নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে জন্মভূমি বাংলাদেশে নিযুক্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটে এসে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছিলেন আনোয়ার চৌধুরী। ২০০৪ সালের ১৫ মে তিনি ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২১ মে সিলেটে ছুটে এসেছিলেন। সেদিন দুপুরে নগরীর হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে জুমার নামাজ আদায় করে বেরিয়ে আসার সময় তার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আনোয়ার চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক আহত ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। প্রথমে অন্যদের সঙ্গে আনোয়ার চৌধুরীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এই গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি গতকাল রাতে কার্যকর হয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর আগে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে আসলে কী ঘটেছিল? ২০০৪ সালের ২১ মে পৈতৃক বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পাটলি ইউনিয়নের প্রভাকরপুর গ্রামের বাড়ির পাশাপাশি সিলেটের বিভিন্ন জায়গা সফরের কথা ছিল আনোয়ার চৌধুরীর। এর মধ্যে শুক্রবার বলে তার ইচ্ছে অনুযায়ী কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শাহজালালের মাজারে জুমার নামাজ আদায় করেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে তিনি মাজারে পেঁৗছলে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল হোসেনসহ মাজারের খাদেম ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। প্রথমে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করে আনোয়ার চৌধুরী মাজার মসজিদেই সবার সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন। বৃহত্তর সিলেটের একজন ব্রিটিশ হাইকমিশনার হয়ে আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও তাকে নিয়ে ব্যাপক আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছিল। সেদিন অনেকে তাকে দেখার জন্য মাজারে এলে জুমার নামাজ শেষে আনোয়ার চৌধুরী মানুষের ভিড়ের মধ্যে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তিনিসহ অন্যরা মাজারের প্রধান ফটকের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় দু'পাশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে করমর্দন করতে থাকেন। এখান থেকে বেরিয়ে তার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও সেই ইচ্ছে আর পূর্ণ হয়নি। প্রধান ফটকের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে মাজার এলাকা। এতে আনোয়ার চৌধুরীসহ অনেকে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়েন। আতঙ্কিত মানুষেরা দিগ্গি্বদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। ঘটনাস্থলেই এক পুলিশ কর্মকর্তা ও পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু'জন নিহত হন। আহতদের অনেকে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। স্পিল্গল্গন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন অনেকে।
সেদিন হামলার মূল টার্গেট ছিলেন আনোয়ার চৌধুরী। তাকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড তার সামনে বিস্ফোরিত হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। তবে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান দিনমজুর হাবিবুর রহমান হাবিল মিয়া ও এমসি কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী দরগাগেট এলাকার বাসিন্দা রুবেল আহমদ। সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন, আনোয়ার চৌধুরীর আত্মীয় সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল হাই খান, সাংবাদিক মুহিবুর রহমান, ছুরত আলীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও হান্নানের দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
সুত্র
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আরো আগে তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল...
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১১
আর. এন. রাজু বলেছেন: এদের মতো কিছু মানুষের মানুষের জন্য নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে কেন.?
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুফতি হান্নানসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও হান্নানের দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আর এখন তাদের সাজা কার্যকর হলো।