নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেতান

মনোযোগী পাঠক

বেতান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

মানুষ সাধারণত নিজ নিজ দুঃখ/ দুর্বলতা ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, সামাজিক; যেকোন দুঃখ/ দুর্বলতাই হোক না কেন, মানুষ কখনোই তা প্রকাশ করার চেষ্টা করে না, অন্তত নিজে ঢোল পিটিয়ে নিজের দুঃখের দিক প্রচার করে না। ব্যতিক্রম শুধু ভিক্ষুকেরা।



ভিক্ষুকেরা মানুষের করুনা পাওয়ার জন্য নিজ নিজ শারীরিক দুঃখ/ দুর্বলতা যত বেশি সম্ভব প্রকাশ করে রাখে। তারা সেটা করে বেশি বেশি মানুষের দয়া পাওয়ার জন্য।

কয়েক বছর আগে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আজাদ ঢাকার রাস্তায় উগ্রপন্থী মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে চাপাতির কোপে রক্তাক্ত হয়েছিলেন।



বৃদ্ধ বয়সে এই হামলার রেশ তিনি আর কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। এ ঘটনার কিছু দিন পর তিনি মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর জন্ম/ মৃত্যু দিবসে তাঁর যে ফটো বিভিন্ন পেপার এ ছাপা হয়েছিল তা তো তাঁর সেই রক্তাক্ত আহত ফটো ছিল না।



ছিল সুস্থ হুমায়ূন আজাদ আজাদের ফটো। তাঁর পরিবাবের ড্রইং রুমেও নিশ্চই তাঁর একটি সুন্দর প্রতিকৃতি লাগানো আছে। আমাদের পরিবারের কেউ যদি দুর্ঘটনায় মারা যায়, তখনো আমরাও তাঁর বিকৃত লাশের কোন ফটো দেয়ালে টাঙিয়ে রাখবো না।

বাংলাদেশ সরকারের একটি আইন হচ্ছে সরকার প্রধান এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে।



ভালো কথা, আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান সভাকক্ষে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি কি কেউ খেয়াল করেছেন? প্রতিকৃতিটি জীবিত বঙ্গবন্ধুর নয়। ১৫ই আগস্ট তাঁকে হত্যা করার পরে তাঁর লাশের কয়েকটি ফটো তোলা হয়েছিল।



তাঁর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এ ফটোটির আদলে অঙ্কিত একটি তেল রঙের চিত্র শোভা পায় প্রধানমন্ত্রীর সভাকক্ষে। অনেক খুজেও নেটে তেলচিত্রটি না পাওয়ায় আমি এখানে দিতে পারলাম না। তবে প্রধানমন্ত্রীর কোন সভার খবর যেকোন টিভি চ্যানেলে খেয়াল করে দেখলেই তেলচিত্রটি দেখতে পারবেন। একটি লাশের ফটো, তা যারই হোক না কেন, তা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করা কি খুব জরুরি? জরুরি হলে কেন?

কেন আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্ষুকের মত মানুষের দয়া আর করুনা ভিক্ষা করবেন?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্র.মন্ত্রী হলেই মাল আসে আর এটার নেশা বড়ই মারাত্মক।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২

উলম্ভ বলেছেন: এই ছবি তো তাদের ড্রয়িং রুমে থাকার কথা যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে গর্বিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.