![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা ইশারা...সৃষ্টি অথবা ধ্বংস।
আমাকে মেরে ফেলা হলো। মানুষের পর এবার আমার নতুন জন্ম হলো 'লাশ' হিসেবে।
রুপা কথা বলে...
১২ই সেপ্টেম্বর, হ্যাঁ, মৃত্যুর পর আমি নিজেও খুঁজেছি আমার মৃত্যুর সঠিক ক্ষণ-দিন-তারিখ। কারণ অনেক কিছু ঘটে যায় সেই একটা দিনে। দিনের শুরু থেকেই কিংবা তারও শুরুর শুরু থেকে আরম্ভ হয়ে যায় আমার মৃত্যুর আয়োজন— পৃথিবী আমার ঘুণাক্ষরেও টের পায় না, কেবল কতকগুলো আভাস আর কেমন কেমন সন্দেহের দ্বাররক্ষীরা ছাড়া।
আমরা যে মরে যাবো এটা আমরা জানি। যে-কোনো সময় মরে যাবো এও জানি। কিন্তু মৃত্যুর ওপর দমকা হাওয়া বুলিয়ে জীবনকে আরেকটু যাপন করে নেওয়ার তৃষ্ণা আমাদেরকে অদ্ভুত এক উদাসীনতায় ঘরবন্দী করে নেয়— আমরা জেনেও অনেক কিছু না জেনে থাকার ভানে নিশ্চিন্ত থাকি!
আমিও অমনই নিশ্চিন্ত ছিলাম। হয়তো বিধাতাকে বরাবরই এটা বলছিলাম, ‘তুমি তো এখনই আমাকে মৃত্যু দিচ্ছো না, তাই না? তাই কি? প্লিজ দিও না! আমার কিছু কাজ আছে! হাহাহা, কী রসিকতা!’
নিজেই হেসেছিলাম নিজের বক্তব্যে। কিন্তু বিধাতাও যে হেসেছিলেন, সেটা আমি দেখতে পাইনি। আন্দাজেই থেকে থেকে আমার আন্দাজের বাইরে চলে যাচ্ছিলো তাঁর সেই প্রজ্ঞাপ্রবন হাসি!
আজ, এখন এতো রাগ এতো অভিমান এতো ঘৃণা আমার কাজ করছে নিজের ওপর যে, মনে হচ্ছে সেটা দেখেও তিনি হাসছেন আর বলছেন- ‘আমি বরাবরই তোমার ওপর।’
কিন্তু বিধাতা, কেন, যখন মৃত্যুই দেবে তখন এভাবে কেন? কেন এভাবে কেন কেন? কাঁদতে কাঁদতে আমি আমার লাশের সামনে এসে যাই, যাকে এখন দেখলে আমি আর চিনতে পারি না! ভেতরটাকে ছারখার করে দিচ্ছে আমার আমারই এই অজ্ঞতা!
জীবিত মানুষগুলোও শুনেছি চেনেনি আমায়, বা হয়তো, চিনতে চিনতে রসিকতায় মেতেছে, যেমনটা কখনো আমিও মাততাম! আমার লাশের মুখ নিচু হয়ে আসে আমার কল্পনায়। আমার খুব করুণ লাগে তার জন্য। আমার খুব খারাপ লাগে। হঠাৎ মনে হয়, বিধাতা হাসি থামালেন। এবং বললেন...
শুনে আমি স্তম্ভিত হতে পারি না। কারণ সবটাই আমার জানা। আমি সবকিছুরই সাক্ষী এই প্রকৃতির মতো। তবে একথাও সত্য যে ঐ লাশে আমি তেমন কোনো সাক্ষ্য ছেড়ে আসিনি। যদি চাইতাম, যদি গুছিয়ে গুছিয়ে ভেবেচিন্তে দিনক্ষণ ঠিক করে আমার মৃত্যু হতো, তবে হয়তো কিছু সাক্ষ্য রেখে আসতে পারতাম। পারতাম!
আমার বড্ড গরম লাগে। আমার বড্ড ঠাণ্ডাও লাগে। একা লাগে করুণ লাগে! প্রচণ্ড জোরে পৃথিবীটাকে দুমড়ে মুচড়ে থেঁতলে দিতে ইচ্ছা করে। মাথা, মাথা থেঁতলে দিতে ইচ্ছা করে! মুখগুলোকে কেটে ফেলতে ইচ্ছ করে! জানিনা, জানিনা কার! আমি কাঁদতে থাকি আমার লাশের পাশে। আমি কাঁদতে থাকি আমার পাশে
বিধাতা আমার চোখ মুছে দেন এবং বলেন...
.................................................
" be patient; wait
That the word mature
This body and, as a fruit
To pass the wind that deserve it ".
~Eugénio De Andrade
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
পেন আর্নার বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম।
ধন্যবাদ। অবশ্য কমই অনুভব করি সত্য।
শুভকামনা।
২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল।
আমার ব্লগে স্বাগতম, ও শুভকামনা।
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন, মৃত্যু জীবিনের সকল সমীকরণ শেষ করে দেয়।
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন রেজওয়ান।
তাই কি??
আমার ব্লগে স্বাগতম।
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
অংকুর জেসফি বলেছেন: মন খারাপ করার মত লেখা।
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
পেন আর্নার বলেছেন: জ্বি।
যেমন গর্ভ তেমন প্রসব।
আমার ব্লগে স্বাগতম। শুভেচ্ছা
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
অদৃশ্য বলেছেন:
একবার পড়লাম... লিখাটির থিমটা ধরতে সমস্যা হচ্ছে... সাধারণভাবে একটি ভাবছি আবার ভাবছি তা নাও হতে পারে... পরে আবার পড়তে হবে ভালোভাবে বুঝবার জন্য...
শুভকামনা...
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
পেন আর্নার বলেছেন: আচ্ছা। এটা স্বাভাবিক।
একটা সাধারণ মানুষের মৃত্যু এবং সেটাকে নিয়ে বাকি পৃথিবীর কোলাহল- এই দুইয়ের মাঝখানে সেই মৃত মানুষটার কথা আর অনুভবতার কান্না এখানে আছে। আসলে আমি অন্য কাউকে নিয়ে কখনো লিখতে পারি না। নিজেকে বসিয়েছি সেই মৃত মানুষটার স্থানে, অবস্থানে।
শুভকামনা। ভালো লাগলো অনুসন্ধানে ..
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বিষণ্ণ লেখা, কিন্তু ভালো লেগেছে, লেখায় মুন্সিয়ানা আছে। শুভেচ্ছা।
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত।
শুভেচ্ছা।
বিষণ্ণ সবকিছুই খুব আপন হয়।
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০১
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।
শুভ হোক সময়।
৮| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: বড় বিপন্ন এক অনুভব নিয়ে লিখেছেন। বিষাদ স্পর্শ করলাম।
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩১
পেন আর্নার বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো হামা ভাই।
শুভকামনা।
৯| ১৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হোসেন বলেছেন: লেখাটা গুছিয়ে লিখলে ভাল লাগত...বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে.......
১৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
পেন আর্নার বলেছেন: আচ্ছা। এভাবেই তো লিখি. .. চেষ্টা করবো আরও গুছিয়ে লিখতে।
ধন্যবাদ।
১০| ১৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার। হৃদস্পর্শী লেখা।
১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫০
পেন আর্নার বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু 'দা।
ভালো থাকবেন।
১১| ১৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
অদৃশ্য বলেছেন:
আচ্ছা বুঝলাম !... সাধারনভাবে এভাবেই ধরে নিয়েছিলাম যে কেউ একজন মৃত্যুর পরের সময়টুকুতে এমন আচরণ করছে... কিন্তু লিখাটির অন্য কোন দিক আমি খুঁজে ফিরছিলাম আর সেটাই ধরতে পারছিলাম না...
এখন কথা হলো মৃত্যুর পর এতো ক্ষোভের প্রকাশ কেন বা আত্মা এতো অশান্ত কেন... মৃত্যুর ইচ্ছা ছিলোনা বলে নাকি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি ছিলোনা বলে... মৃত্যুর আগে ইচ্ছা বা প্রস্তুতিটা কেমন হলে ভালো হতো মৃত্যুর জন্য...
শুভকামনা...
২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫
পেন আর্নার বলেছেন: তনুর মতো কাউকে ভেবে লেখা বা নিজেকে তনুর জায়গায় রেখে লেখা..।
খুব বৃথা চেষ্টা।
*তনুর মৃত্যুর ক'দিন আগে দেশ থেকে ফিরেছিলাম। ওনাকে নিয়ে হইচই হলেও আমার জ্ঞানের বাইরে ছিলো গোটা খবর। বা, আমিই চাইনি নিতে। তবে এরকম হঠাৎ মৃত্যু এবং তরুণ মৃত্যু আমাদের দেশে কম না। বলতে পারি, মৃত্যুর ওপারে থাকা ওদেরকে ভেবেই একটা অস্ফুট ক্ষোভে লিখে যাওয়া এই নীরব লেখা।
শুভকামনা, অদৃশ্য 'দা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সত্যকথা বলছেন ।