![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]
পশ্চিম হতে আগত দিবসগুলোর মধ্যে এই বাবা দিবস, মা দিবস আর বন্ধু দিবস তিনটারে নিয়া আদিখ্যাতা না থাকলেও অগ্রাহ্য করতে পারিনা। এমনে এমনেই পাওয়া সম্পর্ক গুলানরে, যেখানে ভালবাসার প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনা তেমন, সেখানে এই দিন গুলান এসে একটু অনুভূতি সঞ্চারনের সুযোগ করে দেয়।
বাবা যখন মারা যান, তখন আমি নিতান্তই শিশু। বেচে থাকলে এখন বাবার বয়স হত ষাট। বাবা আমাদের নিয়ে যেমন জাম্বুরি মাঠে হাটতে যেতেন, আমি বাবাকে নিয়ে যেতাম ঠিক তেমন ডাক্তারের কাছে। বকাঝকা করতাম ওষুধ খাবার জন্যে, নিজে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা কিছুই করিনা, তখন উল্টা বাবাকেই বোঝাতাম এর গুরুত্ব। বাবার রোজার ঈদের পাঞ্জাবি আমি কিনে দিতাম। কুরবানির দিন একসাথে গরুর রানের মাংস কাটতাম।
অফিস থেকে এসে একসাথে নুডলস খেতাম। তারপর বিশাল আড্ডা হতো আমাদের। বাবা ভালো ক্যারম খেলতো, আমরা একসাথে মাঝে মাঝেই হয়ত খেলতে দাড়িয়ে যেতাম। রাতে ভাত খেয়ে উঠোনে হাটতে বেরুতাম। বাজার করা নিয়ে পালিয়ে থাকতে হত না আমার, বাবাই করতেন বাজার। আমি খালি বাবার ভুল ধরতাম। বাবাকে একটা ফেবু একাউন্ট করে দিতাম। ব্লগে একাউণ্ট খুলে দিতাম। বাবার অঙ্ক কষার দূর্বার নেশা ছিল। বাবা অনলাইন মাস্টার হতো। বাবার মোডেম, নেট প্যাকেজ আমিই ঠিক করে দিতাম। বিল বেশি আসলে কপট বকা দিতাম।
বাবা রাগ করে বলতো- তোর পিছনে আমার কম খরচ হয়নাই। আমি কি তোরে বকা দিসিলাম তখন, যখন তুই নতুন ব্যাগ ফেলে আসতি স্কুলে?
আমি আর বাবা হাঁসতে হাঁসতে আবার লুটোপুটি খেতাম।
কিসসু হয় না এসবের। কখনো হবে না। বুক খা খা করাই সার। বাবা কখনই আর আসবে না, ফিরে ফিরে বাবা দিবস আসবে। সবাই বাবার কথা লিখবে, তাদের লেখা পড়ে অনেকক্ষণ বুক চেপে বসে থাকা আমার আবেগের বাধ ভাঙবে। প্রতিদিন যে কথা মনের কোনায় কোনায় পড়ে থাকে, তারা এইসব দিনে বেরুবে বুক চিড়ে।
বাবারে, ও বাবা... এই সব যে কোন উপলক্ষ দিনে, উপলক্ষহীন দিনে তোমার কথা মনে পড়বেই।
পৃথিবীর সব বাবারা শত বছর বেচে থাকুক। সন্তান বুড়ো থুত্থুড়ে হওয়া পর্যন্ত বেচে থাকুক।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
সুজন দেহলভী বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১৩
ভাল্লুক আকবর বলেছেন: