নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ।

তানভীর- বিন- হাসান

ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]

তানভীর- বিন- হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কদর্য চিন্তন।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

পৃথিবী বদলাচ্ছে। আমরা আধুনিক হচ্ছি। আমাদের নতুনেরা, আমাদের চেয়ে নতুনেরা আরও আরও আধুনিক হচ্ছে। আধুনিকায়নের সাথে সাথে আমাদের মন, শরীর ন্যাংটো হচ্ছে। আগে কুৎসিত চিন্তা মনের ভেতর পুষে রাখা হতো; এখন সে লজ্জাও ভেঙ্গে চুরমার।



কদর্য চিন্তনে ভরপুর চারপাশ।



প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এগিয়েছে, বিস্তর বাইরের বই। কি ব্যাবসায় শিক্ষা, কি বিজ্ঞান শিক্ষা, কি সমাজ শিক্ষা। আমরা শুধু বাংলাই পড়িনা এখন- ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, রাশান... আরও কতোকি পড়ি!!!...



হ্যাঁ, শুধু পড়িই। মাথার খাঁজে ঢুঁকে না কিছুই।



পুরুষের সমালোচনা করার সময় তার কৃতকর্মের সমালোচনাই করি, আর নারী হলে চলে যাই দেহে। পুরুষের স্রেফ চরিত্র হনন হয় আর নারীর সাথে বোনাস যোগ হয় তার যৌবনের কাহিনী, বিস্তর খিস্তি খেউর।



লজ্জা লাগেনারে তোদের???



শেখ হাসিনা হউন আর খালেদা জিয়া; তারা দেশের মাথাই। দেশ চালিয়েছেন বারংবার। তাদের মতাদর্শ ভিন্ন, তাদের রাজনৈতিক দর্শন ভিন্ন। কখনো তারা ভুল, কখনো তারা সঠিক। ভুলের জন্যে ভুলের সমালোচনা হবে, সঠিকের জন্যে হাততালি। কিন্তু; একি রুপ দেখি- কার সাথে কার প্রনয় ছিল? কে কাকে কিভাবে কি করেছেন? কি অদ্ভুত সব শব্দের প্রয়োগ!!!! ওসব শব্দ আমার সবচেয়ে মুখ খারাপ গালিটার চেয়েও জঘন্য।



যে মতাদর্শরেই হোক; মানুষে মানুষে সম্পর্ক তাতে অকুল পাথার হওয়াটা আবশ্যক নয়। আলোচনা- সমালোচনা আর করা কেনো তাহলে? বড় বেশি অন্তরজ্বালায় ভুগি; যখন দেখি ব্লগে, ফেবুতে, এখানে, ওখানে ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে- অমুকের কোল... কবে কোন পাকিস্তানি...নাহ!!! বড় নোংরা; বেশি নোংরা। গা গুলিয়ে ওঠে। আমাদের কোন নেত্রিই এতটা অসম্মানের যোগ্য নন। তাদের ভুলের জন্যে সমালোচনার যোগ্য হতে পারেন; পাপ হলে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে পারেন। বিচার না হলে ঘেন্নার পাত্রী হতে পারেন।



জনতার আদালত; মনের আদালতে যা ইচ্ছে বিচার করুন। মিথ্যে নোংরা নিয়ে বা প্রমান না থাকা নোংরা নিয়ে ঘাটাঘাটি কেন?



নারীনেত্রী শব্দটাই ধ্বংসের মূল। তারা মানুষ, তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যাবচ্ছেদ করা বন্ধ করুন। নিজেরাই আমরা রেসিজম এর শিকার হই বলে বলে মুখের ছাল- কবলা তুলি; আর অন্যদিকে কে সুন্দর কে অসুন্দর, কে কালো, কে শ্যামলা, কে পরী- তাই নিয়ে আমাদের আলোচনা শেষ হয়না।



এ ক্যামন চিন্তা??? এই চিন্তা তো প্রাগ- ঐতিহাসিক, আমাদের চেয়ে বয়েসে ছোটদের কেনও এমন চিন্তন???/:)



তারপরও ভাবি এই কদর্য ভাবনার অবসান হবে। মানুষ হিসেবে মানুষ চেনার দীক্ষার হবে প্লাবন।



সুস্থ চিন্তায় ভরে উঠুক বাংলাদেশ। সম্মান দিয়ে সম্মান ফলানোর চাষ হোক বাংলায়। আশায় রইলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.