নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইএস-জঙ্গিবাদে সায় নেই মুসলমানদের

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫১


মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতি সমর্থন নেই বিশ্বের মুসলমানদের। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার লক্ষ্যে সংগ্রামরত সংগঠন হিজবুল্লাহর আশ্রয়দাতা লেবাননের শতভাগ মানুষ আইএসবিরোধী। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে হটাতে তুরস্ক সরকার আইএসকে সমর্থন দিলেও দেশটির নাগরিকরা ঘোরতর আইএসবিরোধী। এমনকি ইরাক ও সিরিয়ায় মুসলমানদের হত্যা করে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সমর্থন নেই ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের নাগরিকদেরও। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপের ভিত্তিতে গত নভেম্বর মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানুষের মতামত নেওয়া না হলেও ২০১৩ সালে করা সংস্থাটির এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মানুষ ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় উদ্বিগ্ন শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ। তবে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের আত্মঘাতী হামলায় সমর্থন রয়েছে বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষের। ইরাক ও সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করে ইসলামিক স্টেট ঘোষণাকারী আইএস প্যারিসে হামলা চালানোর পর পিউ রিসার্চ সেন্টার ১১টি দেশের মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে গত নভেম্বর মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ‘মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে ব্যাপক আইএসবিরোধিতা’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সমর্থক মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাবনের ১০০ শতাংশ মানুষ আইএসের বিরোধিতা করেছে। ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের ৯৭ শতাংশ নাগরিক আইএসবিরোধী। ইসরায়েলের নাগরিকদের মধ্যে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ৯৮ শতাংশ এবং আরব মুসলমানদের ৯১ শতাংশ আইএসের বিরোধিতা করেছে। জরিপের তথ্য মতে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত ফিলিস্তিনিদের ৮৪ শতাংশই আইএসের বিরোধী। বাকি ১৬ শতাংশের মধ্যে ৬ শতাংশ আইএসকে সমর্থন করেছে, ১০ শতাংশ কোনো মতামত জানায়নি। ফিলিস্তিনের নাগরিকদের মধ্যে গাজায় বসবাসকারীদের ৯২ শতাংশ এবং পশ্চিম তীরে বসবাসকারী মুসলমানদের ৭৯ শতাংশ আইএসকে পছন্দ করে না। পিউ রিসার্চের তথ্য মতে, মুসলিম রাষ্ট্র জর্দানের ৯৪ শতাংশ মানুষ আইএসকে চায় না। আইএসের পেছনে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সুন্নি অধ্যুষিত কোনো কোনো দেশের ইন্ধন থাকার অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও লেবাননের ৯৮ শতাংশ সুন্নি এবং ১০০ শতাংশ শিয়া ও খ্রিস্টান আইএসের বিরোধিতা করেছে। ইন্দোনেশিয়ার ৭৯ শতাংশ মানুষ আইএসবিরোধী, সমর্থন রয়েছে মাত্র ৪ শতাংশের। তুরস্কের ৭৩ শতাংশ আইএসের বিরোধিতা করেছে, সমর্থন জানিয়েছে ৮ শতাংশ নাগরিক। এ ছাড়া নাইজেরিয়ার ৬৬ শতাংশ আইএসের বিপক্ষে, পক্ষে ১৪ শতাংশ। বারকিনা ফাসোর ৬৪ শতাংশ বিপক্ষে, পক্ষে ৮ শতাংশ। আর মালয়েশিয়ার ৬৪ শতাংশ নাগরিক আইএসের বিরোধিতা করেছে, সমর্থন করেছে ১১ শতাংশ। এ ছাড়া সেনেগালের ৬০ শতাংশই আইএসবিরোধী, পক্ষে মত দিয়েছে ১১ শতাংশ। জরিপ পরিচালনাকারীরা অবাক হয়েছেন আইএস নিয়ে পাকিস্তানিদের মতামত সংগ্রহ করতে গিয়ে। দেশটির মাত্র ২৮ শতাংশ নাগরিক আইএসের বিরোধিতা করেছে, সমর্থন করেছে ৯ শতাংশ। দেশটির ৬২ শতাংশই আইএস ভালো না খারাপ সে বিষয়ে কোনো মত জানাতে পারেনি। পশ্চিমা দেশগুলোতেও আইএসবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। তারা বলছে, আইএস এখন বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। ফ্রান্সের প্যারিসে কয়েকটি হামলার পর দেশটির ৭১ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছে যে তারা আইএসের হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া স্পেনের ৭৭ শতাংশ, জার্মানির ৭০ শতাংশ, ইতালির ৬৯ শতাংশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮ শতাংশ মানুষ আইএস নিয়ে উদ্বিগ্ন। জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মুসলমান এমন ৩৭টি দেশের মানুষের ওপর ২০১৩ সালে জরিপ চালিয়ে পিউ রিসার্চ সেন্টার ‘রিলিজিয়ন অ্যান্ড পাবলিক লাইফ’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশের দুই হাজার ১৯৬ জনের মতামত নেওয়া হয়, যাদের মধ্যে এক হাজার ৯১৮ জন মুসলমান। বাকিরা অন্য ধর্মের। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মুসলিম দেশের নাগরিকরাই ব্যক্তি বিশ্বাসের স্বাধীনতায় সমর্থন করে। বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে মত দেয়। নিজ ধর্মের বিশ্বাসে সমর্থন বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ, পাকিস্তানের ৮৮ শতাংশ, লেবাননের ৯০ শতাংশ ও ফিলিস্তিনের ৬০ শতাংশ মানুষের। অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিও সমর্থন রয়েছে বাংলাদেশের ৬২ শতাংশ, পাকিস্তানের ৭৫ শতাংশ ও ফিলিস্তিনের ৫৬ শতাংশ মানুষের। ৩৭টি মুসলিম দেশের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মুসলমান ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে মত দিয়েছে। আলবেনিয়া, ঘানা ও তানজানিয়ার ৯৮ শতাংশ মুসলমানও ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। পাকিস্তানের ৯৬ শতাংশ মানুষ ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মুসলমানের হার সবচেয়ে কম নাইজেরিয়ায়, ৭৬ শতাংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলমানরা নিজ ধর্মের প্রতি খুবই দৃঢ় কিন্তু অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা করে। সবার সঙ্গে মিলে চলা আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। নিজেরা নামাজ-রোজা ও ধর্ম পালনে জীবন কাটিয়ে দিলেও ভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশেই থাকে। একই গ্রামে হিন্দুরা পূজা করছে, খ্রিস্টানরা নিজ ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করছে। আবার মুসলমানরা ঈদ পালন করছে। সবার সঙ্গে মিলে চলা ইসলাম ধর্মে অনুরাগী মানুষকে উগ্রবাদে টেনে নিয়ে খেলাফত কিংবা জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা সম্ভব এ দেশে হবে না। বিপথগামী কিছু মানুষকে দিয়ে হয়তো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটানো যেতে পারে। বাংলাদেশের মুসলমানদের ধারণ করা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য থেকে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুসলমানদের বহুদিনের ঐতিহ্য অন্য ধর্মের মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করা। সম্প্রতি কিছু বিপথগামী তরুণ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি আঘাত করে সেটি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি আমাদের ধর্মের সমস্যা নয়। ধর্মকে ব্যবহার করে একটা গোষ্ঠী এই কাজ করছে।’ তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের কোনো ধর্ম বা ভৌগোলিক সীমা নেই। ধর্মকে ব্যবহার করে আমাদের দীর্ঘদিনের সহাবস্থানকে আঘাত করছে। এই জন্য ধর্মকে দায়ী করলে চলবে না। ধর্মের কতিপয় মানুষ অন্যপথে গিয়ে অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। সকলে মিলে বাংলাদেশের মুসলমানদের বহুত্ববাদী সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ দেশের মানুষকে উগ্রবাদী বানিয়ে অতীত ঐতিহ্য নষ্ট করা সম্ভব হবে না।’ বাংলাদেশসহ মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোতে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল রয়েছে। বাংলাদেশে এসব দলের যেমন সমর্থন কম, তেমনি অন্য দেশেও। পিউ রিসার্চের জরিপে বাংলাদেশের ৪১ শতাংশ মানুষ ইসলামিক দলগুলোকে সাধারণ রাজনৈতিক দলগুলোর তুলনায় ভালো বলে মত দিয়েছে। আবার ১৬ শতাংশ মানুষ সাধারণ রাজনৈতিক দলের চেয়ে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে খারাপভাবে দেখে। আর সব ধরনের রাজনৈতিক দলকে একই রকম মনে করে দেশের ৩৯ শতাংশ মানুষ। জরিপে অংশ নেওয়া ৩৭টি দেশের মধ্যে অন্তত ২২টি দেশের নাগরিকরা নিজ দেশের কোনো না কোনো ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ভয়ে থাকার কথা জানিয়েছে। বেশির ভাগ দেশেই মুসলমানরা ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণের ভয়ের কথা জানায়। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা খ্রিস্টান জঙ্গিদের আক্রমণের আশঙ্কায় ভীত বলেও মত দেয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল জঙ্গিগোষ্ঠীর মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। এসব অঞ্চলের দেশগুলোর ৫০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা ধর্মীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি ১০ জনে আটজনই (৭৮ শতাংশ) এ আশঙ্কা প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশই ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীর কথা বলেছে। বাংলাদেশের ৫৫ শতাংশ উত্তরদাতা জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কার কথা জানায়। তুরস্কের ৩৭ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ৬৩ শতাংশ, ইরাকের ৬৮ শতাংশ ও পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। পিউ রিসার্চের জরিপে ‘আত্মঘাতী বোমা হামলা’ সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয় উত্তরদাতাদের কাছে। তাতে কোনো কোনো দেশের অল্পসংখ্যক মানুষ ‘ইসলামের শত্রুদের’ বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের আত্মঘাতী বোমা হামলাকে সমর্থন করেছে। ফিলিস্তিনের ৪০ শতাংশ মানুষ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী বোমা হামলার সমর্থক, তবে বিপক্ষে মত দিয়েছে ৪৯ শতাংশ। মিসরের ২৯ শতাংশও ইসরায়েলিদের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলার সমর্থক। বাংলাদেশেরও ২৬ শতাংশ উত্তরদাতা ফিলিস্তিনিদের আত্মঘাতী হামলা সমর্থন করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। তবে ৭১ শতাংশ বাংলাদেশি আত্মঘাতী বোমা হামলা পছন্দ করে না। পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলার সমর্থক ১৩ শতাংশ। তবে আফগানিস্তানের ৩৯ শতাংশ মানুষ আত্মঘাতী বোমা হামলা সমর্থন করে। মুসলিম দেশগুলোতে রাজনীতিতেও ধর্মীয় নেতাদের প্রভাব রয়েছে। পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে প্রভাব ৬৯ শতাংশ। এর মধ্যে বেশি প্রভাব রয়েছে ২৫ শতাংশ ধর্মীয় নেতার। বাকিদের প্রভাব সামান্য। মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোর মধ্যে ধর্মীয় নেতাদের সবচেয়ে বেশি প্রভাব রয়েছে মালয়েশিয়া, আফগানিস্তান, জর্দান, মিসর ও ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে। আর সবচেয়ে কম প্রভাব আলবেনিয়া, আজারবাইজান ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনায়। -সুত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৩

বাংলার জামিনদার বলেছেন: তাইলে আইএস এত শয়তান দলে ভিড়াছ্ছে ক্যামনে??? অবশ্যই সমর্থ আছে।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

হাকিম৩ বলেছেন: বর্তমান সব দেশেই মূল সমস্যা হলো এই আই এস জঙ্গী সন্ত্রাসীর দলেরা ।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

প্রথমকথা বলেছেন: এর থেকে বের হয়ে আসতে হলে দরকার ধর্মীয় শিক্ষা,খুব সুন্দর শিক্ষণীয় পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.