![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
http://www.facebook.com/samimblog আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ব দেখতে এবং স্বপ্ন দেখাতে চাই আজীবন।
* এই পোস্টটার মুল্ উদ্দেশ্য হলো জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটির কবিতাগুলো এক পোস্টে প্রকাশ করা। আশা করছি সেই কাব্যগ্রন্থটির সবগুলো কবিতা এই পোস্টে পাওয়া যাবে।
জীবনানন্দ দাশের অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ বনলতা সেন। ১৯৪২ সালে কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এটি জীবনানন্দ দাশের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। তার আগে ঝরা পালক (১৯২৭) এবং ধূসর পান্ডুলিপি (১৯৩৬) নামের দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছিল। এই কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২৯ টি কবিতা স্থান পেয়েছে।
বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের প্রচ্ছদ
শুরুর কবিতাটির নাম কাব্যগ্রন্থের নামে- বনলতা সেন । বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা কবিতা তে প্রথম ১৯৩৩ সালে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। অ্যাডগার অ্যালেন পো এর 'টু হেলেন' কবিতাটির সাথে বনলতা সেন কবিতাটির কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। বনলতা সেন চরিত্রটি জীবনানন্দ সৃষ্ট বিখ্যাত একটি চরিত্র। এই চরিত্রটি আরে কিছু নামে পরিচিত, যেমন- শ্যামলী, সবিতা, সুরঞ্জনা। প্রত্যেকটি নাম দিয়েই কাব্যগ্রন্থটিতে একটি করে কবিতা আছে।
###
বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটির কবিতাগুলো বইয়ের ক্রম অনুযায়ী দেওয়া হলো। পোস্ট অংশে রয়েছে ৫ টি কবিতা। বাকি কবিতাগুলো কমেন্ট অংশে আসবে।
০১.
বনলতা সেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাটিতেছি পৃথিবীর পথে,
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি ; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি ; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে ;
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারি দিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য ; অতি দূর সমুদ্রের পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে ; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।
সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন
সন্ধ্যা আসে ; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল ;
পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তথন গল্পের তরে জেনাকীর রঙে ঝিলমিল ;
সব পাখী ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ-জীবনের সব লেন দেন ;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
০২.
কুড়ি বছর পরে
আবার বছর কুড়ি পরে তার সাথে দেখা হয় যদি
আবার বছর কুড়ি পরে-
হয়তো ধানের ছড়ার পাশে-
কার্তিকের মাসে-
তখন সন্ধ্যার কাক ঘরে ফেরে - তখন হলুদ নদী
নরম নরম হয় শর কাশ হোগলায়- মাঠের ভিতরে!
অথবা নাইকো ধান ক্ষেতে আর,
ব্যস্ততা নাইকো আর,
হাঁসের নীড়ের থেকে খড়
পাখির নীড়ের থেকে খড়
ছড়াতেছে; মনিয়ার ঘরে রাত, শীত আর শিশিরের জল।
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি, বছরের পার,-
তখন হঠাৎ যদি মেঠো পথে পাই আমি তোমারে আবার!
হয়তো এসেছে চাঁদ মাঝরাতে একরাশ পাতার পিছনে
সরু -সরু কালো-কালো ডালপালা মুখ নিয়ে তার,
শিরীষের অথবা জামের,
ঝাউয়ের-আমের;
কুড়ি বছরের পরে তখন তোমারে নাই মনে!
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার-
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!
তখন হয়তো মাঠে হামাগুড়ি দিয়ে পেঁচা নামে-
বাবলার গলির অন্ধকারে
অশথের জানালার ফাঁকে
কোথায় লুকায় আপনাকে!
চোখের পাতার মতো নেমে চুপি কোথায় চিলের ডানা থামে।
সোনালি সোনালি চিল- শিশির শিকার করে নিয়ে গেছে তারে-
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!
০৩.
ঘাস
কচি লেবুপাতার মতো নরম সবুজ আলোয়
পুথিবী ভরে গিয়েছে এই ভোরের বেলা;
কাঁচা বাতাবির মতো সবুজ ঘাস-তেমনি সুঘ্রাণ-
হরিণেরা দাঁত দিয়ে ছিড়ে নিচ্ছে।
আমারো ইচ্ছা করে এই ঘাসের এই ঘ্রাণ হরিৎ মদের মতো
গেলাসে - গেলাসে পান করি,
এই ঘাসের শরীর ছানি- চোখে চোখে ঘষি,
ঘাষের পাখনায় আমার পালক,
ঘাষের ভিতর ঘাস হয়ে জন্মাই কোন এক নিবিড় ঘাস-মাতার
শরীরের সুস্বাদ অন্ধকার থেকে নেমে।
০৪.
হাওয়ার রাত
গভীর হাওয়ার রাত ছিল কাল- অসংখ্য নক্ষত্রের রাত;
সারারাত বিস্তীর্ণ হাওয়া আমার মশারিতে খেলেছে;
মশারিটা ফুলে উঠেছে কখনো মৌসুমী সমুদ্রের পেটের মতো,
কখনো বিছানা ছিঁড়ে
নক্ষত্রের দিকে উড়ে যেতে চেয়েছে,
এক-একবার মনে হচ্ছিল আমার- আধো ঘুমের ভিতর হয়তো-
মাথার উপরে মশারি নেই আমার
স্বাতী তারার কোল ঘেঁসে নীল হাওয়ার সমুদ্রে শাদা বকের মতো উড়ছে সে!
কাল এমন চমৎকার রাত ছিল।
সমস্ত মৃত নক্ষত্রেরা কাল জেগে উঠেছিল-আকাশে একতিল ফাঁক ছিল না;
পৃথিবীর সমস্ত ধূসরপ্রিয় মৃতদের মুখও সেই নক্ষত্রের ভিতর দেখেছি আমি;
অন্ধকার রাতে অশ্বত্থের চুড়ায় প্রেমিক চিলপুরুষের শিশির - ভেজা চোখের মতো
ঝলমল করছিল সমস্ত নক্ষত্রেরা;
জোছনারাতে বেবিলনের রানির ঘাড়ের ওপর চিতার উজ্জ্বল চামড়ার
শালের মতো জ্বলজ্বল করছিল বিশাল আকাশ!
কাল এমন আশ্চর্য রাত ছিল।
নে নক্ষত্রেরা আকাশের্ বুকে হাজার-হাজার বছর আগে ম'রে গিয়েছে
তারাও কাল জানালার থিবর দিয়ে অসংখ্য মৃত আকাশ সঙ্গে করে এনেছে
যে রুপসীদের আমি এশিরিয়ায়, মিশরে বিদিশায় ম'রে যেতে দেখেছি
কাল তারা অতিদূরে আকাশের সীমানায় কুয়াশায় কুয়াশায় দীর্ঘ বর্শা হাতে করে
কাতারে কাতারে দাঁড়িয়ে গেছে যেন-
মৃত্যুকে দলিত করবার জন্য?
জীবনের গভীর জয় প্রকাশ করবার জন্য?
প্রেমের ভয়াবহ গম্ভীর স্তম্ভ তুলবার জন্য?
আড়ষ্ট- অভিভূত হয়ে গেছি আমি,
কাল রাতের প্রবল নীল অত্যাচার আমাকে ছিঁড়ে ফেলেছে যেন;
আকাশের বিরামহীন বিস্তৃর্ণ ডানার ভিতর
পৃথিবী কিটের মতো মুছে গিয়েছে কাল!
আর উত্তুঙ্গ বাতাস এসেছে আকাশের বুক থেকে নেমে
আমার জানালার ভিতর দিয়ে, শাঁই শাঁই করে,
সিংহের হুঙ্কারে উৎক্ষিপ্ত হরিৎ প্রান্তরের অজস্র জেব্রার মতো!
হৃদয় ভরে গিয়েছে আমার বিস্তীর্ণ ফেল্টের সবুজ ঘাসের গন্ধে,
দিগন্ত-প্লাবিত বলীয়ান রৌদ্রের আঘ্রাণে
মিলনোন্মত্ত বাঘিনীর গর্জনের মতো অন্ধকারের চঞ্চল বিরাট সজীব রোমশ উচ্ছ্বাসে,
জীবনের দুর্দান্ত নীল মত্ততায়!
আমার হৃদয় পৃথিবী ছিঁড়ে উড়ে গেল,
নীল হাওয়ার সমুদ্রে স্ফীত মাতাল বেলুনের মতো গেল উড়ে,
একটা দূর নক্ষত্রের মাস্তুলকে তারায়-তারায় উড়িয়ে দিয়ে চলল
একটা দুরন্ত শুকনের মতো।
০৫.
আমি যদি হতাম
আমি যদি হতাম বনহংস;
বনহংসী হতে যদি তুমি;
কোন এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদীর ধারে
ধানক্ষেতের কাছে
ছিপছিপে শবের ভিতর
এক নিরালা নীড়ে,
তাহলে আজ এই ফাল্গুনের রাতে
ঝাউয়ের শাখার পেছনে চাঁদ উঠতে দেখে
আমরা নিম্নভূমির জলের গন্ধ ছেড়ে
আকাশের রুপালী শস্যের ভিতর গা ভাসিয়ে দিতাম-
তোমার পাখনায় আমার পালক, আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন-
নীল আকাশে খইক্ষেতের সোনালী ফুলের মতো অজস্র তারা,
শিরীষ বনের সবুজ রোমশ নীড়ে
সোনালী ডিমের মতো
ফাল্গুনের চাঁদ।
হয়তো গুলির শব্দ;
আমাদের তীর্যক গতিস্রোত,
আমাদের পাখায় পিস্টনের উল্লাস,
আমাদের কন্ঠে উত্তর হাওয়ার গান!
হয়তো গুলির শব্দ আবার :
আমাদের স্তব্ধতা,
আমাদের শান্তি।
আজকের জীবনের এই টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকত না;
থাকত না আজকের জীবনের টুকরো টুকরো সাধের ব্যর্থতা ও অন্ধকার;
আমি যদি বনহংস হতাম,
বনহংসী হতে যদি তুমি;
কোন এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদীর ধারে
ধানক্ষেতের কাছে।
(এই কাব্যগ্রন্থটির বাকি কবিতাগুলো কমেন্ট অংশে আসবে। )
২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫২
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: শামীম ভাই, আপনি নিজেও জানেন না কি করছেন! অশেষ ধন্যবাদ।
প্রিয়তে।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
০৭.
বুনো - হাঁস
পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে-
জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহ্বানে
বুনো হাঁস পাখা মেলে-শাঁই-শাঁই শব্দ শুনি তার;
এক-দুই-তিন-চার-অজস্র-অপার-
রাত্রির কিনার দিয়ে তাহাদের ক্ষিপ্র ডানা ঝাড়া
এঞ্জিনের মতো শব্দে; ছুটিতেছে - ছুটিতেছে তারা।
তারপর পরে থাকে, নক্ষত্রের বিশাল আকাশ,
হাঁসের গায়ের ঘ্রাণ-দু-একটা কল্পনার হাঁস;
মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরুণিমা সান্যালের মুখ;
উড়ুক উড়ুক তারা পউষের জোছনায় নীরবে উড়ুক
কল্পনার হাঁস সব-পুথিবীর সব ধ্বনি সব রং মুছে গেল পর
উড়ুক উড়ুক তারা হৃদয়ের শব্দহীন জোছনার ভিতর।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
রাতিফ বলেছেন: শামীম ভাই গো, ফাটাইয়া ফালাইছেন.......সোজা প্রিয়তে ..........ম্যআলা থ্যাংকস্ আপনারে।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
তামিম ইরফান বলেছেন: খুব ভালো কাম কর্ছো।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
০৮.
শঙ্খমালা
কান্তারের পথ ছেড়ে সন্ধ্যার আঁধারে
সে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে,
বলিল , তোমারে চাই :
বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি - কুয়াশার পাখনায় -
সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক
জোনাকির দেহ হতে - খুঁজেছি তোমারে সেইখানে -
ধূসর পেঁচার মতো ডানা মেলে অঘ্রাণের অন্ধকারে
ধানসিঁড়ি বেয়ে - বেয়ে
সোনার সিঁড়ির মতো ধানে আর ধানে
তোমারে খুঁজেছি আমি নির্জন পেঁচার মতো প্রাণে।
দেখিলাম দেহ তার বিমর্ষ পাখির রঙে ভরা;
সন্ধ্যার আঁধারে ভিজে শিরীষের ডালে সেই পাখি দেয় ধরা -
বাঁকা চাঁদ থাকে যার মাথার উপর,
শিঙের মতন বাঁকা নীল চাঁদ শোনে যার স্বর।
কড়ির মতন শাদা মুখ তার;
দুইথানা হাত তার হিম;
চোখে তার হিজল কাঠের রক্তিম
চিতা জ্বলে : দক্ষিণের শিয়রে মাথা শঙ্খমালা যেন পুড়ে যায়
সে আগুনে হায়।
চোখে তার
যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার!
স্তন তার
করুণ শঙ্খের মতো- দুধে আর্দ্র - কবেকার শঙ্খিনীমালার!
এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৬
তানজু রাহমান বলেছেন: bellissimo
৮| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৬
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
০৯.
নগ্ন নির্জন হাত
আবার আকাশের অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :
আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।
যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে
অথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,
সেই নারীর মতো
ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়েছে উঠছে।
মনে হয় কোনো বিলুপ্ত নগরীর কথা
সেই নগরীর এক ধূসর প্রাসাদের রূপ জাগে হৃদয়ে।
ভারতসমুদ্রের তীরে
কিংবা ভূমধ্যসাগরের কিনারে
অথবা টায়ার সিন্ধুর পারে
আজ নেই, কোন এক নগরী ছিল একদিন,
কোন এক প্রাসাদ ছিল;
মূল্যবাদ আসবাবে ভরা এক প্রাসাদ;
পারস্য গালিচা, কাশ্মিরি শাল, বেরিন তরঙ্গের নিটোল মুক্তা প্রবাল,
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা;
আর তুমি নারী -
এই সব ছিল সেই জগতে একদিন।
অনেক কমলা রঙের রোদ ছিল,
অনেক কাকাতুয়া পায়রা ছিল,
মেহগনির ছায়াঘন পল্লব ছিল অনেক;
অনেক কমলা রঙের রোদ ছিল;
অনেক কমলা রঙের রোদ;
আর তুমি ছিলে;
তোমার মুখের্ রূপ কত শত শতাব্দী আমি দেখি না,
খুঁজি না।
ফাল্গুনের অন্ধকার নিয়ে আসে সেই সমুদ্রপারের কাহিনী,
অপরূপ খিলান ও গম্বুজের বেদনাময় রেখা,
লুপ্ত নাশপাতির গন্ধ,
অজস্র হরিণ ও সিংহের ছালের ধূসর পান্ডুলিপি,
রামধনু রঙের কাচের জানালা,
ময়ূরের পেখমের মতো রঙিন পর্দায় পর্দায়
কক্ষ ও কক্ষান্তর থেকে আরো দূর কক্ষ ও কক্ষান্তরের
ক্ষণিক আভাস -
আয়ুহীন স্তব্ধতা ও বিস্ময়।
পর্দায়, গালিচায় রক্তাভ রৌদ্রের বিচ্ছুরিত স্বেদ,
রক্তিম গেলাসে তরমুজ মদ!
তোমার নগ্ন নির্জন হাত;
তোমার নগ্ন নির্জন হাত।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
১০.
শিকার
ভোর;
আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল :
চারিদিকে পেয়ারা ও নোনার গাছ টিয়ার পালকের মতো সবুজ।
একটি তারা এখনো আকাশে রয়েছে :
পাড়াগাঁর বাসরঘরে সবচেয়ে গোধূলী - মদির মেয়েটির মতো;
কিংবা মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে - মুক্তা
আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল
হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে তেমনি =
তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনো।
হিমের রাতে শরীর 'উম্' রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা
সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে -
মোরগ ফুলের মতো লাল আগুন;
শুকনো অশ্বত্থ পাতা দুমুড়ে এখনো জ্বলছে তাদের;
সূর্যের আলোয় তার রঙ কুসুমের মতো নেই আর;
হয়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।
সকালের আলোয় টলমল শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ
ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।
ভোর;
সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে - বাঁচিয়ে
নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে
ঘুরে ঘুরে
সুন্দর বাদামি হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।
এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে;
কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ সুগন্ধী ঘাস ছিঁড়ে - ছিঁড়ে খাচ্ছে;
নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল -
ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা আবেগ দেওয়ার জন্য
অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে ভোরের রৌদ্রের মতো
একটা বিস্তীর্ণ উল্লাস পাবার জন্য,
এই নীল আকাশের নিচে সূর্যের সোনার বর্শার মতো জেগে উঠে
সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য
একটা অদ্ভুত শব্দ।
নদীর জল মচকাফুলের মতো লাল।
আগুন জ্বলল আবার- উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল।
নক্ষত্রের নিচে ঘাসের বিছানায় বসে অনেক পুরনো শিশিরভেজা গল্প;
সিগারেটের ধোঁয়া;
টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা;
এলোমেলো কয়েকটা বন্ধুক- হিম- নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।
১০| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
১১.
হরিণেরা
স্বপ্নের ভিতরে বুঝি- ফাল্গুনের জোছনার ভিতরে
দেখিলাম পলাশের বনে খেলা করে
হরিণেরা; রুপালি চাঁদের হাত শিশিরের পাতায়;
বাতাস ঝাড়িছে ফাঁকে- বনে বনে - হরিণের চোখে;
হরিণেরা খেলা করে হাওয়া আর মুক্তার আলোকে।
হীরের প্রদীপ জ্বেলে শেফালিকা বোস যেন হাসে
হিজল ডালের পিছে অগণন বনের আকাশে-
বিলুপ্ত ধূসর কোন পৃথিবীর শেফালিকা আহা;
ফাল্গুনের জোছনায় হরিণেরা জানে শুধু তাহা।
বাতাস ঝাড়িছে ডানা, হীরা ঝরে হরিণের চোখে-
হরিণেরা খেলা করে হাওয়া আর হীরার আলোকে।
১১| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০০
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
১২.
বেড়াল
সারাদিন একটা বিড়ালের সঙ্গে ঘুরে ফিরে কেবলই আমার দেখা হয় :
গাছের ছায়ায়, রোদের ভিতর, বাদামি পাতার ভিড়ে;
কোথাও কয়েক টুকরো মাছের কাঁটার সফলতার পর
তারপর সাদা মাটির কঙ্কালের ভিতর
নিজের হৃদয়কে নিয়ে মৌমাছির মতো নিমগ্ন হয়ে আছে দেখি;
কিন্তু তবুও তারপর কৃষ্ণচূড়ার গায়ে নখ আঁচড়াচ্ছে,
সারাদিন সূর্যের পিছনে-পিছনে চলেছে সে।
একবার তাকে দেখা যায়,
একবার হারিয়ে যায় কোথায়।
হেমন্তের সন্ধ্যায় জাফরান রং -এর সূর্যের নরম শরীরে
শাদা থাবা বুলিয়ে বুলিয়ে খেলা করতে দেখলাম তাকে;
তারপর অন্ধকারকে ছোট ছোট বলের মতো থাবা দিয়ে লুফে আনল সে
সমস্ত পৃথিবীর রভিতর ছড়িয়ে দিল।
১২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০১
সোমেশ্বর অলি বলেছেন: শুভ উদ্যোগ শামীম। সঙ্গে আছি.....
১৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
১৩.
সুদর্শনা
একদিন ম্লান হেসে আমি
তোমার মতন এক মহিলার কাছে
যুগের সঞ্চিত পণ্যে লীন হতে গিয়ে
অগ্নিপরিধির মাঝে সহসা দঁড়িয়ে
শুনেছি কিন্নরকন্ঠ দেবদারু গাছে,
দেখেছি অমৃতসুর্য আছে।
সবচেয়ে আকাশ নক্ষত্র ঘাস চন্দ্রমল্লিকার রাত্রি ভালো,
তবুও সময় স্থির নয়,
আরেক গভীরতর শেষ রূপ চেয়ে
দেখেছে সে তোমার বলয়।
এই পৃথিবীর ভালো পরিচিত রোদের মতন
তোমার শরীর; তুমি দান করো নি তো;
সময় তোমাকে সব দান করে মৃতদার ব'লে
সুদর্শনা, তুমি আজ মৃত।
১৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৫
ইফতেখার ইনান বলেছেন: শামীম ভাই... দারুন উদ্যোগ নিসেন।
১৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
১৪.
অন্ধকার
গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠলাম আবার;
তাকিয়ে দেখলাম পান্ডুর চাঁদ বৈতরণীর থেকে তার অর্ধেক ছায়া
গুটিয়ে নিয়েছে যেন
কীর্তিনাশার দিকে ।
ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়েছিলাম- পউষের রাতে-
কোনদিন আর জাগবো না জেনে
কোনদিন জাগবো না আমি- কোনোদিন জাগবো না আর-
হে নীল কস্তুরী আভার চাঁদ,
তুমি দিনের আলো নও, উদম্য নও, স্বপ্ন নও,
হৃদয়ে যে মৃত্যুর শান্তি ও স্থিরতা রয়েছে,
রয়েছে যে অগাধ ঘুম,
সে-আস্বাদ নষ্ট করবার মতো শেলতীব্রতা তোমার নেই,
তুমি প্রদাহ প্রবহমান যন্ত্রণা নও--
জানো না কি চাঁদ,
নীল কস্তুরী আভার চাঁদ,
জানো না কি নিশীথ,
আমি অনেক দিন-- অনেক অনেক দিন
অন্ধকারের সারাতসারে অনন্ত মৃত্যুর মতো মিশে থেকে
হঠাত ভোরের আলোর মুর্খ উচ্ছাসে নিজেকে পৃথিবীর জীব ব'লে
বুঝতে পেরেছি আবার,
ভয় পেয়েছি,
পেয়েছি অসীম দুনির্বার বেদনা;
দেখেছি রক্তিম আকাশে সূর্য জেগে উঠে
মানুষিক সৈনিক সেজে পৃথিবীর মুখোমুখি দাঁড়াবার জন্য
আমাকে নির্দেশ দিয়েছে;
আমার সমস্ত হৃদয় ঘৃণায়- বেদনায়- আক্রোশে ভরে গিয়েছে ;
সূর্যের রৌদ্রে আক্রান্ত এই পৃথিবী যেন কোটি কোটি শুয়োরের আর্তনাদে
উৎসব শুরু করেছে।
হায়, উৎসব!
হৃদয়ের অবিরল অন্ধকারের ভিতর সূর্যকে ডুবিয়ে ফেলে
আবার ঘুমোতে চেয়েছি আমি, অন্ধকারের স্তনের ভিতর যোনির ভিতর অনন্ত মৃত্যুর
মতো মিশে থাকতে চেয়েছি।
কোনোদিন মানুষ ছিলাম না আমি।
হে নর, হে নারী ,
তোমাদের পৃথিবীকে চিনিনি কোনোদিন ;
আমি অন্য কোন নক্ষত্রের জীব নই।
যেখানে স্পন্দন, সংঘর্ষ, গীত, যেখানে উদ্যম, চিন্তা, কাজ,
সেখানেই সূর্য , পৃথিবী, বৃহস্প্রতি, কালপুরুষ, অনন্ত আকাশগ্রন্থি,
শত শত শুকরীর প্রসব বেদনার আড়ম্বর ;
এইসব ভয়াবহ আরতী!
গভীর অন্ধকারের ঘুমের আস্বাদে আমার আত্মা লালিত;
আমাকে জাগাতে চাও কেন?
অরব অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠবো না আর ;
তাকিয়ে দেখবো না নির্জন বিমিশ্র চাঁদ বৈতরণীর থেকে
অর্ধেক ছায়া গুটিয়ে নিয়েছে
কীর্তিনাশার দিকে ।
ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়ে থাকবো- ধীরে- পউষের রাতে
কোনোদিন জাগব না জেনে-
কোনদিন জাগব না আমি- কোনদিন আর।
১৬| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
১৫.
কমলালেবু
একবার যখন দেহ থেকে বার হয়ে যাব
আবার কি ফিরে আসব না আমি পৃথিবীতে?
আবার যেন ফিরে আসি
কোনো এক শীতের রাতে
একটা হিম কমলালেবুর করুণ মাংস নিয়ে
কোমো এক পরিচিত মুমূর্ষুর বিছানার কিনারে।
১৭| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৯
নুরুন্নবী হাছিব বলেছেন: দারুন...
১৮| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:১৬
নাদিরা সুলতানা বলেছেন: জটিল
১৯| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:১৭
সবাক বলেছেন: প্রিয় পোস্টে ...............
তুমি পোলাটা একটা খাঁটি সোনা।
২০| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:১৯
অ্যামাটার বলেছেন: ওরেরেরেরেএএএ...
দারুন দারুন দারুন...!!!
২১| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
১৬.
শ্যামলী
শ্যামলী, তোমার মুখ সেকালের শক্তির মতন :
যখন জাহাজে চড়ে যুবকের দল
সুদূর নতুন দেশে সোনা আছে ব'লে
মহিলারই প্রতিভায় সে ধাতু উজ্জ্বল
টের পেয়ে, দ্রাক্ষা দুধ ময়ূরশয্যার কথা ভুলে
সকালের রূঢ় রৌদ্র ডুবে যেত কোথায় আকূলে।
তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রে নীল
দুপুরের শূণ্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকন্ঠে সাগরের চিল,
নক্ষত্র, রাত্রির জল যুবাদের ক্রন্দন সব-
শ্যামলী, করেছি অনুভব।
অনেক অপরিমেয় যুগ কেটে গেল;
মানুষকে স্থির- স্থিরতর হতে দেবে না সময়;
সে কিছূ চেয়েছে বলে এতো রক্ত নদী।
অন্ধকার প্রেরণার মতো মনে হয়
দূর সাগরের শব্দ- শতাব্দীর তীরে এসে ঝরে :
কাল কিছু হয়েছিল - হবে কি শাশ্বতকাল পরে।
২২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২৪
থার্ডআই বলেছেন: ওরেব্বাস!!! এই পোলা করলো কি কামডা !! ৫ তারা।
২৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন: এই কাব্যগ্রন্থের আরো ১৩ টি কবিতা বাকি আছে। এই কবিতাগুলো কমেন্ট অংশেই দেওয়া হবে।
২৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
আশবাফ ভাই, ধন্যবাদ তোমাকে।
রাতিফ ভাই, পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
তাইম্যা, তোমারে অনেক ধন্যবাদ। তুমিও এইকাজে বেশ হেল্প করেছো।
তানজু, তোরে ধইন্যাপাতা।
২৬| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৭
ভাঙা চাঁদ বলেছেন: জয় গুরু......।
জটিল একটা কাম করছেন।
কি বইলা যে আপনারে ধন্যবাদ দিমু।
দেখা হইলে কেক আর কোক খাওয়া দিমু নে..।
২৭| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৮
তামিম ইরফান বলেছেন: শামীম আমিও আর কয়েকটা কবিতা কমেন্টে দিয়া দিব নে।
আর এইকাম শেষ হইলে যদি পার রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লারে নিয়া একটা পোষ্ট দিও।
২৮| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৪৪
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: অসাধারণ। ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।
আপনাকে 'জীবনানন্দ ব্লগ পদক' দেয়ার জন্য সকল ব্লগারদের কাছে সুপারিশ করা হলো!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিন।
২৯| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৫৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
সোমেশ্বর অলি ভাই, সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ইফতেখার ইনান ভাই, উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩০| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৫৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
নুরুন্নবী হাছিব , ধন্যবাদ তোমাকে পড়ার জন্য এবং অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।
৩১| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০১
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
নাদিরা সুলতানা , ধন্যবাদ আপনাকে।
সবাক, অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য তোমারে ধইন্যপাতা।
অ্যামাটার, তোমারে অনেক ধন্যবাদ।
৩২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০৭
বিবর্তনবাদী বলেছেন:
শামিমরে ব্লগ জীবনান্দ পদক ২০০৮ দেওয়া হইল।+++++++++
৩৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: স বণারাধদাসঅা
৩৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ থার্ডআই, ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১১
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ ভাঙা চাঁদ,
ধন্যবাদ তোমারে। কেক আর কুক খাওয়ার প্রত্যাশায় রইলাম
@ তামিম,
ভালো বিষয় মনে করেছো। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লারে নিয়াও এইরকম একটা পোস্ট দিতে হবে।
৩৬| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ আহমাদ মোস্তফা কামাল
ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আগের পোস্টে আপনিও দুইটা কবিতা দিয়েছিলেন।
৩৭| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১৪
তামিম ইরফান বলেছেন: পারলে দিও। রুদ্রের কিছু এক্সক্লুসিভ কবিতা আছে আমার কাছে। রুদ্র কিছু গল্পও লিখছিলো কিন্তু সেগুলো অপ্রকাশিত থেকে গেছে।
৩৮| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ বিবর্তনবাদী
ভাইয়া শেষ পর্যন্ত জীবনানন্দ ব্লগ পদক দিলেন অনেক ধন্যবাদ
@ মেহরার শাহরিয়ার,
ভাইজান কোন ভাষায় আবার কি লিখলেন তারপরেও ধইন্যাপাতা
৩৯| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ওহহো , আমি বলতে চাইলাম যে শামীম ভাই আরেকটা জটিল কাজ করে দিলো ।মাঝে মাঝেই জীবনানন্দ কোট করতে গিয়েও পারি না ।
এই পোস্ট টা দারুণ কাজে দিবে
৪০| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:২২
অ্যামাটার বলেছেন: আচ্ছা, প্রতিবাদি কবি,হেলাল হাফিজ-কে নিয়ে এইরকম একটা উদ্যগ নিলে কেমন হয়?
"নিউট্রন বোমা বোঝ,মানুষ বোঝ না"
কিংবা
"এখন যৌবন যার,যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়"
সম্ভত তিনিই বাংলা সাহিত্যের একমাত্র পরমানু কবি!!!
৪১| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:২১
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ তামিম ,
দিমু তুমি খালি থাইকো সাথে
৪২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:৪২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: মেহরাব ভাই, এতক্ষণে বুঝতে পারলাম কথার তাৎপর্য।
এইবার চারকেজি ধইন্যাপাতা
৪৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:৪৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: অ্যামাটার, হেলাল হফিজের কবিতা নিয়েও এইরকম পোস্ট করা যায়। তবে তার আগে রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কে নিয়ে একটা পোস্ট করতে চা্ই।
৪৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:৪৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
০১৭.
দুজন
'আমাকে খোঁজো না তুমি বহুদিন - কতদিন আমিও তোমাকে
খুঁজি নাকো; - এক নক্ষত্রের নিচে তবু - একই আলো পুথিবীর পারে
আমরা দুজনে আছি; পুথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,
প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়,
হয় নাকি? - বলে সে তাকাল তার সঙ্গিনীর দিকে;
আজ এই মাঠ সূর্য সহমর্মী অঘ্রাণ কার্তিকে
প্রাণ ভরে গেছে।
দুজনে আজকে তারা চিরস্থায়ী পুথিবী ও আকাশের পাশে
এবার প্রথম এল মনে হয়- যেন কিছু চেয়ে কিছু একান্ত বিশ্বাসে।
লালচে হলদে পাতা অনুসঙ্গে জাম বট অশ্বত্থের শাখার ভিতরে
অন্ধকারে ন'ড়ে - চ'ড়ে ঘাসের উপর ঝরে পড়ে;
তারপর শান্ত্বনায় থাকে চিরকাল।
যেখানে আকাশে খুব নীরবতা, শান্তি খুব আছে,
হৃদয়ে প্রেমের গল্প শেষ হলে ক্রমে - ক্রমে যেখানে মানুষ
আশ্বাস খুঁজেছে এসে সময়ের দায়ভাগী নক্ষত্রের কাছে :
সেই ব্যাপ্ত প্রান্তরে দুজন; চারি দিকে ঝাউ আম নিম নাগেশ্বরে
হেমন্ত আসিয়া গেছে; - চিলের সোনালী ডানা হেয়ছে খয়েরি;
ঘুঘুর পালক যেন ঝরে গেছে - শালিকের নেই আর দেরি,
হলুদ কঠিন ঠ্যাং উঁচু করে ঘুমাবে সে শিশিরের জলে;
ঝরিছে মরিছে সব এইখানে - বিদায় নিতেছে ব্যাপ্ত নিয়মের ফলে।
নারী তার সঙ্গীকে : ;পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়,
জানি আমি ; - তারপর আমাদের দুঃস্থ হৃদয়
কী নিয়ে থাকিবে বল; - একদিন হৃদয়ে আঘাত ঢের দিয়েছে চেতনা,
তারপর ঝ'রে গেছে; আজ তবু মনে হয় যদি ঝরিত না।
হৃদয়ে প্রেমর শীর্ষ আমাদের - প্রেমের অপূর্ব শিশু আরক্ত বাসনা
ফুরোত না যদি, আহা, আমাদের হুদয়ের থেকে-'
এই বলে ম্রিয়মাণ আঁচলের সর্বস্বতা দিয়ে মুখ ঢেকে
উদ্বেল কাশের বনে দাঁড়িয়ে রইল হাঁটুভর।
হলুদ রঙের শাড়ি, চোরকাঁটা বিঁধে আছে, এলোমেলো অঘ্রাণের খড়
চারি দিকে শূণ্য থেকে ভেসে এসে ছুঁয়ে ছেনে যেতেছে শরীর;
চুলের উপর তার কুয়াশা রেখেছে হাত , ঝরিছে শিশির; -
প্রেমিকের মনে হল : 'এই নারী- অপরূপ- খুঁজে পাবে নক্ষত্রের তীরে
যেখানে রব না আমি, রবে না মাধুরী এই, রবে না হতাশা,
কুয়াশা রবে না আর - জনিত বাসনা নিজে- বাসনার মতো ভালোবাসা
খুঁজে নেবে অমৃতের হরিণীর ভিড় থেকে উপ্সিতেরে তার।'
৪৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:৫৩
তানজু রাহমান বলেছেন: বন্ধু, তুমি সত্যি গ্রেট!
৪৬| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:০৫
আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'জীবনানন্দ ব্লগ পদক' দেয়ার প্রস্তাব করলাম আমি, আর আপনে ধন্যবাদ দিলেন বিবর্তনবাদীকে! আমি খেলুম না!
এই জন্য আজকে কোনো কবিতাও দেবো না।
তবে রুদ্রকে নিয়ে কোনো পোস্ট দিলে আমি থাকবো।
প্রমিজ।
জীবনানন্দকে নিয়ে এর পরে কোনো পোস্ট দিলেও আমি থাকবো।
আবারও প্রমিজ।
কবিতা নিয়ে যে কোনো পোস্টের সঙ্গেই আমি আছি। প্রমিজ। প্রমিজ। প্রমিজ।
[এই কথাটা এত খুলে বলা লাগে কেন, বুঝে নিতে পারেন না!] X) x)
৪৭| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:০৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
০১৮.
অবশেষে
এখানে প্রশান্ত মনে খেলা করে উঁচু উঁচু গাছ।
সবুজ পাতার ' পরে যখন নেমেছে এসে দুপুরের সূর্যের আঁচ
নদীতে স্মরণ করে একবার পৃথিবীর সকালবেলাকে।
আবার বিকলে হলে অতিকায় হরিণের মতো শান্ত থাকে
এই সব গাছগুলো, -যেন কোনো দূর থেকে অস্পষ্ট বাাতস
বাঘের ঘ্রাণের মোত হৃদয়ে জাগায়ে যায় ত্রাস;
চেয়ে দেখ- ইহাদের পরস্পর নীলিম বিন্যাস
নড়ে উঠে ত্রস্ততায়, - আধো নীল আকাশের বুকে
হরিণের মতো দ্রুত ঠ্যাঙের তুরুকে
অন্তর্হিত হয়ে যেতে পারে তারা বটে;
একজোট হেয় কাজ করে মানুষেরা যে- রকম ভোটের ব্যালটে :
তবুও বাঘিনী হয়ে বাতাসকে আলিঙ্গন করে -
সাগরের বালি আর রাত্রির নক্ষত্রের তরে।
৪৮| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:০৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন: তানজু, তোরে অনেক ধন্যবাদ
৪৯| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১০
একরামুল হক শামীম বলেছেন: @ আহমাদ মোস্তফা কামাল ভাই,
ও্হো......তাইতো...ধন্যবাদ তো জানানোর দরকার ছিল হুমমম ধন্যবাদ।
রুদ্র এর কবিতা নিয়ে এইরকম পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।
আর আপনি যে থাকবেন তা আমি বঝুতে পারছি
প্রমিজ .. প্রমিজ.... প্রমিজ....
৫০| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১৪
তামিম ইরফান বলেছেন: শামীম তুমি আগাও.....রুদ্র রে নিয়া যে কোন হেল্প লাগলে শুধু বলবা.......তাছাড়া রুদ্রের প্রায় সব কবিতা আমার কাছে আছে।প্রবন্ধ ও আছে কয়েকটা।
রুদ্র রে নিয়া পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
৫১| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:১৬
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
০১৯.
স্বপ্নের ধ্বনিরা
ন্বপ্নের ধ্বনিরা এসে বলে যায় : স্থবিরতা সব চেয়ে ভালো;
নিস্তব্ধ শীতের রাতে দীপ জ্বেলে
অথবা ণিভায়ে দীপ বিছানায় শুয়ে
স্থবিরের চোখে যেন জমে ওঠে অন্য কোনো বিকেলের আলো।
সেই আলো চিরদিন হয়ে থাকে স্থির,
সব ছেড়ে একদিন আমিও স্থবির
হয়ে যাব; সেদিন শীতের রাতে সোনালি জরির কাজ ফেলে
প্রদীপ নিভায়ে রব বিছানায় শুয়ে;
অন্ধকারে ঠেস দিয়ে জেগে রব
বাদুড়ের আঁকাবাঁকা আকাশের মতো
স্থবিরতা, কবে তুমি আসিবে বল তো।
৫২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: @ তামিম, রুদ্রের কবিতা থাকলেতো দারুন হয়। আশা করছি খুব শিগগিরই রুদ্রকে নিয়ে পোস্টটা দিব তখন তোমার হেল্প লাগবে।ধন্যবাদ তোমাকে
৫৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:০২
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: আমার প্রিয় কবির কবিতা নিয়ে পোষ্ট...............।
অনেক অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৫৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:১১
নিহন বলেছেন: জাক্কাচ লেগেছে ।
৫৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
ফারহান দাউদ বলেছেন: অনলাইন রিসোর্স।
৫৬| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ সুলতানা শিরীন সাজি আপু
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৫৭| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৩১
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ নিহন,
ঝাক্কাস ধন্যবাদ।
@ ফারহান দাউদ ভাই,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৫৮| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৩২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
২০.
আমাকে তুমি
আমাকে তুমি দেখিয়েছিলে একদিন :
মস্ত বড় ময়দান - দেবদারু পামের নিবিড় মাথা - মাইলের পর মাইল;
দুপুরবেলার জনবিরল গভীর বাতাস
দূর শূণ্যে চিলের পাটকিলে ডানার ভিতর অস্পষ্ট হয়ে হারিয়ে যায়;
জোয়ারের মতো ফিরে আসে আবার;
জানালায় জানালায় অনেকক্ষণ ধরে কথা বলে :
পৃথিবীকে মায়াবী নদীর পারের দেশ মনে হয়।
তারপর
দূরে
অরেক দূরে
খররৌদ্রে পা ছড়িয়ে বর্ষীয়সী রূপসীর মতো ধন ভানে - গান গায় - গান গায়
এই দুপুরের বাতাস।
এক - একটা দুপুরে এক -একটা পরিপূর্ণ জীবন অতিবাহিত হয়ে যায় যেন।
বিকেলে নরম মুহূর্ত;
নদীর জলের ভিতর শম্বর, নীলগাই, হরিণের ছায়ায় আসা - যাওয়া;
একটা ধবল চিতার - হরিণীর ছায়া
আতার ধূসর ক্ষীরে - গড়া মূর্তির মতো
নদীর জলে
সমস্ত বিকালবেলা ধরে
স্থির।
মাঝে মাঝে অনেক দূর থেকে শ্মশানের চন্দনকাঠের চিতার গন্ধ
আগুনের - ঘিয়ের ঘ্রাণ;
বিকেলে
অসম্ভব বিষণ্নতা।
ঝাউ হরতকী শাল, নিভ্ন্ সূর্যে
পিয়াশাল পিয়াল আমলকী দেবদারু -
বাতাসের বুকে স্পৃহা, উৎসাহ, জীবনের ফেনা;
শাদা - শাদাছিট কালো পায়রার ওড়াওড়ি জোছনায়- ছায়ায়,
রাত্রি;
নক্ষত্র ও নক্ষত্রের
অতীত নিস্তব্ধতা!
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এই সব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো।
৫৯| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
২১.
তুমি
নক্ষত্রের চলাফেরা ইশারায় চারি দিকে উজ্জ্বল আকাশ;
বাতাসে নীলাভ হয়ে আসে যেন প্রান্তরের ঘাস;
কাঁচপোকা ঘুমিয়েছে - গঙ্গা ফড়িং সে-ও ঘুমে;
আম নিম হিজলের ব্যাপ্তিতে পড়ে আছ তুমি।
'মাটির অনেক নিচে চলে গেছ? কিংবা দূর আকাশের পারে
তুমি আজ? কোন কথা ভাবছ আঁধারে?
ওই যে ওখানে পায়রা একা ডাকে জমিরের বনে :
মনে হয় তুমি যেন ওই পাখি - তুমি ছাড়া সময়ের এ - উদ্ভাবনে
আমার এমন কাছে - আশ্বিনের এত বড় অকূল আকাশে
আর কাকে পাব এত সহজ গভীর অনায়াসে -
বলতেই নিখিলের অন্ধকার দরকারে পাখি গেল উড়ে
প্রকৃতিস্থ প্রকৃতির মতো শব্দে- প্রেম অপ্রেম থেকে দূরে।
৬০| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫১
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
২২.
ধান কাঁটা হয়ে গেছে
ধান কাঁটা হয়ে গেছে কবে যেন - ক্ষেতে মাঠে পড়ে আছে খড়
পাতা কুটো ভাঙা ডিম - সাপের খোলস নীড় শীত।
এই সব উৎরায়ে ঐখানে মাঠের ভিতর
ঘুমাইতেছে কয়েকটি পরিচিত লোক আজ - কেমন নিবিড়।
ঐখানে একজন শুয়ে আছে- দিনরাত দেখা হত কত কত দিন,
হৃদয়ের খেলা নিয়ে তার কাছে করেছি যে কত অপরাধ;
শান্তি তবু : গভীর সবুজ ঘাস ঘাসের ফড়িং
আজ ঢেকে আছে তার চিন্তা আর জিজ্ঞাসার অন্ধকার স্বাদ।
৬১| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:০২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
২৩.
শিরীষের ডালপালা
শিরীষের ডালপালা লেগে আছে বিকেলের মেঘে,
পিপুলের ভরা বুকে চিল নেমে এসেছে এখন;
বিকেলের শিশুসূর্যকে ঘিরে মায়ের আবেগে
করুণ হয়েছে ঝাউবন।
নদীর উজ্জ্বল জল কোরালের মতো কলরবে
ভেসে নারকেলবনে কেড়ে নেয় কোরালীর ভ্রূণ;
বিকেল বলেছে এই নদীটিকে : 'শান্ত হতে হবে -'
অকূল সুপুরিবন স্থির জলে ছায়া ফেলে এক মাইল শান্তি কল্যাণ
হয়ে আছে। তার মুখ মনে পড়ে এ- রকম স্নিগ্ধ পৃথিবীর
পাতাপতঙ্গের কাছে চলে এলে; চারি দিকে রাত্রি নক্ষত্রের আলোড়ন
এখন দয়ার মতো; তবুও দয়ার মানে মৃত্যুতে স্থির
হয়ে থাকে ভুলে যাওয়া মানুষের সনাতন মন।
হাজার বছর শুধু খেলা করে
হাজার বছর শুধু খেলা করে অন্ধকতারে জোনাকির মতো;
চারি দিকে চিরদিন রাত্রির নিধান;
বালির উপরে জোছনা - দেবদারু ছায়া ইতস্তত
বিচূর্ণ থামের মতো : দ্বারকার; - দাঁড়ায়ে রয়েছে নৃত, ম্লান।
শরীরে ঘুমের ঘ্রাণ আমাদের - ঘুচে গেছে জীবনের সব লেনদেন;
'মনে আছে?' শুধালো সে - শুধালাম আমি শুধু 'বনলতা সেন?'
৬২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:১২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
২৪.
সুরঞ্জনা
সুরঞ্জনা, আজো তুমি আমাদের পৃথিবীতে আছো;
পৃথিবীর বয়সিনী তুমি এক মেয়ের মতন;
কালো চোখ মেলে ওই নীলিমা দেখেছ;
গ্রিক হিন্দু ফিনিশীয় নিয়মের রূঢ় আয়োজন
শুনেছ ফেনিল শব্দে তিলোত্তমা - নগরীর গায়ে
কী চেয়েছে? কী পেয়েছে? - গিয়েছে হারায়ে।
বয়স বেড়েছে ঢের নরনারীদের,
ঈষৎ নিভেছে সূর্য নক্ষত্রের আলো;
তবুও সমুদ্র নীল; ঝিনুকের গায়ে আল্পনা;
একটি পাখির গান কী রকম ভালো।
মানুষ কাউকে চায়- তার সেই নিহত উজ্জ্বল
ঈশ্বরের পরিবর্তে অন্য কোনো সাধনার ফল।
মনে পড়ে কোন এক তারাভরা রাতের বাতাসে
ধর্মাশোকের ছেলে মহেন্দ্রের সাথে
উতরোল বড় সাগরের পথে অন্তিম আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রাণে
তবুও কাউকে আমি পারিনি বোঝাতে।
সেই ইচ্ছা সঙ্ঘ নয় শক্তি নয় কর্মীদৈর সুধীদের বিবর্ণতা নয়,
আরো আলো : মানুষের তরে এক মানুষীর গভীর হৃদয়।
যেন সব অন্ধকার সমুদ্রের ক্লান্ত নাবিকেরা।
মক্ষিকার গুঞ্জনের মতো এক বিহ্বল বাতাসে
ভূমধ্যসাগরলীন দূর এক সভ্যতার থেকে
আজকের নব সভ্যতায় ফিরে আসে;-
তুমি সেই অপরূপ সিন্ধু রাত্রি মুতদের রোল
দেহ দিয়ে ভালোবেসে, তবু আজ ভোরের কল্লোল।
৬৩| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:৩৫
মৈথুনানন্দ বলেছেন: খুব খাটছো দেখছি!
এগুলোর সাহায্য নাও :
Click This Link
Click This Link
৬৪| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:১৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: একটা ব্যাপার নিশ্চিত,শামীম ভাইয়ের মনে আজকাল উদাসী রঙ লাগসে,আলামত সবাই বুইঝা নেন
৬৫| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ মৈথূদা , ধন্যবাদ আপনাকে।
@ ফারহান দাউদ ভাই, এইটা আবার আপনি কি বললেন ! কি বুঝবো আবার.....
৬৬| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:১৩
সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: প্রিয় পোস্টে সোজা।
দারুন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ।
এগুলোর মধ্যে হাওয়ার রাত,সুদর্শনা,নগ্ন নির্জন হাত,হায় চিল আমার খুব প্রিয়।
৬৭| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:১৫
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: সুনন্দর উদ্দ্যোগ ভালো লাগলো
প্রিয় কবিতাগুলো একসাথে পেলাম।
ধন্যবাদ শামীম
শুভেচ্ছা
৬৮| ২৩ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ সীমান্ত আহমেদ ,
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। হায় চিল কবিতাটা আমারও খুব প্রিয়। ইন ফ্যাক্ট জীবুদার বেশিরভাগ কবিতাই ভালো লাগে।
@ চিটি
আপু তোমাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো তোমার জন্য।
৬৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৪১
রুবেল শাহ বলেছেন: এই কবিতাটা আইলো না কেন....... ?
আবার আসিব ফিরে
জীবনানন্দ দাস
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস কোনো- কিশোরীর- ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কল্মীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলঙ্গীর ঢেউএ ভেজা বাঙ্লারই সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে।
হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমূলের ডালে।
হয়তো খৈয়ের ধান সরাতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে।
রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে
ডিঙ্গা বায়; রাঙ্গা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে
দেখিবে ধবল বক; আমারে পাবে তুমি ইহাদের ভীড়ে।
৭০| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:৪৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ রুবেল শাহ
এই কবিতাটা বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের নয় বলেই আসলো না......
৭১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩২
ভুডুল বলেছেন: প্রিয় +
৭২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: @ ভুডুল , ধন্যবাদ আপনাকে।
৭৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
নিহন বলেছেন: আমি পাগল কই ছিলাম ।
৭৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:১২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: এইতো আসলা @ নিহন
৭৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫২
মৃদুল মাহবুব বলেছেন: শামীম,
কাজটা খুবই ভালো হয়েছে। এবং সবথেকে ভালো হবে যদি সবার মন্তব্য মুছে দিয়ে কমেন্ট আকারে কবিতাগুলো পরপর থাকে।মন্তব্যগুলো খুব বেশি প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে না। পড়তে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। আরামটা কম লাগে। আর পুরো বইটা একবারে পাওয়া যায়। পড়তেও সুবিধা হয়। এই পোষ্টে না হয় আর মন্তব্য গ্রহন নাই করলেন। একটু ভেবে দেখবেন আশা করি। অসংখ্য ধন্যবাদ এই মহান কাজটা করার জন্য।
ভালো থাকবেন।
৭৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ মৃদুল ভাই।
৭৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২৬
প্রথম বাংলা বলেছেন: শামীমস্থুতি কহিতে কহিতে
করতালি আর বাহবা দিতে দিতে
হাঁসের মতন উড়ে যেতে যেতে
ভরে এল দেহ মোর ক্লান্তিতে ক্লান্তিতে।
আমি নহি সেই আনন্দ্ আইকন
আমি এক সাধারন জীবন,
লতার সহিত এবার নাহলে মিলন-
ঘুচিবেনা ক্লান্তি, আমি এক ক্লান্তপ্রান।-------ণ
ভাল উদ্যোগ।
অশেষ ধন্যবাদ।
একদিন আমার দুকানে জানালা কার্নিসে একটি রাস্তার মেয়ে এসে বসেছিল। চার চাহনী দেখে আমি পাখির নিড়ের মত চোখদুটি তার বলে ছিলাম। জনালায় বসার জন্যে আমার বন্ধু তাকে চর মারব বলে উঠিয়ে দিল। কিন্তু আমার ক্যামেরায় ধরা থাকল তার সে চাহনী।
সেটা আছে আমার ব্লগে।
http://www.ettadi.blogspot.com
৭৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে প্রথম বাংলা
৭৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১০:৩৯
শিমুল সালাহ্উদ্দিন বলেছেন: শাবাস ভাই শাবাস
অনেক অনেক ফুলসুবাস!
৮০| ০১ লা মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫
রোজনামচা বলেছেন: ''আমারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে আমারে,''
বনলতা সেনরে মাইনাচ, পোস্ট প্রিয়তে ...
০৮ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:২৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৮১| ১৫ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:০১
মে ঘ দূ ত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। টপিকটা তারা করে রাখলাম।
১৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১:০২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৮২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১৩
বিষাক্ত আলো বলেছেন: পুরো জীবনানন্দ ই সযতনে আছে জীবন ভর...থাকুক।
০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:২৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধইন্যাপাতা
৮৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:০০
সৈয়দ নূর কামাল বলেছেন:
হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছারখার অইয়া মনে করছিলাম ৩০৩টা মাইনাস দিমু। কিন্তু শেষকালে প্লাস দিয়া প্রিয়তে রাখলাম। অসংখ্য ধন্যা
৮৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:২০
শ।মসীর বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে।আসলে কালেকশনে পড়তে হবে।হার্ড কপি ছিল এখন সফট ও পেলাম।ধন্যবাদ।
৮৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২৩
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
@ সৈয়দ নূর কামাল,
হা হা হা....। ধন্যবাদ আপনাকে।
@ শ।মসীর
ধন্যবাদ।
৮৬| ২৩ শে মে, ২০০৯ ভোর ৬:৪৮
মন মানে না বলেছেন: প্রিয়তে ।
৮৭| ২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ @ মন মানে না
৮৮| ১২ ই জুন, ২০০৯ রাত ২:৩২
পরবাসীবাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো লাগলো।
৮৯| ১২ ই জুন, ২০০৯ রাত ২:৩৩
পরবাসীবাংলা বলেছেন:
৯০| ১২ ই জুন, ২০০৯ রাত ২:৩৮
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ পরবাসীবাংলা
৯১| ১৯ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০৩
সীমন্ত ইসলাম বলেছেন: জীবনান্দের মতো আপনিও প্রিয়তে এলেন।
৯২| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৩৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ সীমন্ত ইসলাম।
৯৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৩১
আইসিস বলেছেন: ভালো প্রয়াস ।
৯৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:১০
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ আইসিস
৯৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:২১
অদ্ভুত শূন্যতা বলেছেন: অসাধারন।
৯৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ অদ্ভুত শূণ্যতা
৯৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫৩
ফুলপাতা বলেছেন: পাইছিরে..............আর ছাড়াছাড়ি নাই। কত কত কত কত যে ধন্যবাদ কেমনে বুঝাবো।।।।।।।।।।।।
৯৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:০৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: হা হা হা...আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ফুলপাতা
৯৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১২
দীপান্বিতা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ..
১০০| ৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে দীপান্বিতা
১০১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২০
সুমিন শাওন বলেছেন: আপনার অনেক নাম শুনেছি, কিন্তু আপনার কাম যে এত বিশাল এই প্রথম নিজ চোখে দেখলাম, আপনার আরো নাম শোনা উচিৎ ছিল আমার!
১০২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৮
একরামুল হক শামীম বলেছেন: সুমিন শাওন, জানি না কেমন নাম শুনেছেন, ভালো নাকি খারাপ..হা হা হা
অ্যানিওয়ে ভালো থাকবেন সবসময়।
১০৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৮
ত্রিশোনকু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
প্রিয়তে।
এরপর রুপসী বাংলা।
১০৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৮
একরামুল হক শামীম বলেছেন: আমিও তাই ভাবছি। ধন্যবাদ ত্রিশোনকু।
১০৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:১১
নিশীথ রাতের বাদলধারা বলেছেন: লগ ইন করতাম না, শুধু এই পোস্টের জন্য করলাম।
ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা?... কম হয়ে যায় না?
১০৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০১
একরামুল হক শামীম বলেছেন: হা হা হা, ধন্যবাদ তোমাকে নিরাবা শুভকামনা এবং দোয়া রইলো।
১০৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৩:০৯
কৃষ্ণ তরুণ বলেছেন: ++++++++++++++++++++++
১০৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২১
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ কৃষ্ণ তরুণ
১০৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৬
দীপান্বিতা বলেছেন:
"আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শাঁখচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।"
আচ্ছা! এখানে 'শাঁখচিল' হবে না ‘গাঙচিল’ হবে!
১১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৮
একরামুল হক শামীম বলেছেন: @ দীপান্বিতা,
আবার আসিব ফিরে তো রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
গাঙচিল না, শাঁখচিলও না। হবে শঙ্খচিল ।
১১১| ১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:২৯
নীল কষ্ট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
প্রিয়তে
১১২| ১৯ শে মে, ২০১০ রাত ১:৩৯
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ নীল কষ্ট
১১৩| ২০ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:০৪
গানচিল বলেছেন: জীবনানন্দের ঐ কবিতাটা পোষ্ট করেন না !
"কাল রাতে ফাল্গুনের আঁধারে
যখন ডুবে গিয়েছিল পন্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ।
বঁধু শুয়েছিল পাশে, প্রেম ছিল, ভালবাসা ছিল
ঘুম কেন ভেঙ্গে গেল তার
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল
লাশকাঁটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার "
সুন্দর একটা কবিতা। সম্ভবতঃ কবিতাটির নাম "আট বছর পরে একদিন"। ভূলে গিয়েছি পুরো কবিতাটা। দেবেন নাকি একটা পোস্ট?
১১৪| ২১ শে মে, ২০১০ রাত ৩:২২
একরামুল হক শামীম বলেছেন: কবিতাটা পোস্ট করেছিলাম একবার। পরবর্তীতে আবার পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।
১১৫| ১১ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:৩১
চারুপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ অনেকগুলো কবিতা একসাথে লিংক দেওয়ার জন্য্
১১৬| ১২ ই জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:৩৬
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ চারুপাঠ
১১৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৫:৫২
হুমায়রা হারুন বলেছেন: কি অদ্ভুত ভাল লাগা পোস্ট।
+++++++
১১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:২৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫৬
ফুলপাতা বলেছেন: ভাইয়া, যতবার পোস্টটা পড়ব ততবার যেন ধন্যবাদ দিতে পারি, আমিন। ভাল থাকবেন।
১২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:০৪
গ্রাউন্ড ফ্লোর বলেছেন: এখন সুলতা আর কবিকুল শিরোমনি শফিকুলের যুগ
১২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন: @ ফুলপাতা, ধন্যবাদ।
@ গ্রাউন্ড ফ্লোর, হা হা হা
১২২| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩১
ব্যাপারনা বলেছেন: বিয়াপক ধইন্যা......
১২৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:১৭
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ধন্যবাদ ব্যাপারনা
১২৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০
দীপান্বিতা বলেছেন:
আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে...
বড়দিনের শুভেচ্ছা
১২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৫
একরামুল হক শামীম বলেছেন: আনন্দবাজারের লেখাটির সন্ধান দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা রইলো
বড়দিনের শুভেচ্ছা
১২৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৪৩
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।শোকেসে সংগ্রহে রাখলাম
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৫২
একরামুল হক শামীম বলেছেন:
০৬.
হায় চিল
হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে-উড়ে ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!
তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে!
পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে;
আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে
বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!
হায় চিল, সোনালী ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
তুমি আর উড়ে-উড়ে কেঁদো নাকো ধানসিঁড়ি নদীটির পাশে!