নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৃঙ্খল ভাঙ্গতে গিয়ে আটকে যাই বারে বারে...

লেখা লেখি আমার কাজ না আমি পাঠক

নষ্টছেলে তানিম

আমি একটা 'আমি' হবো এই ইচ্ছা ও আকাঙ্খায় কেটে গেছে দুইটি দশক হই হই করে হয়ে ওঠা হয়নি পূর্ণাঙ্গ ভাবে কখনই অতঃপর আমার ইচ্ছারা ডালপালা মেলেছে আজ কত শত প্রতিক্ষা প্রহর শেষে, কত শত সাধনার পর আমি একটা 'আমি' হব এই চিন্তায় কেটে যায় রাত

নষ্টছেলে তানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীদের বলছিঃ(একটি সিরিয়াস পোস্ট)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আমার বাবার জন্ম ১৯৫৯ সালের ৩০শে মে(যতদূর মনে পরে বাবার সার্টিফিকেটে দেওয়া) । বাবা মুক্তি যুদ্ধের সময় ১২ বছরের । পাকিস্তানী আসছে পাকিস্তানী শুনে ধান খেতে লুকিয়েছিলেন আমার ছোটো বাবা সাথে ছিল তাঁর কিছু বন্ধু । হঠাৎ তাঁর কানের কাস দিয়ে সিসের মত একটা শব্দ করে কি যেন বেরিয়ে গেল বাবা বুজতেন না কি গিয়েছিল যদি বুলেটটা তাঁর বন্ধুর জামার হাতা চিরে বেরিয়ে না যেত । ভাগ্য বলতে হবে তাদের একটু এদিক সেদিক হলে আমি আজ অন্য কারো

ছেলে হতে পারতাম । তাঁর পর থেকে নাকি মাঝে মধ্যে বাবা মুক্তি যোদ্ধাদের ভাত দিয়ে আসতেন । একটু কারন আছে ওই মুক্তিযোদ্ধাদের ভিতর আমার দাদাও ছিলেন ।

আমার মার জন্ম ১৯৬৯ এর ১৫ আগস্ট ।

১৫ অগাস্ট দেখে কিছু বলার আগে আমার বাবার জন্ম তারিখটাও একটু দেখে নিন । হ্যাঁ প্রকৃতির খুব কুটিল ষড়যন্ত্রে আমার গল্পের প্রধান দুই চরিত্রের জন্ম বাংলাদেশের ইতিহাসের দুই শোকের দিনে । ভাগ্য খুবই ভাল যে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় আমাদের কারো জন্মদিন নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই ।

জন্মের ইতিহাস শেষ বর্তমানে আসি এবছর আমার ২১ বিয়ের বয়স পাকাপাকি ভাবে হয়ে গেছে । বাবা কিছুতেই বোঝে না । তেমনি আমার বাবা অনেক কিছুই বোঝে না এখনও ২০০৯ সাল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার পরও প্রতিমাসের প্রথম দিকে আমার শুনতে হয় । অযথা আমার টাকাগুলো নষ্ট করছিস, কি হয় ইন্টারনেটে? ফেসবুকটা কি? কি আছে ওঁটায় ? সারাদিন ঐটায়ই পরে থাকিস ? কিংবা খুব কড়া ধমকের সুরে বলা আমি সামনের মাস থেকে তোকে আর একটা টাকাও দেব না সংসার চালাতে কষ্ট হয় ।

আমি জানি আমি যে উত্তরই দেই না কেন আমার বাবার মনপুতঃ হবার সম্ভাবনা নেই । তারপরও তো চলছি তাই না । বাবার একটা রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস আছে , আমার নেই রাজনৈতিক ভাবে আমি নিরপেক্ষ এটাই আমার সবচেয়ে ভাললাগে । বাবার সাথে আমার প্রায়ই রাজনীতি নিয়ে খুতি নাটি হয় । ফলাফল যা হয় আমার অবস্থানে যারা আছেন তারা বোঝেন ।



এই যে পুরো বিষয়টায় আমি আমার বাবাকে বিন্দু মাত্র দোষ দেই না । তাঁর আর আমার বয়সের পার্থক্য ৩০ প্রায় সে আমার মত বুজবে না আমিও তাঁর মত না । তাঁর বিশ্বাস আবেগে আমার বিশ্বাস যুক্তিতে ।



মোটামুটি যারা চরমভাবে বিরক্ত কি শিরোনাম আর কি লেখা ! হ্যাঁ এত সিরিয়াস একটা বিষয় শিরোনাম দিয়ে ওই সব লেখা ঠিক না তাও আবার প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে। আসলে একটু প্রস্তুতি নিচ্ছি আর কি ।



এইটা মোটামুটি আমার বিশ্বাস কোনভাবে সামনের ৫ বছর গেলে আমরা নতুন প্রধানমন্ত্রী পাব । বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে তারা কারা তাও বুজতে পারছেন । তাদেরকেই বলছি ।(যদি আপনারা এইটা পরেন !!)

উপরের গল্পটা লেখার মোটামুটি একটা কারন আছে । আমার বাবার সাথে আমার সব বিষয় মেলে না যদি মিলত তাহলে আজ এই কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্লগ ফেসবুক পরের ঘরে দেখে বলতাম পলাপাইন নষ্ট হয়ে গেছে । মাননীয় ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীদ্বয় আমি জানি আপনাদের মাথাটা ছোট কিন্তু ব্যথাটা বড়। বোঝেন ও আমাদের থেকে বেশি । কিন্তু আমি শুধু বুজছি না একটা গণ্ডি থেকে আমরা কেন বের হতে পারছি না ! পুরনো যা আছে তাতো আছেই নতুন কোন যন্ত্র দিয়ে দেখেন না জনগনের ভাষাটা একটু সহজ ভাবে বোঝা যায় কিনা? এয়ারপোর্টে নেমেই যে দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয় দেখেন না চেষ্টা করে সেই নিয়মটা ভাঙ্গা যায় কিনা ?

আমরা কেন "তুমি অধম ছিলে , আমি আরও অধম হব" তে পরে আছি? একটু হই না "তুমি অধম তাই বলে আমি উত্তম হইব না কেন?" কথাটাকে বইয়ের পাতা থেকে বের করে আনি ।





“আশ্চর্যের কিছু নয়। সন্ত্রাসীদের সাথে মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিমের সাথে তার লিংক ছিল, এটা আমরা জানি।”



“কয়বার দাওয়াত দেব?"



“আমার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে দাওয়াত দিয়েছেন। খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন, যাতে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান আসে। কোনো শর্ত দেননি।”



"হরতালে বোমা হামলার মাধ্যমে বিরোধী দলের ‘আসল চেহারা’ দেখা গেছে ।"



"বিএনপি-জামায়াতের আগের আমলের মতো বোমা আমলা শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে জঙ্গি তত্পরতা বৃদ্ধি পাবে ,তারা ক্ষমতায় এলে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, হিন্দু, সুশীল সমাজ সবাইকে মারবে। উড়িয়ে দেবে।"

কথাগুলো গতকালের সুত্রঃ প্রথম আলো, বিডি নিউজ ২৪, কালের কণ্ঠ ।



আমি একটু পজেটিভ কথা বার্তায় বিশ্বাসী উপরের কথা গুলো কোন সমস্যা জটিল ছাড়া সহজ করতে পারে আমার বিশ্বাস হয় না । কথাটা যদি এভাবে আসতো "আসলে দেশের দুই বড় নেত্রী কথা বলেছেন তারা অনেক জ্ঞানী তারাই একটা ধাপের শুরু তো হল বাকিটা তারাই বিবেচনা করবেন " (যদিও স্বপ্নেও এ কথা শুনব কিনা তবুও শুনতে ইচ্ছে করে !!)



বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সংকটে পড়েছে দলটি। দেশে ফেরার পর তাঁর হাতে বিএনপির নেতৃত্ব তুলে দিতে চান খালেদা জিয়া। এ নিয়ে দলকে নানা বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক বলেছেন, দলে এখন দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এক. যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যাওয়া। এ জন্য আদর্শিকসহ সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করা। কারণ, ক্ষমতায় যেতে না পারলে দলের ভাঙন ঠেকানো কঠিন হতে পারে। দুই. তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দলের দায়িত্ব দেওয়া। এই নীতিনির্ধারকেরা জানান, খালেদা জিয়া তারেককে এনে দলের দায়িত্ব দিতে চান। এর জন্যও দলকে ক্ষমতায় যেতে হবে বলে মনে করেন তাঁরা। কারণ, ক্ষমতায় না গেলে তারেককে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।কিন্তু দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, তারেক রহমানকে দলে প্রতিষ্ঠিত করার এই প্রচেষ্টার কারণে ইতিমধ্যে দলে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ, জ্যেষ্ঠ নেতাদের বেশির ভাগই তারেককে পছন্দ করেন না। কয়েকজনের তারেকের সঙ্গে রাজনীতি করতেও আপত্তি আছে। কারণ, তারেকের বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদেরও প্রশ্ন আছে। তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদদ দেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তারেকের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন এই নেতারা।এর বাইরে দলের একটা অংশের মধ্যে ‘হাওয়া ভবন’ আতঙ্কও আছে। গত মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় এই হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক একটি পক্ষ মূলত তারেকের সঙ্গে থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দল। নিগৃহীত হয়েছেন নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা।এখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসা এবং দলে তারেকের প্রভাবের কারণে হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক পক্ষটি আবার সক্রিয় হয়েছে। দল ক্ষমতায় এলে এরা আবার আগের রূপ নেবে বলে মনে করেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। সুত্র ঃ প্রথম আলো ।



দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ব্যাপারে দলের এমন মনোভাবও ভাবায় আমাদের ।



আপনাদের কথাই তো বলছি আমরা কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চাচ্ছি না । ভোট তো আপনাদেরই দেব (যদিও আমি মার্কার চেয়ে বেক্তিতে বিশ্বাসী) দেশটাও তো আপনাদের আমাদের আপনাদের যে সম্পদ, যে সম্মান আছে এক জীবনে আপনাদের ,আপনাদের পরিবারের নিশ্চিন্তে চলে যাবে । দেশের জন্য আরও একটু বেশি কিছু করুন। রাস্তার পাশে একটা ব্যাগ পেয়ে যে ছোট ছেলে দুইটি আজ আহত তাদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করুন অথবা রংপুরের সেই মানুষগুলো যারা টাকার জন্য আগাম শ্রম বিক্রি করছে কিংবা সেই মানুষ গুলো যারা সারাদিন পরিশ্রম করে সন্ধ্যায় আধ পেট খাবার খাবারের ব্যাবস্থা করে আর আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করি কেউ বিদেশে পালাই চিকিৎসা করতে কেউ বা এক তুরিতে বলি ওঁটা কোন ব্যাপারই না !! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভেবেছেন তাদের কথা?

বিঃদ্রঃ(১) বিশেষ কিছু তথ্য ও বক্তব্য খুঁজে পাইনি খুঁজছি প্রচুর তাই একটু অসম্পূর্ণ স্বীকার করছি ।

(২) সব কিচুর পরের কথা এই টাইপ বিরক্তি কর কথা পড়ার(যদি শেষ পর্যন্ত পড়েন কেউ আরকি!!) জন্য ধন্যবাদ !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.