নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেছেন,
ইসলামিক স্টাডিজের এমএ’র মর্যাদা নতুন কিছু নয়। নিচের স্তরের সনদ ব্যতীত তাকমিলের মান দেয়ায় আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে এমএ’র মান না থাকলেও একটা মর্যাদা ছিল। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তা বাতিল করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই সময় ইনকিলাব প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা আবদুল মান্নানের ভূমিকা ছিল এতে।
সুত্র
পরে আবারও দেশের কওমি মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার আমলে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মান দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল। মূলত জামায়াতের বিরোধিতায় তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্কালীন সচিব মোমতাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। তাতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৯ আগস্ট ২০০৬ তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেবলমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরবি সাহিত্য ও ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে শিক্ষকতা, কাজির দায়িত্ব, মসজিদে ইমামতির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের কওমি মাদরাসার দাওরা ডিগ্রি এমএ (ইসলামিক স্টাডিজ/আরবি সাহিত্য) ডিগ্রির সমমানের হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে নীতিগত সিদ্ধান্ত জ্ঞান করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনের অনুবৃত্তিক্রমে সরকার দেশের সব কওমি মাদরাসার সমন্বয়, উন্নয়ন ও পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ’ নামে একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন/বিধিবিধান অনতিবিলম্বে প্রণয়ন করা হবে।
সূত্র মতে, এ প্রজ্ঞাপন জারির পর জামায়াতের দুজন মন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে সনদের স্বীকৃতি দিতে সরকারকে নিরুৎসাহ করেন। ফলে আলেম-উলামাদের চাপের মুখে বিএনপি রাজি থাকলেও কওমি সনদের স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়। এ সময় মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে দিয়েও বিরোধিতা করানো হয়। জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আহ্বায়ক করে তখন মাদরাসা শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠনও তৈরি করে জামায়াত, যার সদস্যসচিব করা হয় যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নুল আবেদিনকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন ভুঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএনপির সময় কওমি সনদের স্বীকৃতি হিসেবে মাস্টার্সের মান দেওয়ার বিষয়ে গেজেট হয়েছিল। কিন্তু পরে কেন অগ্রগতি হয়নি তা বলতে পারব না। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নামের একটি সংগঠন থেকে বিরোধিতা ছিল বলে শুনেছি। ’
ডেমরার দারুল কোরআন ক্যাডেট মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত বলেন, ‘জামায়াত যে ইসলামী দল নয় তা চরমোনাইর মরহুম পীর সাহেব বলে গেছেন। বিএনপি আমলে যখন কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য গেজেট প্রকাশ করেও বাস্তবায়িত হয়নি তখনই আমরা বুঝতে পেরেছি জামায়াতের বিরোধিতা আছে। কারণ চাকরিতে জামায়াত-শিবিরের কোটা অন্যদের দিতে চায়নি তারা। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলনও স্বীকার করেছেন জামায়াতের বিরোধিতার কারণে তাঁরা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিতে পারেননি। ’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা তো ঠিকই উদ্যোগ নিয়েছিলাম। গেজেটও হয়েছিল। পরে কেন এটা করতে পারলাম না, তা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। ’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বাংলাদেশের কওমি শিক্ষাব্যবস্থা মূলত ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ মাদরাসার অনুকরণে বিস্তার লাভ করে। ইসলাম ধর্মভিত্তিক এসব শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। সরকার নিয়ন্ত্রিত আলিয়া মাদরাসা শিক্ষার সঙ্গে রয়েছে অনেক পার্থক্য। কওমি মাদরাসার ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নেই তদারকির ব্যবস্থা। একই ধারার শিক্ষাব্যবস্থা হওয়া সত্ত্বেও সারা দেশে মাদরাসাকেন্দ্রিক একাধিক শিক্ষা বোর্ড গড়ে উঠেছে।
সমাজে কোরআন-সুন্নাহর আলোকে কওমি মাদরাসায় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সনদের স্বীকৃতির অভাবে কওমি মাদরাসার শিক্ষিত আলেমরা বেসরকারি মসজিদ-মাদরাসায় নামমাত্র বেতনে চাকরি করছেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় বোর্ড হচ্ছে ‘বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ’ (বেফাক), যার চেয়ারম্যান হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। ব্যানবেইসের ২০১৫ সালের এক হিসাবে এসব মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বলা হয়েছে ১৪ লাখ। তবে বর্তমানে তা ১৮ লাখ বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাড়ে পাঁচ বছর আগে গঠিত কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে কওমি মাদরাসার সংখ্যা ১৫ হাজার বলে উল্লেখ রয়েছে। অন্য একটি সূত্রের দাবি, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ২০ হাজার মাদরাসা রয়েছে। একসময় শুধু গ্রামে-গঞ্জে কওমি মাদরাসার বিস্তার ঘটলেও এখন শহরেও সংখ্যা বাড়ছে। কয়েক বছর আগে বেফাক নিয়ন্ত্রিত কিছু মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, গণিতসহ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়। এর বাইরে এ শিক্ষার কারিকুলামে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক শিক্ষাধারা থেকে বঞ্চিত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি স্বীকৃতি না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে যোগদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নানাভাবে উদ্যোগ নেওয়ার পরও তা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার সনদ স্বীকৃতির উদ্যোগ নেওয়ায় নতুন করে প্রত্যাশা জেগেছে দেশের কওমি মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের মাঝে। দীর্ঘদিন আটকে থাকা এ সংকট নিরসনে বর্তমান সরকার উদ্যোগী হওয়ায় দেশের প্রায় ২০ হাজার কওমি মাদরাসায় এখন খুশির রোল। বিশেষ করে কর্মসংস্থানের জন্য এ সনদ স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
সুত্র
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৯
হাফিজ রাহমান বলেছেন: বিএনপির আমলে শুধু জামায়াতের কারণে কওমী সনদের স্বীকৃতির বিষয়টি বিলম্বিত হয়েছে- তথ্যটি যদি সত্য হয় তাহলে জামায়াত এক্ষেত্রে চরম নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে। ধর্মভিত্তিক কোনো দলের জন্য এ জাতীয় আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। বস্তুত কওমীপন্থীরা চাকুরীর জন্য স্বীকৃতি চায় না; তারা স্বীকৃতি চায় তাদের শিক্ষার মান উদ্ধারের জন্য। শিক্ষা স্বীকৃতির অভাবে তারা জাতীয় অঙ্গনে অটোমেটিক অশিক্ষিত থেকে যাচ্ছে। তারা শিক্ষতদের শ্রেণীভুক্ত হতে পারছে না। শিক্ষতের শ্রেণীভুক্তিটাই তাদের মূল চাওয়া পাওয়া। উপরন্তু বিদেশে উচ্চ শিক্ষা এবং দেশীয় নানা অঙ্গনে শিক্ষা সনদের অস্বীকৃতিটি বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে। এ জটিলতা নিরসনই তাদের মূল এজেন্ডা।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪২
রিফাত হোসেন বলেছেন: @হাফিজ সাহেব, আমার তো কোন দিক দিয়ে জামাতকে ধর্ম ভিত্তিক দল মনে হয় না। ধর্মকে বিকৃত করে ধর্ষণ, রগ কাটা জায়েজ করে ফেলে! ধর্মকে পুজিঁ করে যা করার করেছে ও করছে। লজ্জা নামক একটা শব্দ তাদের বই এ নাই। খারাপ কাজ করলেও, পক্ষে গেলেও স্বীকার করে সঠিক পথে আসার সুযোগ স্বয়ং আল্লাহ দিয়ে থাকলেও শয়তানের পথকেই তারা ভাল মনে করে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই সনদ নিয়ে কি তারা বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পাবে?