তা করে দিব।

যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত, তাদের নাম, ছবিসহ তালিকা আমাদের দিতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যাতে আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করতে পারি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে এটা আমরা আহ্বান করছি। সেই সাথে সাথে এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যারা এই ধরনের কোমলমতি ছাত্রদের কুশিক্ষা দিচ্ছে, একেবারে তাদের মরণের পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের জাহান্নামের পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারেও কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে। কারা বিভ্রান্ত করছে এই কোমলমতি ছাত্রদের? তাদের সম্পর্কেও তথ্য চাই। আমি আবারও দ্ব্যর্থহীনভাবে এটুকু বলতে চাই, এটা বাংলাদেশ, এখানে সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। জঙ্গিদের জায়গা হবে না। এই বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় মানুষের দেশ। কাজেই মানুষের জীবনের শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা তা করব।

গুলশানে যে ঘটনা ঘটে গেল- একটা রেস্টুরেন্টে আক্রমণ করা হলো। বোধ হয় পৃথিবীতে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে অতি দ্রুত এবং অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই জঙ্গিদের খতম করতে সক্ষম হয়েছি। সেখানে ২০ জনের মতো মানুষ মারা গেছেন; কিন্তু আমরা ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি। কাজেই আমাদের সব সময় লক্ষ্য থাকবে যেখানে এরকম জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটবে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেব। সেই সাথে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাব প্রত্যেকটা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, উপজেলা, জেলা, প্রতিটি জায়গায় আপনারা কমিটি করেন, কোথায় কোন ছেলেটা বিপথে গেছে, সেটা খুঁজে বের করেন, কারা এই জঙ্গির সাথে জড়িত, সেই তথ্য দেন। সাথে সাথে যার যার এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত, জঙ্গিমুক্ত থাকে, আপনারা সে ব্যবস্থা নেন। সরকারের পক্ষ থেকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের পক্ষ থেকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপনাদের সবধরনের সহযোগিতা আমরা করব।

আমরা মনে করি, আমরা যদি ভালোভাবে এটা করতে পারি, তবে আমরা এই জঙ্গি উত্খাত করতে সক্ষম হব। এবং আরেকটি বিষয়- আজকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও আমাদের সঙ্গে আছে, সবাই জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভূমিকা নিচ্ছে। কাজেই সেখানেও আন্তর্জাতিকভাবে এই জঙ্গিদের যারা প্রশয় দেয়, আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে হবে তাদেরকে কীভাবে প্রতিহত করা যায় সে বিষয়ে।

আমরা আবারও বলছি বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। সব থেকে দুঃখ, আমার দুঃখ হয় এই কারণে যে- দিনরাত পরিশ্রম করে দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আজ সারাবিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই আমাদের মানুষের প্রশংসা করছে। আমরা বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন করে যাচ্ছি। শিক্ষা, চিকিত্সার ব্যবস্থা করছি। সকলের জীবন উন্নত সুন্দর হোক, সেই ব্যবস্থা যখন করে যাচ্ছি, তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে হেয় করা, আর অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইসলামকে অবমাননাকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া আমাদের কাছে কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

আমি আবারও আহ্বান জানাব দেশবাসীর প্রতি, আপনারা সকলে সচেতন থাকুন। আমাদের উপর বিশ্বাস রাখেন, আস্থা রাখেন। আমরা অবশ্যই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে সফল হব। বাংলাদেশের মানুষের শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আজকে ঈদের খুশির দিন। ঈদের নামাজ পড়তে না গিয়ে যারা পুলিশের উপর হামলা আর মানুষ খুন করে, তারা কোনোদিন ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করতে পারে না।

কাজেই যারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি এদের কোনো ধর্ম নাই। এদের কোনো দেশ নাই, এদের কিছু নাই। জঙ্গি-সন্ত্রাসী হিসেবেই এরা মানুষের কাছে, জাতির কাছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব থেকে ঘৃণিত বস্তু। এদের ঠাঁই জাহান্নামে হবে। এরা কোনোদিন বেহেস্ত পাবে না। এটা কোরআন শরীফেরই বিধান। একেবারে নিরস্ত্র মানুষ, নিরীহ মানুষকে হত্যা করার কথা ইসলাম বলে না। কাজেই আবারও দেশবাসীকে এটুকু আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা আছি আপনাদের পাশে। আমি তো সব হারিয়েছি। আমার হারানোর কিছু নেই। কাজেই আমি এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে এসেছি, কাজ করে যাব। মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেব, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হবে। কাজেই ঈদের দিনে সবাই আনন্দঘনভাবে ঈদ উদযাপন করুন। সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং প্রত্যেকে সুন্দরভাবে বাঁচুন, সুন্দরভাবে থাকুন, সুন্দরভাবে জীবনযাপন করুন- সেটাই আমরা কামনা করি।

(পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ভাষণ)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: মুস্লিম নামধারী এই জঙ্গীরা আসলে ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রু। এদের মত কিছু বিপথগামীদের জন্য আজ বাদবাকি শান্তিপরায়ন মুস্লিমদের সন্দেহের চোখে দেখে বাকি বিশ্ব।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

অেসন বলেছেন: সন্ত্রাসীর যদি ধর্ম না থাকে তাহলে তো ওরা নাস্তিক। তাহলে এই নাস্তিকদের জন্য ইসলাম রক্ষাকারীদের ভূমিকা কি ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.