নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানিনা আপনি জানেন কি না, হাসনাতই বাজায় জঙ্গি বীণা!

২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৮


গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিদের ডেকে নেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম। সেখানে বিপুলসংখ্যক বিদেশী নাগরিক অবস্থান করছেন- এমন তথ্য জানিয়ে ‘থ্রিমা’ নামক মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তিনি হামলার জন্য যেতে বলেন তাদের। হাসনাতের গ্রিন সিগন্যাল (সবুজ সংকেত) পেয়েই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ভাড়া করা ফ্ল্যাট থেকে সরাসরি হলি আর্টিজানে যায় হামলাকারী জঙ্গিরা। দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত বকুল আক্তারের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত তথ্য।

হলি আটির্জান বেকারিতে হামলা করার আগে কয়েকদিন ধরে গুলশান এলাকার আরও চারটি অভিজাত রেস্তোরাঁ রেকি (মহড়া) করেছিল হামলাকারী জঙ্গি ও তাদের সহযোগীরা। কিন্তু সেসব স্থানে ‘টার্গেট’ অনুযায়ী বিদেশী নাগরিক না থাকায় রেস্তোরাঁগুলোতে হামলা করেনি তারা। তুলনামূলকভাবে বিদেশী নাগরিক বেশি অবস্থান করায় হলি আর্টিজানকে বেছে নেয়া হয়। কিভাবে হামলা চালাবে তার একটা ‘ছক’ও তৈরি করেন হাসনাত। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে হলি আর্টিজানে যান তিনি।

গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার গোয়েন্দা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে উল্লিখিত সব তথ্য। ঘটনার পর হাসনাতসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১৬ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন হাসনাত করিম জিজ্ঞাসাবাদের পর্যায়ে আছে।

রোববার ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার হোতাদের চিহ্নিত করা গেছে। হামলার নেপথ্যে কারা রয়েছে, কিভাবে হামলা হয়েছে সেসব তথ্য পাওয়া গেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় সন্দেহভাজন অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অনেক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। নেপথ্যে থাকা এসব কুশীলবের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের গ্রেফতার এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত একাধিক সূত্র বলেন, গুলশানে হামলার তিন দিন আগে বসুন্ধরার ই-ব্লকের ছয় নম্বর রোডের তিন নম্বর টেনামেন্ট ভবনের ৬/এ নম্বর ফ্ল্যাটে পাঁচ জঙ্গিকে পাঞ্জাবি পরিয়ে হাতে অস্ত্র দিয়ে ছবি তুলে রাখা হয়। একটি পাঞ্জাবি একে একে পাঁচজনকে পরানো হয়। একইভাবে একটি অস্ত্রই তাদের হাতে দেওয়া হয়। যিনি ওই জঙ্গিদের কথিত 'আইএস' সাজিয়ে ছবি তুলেছেন, তার ব্যাপারেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া এই হামলা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। মূল পরিকল্পনাকারীদের কয়েকজন গোয়েন্দা কব্জায় রয়েছে। গুলশানে হামলার ঘটনার আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে থাকলেও তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু পরিষ্কারভাবে বলছেন না তারা।

তদন্ত সূত্র জানায়, গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার অনেক তথ্যই গোয়েন্দাদের হাতে আছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। হামলাকারী জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের জন্য মে মাসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রোভিসি (সদস্য সাময়িক বরখাস্তকৃত) এসএম গিয়াস উদ্দিন আহসানের ফ্ল্যাট ভাড়া করে দিয়েছিলেন হাসনাত রেজা। হামলার আগে ওই বাসাতেই সহযোগীদের সঙ্গে জঙ্গিরা অবস্থান করে। সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছিলেন হাসনাত। হামলা সফলভাবে সম্পন্ন করতে জঙ্গিদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার কাজটিও করেন তিনি।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে গুলশান হামলার পরিকল্পনা করা হয়। এর পর মাঠ পরিকল্পনাকারীরা নিবরাস ইসলাম, রোহান ইমতিয়াজ, মীর সামীহ মুবাশীর, শরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ, খায়রুল ইসলাম পায়েল, আবীর রহমান, শফিকুল ইমলামসহ কয়েকজনকে মগজধোলাই করে প্রশিক্ষণ দিতে ঝিনাইদহ ও গাইবান্ধায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি অংশকে দায়িত্ব দেওয়া হয় গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলা করতে; আরেকটি অংশ শোলাকিয়ায়।

সূত্র জানায়, হামলার আগে জঙ্গিরা বেশ কয়েকদিন হলি আর্টিজানে খাওয়া-দাওয়া করে। তখন তারা দীর্ঘ সময় সেখানে অবস্থান করে। রেস্তোরাঁটি ঘুরে ঘুরে দেখে ও পুরো রেস্তোরাঁ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নেয়। হামলার দিন (১ জুলাই) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাটে জঙ্গিদের প্রস্তুত থাকতে বলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে হলি আর্টিজানে যান হাসনাত রেজা। সেখানে যাওয়ার পর তিনি কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক বিদেশীকে দেখতে পান। এরপরই ‘থ্রিমা’ নামক মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশী আছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন জঙ্গিদের এবং প্রস্তুতি নিয়ে তাদের আসতে বলেন হলি আর্টিজানে। হাসনাতের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে তারা অস্ত্রসজ্জিত হয়ে হেঁটে হলি আর্টিজানে আসে।

হাসনাতকে যাতে কেউ সন্দেহের মধ্যে না আনতে পারে সেজন্য তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি সন্তানের জন্মদিন পালনের কথা বলে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। রেস্তোরাঁর ভেতরেও হামলাকারীদের দিকনির্দেশনা দেন তিনি। ১৭ বিদেশীসহ ২২ জনকে হত্যার পর জঙ্গিরা অতিথি ও রেস্তোরাঁর কর্মচারীদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। সেখানে হাসনাত বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। জঙ্গিদের সঙ্গে তিনি ছাদে হাঁটাচলাও করেন। এক সময় তিনি অস্ত্রও হাতে নেন। এসব ভিডিও গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে। ভোরে (২ জুলাই) অভিযানের আগেই ২ সন্তান ও স্ত্রীসহ হাসনাত সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। তার সঙ্গে একই ফ্লোরে থাকা আরও কয়েকজন জিম্মি বের হন।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিজান বেকারিতে ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর ওই রেস্তোরাঁয় থাকা ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন লোকজনকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়।

গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। আহত হন প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য। নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন। আহতদের মধ্যে ১৯ জন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জঙ্গি হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এই ধরনের অতর্কিত হামলা চালিয়ে মানুষজনকে জিম্মি করার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম। ভোরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। চালিয়ে জিম্মি হওয়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে এবং ২০ জন বিদেশি নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক।

সুত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

আহলান বলেছেন: আর হাসনাতকে বাজায় কে বা কারা? জাতি জানতে চায়

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি নিজের মগজ থেকে লিখেন না; ফলে কোন কি আপনার লেখা থেকে বুঝা যাবে না।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

Mk jorze বলেছেন: বাঙ্গালীদের জন্য আরও কঠিন সময়ের অপেক্ষা না করে এখনি তৈরি থাকতে হবে। অন্যথায় তারা আরো শক্তিশালী হবে।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ৭১ এর ঘাতকেরা নাকি নাটের গুরু। গনজাগরন মঞ্চ করছেটা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.