নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ।

তানভীর- বিন- হাসান

ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]

তানভীর- বিন- হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বোনেরা।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

"... ভাই হিসেবে আমি ভয়ানক স্বার্থপর টাইপের, আমার আপন তিন বোন আর কাছের কাজিন রা মিলিয়ে বোনের সংখ্যা লাকি সেভেন... সাত ভাই চম্পা হলে, আমি সাত বোন কাঁঠাল টাইপ অবস্থা। এদের কাউরেই আমি কখনো কিছু দিতে পারি নাই, কিম্বা সামনা সামনি মধু মাখা ব্যাবহার ও কেউ পায় নাই। ওইটা আমি দিতে জানিও না... ফাই- ফরমাশ খাটানো ছাড়া ওদের গুরুত্ব যে আছে সেটা বুঝতেই আমার অনেক দিন লেগে গেছে...



যাই হোক, মোদ্দা কথা আমার অনেক বোন, এবং আমি নিজের চিন্তা বাদে আজীবন তাদের নিয়ে কোন চিন্তাই করি নাই। কখনো মনেই হয় নাই যে ওদের পৃথিবীটা কত বন্ধুর, কত অস্থির আর ভয়ানক।



ইদানিং খুব ভয় লাগে, আমি অফিস থেকে এসে খবরের কাগজ হাতে নিতে পারিনা, কিম্বা টিভি ছেড়ে খবরের কোটেশন গুলোর দিকে তাকাই না... ফেবুতে বসলেও ভয় হয় এই বুঝি আরেকটা ভয়ানক কিছু চোখে পড়বে।



দেশে দেশে কি এক কুৎসিত উৎসব শুরু হয়েছে। কি ইশকুল বাস, কি হাসপাতাল, কি নিজ ঘর... আমাদের মেয়েরা কোথাও নিরাপদ না। আম্মা আর বোনদের নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলাম গত সপ্তাহে, রাস্তায় খালি এপাশ, ওপাশ করলাম অনেকক্ষণ। পেছনে চোখ রেখে উল্টো হাঁটলাম।



ওরা বাইরে গেলেই যে আমার খালি ভয় লাগে। দুনিয়ার সবাইরে তো আর সরাতে পারিনা, তাই ওদের চলার রাস্তা সরু করে দেই। আমার পিচ্চি বোনটারে উঠোনে ক্রিকেট খেলতে নিয়ে যেতাম আমি, ভয়ানক খেলত ও, ভাবতো ক্রিকেট নিয়ে। আমার বন্ধুরাও সিরিয়াসলি ওকে ক্রিকেট খেলার কথা বলতো। আম্মা, আপা আমারে এসবের জন্য দিতো গালি আর আমি তখন প্রগতির কথা বলতাম। এখন বুঝি, মা- আপার দুনিয়াটা আমার মতো বস্তাবন্দি না, ওদের দুনিয়া বাস্তবের গরলে ঠাসা, সত্য কাঠিন্যে ভরপুর। এখন ওর হাতে ঘরেও যদি ব্যাট দেখি, কপট রাগ দেখাই।



আমি/ আমরা এখন পর্যন্ত ব্যার্থ ভাই, কিন্তু এক- দু যুগ পরে যেন ব্যার্থ বাবা না হই। আমাদের মেয়েরা হাঁটবে বিশাল রাস্তায়, একাকি পথে নির্ভীক। তাদের বাবা- ভাইয়েরা অফিস থেকে বসে দু মিনিট পর পর খোঁজ নেবেনা চিন্তায়। মায়েরা থাকবেন ব্যাস্ত নিজ ভুমে, ভয়ার্ত নন, সাহসী হয়ে নেবেন সাহসী সিদ্ধান্ত।



বেশী কিছু না, আমাদের মেয়েদের ব্যাগে ব্যাগে সবকিছুর সাথে একটা বিশালাকার ছোরা বহনের অনুমতি দেয়া হোক, রাষ্ট্র তো বিচার করতে পারছেনা, ওরা সাথে সাথেই কিছু করুক। ওরা বাঁচুক, বাঁচার মতো। মারুক, মারার মতো। আমার বোনেরা মানুষ হয়ে বাঁচুক, শুধু মেয়ে হয়ে নয়। খেলার মাঠে খেলতে আসুক, শুধু মায়াবি চোখ গুলান দিয়ে পুরুষের উল্লসিত চেহারা দেখতে নয়। "

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

শার্লক বলেছেন: আমাদের মেয়েদের ব্যাগে ব্যাগে সবকিছুর সাথে একটা বিশালাকার ছোরা/পিস্তলের জন্য কোন অনুমতি চাইবো না কারো কাছে।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: সেও মন্দ নয়। থাকুক তাহলে।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০

রুরালমারকেিটং বলেছেন: বড়-সড় লাইক..... :#)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

অনুপমার দিন-রাত্রি বলেছেন: পিপার স্প্রে সুলভ করে দিলে ভালো হতো......আমরা ব্যাগে রাখতে পারতাম......

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: খুবই সময়োপযোগী সমাধান। যতটুকু জানলাম, তাতে মনে হয় সরকার যে বিশাল পরিমান পিপার কিনেছে সেটা শারীরিক ক্ষতির কারণ হবার সম্ভাবনা থাকায় টা ব্যবহৃত হবেনা। এই বিশাল মজুদ আমাদের মেয়েদের জন্য সুলভে দেয়া হোক।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৬

বাদল দিনের গান বলেছেন: পোস্টে প্লাস...

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪২

আবু মান্নাফ খান বলেছেন: সত্যই ভাই। ভাই হিসেবে খুব নিচ মনে হয়। খুব চিন্তায় থাকতে হয়। কখন খবরে বীভৎসতা দেখে রাতে ভাল ঘুম হয় না। দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠি বার বার।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: আমারও কাছাকাছি অবস্থা। কিন্তু, রাতে আমি অন্তত এটা জেনে ঘুমোতে যাই যে, পাশের ঘরে আমার মা- বোন ঘুমুচ্ছে। সকালে আবার সেই বাইরের কুৎসিত পৃথিবী গিলতে যাই।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

sushama বলেছেন: বোন দের উপহার লাগেনা ভাইয়া, এই যে আপনি বোনদের জন্য এভাবে একজন সচেতন ভাই হিসেবে চিন্তা করছেন, তাও তো আজকাল কেউ করেনা। ইভটিজিং করার সময় কারোর খেয়াল থাকেনা, তার বোনটা এই ঘটনার শিকার হলে তার কেমন লাগবে !
শুভ কামনা রইল।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: ইভটিজারের বোধ করি আর যাই হউক, বোন থাকেনা। আমার চারপাশ আজীবন ঘিরে রেখেছে আমার বোনেরা। ওদের হয়ত মাথা গরম হলে বকা দিয়েছি, কিন্তু সেটা অধিকার বোধ থেকে এবং তাঁর চেয়েও বেশী প্রয়োজনে। একজন পথ চলতি নারীর প্রতি অশ্রদ্ধা এবং অযাচিত আচরণ কোন বোনের -ভাইয়ের মাথায় আসতে পারেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.