নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ।

তানভীর- বিন- হাসান

ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]

তানভীর- বিন- হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রিকেট ভদ্দরলোকের খেলা, ভালো লোকের নয়!!!!

০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

জিমি সিডন্স কে মনে-প্রাণে ঘৃণা করি সেই শুরুর সময়টা থেকেই যখন আশুরে বাদ দিয়ে তিনি রকিবুল কে আশুর বিকল্প হিসেবে দেখা শুরু করেছিলেন। এও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আশুর জীবনের একটা ভালো সময়কে সিডন্স নিজ হাতে খুন করেছেন।



সবাই প্রথাগত নয়। টেন্ডুলকার যখন ব্যাটিং শুরু করেন, তখন তার লো-গ্রিপে ব্যাট ধরা নিয়ে বিস্তর হাসি- তামাশা হয়েছে। অথচ, সেই লো গ্রিপের কারণেই যখন নিচু হয়ে আসা বলে, কিম্বা অতিরিক্ত টার্ন নেয়া বলে টেন্ডুলকার অন্য যে কারো চাইতে স্বচ্ছন্দ, তখন অনেক অস্ট্রেলিয়ান, অনেক ইংলিশ ও তা করার চেষ্টা করেছেন, পারেননি তারা দীর্ঘদেহী বলে। হাত এত নিচুতে নিয়ে ব্যাট করা তাদের জন্যে নয়।



এই যে কপিবুক, ক্লাসিক খেলার কথা বলা হয়; সব ভন্ডামি। সব ইংরেজ দের চুতিয়াগিরি। পরিবেশভেদে, শারীরিক কাঠামো ভেদে যে যেভাবে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, তাকে সেভাবেই থাকতে দেয়া উচিত।



Mentor is there to polish not to demolish.



পাকিস্তানের আব্দুর রাজ্জাক, পুরোই ভুল গ্রিপে ব্যাট ধরে, তার স্ট্যান্স তো থ্রি স্টুজেস এর যে কোন পর্বের চেয়ে বড় কমেডি, বাঁকা হয়ে উথাল পাথাল দাঁড়ানো( একরডিং টু ইংলিশ চুতিয়াস); মারতে শুরু করলে তো ঠিকই সে আর থামেনা!!!



বাংলাদেশে আমরা সব কিছুতেই সেই কপিবুকে বিশ্বাসী। আমি- আপনি কেউ কিছু সৃষ্টি করতে পারবো না। সৃষ্টি করা এখানে দোষের, না শুধু দোষের নয়, একেবারে গুনাহের কাজ। ব্যাকরণবিদ যা বলেছেন, তাই সর্বশেষ সত্য। তত্ত্ববিদ যা বলে গেছেন তা অমোচনীয়। নতুন এখানে অগ্রহণযোগ্য।



আমাদের লোকাল গুরুদের কাছে ক্রিকেট প্র্যাকটিসে যান, প্রথমেই আপনাকে এলবো শেখানো হবে( সোজা চোখের সমান্তরালে হাত রেখে, কনুই আনুভুমিক রেখে, ব্যাট কোমরের কাছে তুলেই স্ট্যান্স নিতে হবে আপনার।



--Okay, U dont like dis, then u r a complete bulshit, n u don't deserve to play cricket, at least bat any more...



I say what... Fuck u assholes.... Did u hear me... GO TO HELL!!!!



আশুর যেসব পুল, হুক, আশরাফুল স্কুপ, ইনসাইড আউটে গিয়ে স্পিনের এগেইন্সটে বল বাতাসে ভাসিয়ে মারা ওর স্পেশাল টাচ ছিল- সব নষ্ট করেছে এই সিডন্স। প্রবল আত্ববিশ্বাস লাগে এইগুলান খেলতে। সেই বিশ্বাস কে রকিবুলের মতো একটা স্বার্থপর ক্রিকেট খেলা কুলাঙ্গারের জন্যে খুন করেছে সিডন্স।



যাই হোক- এহেন ঘৃণা যার বিরুদ্ধে, তাকে আজ ক্ষমা করে দিলাম। দৈনিক ইত্তেফাকে আসা সিডন্সের সাক্ষাতকার পড়ে।



শুধু আশু নয়, পৃথিবীর তাবৎ সেলিব্রিটি খেলোয়াড় গনই এই বাজিকরদের হাতের পুতুল হয়ে গেছেন। নিজ জীবন পর্যন্ত আমরা ঝুকি নিতে পারি, কিন্তু পরিবারের গায়ে আগুনের সামান্য আঁচ মেনে নেয়া অসম্ভব। অতি শক্তিধর যেমন- সচিন- দের আপোষ করতে হয়না, ভারত তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিধান করে বলেই।



আশু সেই কৈশোর থেকেই নিজের ১৫ সদস্যের পরিবার, এবং সাথে আরও পাঁচটা পরিবারের অন্ন- সংস্থানের চাপ মাথায় নিয়ে খেলেছে। ছেলেটার ব্যাপারে যত জানছি, আগের ভালোবাসা আরও তীব্র হচ্ছে। খেলোয়াড় আশু, ছেলেমানুষ আশু- কে আগেই ভালবাসতাম। এই কেলেংকারি সেই ভালোবাসা কখনো ধুয়ে নিতে পারবেনা।



পুরো ক্রিকেটের চেয়ে একজন ভালো মানুষ আশু অনেক বেশী মুল্যবান। খেলা মানুষের জন্যে, খেলার জন্যে মানুষ নয়।



আফসুস, ক্রিকেট ভদ্দরলোকের খেলা, ভালো লোকের নয়!!!!



মায়া বাড়ছেই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: দুইতিন দিন আগে দৈনিক সমকালের একটা নিউজ ছিল এই রকমের , আমি মনে করি অই সময়েই আশরাফুলের উচিৎ ছিল ভালো হবার ।
আশরাফুলের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ড্রেসিংরুম থেকে আশরাফুলকে প্রথম সন্দেহ করেছিলেন সাবেক কোচ জেমি সিডন্স। তিনি জিজ্ঞাসাও করেছিলেন, তুমি কি ম্যাচ ফিক্সিং করছ? সে সময় অস্বীকার করা আশরাফুলের সঙ্গে তারপর থেকেই সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয় জেমি সিডন্সের। এমনকি তিনি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও আশরাফুলকে রাখতে চাননি সে সময়। দিনের পর দিন আশরাফুল বাজে শট খেলে আউট হয়ে যাওয়ার পরই জেমি সিডন্সের মনে সন্দেহটা দানা বাঁধে। আশরাফুলের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টদের মেলামেশাও পছন্দ ছিল না জেমি সিডন্সের। সে কারণেই যখন ভারতের বিদ্রোহী লীগ আইসিএল থেকে আশরাফুলের কাছে প্রস্তাব আসে, তখন জেমি সিডন্স জানতে চেয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে তার সম্পর্কটা কতদূর গড়িয়েছে। এরপর আশরাফুলই দলের বেশ কিছু ক্রিকেটারকে আইসিএলে খেলার জন্য অনুপ্রেরণা জোগান। শুধু জেমি সিডন্স নন, আশরাফুলের সতীর্থদের মনেও সন্দেহ ছিল, যেটা এখন আশরাফুলের স্বীকারোক্তির পর সবাই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে দেখছেন। যেমন ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অধিনায়ক আশরাফুল নিজে পরপর দুই ওভার বোলিং করে প্রথমে ২০ এবং পরে ২৪ রান দিয়েছিলেন। যদিও সে ম্যাচে ব্যাট হাতে আশরাফুল ২৭ বলে ৬১ রান তুলে সন্দেহের বাইরে চলে যান।

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: আশরাফুল নিজেই তো আইসিএলে খেলেন নি!!!!!

আপনার কথা মেনে নিলে দেখা যায়, দলে আশরাফুল-ই সেয়ানা আর সবাই ভোঁদাই।

যাই হোক ভাই, সবারই নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি আছে, কিন্তু আমাদের নিজেদের ঘাড়ে যে পরিমান পাপের বোঝা তার চেয়ে আশুর কাধ অনেক হাল্কাই।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: আমরা শুধু খোচাইতে জানি, ইতিহাস ঘাটাইতে জানি, কি বালটা ফালাইসি গত ৪০ বছরে ইতিহাস দিয়া? আমাদের কুকর্মের জন্য বুড়িগঙ্গা আজ মৃতপ্রায় আর সেই আমরাই কিনা আশরাফুলের দোষ খুজি? সে আমাদের হিরো তার দোষত্রুটি সব জিরো

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: হে হে হে। দোষ ত্রুটি জিরো না হোক, কিন্তু মানবিক ভাবে দেখতে হবে সবকিছু। ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

রাকীব হাসান বলেছেন: আশরাফুল টাকার জন্য ম্যাচ ফিক্সিং করেনি ।
সে নিজের ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য বাধ্য
হয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করেছে ।
...

আশরাফুল সেদিন ম্যাচ ফিক্সিং না করলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর'স এর
ম্যানেজার তাকে দল থেকে বাদ দিতো । তখন আশরাফুলের ফর্মও খারাপ ছিলো আর এই সুযোগটাই নিলো ডিজি টিমের ম্যানেজার ।
আশরাফুলকে ফিক্সিং করাতে বাধ্য করলো ওরা ।
কিন্তু এখন পর্যন্ত ওদের বিরুদ্দে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ।

যে ছেলে ১০ কোটি টাকার
মতো অফার পাওয়ার পরও
আইসিএলে যায়নি সে ছেলে কখনো মাত্র ১০ লাখ
টাকার জন্য ফিক্সিং করতে পারেনা ।

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: সেটাই।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: পোস্টের বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত। জেমি সিডন্স নিজ হাতে আশরাফুলের প্রতিভাকে ধ্বংস করেছে।
১ নং মন্তব্যকারীর মন্তব্য সব সময় আমার হাসির খোরাক যোগায়

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: হা হা হা হা।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

মিতক্ষরা বলেছেন: আশরাফুলের কান্নাকাটি দেখে বাংলাদেশীদের মায়া তো লাগবেই। এই জাতি বড়ই আবেগপ্রবন। মানুষের ভালবাসা আশরাফুল পেয়েছেন - এই তো সবচেয়ে বড় পাওয়া।


স্বীকারোক্তির বিনিময়ে দায়মুক্তি কোন নূতন বিষয় নয়। প্রথম আলো গতকাল ক্রনিয়ে নিয়ে যে রিপোর্ট করেছে তাতেই রয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা বোর্ড ক্রনসিকে আরো তথ্যের বিনিময়ে দায়মুক্তি দিতে চেয়েছিল। কিছু বিষয়, যেমন ২০০৪ এর ফিক্সিং - আশরাফুল না বললে কেউই কখনও জানতে পারত না। গ্ল্যাডিয়েটরের বিরুদ্ধেও মূল প্রমান আশরাফুল। সুতরাং শাস্তি কম হওয়টা যৌক্তিক।

তবে একেবারে দায়মুক্তি সমর্থন করতে পারছি না। তাতে বিসিবি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। বিসিবিকে নিজের গ্রহনযোগ্যতা ধরে রাখতেই হবে। না হলে আন্তর্জাতিক অংগনে বাংলাদেশ হয়ে যাবে অপাংক্তেয়। নিয়মের মধ্যে থেকে সর্বনিম্ন শাস্তির ব্যবস্থা নিলে সেটা সবকূল রাখবে।

০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

তানভীর- বিন- হাসান বলেছেন: ১০০০০০০০০০ ভাগ সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.