নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লঘু বুদ্ধির লঘু মানব!

তন্ময় সাগর

ব্যাক্কল কথন!

তন্ময় সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ঃ অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত ২২ লেখকের বিস্ময়কর কৃতিত্ব!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৫

অমর একুশে গ্রন্থমেলার পর্দা উঠতে বাকি হাতে গোনা আর মাত্র কয়েক ঘন্টা । মেলা প্রাঙ্গনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের প্রাণের এই মেলার অপেক্ষায় সবাই। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের বাণিজ্যিক অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরতদের জন্য এবারের বই মেলা অন্যরকম দ্যোতনা নিয়ে আসছে। অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরতরা এবারের বইমেলায় বিস্ময়কর এক কৃতিত্ব গড়তে যাচ্ছেন। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের বইমেলায় অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত অন্তত ২২ জন লেখকের ২৪ টি বই প্রকাশ হতে যাচ্ছে! প্রাপ্ত তথ্য মতে গত ২০১৮ বই মেলায় অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত অন্তত ১১ জন লেখকের ১৩ টি বই প্রকাশ পায়! জানামতে একক কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এত বহু সংখ্যক লেখকের এত সংখ্যক বই একযোগে প্রকাশের নজির আর নেই। একক কোন প্রতিষ্ঠান হিসেবে অগ্রণী ব্যাংক এই বিরল কৃতিত্বের অধিকারী।

অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত লেখক শিল্পী সংস্কৃতিসেবিদের সমন্বয়ে গঠিত স্বেচ্ছা অংশগ্রহণ মূলক ‘অগ্রণী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সমাবেশ’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনও আছে রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের এই ব্যাংকটিতে যা আর কোন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকার তথ্য পাওয়া যায়না।অগ্রণী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সমাবেশ (অসাসাস) এর সাধারণ সম্পাদক ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত কবি মফিজুল হক। ইতোমধ্যে যার দু দুটো বই প্রকাশ হয়েছে এবং এবারের বই মেলায় আরও দুটি বই বেরুবার অপেক্ষায়। সাহিত্যের সংগঠন তাও আবার ব্যাংকে এবং অগ্রণী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সমাবেশ নিয়ে জনাব মফিজুলের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে জানান- অগ্রণী ব্যাংক ব্যাংকিংয়ে যেমন সেরা তেমনি শিল্প সাহিত্যের চর্চাতেও সেরা। অগ্রণী ব্যাংকে লেখক, গায়ক, আবৃত্তিকার/বাচিক শিল্পী, অভিনেতা , বাঁশুরিয়া এমনকি জাদুকরও কর্মরত আছেন যারা প্রতিনিয়ত স্বীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আলো ছড়াচ্ছেন নিজ নিজ গুণে। এত বিপুল সংখ্যক গুণী মানুষের সম্মিলন আর কোন প্রতিষ্ঠানে ঘটেছে কি না সন্দেহে প্রকাশ করে নিজের কর্ম প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ব্যাংককে এগিয়ে রাখলেন জনাব মফিজুল হক।

গত বার ১১ জনের ১৩ টি আর এবার এখন পর্যন্ত ২২ জনের ২৪ টি বই ! অগ্রণী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সমাবেশ (অসাসাস) এর সহ-সভাপতি সাজ্জাদ খান যিনি ব্যাংকটির দূর্গাপুর শাখা, নেত্রকোণার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং নিজেও একজন কবি ও অভিনেতা তাঁর কাছে ব্যাংকে শিল্প-সাহিত্যের চর্চা কতটুকু বাস্তব সম্মত এবং সংখ্যাধিক্যে মান নিয়ে আশংকা তৈরি হতে পারে তাই স্বাভাবিকভাবেই লেখার মান নিয়ে জানতে চাইলে জনাব সাজ্জাদ -লেখালেখির মান নিয়ে আশংকা অমূলক না হলেও নিজের ও সহকর্মীদের লেখার মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রতিনিয়ত ধারাবাহিক চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে সহকর্মী হোসনে আরা জাহান এর কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৭ প্রাপ্তি এবং আরেক সহকর্মী রাসয়াত রহমান জিকোর লেখার বহুল পাঠক প্রিয়তাকে ভাল মানের লেখার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন অসাসাস এর এই সহ-সভাপতি।

এমএ মজিদ তালুকদার রাজধানী ঢাকায় ব্যাংকটির বাড্ডা শাখার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালনকারী সহকারী মহাব্যবস্থাপক যিনি একই সাথে ব্যাংকটির নিবার্হীদের সংগঠন- এক্সিকিউটিভ ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন । গত বছর জনাব তালুকদারের প্রথম ছড়ার বই ‘‘তালুকদারি চাংগে’’ আসে বিভাস প্রকাশনী থেকে। এবছর ‘সোনা মিয়ার পিতলা হাসি’ নামে আরেকটি ছড়ার বই আসছে তাঁর। একজন নিবার্হী ও নির্বাহীদের সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েও ছড়ার লেখার মত চমকপ্রদ ও তুলনামুলক মজার কাজে উৎসাহিত হলেন বা জড়ালেন কেন ও কিভাবে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে অসাসাস এর একজন একনিষ্ঠ শুভাকাঙ্খী ও পৃষ্ঠপোষক মনে করেন জানিয়ে বলেন -অসাসাস আমার স্নেহধন্য সংগঠন; অসাসাস এর সবাই আমার স্নেহের। আমি অসাসাসরই একজন। আমার লেখালেখির মূল উৎসাহ ব্যাংকের তরুন লেখক শিল্পীরা যারা অসাসাস এর সাথে সবাই সম্পৃক্ত , তাদের কাছ থেকে পাওয়া। তাদের কাজই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে এই শেষ বয়সে এসে ছড়া লেখার মত মজার কাজে উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়া লিখে আমি আনন্দ পাই। আমার পাঠকরাও আনন্দ পায় বলে আমার বিশ্বাস। অসাসাসে যারা সম্পৃক্ত তারা প্রত্যকেই ব্যাংকের ভাল কর্মী। ভাল ডেস্ক ওয়ার্কার বা ভাল প্রশংসিত ম্যানেজার। আবার একই সাথে প্রুতিশ্রুতিশীল লেখক, কেউ বা শিল্পী।

দেশের প্রখ্যাত ও জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু এই ব্যাংটিতেই এক সময় কর্মরত ছিলেন বলে জানা যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী শাটল ট্রেনকে উপজীব্য করে নির্মিত ‘শাটল ট্রেন’ চলচ্চিত্রটি চট্টগ্রাম শ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকে চ্ট্টগ্রামের লালখান বাজার শাখায় কর্মরত মোহছেনা ঝর্ণার লেখা গল্প ‘বহে সমান্তরাল’ অবলম্বনে নির্মিত। মোহছেনা ঝর্ণা একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক এবং তার লেখা ‘ইলিনের বাবার চশমা ’ নামে শিশু-সাহিত্যের বই এবারের বই মেলায় আসছে।

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নানা টানাপোড়েনের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের ব্যাংকটির কর্মরতদের এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত জনাব মাফুজার রহমান যিনি একাধারে বাংলাদেশ বেতার, শিল্পকলা একাডেমি ও বিটিভির তালিকাভূক্ত লোক সঙ্গীত গায়ক। জনাব মাফুজার বর্তমানে অগ্রণী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সমাবেশ (অসাসাস) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের এই চর্চাকে দারুনভাবে সমর্থনই নয় শুধু রীতিমত পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন; গত বছর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান, এমডি, ডিএমডি ও জিএম মহোদয়গণ ব্যাংকটিতে সক্রিয় সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বাংলা একাডেমির মিলনায়তনে একযোগে ১৩ টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ২৪ টি বই নিয়ে সরকারের সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বেতারের মহাপরিচালক এবং ব্যাংকটির চেয়ারম্যান, এমডিসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় যাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আয়োজন করতে যাচ্ছে অসাসাস; জানান জনাব মাফুজার রহমান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: শুনে ভাল লাগল।
শুভ কামনা রইল।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

সুমন কর বলেছেন: ভালো। তবুও সাহিত্যের চর্চা অব্যাহত থাকুক।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

তন্ময় সাগর বলেছেন: ভিন্ন কিছু চর্চার চাইতে সাহিত্য চর্চা নিঃসন্দেহে আশাজাগানীয়া। চর্চার মান যেমনই হোক না কেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.