নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শৃঙ্খল ভাঙ্গতে গিয়ে আটকে যাই বারে বারে...

লেখা লেখি আমার কাজ না আমি পাঠক

নষ্টছেলে তানিম

আমি একটা 'আমি' হবো এই ইচ্ছা ও আকাঙ্খায় কেটে গেছে দুইটি দশক হই হই করে হয়ে ওঠা হয়নি পূর্ণাঙ্গ ভাবে কখনই অতঃপর আমার ইচ্ছারা ডালপালা মেলেছে আজ কত শত প্রতিক্ষা প্রহর শেষে, কত শত সাধনার পর আমি একটা 'আমি' হব এই চিন্তায় কেটে যায় রাত

নষ্টছেলে তানিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ**** তার একদিন কিংবা প্রতিদিন****

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১

অন্য দিনের চেয়ে গরম আজ একটু বেশি তার উপর বিদ্যুৎ নাই মেজাজ টা তেতিতে আছে রুদ্রর । রোজা রেখে তিনটা প্রাইভেট পরিয়ে বিকেলে বিশ্রাম নিতে গিয়ে যদি দেখে বিদ্যুৎ নাই যে কারো মেজাজ খারাপ হবেই তার উপর পরীক্ষা চলছে তার টেনশন । আজ রুদ্র নিজেকে গালাগালি করছে কেন যে প্রাইভেট তিনটা নিলো । যাক ১৫ দিনের কন্ট্রাক্ট এই ১৫ দিন গেলেই হল হাতেও কিছু টাকা আসবে, গতবার ঈদে ওর বাবাকে একটা পাঞ্জাবী দিছে এবার ওর মাকে একটা শাড়ি দিবে ভাবছে তাই এই প্রাইভেটটা নেওয়া । গতবার ওর বাবা পাঞ্জাবিটা পেয়ে খুবই খুশি হয় তারপরও বলে কি দরকার ছিল এই অযথা টাকা খরচ করার কিন্তু রুদ্র জানে এই খরচটা কখনো অযথা না ওর বাবার কথার আরালে যে হাসি টা অমূল্য আর ওই কথাটা ওদের মতো নিম্নবিত্ত পরিবারের প্রধান সম্বল ।

-ভাইয়া এই অঙ্কটা হইছে

ঃআচ্ছা পরেরটা পর বোঝ

- আআআ ভাইয়া দেখেন

কি? বলে ওর ছাত্রের মুখের দিকে তাকাতে ওই ইশারায় জানালায় তাকালো রুদ্র একটা জীর্ণ শীর্ণ বৃদ্ধ ভিক্ষুক পড়ে আছে রাস্তার উপর ,

ঃকি হইছেরে ?

-ভাইয়া ওই ব্যাডা খাড়া অবস্থায় ঠাশ কইরা পইড়া গেছে ...

কি কস বলে দৌড় দিলো রুদ্র , আশে পাশের কিছু মানুষ জড়ো হয়েছে ইতোমধ্যে এক একজনের এক এক কথা , কেউ বলছে মিরগি রোগ নতুন জুতা শোকাতে হবে , কেউ বলে রোজা তাই, কেউ বলল গাজা টাজা খাইছে তাই আরও হরেক রকম কথা কাজের কাজ কেউ করছে না , রুদ্র জ্ঞানী মানুশদের কথা আর সহ্য না করতে না পেরে বলল

-অনেক হইছে সব এমবিবিএস !! এখন ধরেন ওনারে একটু ছায়ায় বাতাশে নিয়ে যাই , বৃদ্ধ লোকটাকে ৩-৪ জন মিলে ধরে রুদ্রদের বাসায় নিয়ে গেলো টেবিল ফ্যান দিয়ে জোরাল বাতাস দেয়া হল , মাথায় পানি দেয়া হল শেষ পর্যন্ত জুতাও শোকানো হল কিন্তু জ্ঞান ফিরল না দেখতে দেখতে সময় ও কম না ব্যাপারটা চিন্তার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে । কেউ কেউ পুলিশে জানানোর কথা বলছে, কেউ ভয় দিচ্ছে মরে গেলে কেস হয়ে যাবে , পুরো যা তা অবস্থা রুদ্রর মেজাজ এই পর্যায়ে সেইরকম খারাপ । শুধু শুধু উটকো ঝামেলা মাথায় নিছে ভাবছিল হালকা পানি আর ঠাণ্ডায় রেস্ট নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে ।

ডাক্তার ডাকা হল ডাক্তার আশার একটু আগেই চোখ খুলল বৃদ্ধ লোকটি, ডাক্তার আসলো নেড়ে চেড়ে দেখল বলল দুর্বলতা কিছু খাবার আর ঔষধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে কিছু ঔষধ লিখে দিলো , পকেটে টাকা নেই একবন্ধুর কাছ থেকে ধার করল ৫০০ টাকা , ঔষধ কিনতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ ডাক্তারটাও ঝোপ বুঝে কোপ মারল ৮৩৫ টাকার ঔষধ লিখে দিছে অগত্যা কিছু টাকা বাকি রেখেই ঔষধ আনল রুদ্র ।

ইতো মধ্যে বৃদ্ধ লোকটিকে সদ্য রান্না করা গরম ভাত খাওয়ান হল, বৃদ্ধ লোকটি একটু বায়না করল ঘরে বউ রোজা রইছে দুইটা বুট মুড়ি পাইলে ইফতারিটা করতে পারতো , তাকে তাও দেয়া হল বৃদ্ধ উঠে হেটে যাচ্ছে সবাই শস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ... বৃদ্ধের মুখে মুচকি হাসি দেখা গেলো ...

দুইদিন পর আবির বিকেলে জানালার পাশে বসে আছে একটা বৃদ্ধ ভিক্ষুক হঠাৎ সোজা হয়ে পড়ে গেলো কিছুতেই তার জ্ঞান ফিরানো যাচ্ছে না...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বৃদ্ধের জন্য সমবেদনা রইল --কিন্তু সে কি আসলে অভিনয় করছিল !!
হায়রে মানুষ -- কত খেল জানে !! এরা অবশ্য পেটের দায়ে করে -- আর অনেকে করে খাসিলতের কারণে ------

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৪

নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: হ্যাঁ ... যে কারনেই করুকনা ক্যান ক্ষতি কিন্তু আপনার আমার মতই কারো হচ্ছে । ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.